Author : Kabir Taneja

Expert Speak Raisina Debates
Published on Feb 16, 2022 Updated 28 Days ago

দামাস্কাসকে রাজনীতিতে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে; যদিও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির উপর বিদেশি শক্তির প্রভাব এই কাজকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলবে।

পশ্চিম এশীয় রাজনীতির মূল স্রোতে ধীর লয়ে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন

Source Image: Beshr Abdulhadi — Flickr

পশ্চিম এশীয় রাজনীতির মূল স্রোতে ধীর লয়ে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন

তালিবানের উপস্থিতিতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ইসলামাবাদে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের (ও আই সি) শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার বেশির ভাগ জায়গা জুড়েই আফগানিস্তান সঙ্কট থাকলেও, আরব উপসাগরীয় আখ্যানে কূটনৈতিক সূচনার এক নতুন জানালা খুলে গিয়েছে যখন সিরিয়ার বিশেষ অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিমান সংস্থা দামাস্কাস এবং করাচির মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু করেছে।

কোনও সংযোগপথের পুনরায় চালু করা সাধারণত বড় ঘটনা না হলেও এই প্রক্রিয়াটির পিছনে একাধিক ভূ-রাজনৈতিক উদ্যোগ ছিল। আবুধাবির উদ্যোগে যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং বিচ্ছিন্ন সিরিয়ার সঙ্গে যথাসম্ভব বেশি সংখ্যক দেশের সম্পর্ক সহজ করে তোলার জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের পরে পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউ এ ই) এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের দ্রুত উন্নতি ঘটছে। যদিও বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক হলেও ওমানের মতো অন্য আরব রাষ্ট্রগুলি ২০১৫ সাল থেকেই সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনটা তারা করছে দামাস্কাসের বিরুদ্ধে মাসকাটের দীর্ঘদিনের বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও। এর ফলে এই সালতানাতের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, অঞ্চলের খণ্ডবিচ্ছিন্ন ভূ-রাজনীতিতে একটি নিরপেক্ষ শক্তি এবং মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ক্রমবর্ধমান ভূমিকার জন্য যাকে বর্তমান সময়ে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড (পশ্চিম এশিয়া)’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে লাগাতার সামরিক দমনপীড়ন থেকে শুরু করে নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের মতো যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে সিরিয়ার বিরুদ্ধে।

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে লাগাতার সামরিক দমনপীড়ন থেকে শুরু করে নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের মতো যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে সিরিয়ার বিরুদ্ধে।

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্ঘাতবহুল শাসনকালে সিরিয়া আরব বসন্তের পরবর্তী সময় থেকেই আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রান্তে রয়েছে। আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পরিবর্তিত হয়ে একটি ব্যাপক সংঘাতের রূপ নেয়, যা থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের উত্থান, ক্ষমতায় থাকার জন্য আসাদ সরকারের বর্বর প্রচেষ্টা, দামাস্কাসে রাজনৈতিক ব্যবস্থা রক্ষার জন্য রাশিয়া ও ইরানের হস্তক্ষেপ এবং এমনকি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে ইজরায়েলের বিমান হানার পদক্ষেপ… এই সবই এই আরব দেশটিকে এক বিশৃঙ্খলাময় ভূ-রাজনৈতিক বিষয় করে তুলেছে।

বর্তমানে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আসাদকে উৎখাতের লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানকে পশ্চিমী শক্তিগুলির সমর্থন এবং একই সঙ্গে তাকে ক্ষমতায় ধরে রাখার জন্য মস্কোর প্রচেষ্টা, যার বিনিময়ে রাশিয়া ভূমধ্যসাগরের প্রসারিত অঞ্চলটিতে তাদের নিজস্ব সামরিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধিতে সক্ষম হবে— সেগুলিও দেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষময় হয়ে উঠছে। যদিও এত বছরের বিচ্ছিন্নতার পরে এবং অন্য আরব শক্তিগুলির দ্বারা সমর্থিত হয়ে আসাদের সিরিয়া মূল স্রোতে ফিরে আসতে চাইছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং বাহরিন দামাস্কাসে তাদের দূতাবাসগুলি পুনরায় চালু করে এবং ২০২১ সালের মে মাসে রিয়াদেরও সে দেশে নিজের দূতাবাস ফের চালু করার জল্পনাকে উস্কে দিয়ে সৌদি কর্মকর্তারা আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সর্বোপরি ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রী তাঁর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বহু সমালোচনা সত্ত্বেও দামাস্কাসে এসে উপস্থিত হন। দামাস্কাসে কূটনৈতিক স্বাভাবিকতা পুনর্বহালে কিছু পশ্চিমি দেশের চেষ্টার খবরও শোনা যায়।

মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক ভাবে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে চাপ কমানো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ভাগ্য পরিবর্তন বা পশ্চিমের নীতি প্রতর্কে ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে নয়, বরং আঞ্চলিক রদবদলের সঙ্গে জড়িত, যেখানে বৃহত্তর আরব শক্তিগুলো তাদের ঝুঁকি ন্যূনতম করার চেষ্টা করছে, বিশেষ করে যখন উপসাগরীয় রাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে স্বার্থের বৃহত্তর সংঘাতের কথা আসে। আব্রাহাম অ্যাকর্ডস সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ইজরায়েলের নেতৃত্বে আরব রাষ্ট্রগুলির একটি গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পাশাপাশি এক ঐতিহাসিক ভূ-রাজনৈতিক স্থিতাবস্থার অবসান ঘটিয়েছে। ফলে অন্যরাও বৃহত্তর এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক লাভের জন্য রাজনৈতিক সুস্থিতি আনতে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হেঁটেছে। ইতিমধ্যেই সৌদি আরব বিশেষ করে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইরাক এবং জর্ডনের সঙ্গে তেহরানের চাপানউতোর কমানোর উদ্দেশ্যে ইরানের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছে। উভয় দেশই এত দিন দীর্ঘমেয়াদি পারস্পরিক সংঘাতে লিপ্ত ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বিগত কয়েক বছর ধরে ইরানের দিকে তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছে এবং অতিমারি চলাকালীন শিয়া-শাসন বজায় রাখতে ও পারস্পরিক সুস্থিতি গড়ে তুলতে পদক্ষেপ করেছে। এ দিকে সিরিয়ার সামনে অনেক প্রতিবন্ধকতা এখনও বর্তমান। সে দেশের সর্বত্রই ইরান-সমর্থিত প্রক্সি মিলিশিয়া আশ্রয় পেয়েছে এবং দেশের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে ইদলিবের মতো এলাকাগুলি এখনও আই এস আই এস, আল কায়েদার মতো সংগঠনের অন্তর্যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির আঁতুড়ঘর। হায়াত তাহরির আল শাম-এর (এইচ টি এস) মতো গোষ্ঠীগুলি সিরিয়ার মধ্যেই নিজস্ব ক্ষমতা বলয় তৈরি করে শাসন চালাচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর লক্ষ্যগুলিকে মূল ধারার অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টায় এইচ টি এস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি একটি আমেরিকান সংবাদ সংস্থার অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ঝকঝকে পশ্চিমি স্যুট পরিধান করে

এ দিকে সিরিয়ার সামনে অনেক প্রতিবন্ধকতা এখনও বর্তমান। সে দেশের সর্বত্রই ইরান-সমর্থিত প্রক্সি মিলিশিয়া আশ্রয় পেয়েছে এবং দেশের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে ইদলিবের মতো এলাকাগুলি এখনও আই এস আই এস, আল কায়েদার মতো সংস্থার অন্তর্যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির আঁতুড়ঘর।

অবশ্য আসাদ সরকারের সামনের রাস্তা বেশ বন্ধুর। বর্তমানে তারা কার্যকর ভাবে ইরান এবং রাশিয়া উভয়েরই আশ্রিত হিসেবে কাজ করছে এবং উভয় দেশই বছরের পর বছর ধরে আসাদের রাজনৈতিক বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করতে সাহায্য করেছে। মস্কো ইতিমধ্যেই যুদ্ধবাজ খলিফা হাফতারকে সমর্থন করার জন্য ক্রেমলিন দ্বারা সিরিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদের লিবিয়ায় পাঠানোর মতো কাজ করার মাধ্যমে নিজের দেশের বর্ধিত ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের জন্য সিরিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে আসাদ সরকারের বিরোধী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করে কুর্দি ঐক্যকে প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে এবং একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পি কে কে) বিরুদ্ধে তার বিস্তৃত কৌশলগত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তুরস্ক সিরিয়ায় একটি বিভাজনকারী শক্তি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে। মধ্য এশিয়ার আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে গত বছরের নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধেও সিরিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে। কাশ্মীরে তুরস্ক এবং পাকিস্তান সমর্থিত সিরিয়ান যোদ্ধাদের উপস্থিতিও এমন এক লোকশ্রুত কাহিনি যা ২০১৫ সাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে৷ একটি ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতির জন্য সিরিয়ার জনগণের জীবিকা নির্বাহের পথগুলি সীমিত এবং একটি বিকল্প অর্থনীতি গড়ে তোলার তাগিদে তাদের অন্যান্য রাষ্ট্রের হয়ে যুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এর ফলে তারা যেমন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারছে, তেমনই দেশগুলি আন্তর্জাতিক বিবাদে যোগ দেওয়ার ফলে তৈরি হওয়া অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতে ভাড়াটে সৈন্যদের ব্যবহার করছে।

ভারতের অবস্থান

সিরিয়ার সঙ্কটকাল জুড়ে খুব কম সংখ্যক দেশই দামাস্কাসে কূটনৈতিক ভাবে সক্রিয় ছিল। এদের মধ্যে ভারত একটি অন্যতম দেশ যে মূলত ক্রমাগত কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। যে হেতু নয়া দিল্লি প্রকাশ্যে ২০১১ সালে লিবিয়ার যুদ্ধ এবং অধুনা প্রাক্তন শাসক মুয়াম্মার গদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিরোধিতা করেছিল, ঠিক তেমন ভাবেই বিশ্ব ব্যবস্থায় আরও একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের খারাপ প্রভাবের কথা মাথায় রেখে দামাস্কাসের ভাগ্য নির্ধারণে রাইসিনা হিলেও একই মতামত পোষণ করা হয়েছে। তাই পশ্চিমী দেশগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সিরিয়ার সঙ্গে ভারত নিয়মিত কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছিল। সিরিয়ার তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেম ২০১৬ সালে দিল্লি সফরে এসেছিলেন এবং ভারতের তৎকালীন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরও একই বছরে দামাস্কাস পরিদর্শনের মাধ্যমে সৌজন্য বজায় রাখেন। কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অবস্থা ‘শোচনীয়’ হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশনায় সে দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ভারত পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০২০ সালের জুন মাসে সিরিয়াও তাদের দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের নয়া দিল্লিতে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ বিমানের আয়োজন করে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে নয়া দিল্লি আরও এক বার জানায় যে, তারা সিরিয়ায় সামরিক সমাধানের পক্ষে নয়। কয়েক বছর ধরে সিরিয়াও কাশ্মীর বিতর্কে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ভারতের আন্তর্জাতিক কূটনীতির পক্ষে তাদের সমর্থন জুগিয়ে চলেছে।

কয়েক বছর ধরে সিরিয়াও কাশ্মীর বিতর্কে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ভারতের আন্তর্জাতিক কূটনীতির পক্ষে তাদের সমর্থন জুগিয়ে চলেছে।

আরব রাষ্ট্রগুলি আসাদ সরকারকে পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে চাইলেও কাজটি ততটা সহজ না-ও হতে পারে। সিরিয়াকে বছরের পর বছর ধরে বিশেষ করে ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে নিজেকে প্রক্সি যুদ্ধের জন্য একটি মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরা বন্ধ করতে এবং মস্কোর প্রভাব প্রশমিত করতে হবে। এইগুলি করা সিরিয়ার পক্ষে বেশ কঠিন, কারণ আসাদের রাজনৈতিক মঞ্চে টিকে থাকা উক্ত বৈদেশিক শক্তিগুলি দ্বারা সুনিশ্চিত হয়েছে এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট যদি এখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান, তা হলে রাশিয়া এবং ইরান উভয়েই চেষ্টা করবে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং অর্থনৈতিক দৈন্যের সঙ্গে যুঝতে থাকা সিরিয়ায় আরও বেশি করে ঘাঁটি গাড়ার।

ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসাদ প্রশাসনের বাস্তব অবস্থা স্বাভাবিক করে তোলার উদ্দেশ্যে আবু ধাবির কূটনৈতিক পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই এবং অঞ্চলটিতে কর্মরত এবং আমিরশাহির এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা এবং সংগঠনগুলিও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে। ইতিমধ্যেই দেশটিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে একাধিক দেশের হস্তক্ষেপের ফলে যা হয়ে চলেছে, তাতে অবস্থার স্বাভাবিক হয়ে ওঠা সিরিয়ার পক্ষে অসম্ভব প্রায়। আসাদ সরকারকে তার নিজস্ব বাস্তব রাজনীতির পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং ভেবে দেখতে হবে কত দিন তার পক্ষে বিচ্ছিন্ন হয়ে টিকে থাকার মানসিকতা দিয়ে রাষ্ট্র চালানো সম্ভব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.