Author : Shoba Suri

Expert Speak Health Express
Published on Nov 17, 2022 Updated 15 Days ago

জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় এবং এস ডি জি-গুলি অর্জনের জন্য চক্রাকার অর্থনীতি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থিতিশীল খাদ্য মূল্য শৃঙ্খল
স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থিতিশীল খাদ্য মূল্য শৃঙ্খল

ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, স্থিতিশীল খাদ্য শৃঙ্খল হল ‘খামার এবং বিভিন্ন সংস্থার সম্পূর্ণ পরিসর এবং তাদের ধারাবাহিক সমন্বিত মূল্য সংযোজন কার্যক্রম যা নির্দিষ্ট কাঁচা কৃষিপণ্য উপকরণ প্রস্তুত করতে সক্ষম এবং সেগুলিকে নির্দিষ্ট খাদ্য পণ্যে রূপান্তরিত করে যা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয় এবং ব্যবহারের পরে যার নিষ্পত্তি করা হয়, আর এর পুরোটাই ঘটে লাভজনক পদ্ধতিতে, তা সমাজের জন্য বৃহত্তর পরিসরে সুবিধা প্রদান করে এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে স্থায়ী ভাবে ধ্বংস করে না’।

২০২২ সালের স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দি ওয়ার্ল্ড-এর মতে ‘ক্ষুধা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং সব ধরনের অপুষ্টি দূর করার স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এস ডি জি) অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বিশ্ব ভুল পথে এগোচ্ছে।’ অতিমারির সময়ে ক্ষুধার বৃদ্ধি লক্ষ করা যায়, যেখানে ৮২৮ মিলিয়ন মানুষ প্রভাবিত হন এবং যা ২০২০ সালের তুলনায় ৪৬ মিলিয়ন ও ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫০ মিলিয়ন বেশি। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৯২৪ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হন যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০৭ মিলিয়ন বেশি। ২০২১ সালের যুগ্ম শিশু অপুষ্টি অনুমান অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুদের মধ্যে ১৪৯ মিলিয়ন শিশুর বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, ৪৫ মিলিয়ন শিশুর ওজন হ্রাস পেয়েছে এবং ৩৯ মিলিয়ন শিশু অতিরিক্ত ওজন সম্পন্ন হয়েছে। ইউক্রেন সংঘাত ৯৫ মিলিয়ন মানুষকে তীব্র দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিয়ে সমস্যাটিকে গুরুতর করে তুলেছে। অপুষ্টির ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ভিন্ন রকমের প্রভাব পড়েছে এবং অতিমারির প্রভাব এখনও সুস্পষ্ট। এক দিকে যখন ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৯.৭ বিলিয়নে পৌঁছতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তখন খাদ্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ক্ষুধার সমস্যা অতিক্রম করার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করার অন্যতম উপায়। উৎপাদিত ও ব্যবহৃত খাদ্যের মাঝের উচ্ছিষ্টের মাত্রা যতটা কম করা যায় তার উপর খাদ্য ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নির্ভর করে। এর মাধ্যমে পরিবেশকে অস্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থার প্রভাব থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও সম্ভব।

এক দিকে যখন ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৯.৭ বিলিয়নে পৌঁছতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তখন খাদ্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ক্ষুধার সমস্যা অতিক্রম করার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করার অন্যতম উপায়।

খাদ্য ব্যবস্থাগুলি একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক পরিবেশ, সমাজ এবং অর্থনীতি সংক্রান্ত জটিল সমস্যাগুলির সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। দারিদ্র্য, অপুষ্টি, ভূমির গুণগত ক্ষয়, জলের অভাব, সামাজিক অসাম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো একাধিক বিষয়ের উপর খাদ্যের উৎপাদন, বণ্টন এবং ব্যবহার নির্ভর করে। অত্যাধুনিক কৃষি পদ্ধতি মানুষ ও বাস্তুতন্ত্র উভয়ের স্বাস্থ্যের  উপরেই প্রভাব ফেলে এবং কৃষি পদ্ধতিগুলি থেকে উৎপন্ন গ্রিন হাউস গ্যাস (জি এইচ জি) নিঃসরণ মিষ্টি জল দূষণ, মাটির গুণমান হ্রাস এবং জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে। ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যার পুষ্টিগত চাহিদা পূরণ করতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রেক্ষিতে খাদ্যব্যবস্থা এবং খাদ্য উৎপাদনের সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ মানবসৃষ্ট কার্বন ফুটপ্রিন্ট এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের নেপথ্যে উভয়ের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। এস ডি জি-র গোল ১২ বা দ্বাদশ লক্ষ্যমাত্রাতেও এ কথার উপরে জোর দিয়ে ‘স্থিতিশীল ব্যবহার এবং উৎপাদনের পদ্ধতি সুনিশ্চিত করার কথা’ স্পষ্ট বলা হয়েছে। দারিদ্র্য  এবং ক্ষুধার উপর প্রত্যক্ষ প্রভাবসম্পন্ন অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক… এই তিনটি ক্ষেত্রে খাদ্যের লভ্যতা, প্রাপ্তির সুযোগ, ব্যবহার এবং অপচয় সংক্রান্ত স্থিতিশীলতার সমস্যা সমাধানে খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক খাদ্য মূল্য শৃঙ্খল কার্যকরী।

খাদ্য মূল্য শৃঙ্খল উন্নয়নে স্থিতিশীলতার ধারণা

বিশ্বব্যাপী খাদ্য শিল্পে প্রায় ১.১ বিলিয়ন মানুষ কর্মরত, যা বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের প্রায় ৩১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩০০ এবং ৫০০ মিলিয়ন মজুরিভিত্তিক কর্মী খাদ্য শিল্পের উপর নির্ভরশীল এবং এই কর্মীদের অধিকাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলির নাগরিক। ক্ষুদ্র জমিতে কৃষিকাজ চালানো কৃষকেরা শুধু মাত্র খাদ্যের জোগানই দেন না, বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলির সংরক্ষণ এবং কার্বন সিক্যুয়েস্ট্রেশন বা পরিবেশের গ্রিন হাউস গ্যাস নিষ্কাশন ও সঞ্চয়ের মতো জলবায়ু সংক্রান্ত পরিষেবাগুলিও প্রদান করেন। এশিয়া-ইউরোপ এনভায়রনমেন্ট ফোরামের মতে, পরিবারভিত্তিক কৃষকেরা সুনির্দিষ্ট লিঙ্গ ভূমিকার ঊর্ধ্বে উঠে উচ্চতর সামাজিক সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক সমতা স্থাপন এবং গোষ্ঠীর উন্নয়ন করতে পারেন। পরিবারভিত্তিক খামার এবং ক্ষুদ্র জমির মালিকরা, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উপার্জন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন, যা দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্য বৈচিত্র্যের উন্নতি এবং সম্পদের স্থিতিশীল ব্যবহার সুনিশ্চিত করে। পরিবারভিত্তিক কৃষিকাজের এই সুবিধাগুলি খাদ্য মূল্য শৃঙ্খল এবং ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার দিকটিকে সশক্ত করে।

লজিস্টিক সংক্রান্ত কাজে মহিলাদের ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের ফলস্বরূপ লিঙ্গ সমতার প্রচার ঘটেছে। বণ্টনের কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত থাকার দরু্ন দীর্ঘ শৃঙ্খলগুলিতে এমনটা হওয়া সম্ভব ছিল না।

মালাক-রাওলিকোওস্কা এবং অন্যদের মতে, নাতিদীর্ঘ খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল সেই সব ক্ষুদ্র  ও মাঝারি মাপের উৎপাদনকারীদের জন্য অধিকতর স্থিতিশীল এবং সামাজিক ভাবে সম্ভবপর, যাঁরা দীর্ঘ, চিরাচরিত খাদ্য শৃঙ্খলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। লজিস্টিক সংক্রান্ত কাজে মহিলাদের ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের ফলস্বরূপ লিঙ্গ সমতার প্রচার ঘটেছে। বণ্টনের কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত থাকার দরুন দীর্ঘ শৃঙ্খলগুলিতে এমনটা হওয়া সম্ভব ছিল না। ফার্ম টু ফর্ক পন্থার ভিত্তিতে নির্মিত ইউরোপিয়ান অর্গ্যানিক অ্যাকশন প্ল্যানেও নাতিদীর্ঘ সরবরাহ শৃঙ্খল এবং ক্ষুদ্র মাপের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলির প্রচার চালানো হয়েছে। একটি মূল্য শৃঙ্খল তৈরি করাও এক সামাজিক প্রক্রিয়া, যেখানে একাধিক খামার তাদের আগ্রহ এবং সম্পদ একত্রিত করবে। কারণ খাদ্য ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করার নিরিখে আন্তঃসংস্থা সমন্বয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সামাজিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করে উচ্চ অনুসরণযোগ্যতার উপর, যেটিকে বিশেষত উৎপাদনের পর্যায়গুলিতে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলগুলির মধ্যে একটি যোগসূত্র রূপে বিবেচনা করা হয়। ব্লকচেন, আর এফ আই ডি এবং বারকোড ব্যবস্থার মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনের প্রাথমিক ধাপগুলি থেকে একটি অনুসরণযোগ্য ব্যবস্থার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে স্থিতিশীলতা-সহ সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য তথ্য ভাগ করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডাস্ট্রি ৪.০-এর মতো নতুন প্রযুক্তির অগ্রগতি খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে খাদ্য অপচয় এবং বর্জ্য হ্রাস করার নিরিখে উন্নততর তথ্য বিনিময় সম্ভবপর করার সুবিধা প্রদান করতে পারে। ডিজিটাল কৃষিব্যবস্থা, যেমনটা আফ্রিকার দেশগুলিতে দেখা যায়, সেই ব্যবস্থা কৃষক এবং মূল্য শৃঙ্খলের অন্য অংশীদারদের জন্য কৃষি পরিষেবা প্রদানকে ত্বরান্বিত করেছে। এর ফলে তথ্য, দক্ষতা, আর্থিক পরিষেবা, বাজার এবং খামার সরঞ্জাম পাওয়ার সুবিধা উন্নততর হয়েছে। বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলকে পাঁচটি বৃহৎ পর্যায়ে ভাগ করা যায় – কৃষিজ উৎপাদন, ফসল কাটার পরবর্তী পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াকরণ, বণ্টন এবং ব্যবহার। অতিমারির ফলে খাদ্য নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলগুলি গুরুতর ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। অর্থনীতিগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে, খামার মজুরদের ঘাটতি, খাদ্যের সীমিত লভ্যতা, পরিবহণ সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা, ভোক্তাদের চাহিদায় পরিবর্তন ও খাদ্য বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতার ফলে সরবরাহ শৃঙ্খলগুলি প্রায় ভেঙে পড়ে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খাদ্য শৃঙ্খল বরাবর খাদ্য অপচয় এবং বর্জ্যের নেপথ্যে রয়েছে নিম্ন মানের ব্যবস্থাপনা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধার মতো কারণগুলি।

ইন্ডাস্ট্রি ৪.০-এর মতো নতুন প্রযুক্তির অগ্রগতি খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে খাদ্য অপচয় এবং বর্জ্য হ্রাস করার নিরিখে উন্নততর তথ্য বিনিময় সম্ভবপর করার সুবিধা প্রদান করতে পারে।

খাদ্য মূল্য শৃঙ্খলে সামাজিক স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রেক্ষিতগুলির মধ্যে আন্তঃসংযোগ গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রক্রিয়া এবং উৎপাদনশীলতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি বাজারের সুযোগের প্রসার ঘটালে একটি অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটানো সম্ভব। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তাদের ধারা, সামাজিক রীতিনীতি, আচরণ এবং জীবনধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণার জন্য এমন এক বহুমুখী পন্থা অবলম্বন করতে হবে, যা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত দিকগুলির আন্তর্নির্ভরতাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। বর্জ্য হ্রাসের জন্য গ্রহণযোগ্য রূপান্তরের বাস্তবায়ন, পরিবেশগত বা ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে এবং স্থিতিশীল নগরায়ণের জন্য খাদ্য বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কাজে পদ্ধতিটি উপযোগী হতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে একটি রৈখিক সরবরাহ শৃঙ্খল মডেলে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত খাদ্যের ৮ শতাংশ খামারেই নষ্ট হয়ে যায় এবং খুচরো বিক্রয়কেন্দ্র, খাদ্য পরিষেবা প্রদানকারী এবং গৃহস্থালি মিলিয়ে মোট ১৭ শতাংশ খাদ্য অপচয় হয় – এগুলির প্রত্যেকটিরই স্থিতিশীলতার উপরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। সমগ্র খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলব্যাপী স্থিতিশীলতা অর্জন করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাওয়া, খাদ্য অপচয় ও দূষণের মতো সমস্যার সমাধানে চক্রাকার অর্থনীতি ভূমিকা পালন করে। আরও এক ধাপ এগিয়ে এ কথা বলা যায় যে, খাদ্য উৎপাদন সরাসরি পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত এবং তার উপরে জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলের অভাব ও দূষণ, বৃক্ষচ্ছেদন, বায়ুর গুণমান ইত্যাদির প্রত্যক্ষ প্রভাব বিদ্যমান। অন্য দিকে পরিবেশগত স্থিতিশীলতা খাদ্য উৎপাদন, বণ্টন এবং ভোক্তা ব্যবস্থায় কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করার লক্ষ্যে মূল্য শৃঙ্খল বরাবর একজোটে কর্মরত কর্মীদের উপরে নির্ভরশীল। খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যেই খাদ্য অপচয়ের মতো অস্থিতিশীল অভ্যাস স্থিতিশীল খাদ্য সরবরাহ নেটওয়ার্ক অর্জনের জন্য মনোযোগের দাবি রাখে, এমন ক্ষেত্রগুলিকেই তুলে ধরে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ও শিক্ষণীয় বিষয় হল সম্পদ ব্যবস্থাপনা, স্থিতিশীল প্রক্রিয়াকরণ, উন্নত খাদ্য বিতরণ পদ্ধতি, বিকল্প শক্তি উৎসের ব্যবহার, খাদ্য প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়াকরণে স্থিতিশীল অনুশীলনের অন্তর্ভুক্তিকরণ, আচরণকে প্রভাবিত করা এবং ভোক্তাদের বিশ্বাস অর্জন। ক্ষুধার সমাপ্তি ঘটাতে, খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং এস ডি জি-গুলির বাস্তবায়নের জন্য একটি অধিক উৎপাদনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পরিবেশগত ভাবে স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থার প্রয়োজন।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.