Author : Aleksei Zakharov

Published on Apr 24, 2024 Updated 0 Hours ago

একদিকে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা এড়ানো, অন্যদিকে নতুন নতুন বন্ধুরাষ্ট্র’-র সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মরিয়া চেষ্টার প্রেক্ষিতে মস্কো ইউক্রেনে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মিশ্র মনোভাবও মেনে নিতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে

দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার পুনরুত্থান

পশ্চিম থেকে অভূতপূর্ব বিচ্ছিন্নতার ফলে বাধ্য হয়ে রাশিয়া গ্লোবাল সাউথে নিজের প্রচার শুরু করেছে। দক্ষিণ এশিয়া এমন একটি অঞ্চল, যেখানে মস্কো দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সুপ্ত শক্তি হিসেবেই থেকেছে এবং ভারত ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করায় তেমন কোনও আগ্রহই প্রদর্শন করেনি। যাই হোক, দক্ষিণ এশিয়াকে রাশিয়া ভূ-কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের সংযোগস্থল হিসাবে পুনর্বিবেচনা করার দরুন পরিস্থিতির বদল ঘটছে। আর ঠিক তাই জন্য ভারতের নিকটবর্তী প্রতিবেশে মস্কোর ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

 

ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রভাব

ভূ-রাজনৈতিক থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব বিস্তৃত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে একাধিক প্রভাব ফেলেছে। ফলস্বরূপ, সেই দেশগুলি পক্ষাবলম্বনের প্রেক্ষিতে পশ্চিম ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটি মধ্যম পন্থা বেছে নিয়েছে। ভারত একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক হয়ে উঠলেও এই অঞ্চলে নানাবিধ বাহ্যিক কারণের দরুন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গ্লোবাল সাউথে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি নানাবিধ উপায়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করেছে।

 

নেপাল মস্কোর ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ নিন্দা করেছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের বেশির ভাগ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

 

বাংলাদেশ দুবার ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউএন) প্রস্তাবগুলিকে সমর্থন করেছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞাগুলি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। নেপাল মস্কোর ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ নিন্দা করেছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের বেশির ভাগ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। উভয় দেশের যুদ্ধরত সেনাবাহিনীতে নেপালি সৈন্যদের কাজ করার কথা প্রকাশ্যে আসার পর কাঠমান্ডু রাশিয়া ইউক্রেনের নাগরিকদের লেবার পারমিট বা শ্রমিক অনুমতিপত্র প্রদান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। নিজের অর্থনীতিতে ইউক্রেনের যুদ্ধের নাটকীয় প্রভাবের সম্মুখীন হলেও শ্রীলঙ্কা কোনও বিশেষ পক্ষ নিতে অস্বীকার করেছে। অন্যান্য আঞ্চলিক রাষ্ট্রের তুলনায় এই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অবস্থান সবচেয়ে বিতর্কিত। ইসলামাবাদ কঠোর নিরপেক্ষতাঅনুসরণ করার প্রয়াসে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই প্রসঙ্গে মতদান করা থেকে ধারাবাহিক ভাবে বিরত থাকলেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইউক্রেনে গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে বলে জানা গিয়েছে

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নিজের যুদ্ধের ফলস্বরূপ রাশিয়া দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। তবে রাশিয়া সম্প্রতি এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে বদ্ধপরিকর, যা রাশিয়ার তরফে নানাবিধ সরকারি সফর অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।

 

রাজনৈতিক প্রক্রিয়া

২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকটি উচ্চ স্তরের বিনিময় হয়েছিল, যা বেশ কয়েকটি দেশের উপর মস্কোর নির্দিষ্ট আগ্রহকেই দর্শায়। ভারত ২০২৩ সালে জি২০ এবং সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন-এর (এসসিও) সভাপতিত্ব করায় দেশটি রুশ মন্ত্রী এবং পার্লামেন্ট সদস্যদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ২০২৩ সালে তিন বার ভারত সফরে আসেন এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর আবার পাঁচ দিনের জন্য রাশিয়া সফরে যান। প্রথম রুশ বিদেশমন্ত্রী হিসেবে লাভরভ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা সফরে যান। সেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যকার স্থায়ী সম্পর্ককে দর্শিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলে পাত্রুশেভ রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। মস্কো কলম্বোর মধ্যে নিরাপত্তা পরামর্শ একটি নিয়মিত বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।

 

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলে পাত্রুশেভ রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যান।

 

রাশিয়ার আঞ্চলিক নীতির একটি অস্পষ্ট অংশ হল পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক, যা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এগিয়ে চলেছে। ইসলামাবাদে রাজনৈতিক অস্থিরতা ইউক্রেনের প্রতি পাকিস্তানের সামরিক সমর্থন সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অব্যাহতই থেকেছে এবং সম্প্রতি মস্কো কৌশলগত স্থিতিশীলতার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। আবার রাশিয়ান ফেডারেশন কাউন্সিলের (রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ) প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদ সফরে গিয়েছিল। এই দলটি পাকিস্তানের সেনেট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশের সাধারণ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করেছিল।

রাশিয়া যে এখন বৈদেশিক সমালোচনার বিরুদ্ধে এই অঞ্চলের ভঙ্গুর গণতন্ত্রের ঢাল হিসাবে নিজেকে বাজারজাত করছে, তা আসলে পরিস্থিতির আকস্মিক বাঁকবদলকেই দর্শায়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পশ্চিমী অংশীদার দেশগুলি তাদের নির্বাচন নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করলেও মস্কো এ সব দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানায়। এই অবস্থানটি আপাতদৃষ্টিতে দুটি উদ্দেশ্যকেই দর্শায়: প্রথমটি হল বৈদেশিক হস্তক্ষেপবন্ধ করা এবং একটি সমালোচিত দেশ পশ্চিমের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা এবং দ্বিতীয়টি হল রাশিয়ার ভবিষ্যতের নির্বাচনে এই অঞ্চলের সমর্থনকে সুরক্ষিত করা।

 

নতুন অর্থনৈতিক সংযোগ

বিশেষ করে ক্রমান্বয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা অনিশ্চিত সরবরাহ শৃঙ্খলের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়া রফতানি এবং আমদানি উভয়ের জন্যই নতুন উপায় অন্বেষণ করছেইউক্রেনে তার যুদ্ধের পরিণতি উপশম করার প্রয়াসে রাশিয়া আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলিকে একগুচ্ছ পণ্য অর্থাৎ প্রাথমিক ভাবে জ্বালানি সংস্থান, সার, শস্য এবং সূর্যমুখী তেল প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।

জ্বালানি ক্ষেত্রটি রাশিয়ার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং দেশটির বাহ্যিক সম্পৃক্ততায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ভারত রুশ অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম আমদানিকারক এবং মোট সরবরাহের ৪০ শতাংশের জন্য দায়বদ্ধ রাশিয়া বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তার অপরিশোধিত তেল সরবরাহ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা অন্বেষণ করলেও দেশগুলির শোধনাগারের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এই দেশগুলি প্রাথমিক ভাবে ভারত বা পশ্চিম এশিয়ার মাধ্যমে রুশ তেল আমদানি করতে পারে।

 

বিশেষ করে ক্রমান্বয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা অনিশ্চিত সরবরাহ শৃঙ্খলের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়া রফতানি এবং আমদানি উভয়ের জন্যই নতুন উপায় অন্বেষণ করছে

 

ব্যাপক আলোচনার পর পাকিস্তান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে একটি চুক্তিতে এসে পৌঁছেছে। সরবরাহের পরিমাণ ইতিমধ্যেই কম ছিল। তার উপর পাকিস্তানি বন্দরের সীমিত ক্ষমতার কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অনিশ্চিত, যা তেলের সরবরাহ মূল্য নির্ধারণকে জটিল করে তুলেছে

মস্কোর আগ্রহের আরও বেশি ফলপ্রসূ ক্ষেত্র হল অসামরিক পারমাণবিক শক্তি কারণ রাশিয়া এই অঞ্চলে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (এনপিপি) নির্মাণ করছে এবং নতুন বাজারের সন্ধানে মরিয়া। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম ভারতের কুড়ানকুলাম এনপিপির দুটি ইউনিট তৈরি করেছিল, যেগুলি বিদ্যুতের গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল এবং ২০১৪ সালে যেগুলির পূর্ণ ক্ষমতায় ঘটে। এ হেন আরও চারটি ইউনিট প্রস্তুত করার কথা। একই সংস্থা বাংলাদেশেরূপপুর এনপিপি নির্মাণ করছে এবং প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের শেষের দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাশিয়া শ্রীলঙ্কায় একটি ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেছে। বিষয়টি আলোচনাধীন হলেও সম্ভাব্য বিকল্পগুলি হয় স্থল বা ভাসমান ব্লক কিংবা উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে ভারতের জ্বালানি ক্ষেত্র তুলনামূলক ভাবে বৈচিত্র্যময় যেখানে পারমাণবিক শক্তি একটি ক্ষুদ্র অংশ গ্রহণ করে। তবে বাংলাদেশ বা সম্ভাব্য শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে নতুন এনপিপি এই দেশগুলিতে রাশিয়ার অর্থনৈতিক এমনকি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারে।

 

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম ভারতের কুড়ানকুলাম এনপিপির দুটি ইউনিট তৈরি করেছিল, যেগুলি বিদ্যুতের গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল এবং ২০১৪ সালে যেগুলির পূর্ণ ক্ষমতায় ঘটে। এ হেন আরও চারটি ইউনিট প্রস্তুত করার কথা।

 

কৃষি রাশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক নীতির আর কটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র। সার কৃষি পণ্য এই অঞ্চলের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে২০২৩-২০২৪ সালের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ রাশিয়ার (ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের বাইরে) শস্যের তৃতীয় আমদানিকারক দেশ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান রাশিয়ার আর একটি বড় শস্য আমদানিকারক কারণ ইসলামাবাদে রাশিয়ার এই পণ্যটির রফতানি এখন মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ জুড়ে রয়েছে।

বেশির ভাগ আঞ্চলিক রাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করলেও কিছু ক্ষেত্রে তারা রাশিয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলি এড়িয়ে যেতেও সহায়ক হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০২২ সালের মে মাসের পরে মলদ্বীপ রাশিয়ায় অর্ধপরিবাহী চালানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হাব হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং চিনের পরে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার অর্থনৈতিক প্রসারও বেজিংয়ের অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্ভব ছিল: বর্তমানে রুশ সংস্থাগুলির সঙ্গে লেনদেনের একটি বড় অংশ - তা সে জ্বালানি বা কৃষি… যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন - ইউয়ানে এবং চাইনিজ ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম-এর (সিআইপিএস) মাধ্যমে পরিচালিত হয় চিনা আর্থিক অবকাঠামোর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার রাশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলির জন্য সঞ্জীবনীসম। এবং রাশিয়ার এ হেন প্রকল্পগুলি বেজিংয়ের সদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল

***

দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে নিয়মিত রাজনৈতিক আলোচনা বজায় রাখার রুশ অভিপ্রায়কেই দর্শায়। একদিকে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা এড়ানো, অন্যদিকে নতুন নতুন বন্ধুরাষ্ট্র’-র সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মরিয়া চেষ্টার প্রেক্ষিতে মস্কো ইউক্রেনে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মিশ্র মনোভাবও মেনে নিতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে

 


আলেক্সেই জাখারভ রাশিয়ার হায়ার স্কুল অফ ইকোনমিক্সের অধীনে ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ওয়ার্ল্ড অর্ডার স্টাডিজ অ্যান্ড দ্য নিউ রিজিওনালিজম-এর ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরির রিসার্চ ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.