Published on Apr 24, 2024 Updated 0 Hours ago
ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কার বিবর্তিত ভূমিকা

এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় দ্য মর্নিং-এ।


এ বছরের ২০ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, কলম্বো আঞ্চলিক শান্তির বৃহত্তর স্বার্থে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে গঠনমূলক ভূমিকা পালনে আগ্রহী। নবনির্বাচিত মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী নীতির সমর্থক হওয়ায় যখন ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে, তখনই এই ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। শাটল ডিপ্লোমেসি বা ক্রমাগত আনুগত্য বদলকারী কূটনীতিতে শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক আগ্রহ ভারত মহাসাগরে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য দ্বীপদেশটির ক্রমবর্ধমান অভিপ্রায় এবং আগ্রহকেই দর্শায়।

 

অভিপ্রায় আগ্রহ

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (আইওআর) একটি সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য শ্রীলঙ্কার ইচ্ছা নতুন নয়। তবে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সরকারের অধীনে সেই ইচ্ছা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে (২০২৩) প্রেসিডেন্টের বর্ষীয়ান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আইওআর-এর প্রতি শ্রীলঙ্কার একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। এই পুনর্নবীকৃত শক্তি ভারত মহাসাগরে নতুন অভ্যন্তরীণ বাহ্যিক জটিলতা এবং ক্রম-অভিযোজিত নিরাপত্তা সমীকরণের একটি ফসল।

 

শাটল ডিপ্লোমেসি বা ক্রমাগত আনুগত্য বদলকারী কূটনীতিতে শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক আগ্রহ ভারত মহাসাগরে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য দ্বীপদেশটির ক্রমবর্ধমান অভিপ্রায় এবং আগ্রহকেই দর্শায়।

 

অভ্যন্তরীণ ভাবে অর্থনৈতিক সঙ্কট শ্রীলঙ্কা এবং এর নিরাপত্তা সমীকরণের জন্য একটি নবজাগরণের মুহূর্ত হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে। এটি প্রতিরক্ষা ব্যয়ের প্রকৃতি এবং নতুন ও অভিযোজিত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার মতো অপ্রচলিত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা উদ্বেগ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার সমস্যাটি অর্থনৈতিক দুরবস্থা বৃদ্ধি করেছে। অর্থনৈতিক ভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে থাকা শ্রীলঙ্কার জন্য যোগাযোগের সমুদ্রপথগুলিকে সুরক্ষিত করা, স্থিতিস্থাপক সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুনিশ্চিত করা, অন্যান্য দেশ এবং অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির হাত থেকে নিজের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিকে সুরক্ষিত করা, উচ্চ প্রাপ্যতা দুর্যোগ পুনরুদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা, অবৈধ মাছ শিকার ও পাচার সীমিত করা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাহ্যিক ভাবে, ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কার জন্য তার কৌশলগত এবং নিরাপত্তা পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে ভারত মহাসাগর তার মূল সামুদ্রিক বাণিজ্যিক পথ এবং সম্পদের কারণে বেশ কয়েকটি প্রধান শক্তির মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভৌগোলিক পরিসর হয়ে উঠছে। একটি আবাসিক শক্তি হিসেবে ভারত ক্রমবর্ধমান ভাবে চিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে নিজেদের স্বার্থের পুনর্নবীকরণ করেছে এবং ফ্রান্স রাশিয়ার মতো শক্তিও দ্বীপরাষ্ট্রে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। শ্রীলঙ্কার জন্য - যেটি ভারত মহাসাগরকে একটি ‘শান্তিপূর্ণ অঞ্চল’ বলে প্রচার চালিয়েছিল - এই ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা তার জোটনিরপেক্ষ বিদেশনীতিকে তীব্র চাপের মুখে ফেলেছে। বিদেশি গবেষণামূলক জাহাজের উপর সম্প্রতি আরোপিত বছরব্যাপী নিষেধাজ্ঞার ঘটনা এই ক্রমবর্ধমান চাপের একটি উদাহরণ মাত্র। ফলস্বরূপ, শ্রীলঙ্কা ভারত মহাসাগরে সক্রিয় উপস্থিতি বজায় রেখে নিজের সামুদ্রিক সক্ষমতাকে জোরদার করে এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার উপরে মনোযোগ দিয়ে বৃহৎ শক্তিগুলি দ্বারা আরোপিত অতিরিক্ত চাপ এড়াতে পারবে আশা করছে।

 

বর্তমানে ভারত মহাসাগর তার মূল সামুদ্রিক বাণিজ্যিক পথ এবং সম্পদের কারণে বেশ কয়েকটি প্রধান শক্তির মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভৌগোলিক পরিসর হয়ে উঠছে। একটি আবাসিক শক্তি হিসেবে ভারত ক্রমবর্ধমান ভাবে চিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসেছে

 

সংস্কারের জন্য চাপ

এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিপূরণের লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রশ্রীলঙ্কার প্রাথমিক জাতীয় নিরাপত্তা নীতি এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি বোর্ড নিয়োগ করেছে। ডিফেন্স রিভিউ – ২০৩০ নামে একটি সর্বাঙ্গীন নথির মাধ্যমে সরকার প্রতিরক্ষা সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছে এই নথিটির লক্ষ্য হল ‘আইওআর-এ ক্রমবর্ধমান সুরক্ষিত পরিসরের রূপরেখা এবং আগামী বছরগুলিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা নীতির জন্য পথ নির্ধারণ করা

প্রতিরক্ষা নীতির কিছু উদ্দেশ্য নিম্নরূপ: যোগাযোগের শৃঙ্খল রক্ষা করা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য অংশীদারিত্ব ও সম্পর্ক জোরদার করা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি তাদের ‘সঠিক আকার’ নির্ধারণ করা। সরকার এরই মধ্যে শেষোক্ত কাজটি শুরু করেছে। এই বছরের শেষ নাগাদ কর্মীদের সংখ্যা ২০০৭৮৩ থেকে হ্রাস করে ১৩৫০০০ এবং তার পর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাকে ১০০০০০-এ নামিয়ে আনতে আগ্রহী এই প্রক্রিয়ায়, সেনাবাহিনী ১০০০০০ কর্মী হ্রাসের সম্মুখীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীতে কর্মরত সেনার সংখ্যা যথাক্রমে ৩০০০০ এবং ২০০০০-এ নেমে আসবে। ফলে এই উদ্দেশ্যগুলি একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী বিমানবাহিনীর জন্য দেশটির সক্ষমতা এবং আইওআর-এ অবস্থানকে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে৷

এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই ভারত ফ্রান্সের মতো তার অংশীদারদের সঙ্গে সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। ভারতের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা দুটি ডর্নিয়ার বিমান পেয়েছে এবং একটি সামুদ্রিক উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্র একটি ভাসমান ডক ফেসিলিটি স্থাপন করছে। শ্রীলঙ্কা ভারতের ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার-আইওআর-এ যোগ দিয়েছে। এই উদ্যোগগুলি কলম্বোকে তার আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ, নজরদারি, অনুসন্ধান উদ্ধার অভিযান, দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া অভিযান এবং এর একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা করতে সাহায্য করবে। ফ্রান্সের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা একটি আঞ্চলিক মেরিটাইম সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেনিং স্কুল বা সামুদ্রিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করছে।

 

লোহিত সাগরে পেশীশক্তি প্রদর্শন

এই ধীরগতির ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ভারত মহাসাগরে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তার আগ্রহের ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন অপারেশন ‘প্রসপারিটি গার্ডিয়ান’-এর অংশ হিসাবে লোহিত সাগরে তার সামুদ্রিক টহলদারি জাহাজ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত এ হেন মনোভাবেরই পরিচায়ক। লোহিত সাগরের সঙ্কট সরকারকে তার সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষিত করা এবং তার সামুদ্রিক ক্ষমতা অবস্থান দ্বারা মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর সুযোগ করে দেবে। প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল ওয়াই এন জয়রত্ন মন্তব্য করেছেন, এই সিদ্ধান্ত আসলে আরব সাগর ইয়েমেন উপসাগরে তাদের কার্যকর স্বার্থের প্রসারের নিরিখে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীকে সুযোগ প্রদান করবে। রাজনৈতিক সমালোচনা, উচ্চ পরিচালন ব্যয় (২৫০ মিলিয়ন টাকার বেশি), ইরানকে বিচলিত করার ঝুঁকি এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন অপারেশনে যোগদান সত্ত্বেও পশ্চিমী মিত্রদেশগুলি যে ক্ষেত্রে অংশ নিতে দ্বিধা বোধ করেছে, সেখানে ভারত মহাসাগরের দূরবর্তী অঞ্চলে শ্রীলঙ্কার পেশীশক্তি প্রদর্শন এবং অবস্থান গ্রহণ সম্ভবত দ্বীপদেশের সরকারকে নানাবিধ অভিযানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করেছে।

 

লোহিত সাগরের সঙ্কট সরকারকে তার সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষিত করা এবং তার সামুদ্রিক ক্ষমতা অবস্থান দ্বারা মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর সুযোগ করে দেবে।

 

ভারত, মলদ্বীপ এবং আঞ্চলিক ব্যবস্থা

প্রতিবেশের কাছাকাছি শ্রীলঙ্কা তার তাৎক্ষণিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামোকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছেমুইজ্জুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুইজ্জু এবং প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক রুদ্ধদ্বার আলোচনায় শ্রীলঙ্কার ভারত-মদ্বীপ সম্পর্কের তিক্ত প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। একটি ভারতীয় গণমাধ্যম সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহে বলেছেন: মলদ্বীপের প্রয়োজন ভারতের সাহায্য এবং ভারতের তাদের ত্যাগ করা উচিত নয়। এমনকি মুইজ্জুরও এখন ভারতের প্রয়োজন রয়েছে যেহেতু মুইজ্জু চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে ওকালতি করেছেন, ভারতকে ‘বলপ্রয়োগকারী’ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন এবং ড্রোন আমদানির জন্য তুরস্কের সঙ্গে ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালানোর দরুন ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক খারাপতর হয়েছে, তাই শ্রীলঙ্কা মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের কৌঁসুলি এম ইউ এম আলি সাবরি মলদ্বীপের প্রতিপক্ষের সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেছেন

শ্রীলঙ্কার জন্য তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী ভারত এবং মলদ্বীপ সহযোগিতা এবং সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলস্বরূপ, গৃহযুদ্ধের পরপরই শ্রীলঙ্কা ত্রিপাক্ষিক কোস্টগার্ড মহড়া দোস্তি-এর জন্য নয়াদিল্লি মালের সঙ্গে যোগদান করে। এ ছাড়াও তিনটি দেশ কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ-এর (সিএসসি) আনুষ্ঠানিকীকরণ ঘটিয়েছে, যা ২০১৫ সাল থেকে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্থগিত হয়েছিল। ২০২০ সালে সিএসসি নতুন প্রেরণা পেয়েছে। তখন থেকেই সিএসসি সদস্যরা সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ মোকাবিলা, পাচার আন্তর্জাতিক অপরাধ, সাইবার নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা দুর্যোগ প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে। যাই হোক, শেষ সিএসসি বৈঠকে মলদ্বীপের অনুপস্থিতি এবং তার সাম্প্রতিকতম ভারত-বিরোধী ঝোঁক সম্ভবত এই সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততাকে বাধা দেবে। শ্রীলঙ্কাও আশঙ্কা করছে যে, মলদ্বীপের প্রকাশ্য ভারত-বিরোধী অবস্থান অন্য বহিরাগত শক্তিদের জড়িত করবে এবং আইওআর-কে শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে বজায় রাখার দ্বীপরাষ্ট্রটির ইচ্ছাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই এটি একটি মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করা এবং নিরাপত্তা অবকাঠামোকে আকার দেওয়া ও প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

সিএসসি সদস্যরা সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ মোকাবিলা, পাচার আন্তর্জাতিক অপরাধ, সাইবার নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা দুর্যোগ প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে।

 

তার আগ্রহ অভিপ্রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কা ভারত মহাসাগরে বিভিন্ন উপায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হতে থাকা শ্রীলঙ্কার জন্য তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সম্পদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়েছে। তবে ইতিবাচক ভাবে দেখতে গেলে, এটি সম্ভবত প্রথম বারের মতো যে যুদ্ধ-পরবর্তী সরকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং ভারত মহাসাগরে একটি কৌশলগত সুদৃঢ় উপস্থিতি লক্ষ্যে কাজ করছে (এবং শুধু কথাতেই নয়, কাজেও)। এবং এই বছরের শেষের দিকে ক্ষমতায় যে দলই আসুক না কেন, আশা এটুকুই যে, এই সব প্রতিশ্রুতি বজায় থাকবে

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.