Expert Speak Raisina Debates
Published on Mar 04, 2022 Updated 1 Days ago

ক্রেমলিন যে হেতু মনে করছে ইউরোপের ক্রমবর্ধমান সামরিকীকরণ হচ্ছে, ইউক্রেনকে ‘নিরপেক্ষ’‌ রাখা তাই তার কাছে কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেন পরিস্থিতি:‌ মস্কোর দৃষ্টিকোণ থেকে

Source Image: Kirill Kudryavtsev — AFP via Getty

ইউক্রেন পরিস্থিতি:‌ মস্কোর দৃষ্টিকোণ থেকে

এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটি দি ইউক্রেন ক্রাইসিস:‌ কজ অ্যান্ড কোর্স অফ দ্য কনফ্লিক্ট’‌–এর একটি অংশ।


বিগত নয় দিন ধরে চলা রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ইউক্রেন অভিযানের প্রাথমিক ফলাফল কী হয়েছে তা এখন সকলের কাছেই পরিষ্কার।

ইউক্রেনীয় সংঘর্ষ একদিকে রাশিয়া ও অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (‌ইউএস)‌ ও অন্য নেটো দেশগুলির মধ্যে বিশ্বব্যাপী সংঘাতের একটি অংশ মাত্র। সংঘাতের এই পর্বটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের শীতের প্রথম দিকে, যখন রুশ নেতৃত্ব দাবি করেছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেটো–মিত্ররা পূর্বে তাদের অগ্রগমন বন্ধ করবে। এর অর্থ ছিল:‌ ইউক্রেন ও জর্জিয়াকে ব্লকে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করা হবে; এই দেশগুলির ভূখণ্ডে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হবে না; পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে রাশিয়া ও নেটোর মধ্যে সীমান্তের নিরস্ত্রীকরণ হবে, এবং এই এলাকায়, যেখান থেকে অন্য দিকের ভূখণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা যায়, সেখানে ভারী বোমারু বিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠানো থেকে বিরত থাকা হবে; জাতীয় ভূখণ্ডের বাইরে মধ্যবর্তী ও স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করা হবে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল রাশিয়া এবং নেটোর মধ্যে সম্পর্কের সম্পূর্ণ পুনর্বিন্যাসের একটি পরিকল্পনা, যার লক্ষ্য ছিল পরিস্থিতি প্রশমন করা এবং ইউরোপে একটি সম্পূর্ণ নতুন নিরাপত্তা–ব্যবস্থা তৈরি করা। এটি অংশগ্রহণকারী সব পক্ষের সামরিক ব্যয় কমাতে এবং অন্যান্য অঞ্চলে, যেমন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে, প্রয়াসী হতে এবং নিজেদের অর্থনীতির বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করার সুযোগ দিত।

প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল রাশিয়া এবং নেটোর মধ্যে সম্পর্কের সম্পূর্ণ পুনর্বিন্যাসের একটি পরিকল্পনা, যার লক্ষ্য ছিল পরিস্থিতি প্রশমন করা এবং ইউরোপে একটি সম্পূর্ণ নতুন নিরাপত্তা–ব্যবস্থা তৈরি করা।

এই প্রস্তাবগুলিকে রাশিয়ার কৌশলের অংশ বলে ধরে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিক্রিয়ায়, রাশিয়া ‘‌সামরিক-প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা’‌ নেওয়ার জন্য তার প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করে, এবং তার ক্ষমতা প্রদর্শন করে সীমান্তে সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আসতে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেটো অংশীদারেরা এই শক্তি–প্রদর্শন–সমর্থিত দাবিগুলি মেনে নেওয়ার পরিবর্তে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত ছিলেন যে পশ্চিমী দেশগুলি তাঁকে সমর্থন দিয়ে যাবে। শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ঔদ্ধত্যের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁরা আর সামরিক পরাজয়ের পরে ডনবাসে দ্বন্দ্ব শেষ করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত ২০১৪-১৫ সালের মিন্‌স্ক চুক্তিগুলি মেনে চলবেন না। একই সঙ্গে, ইউরোপীয় নেতাদের ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রয়াসও বাস্তবায়িত হয়নি। মস্কো ও কিভে বেশ কয়েকবার সফর করা সত্ত্বেও তাঁরা পুতিনকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে বা জেলেনস্কিকে মিন্‌স্ক চুক্তির শর্তাবলি মেনে চলতে রাজি করাতে পারেননি।

এই পরিস্থিতিতে রুশ নেতৃত্ব তার প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ঘোষিত ‘‌ডিনাৎসিফিকেশন ও ডিমিলিটারাইজেশন’‌ অর্জনের জন্য বিশেষ অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ভাবে, ইউক্রেনীয় ইস্যু, যা আলোচনার শুরুতে রাশিয়ার দাবিগুলির সামগ্রিক প্যাকেজের কার্যত একটি গৌণ অংশ ছিল, তা মূল লক্ষ্যে পরিণত হল। ক্রেমলিনের মতে, পশ্চিমীরা যখন ইউক্রেনকে সশস্ত্র করে কৃত্রিম ভাবে আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে চাইল, তখন রাশিয়া তার কিছু দাবি পূরণ নিশ্চিত করার জন্য শক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি রুশ কথাবার্তায় ইউক্রেনকে এখন সম্পূর্ণ সার্বভৌম শক্তি বলে মনে করা হচ্ছে না, কারণ তার নেতৃত্ব পশ্চিমী দেশগুলির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং তারা তা থেকে সুবিধা পাচ্ছে। রাশিয়ার অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল এই বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ নির্মূল করা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নেটো অংশীদাররা এই শক্তি–প্রদর্শন–সমর্থিত দাবিগুলি মেনে নেওয়ার পরিবর্তে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করে।

মনে হচ্ছে ক্রেমলিন ইউক্রেনের সীমানায় রুশ সৈন্য–সমাবেশকে রাজনৈতিক চাপের মাধ্যম হিসেবেই ভেবেছিল, এবং শেষ মুহূর্তে অভিযানের পরিকল্পনাটি খুব দ্রুত তৈরি করা হয়। তাই সঠিক ভাবে সব রকম সরবরাহ নিশ্চিত করার কোনও সুযোগই ছিল না। রুশ কর্মীরা দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অপারেশনটি চালিয়েছিল। দৃশ্যত, তারা ভেবেছিল ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী তেমন ভাবে প্রতিরোধ করতে আসবে না, এবং কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় রুশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। ইউক্রেনীয় পক্ষ আবার মানুষের বড় ধরনের প্রতিরোধ ও তৈরি–থাকা বাহিনীর উচ্চ–যুদ্ধপ্রস্তুতির উপর ভরসা রেখেছিল।

উভয় পক্ষই বেশ কিছু ভুল ভেবেছিল। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বন্ধুত্ব ও নিষ্ক্রিয়তার উপর ভরসা করা হলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। ফলে রুশ সেনাদের, যারা শুরুর দিনগুলিতে রক্তপাত এড়াতে চেষ্টা করেছিল, অনর্থক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে উচ্চগতিসম্পন্ন আক্রমণ ও রেকনাইস্যান্স গোষ্ঠীগুলির দুঃসাহসী অভিযানের ফলে বিভিন্ন দিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষাকে অগোছালো করে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় নেতৃত্বের সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রত্যাশাও বাস্তবায়িত হয়নি: অধিকাংশ মানুষ নিষ্ক্রিয় ভাবে অপেক্ষা করার পথই বেছে নেন। কিন্তু যুদ্ধ এখন শহরগুলোর কাছে এসে পড়েছে, প্রাথমিক ভাবে খারকভ এবং কিভ–এ, যেগুলোকে ইউক্রেনীয় সেনারা সুরক্ষিত এলাকায় পরিণত করার চেষ্টা করছিল। যারা ইচ্ছুক তাদের সকলের জন্য অস্ত্র বিতরণ করা হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদে রুশ সেনাবাহিনী এই শহরগুলিতে ঝড় তোলার সিদ্ধান্ত নিলে তা অসংখ্য অসামরিক হতাহতের কারণ হতে পারে। উভয় পক্ষই তাদের কৌশলের সাফল্যের উপর নির্ভর করে এখনও নিজেদের বিজয়ী বলে মনে করছে।

উচ্চগতিসম্পন্ন আক্রমণ ও রেকনাইস্যান্স গোষ্ঠীগুলির দুঃসাহসী অভিযানের ফলে বিভিন্ন দিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষাকে অগোছালো করে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

রাশিয়ার অগ্রগতি ঠেকাতে পশ্চিমী দেশগুলি তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু এগুলি অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে: পশ্চিম যে হেতু রাশিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছিল, তাই মস্কো নিজেকে প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা ছাড়া, আক্রমণ শুরুর পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়টি আবেগগত ভাবে বোধগম্য হলেও এতে খুব কমই সাফল্য আসতে পারে: সাফল্য অর্জন করা, বা ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা, এই দুটির কোনও একটি না–ঘটা পর্যন্ত অভিযান শেষ হয় না।

পরবর্তীতে কী হবে?

এটা নির্ভর করছে কার কৌশল জিতছে তার উপর। এটা সম্ভব যে কোনও পক্ষই নিষ্পত্তিমূলক বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবে না, এবং তারা আলোচনা শুরু করবে। এই ক্ষেত্রে সুবিধা হবে তাদের যারা বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। কোনও পক্ষই তার চূড়ান্ত দাবিগুলি সামনে না–এনে অপেক্ষা করবে কী ভাবে অবস্থা স্থিতিশীল হবে তা দেখার জন্য। যদি আমরা ভ্লাদিমির পুতিনের কথার উপর নির্ভর করি, রাশিয়া একটি নিরপেক্ষ, নিরস্ত্রীকৃত ইউক্রেন নিয়ে সন্তুষ্ট হবে, যেখানে অতি–দক্ষিণ দলগুলি নিষিদ্ধ হবে। সম্ভবত, ক্রেমলিন চায় ইউক্রেনীয় যুক্তরাষ্ট্র, অথবা কনফেডারেশন।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা একটি সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ বিবেচনা না–করে অযৌক্তিক ভাবে আরোপ করা বিধিনিষেধের একটি অন্তহীন স্রোত অদূর ভবিষ্যতে ইইউ ও রাশিয়াকে পারস্পরিক দুর্বলতার দিকে নিয়ে যাবে, এবং তাদের দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে দেবে। ইইউ-এর জন্য এর অর্থ হল অর্থনীতির সব ক্ষেত্রগুলির একটি বেদনাদায়ক পুনর্নির্মাণ, এবং নীতির প্রশ্নে আপস করতে রাজনীতিকদের অনিচ্ছার কারণে সাধারণ নাগরিকদের বছরের পর বছর ধরে কষ্ট (খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সমস্যা) সহ্য করা। ইউরোপ যদি ইউক্রেনীয় বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়, এবং চূড়ান্ত চুক্তির অন্যতম নিশ্চয়তাদানকারী হয়ে ওঠে, তবে এটি এড়ানো যেতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ বিবেচনা না–করে অযৌক্তিক ভাবে আরোপ করা বিধিনিষেধের একটি অন্তহীন স্রোত অদূর ভবিষ্যতে ইইউ ও রাশিয়াকে পারস্পরিক দুর্বলতার দিকে নিয়ে যাবে, এবং তাদের দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে দেবে।

একটা বিষয় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। যে ইউরোপ অর্থনৈতিক দৈত্য থেকে সামরিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে, তা এবার সামরিক প্রস্তুতি বাড়িয়ে তোলার পথে যাবে। নেটোর ইউরোপীয় পার্শ্বভূমিও শক্তিশালী হচ্ছে: সুইডেন ও ফিনল্যান্ড, যারা সাম্প্রতিক সময়ের আগে পর্যন্ত জোটের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠ ভাবে সহযোগিতা করেছিল যেন তারা কার্যত এর সদস্য, তারা এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে সদস্য হওয়ার জন্য প্রস্তুত। ক্রেমলিনের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার গ্রহণযোগ্য মূল্য।

এখনও পর্যন্ত প্রধান বিজয়ী শক্তি হল চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় দেশগুলি যদি সক্রিয় ভাবে নিজেদের সশস্ত্র করতে শুরু করে, তা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে তার ইউরোপীয় উপস্থিতি কমাতে পারবে, এবং তার বাহিনীর কিছু অংশ ইউরোপ ও উত্তর অ্যাটলান্টিক থেকে সরিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সক্রিয়তার অঙ্গনে নিয়ে যেতে পারবে। আর রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার চিন এবার পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ক্ষতি পূরণ করে রাশিয়ার আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারবে। যাই হোক না কেন, রাশিয়া এশিয়ায় তার উপস্থিতি বাড়াবে, কারণ এটিই তার এগিয়ে চলার একমাত্র দিশা।

এই পরিস্থিতিতে ভারত এক অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে। ভারত একমাত্র বড় শক্তি যে পশ্চিম ও রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে, এবং সেই কারণে সে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পণ্য ও প্রযুক্তির ট্রানজিট হাব হিসেবে কাজ করতে পারে। এমনটা ঘটলে তা ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে, এবং যুদ্ধরত দুই পক্ষকে ধীরে ধীরে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে সাহায্য করবে। তা ছাড়াও এর ফলে ভারত রাশিয়ার এশীয় নীতিতে চিনের প্রতিস্পর্ধী এমন একটি শক্তি হিসেবে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে যে চিনের উপর নির্ভরশীল হতে আগ্রহী নয়। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে ভারতকে তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে হবে, বাইরে থেকে আসা মানসিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রতিহত করতে হবে, এবং প্রাথমিক ভাবে তার নিজের উন্নয়নের কৌশলগত বিবেচনার দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.