Expert Speak Young Voices
Published on Mar 15, 2022 Updated 5 Days ago

বছরের পর বছর ধরে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে রাশিয়া তার মিশ্র যুদ্ধকৌশলের ব্যবহারকে নিখুঁত করে তুলেছে।

রাশিয়ার মিশ্র যুদ্ধকৌশল: ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেন

Image Source: Alisdare Hickson — Flickr/CC BY-SA 2.0

রাশিয়ার মিশ্র যুদ্ধকৌশল: ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেন

এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটি ইউক্রেন ঙ্কট: সংঘর্ষের কারণ এবং পথ সিরিজের অন্তর্গত


অনেক জল্পনার পর রাশিয়া অবশেষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে। দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী দনবাস অঞ্চলে ‘শান্তি রক্ষাবাহিনী’ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে রাশিয়া এই সামরিক পদক্ষেপ নেয়। রুশ পদক্ষেপের আগে ইউক্রেনের দুটি ব্যাঙ্ক, প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রক এবং ইউক্রেনীয় সেনার উপর সাইবার আক্রমণের এক প্রবাহ লক্ষ করা গিয়েছিল। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার এই আক্রমণগুলির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেন এবং তিনি আরও জানান যে, এখন পর্যন্ত হওয়া এই ধরনের আক্রমণগুলির মধ্যে এটি অন্যতম বৃহত্তম।

মিশ্র যুদ্ধকৌশল বলতে মূলত সামরিক কার্যকলাপের প্রথাগত পদ্ধতির সঙ্গে যৌথ ভাবে যুদ্ধের অচিরাচরিত পদ্ধতির ব্যবহারকে বোঝায়।

এই সাইবার আক্রমণগুলি সাম্প্রতিক বছরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাশিয়া দ্বারা গৃহীত মিশ্র যুদ্ধকৌশলের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া অধিকার এবং ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ঘটনাক্রমের মধ্যে তুলনা করে এই নিবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, কী ভাবে রাশিয়া নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে এবং পাশ্চাত্যের প্রতিক্রিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে তার মিশ্র যুদ্ধকৌশলকে আরও নিখুঁত করে তোলার চেষ্টা করছে।

মিশ্র যুদ্ধকৌশলের ধারণা

মিশ্র যুদ্ধকৌশল বলতে মূলত সামরিক কার্যকলাপের প্রথাগত পদ্ধতির সঙ্গে যৌথ ভাবে যুদ্ধের অচিরাচরিত পদ্ধতির ব্যবহারকে বোঝায়। এতে অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ, বিভ্রান্তি এবং প্রচার, প্রক্সির ব্যবহার, সাইবার যুদ্ধকৌশল ইত্যাদির মতো উপায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুদ্ধকৌশলের এই পন্থার একাধিক সুবিধের কথা মাথায় রাখলে এ কথা সহজেই বোঝা যায় যে, কেন দেশগুলি বর্তমানে এই পন্থা অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

মিশ্র যুদ্ধকৌশলের অন্তর্নিহিত ধোঁয়াটে চরিত্রের প্রেক্ষিতে, পশ্চিমি দেশগুলির পক্ষে এটির মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অরাষ্ট্রীয় শক্তিগুলির চিহ্নিতকরণ এবং বিভ্রান্তিমূলক কৌশলের মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপগুলি এই ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে পশ্চিমি দেশগুলিকে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকর বলে প্রমাণিত হতে পারে।

ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া অধিকারের তুলনা

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ই ইউ-তে ইউক্রেনের সংযুক্তিকরণের দীর্ঘ আলোচিত চুক্তি স্বাক্ষরে ইউক্রেনীয় সরকারের ব্যর্থতার ফলে ইউক্রেনে বিপুল সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, যা ইউরোমাইডান সঙ্কট নামে পরিচিত। এই বিক্ষোভের ফলে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পতন হয় এবং তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর পরবর্তী সময়ে ক্রিমিয়ান পার্লামেন্টের বাইরে রুশপন্থী কর্মীদের বিক্ষোভের পরে রুশপন্থী রাজনীতিবিদ সের্গেই আকসোনভকে প্রাইম মিনিস্টার পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। রাশিয়া ইউক্রেনে তার সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার একটি অংশ হিসেবে সংযুক্ত করার জন্য একটি গণনির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়। ইউক্রেন এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছিল। গণভোটের ফলাফলে দেখা যায় যে ইউক্রেনীয় নাগরিকদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নাকি রাশিয়ায় যোগদান করতে ইচ্ছুক। যে হেতু এই গণভোটে কোনও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তাই এই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা সত্ত্বেও ক্রিমিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে রাশিয়ার একটি অংশ হয়ে ওঠে।

রাশিয়া ইউক্রেনে তার সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার একটি অংশ হিসেবে সংযুক্ত করার জন্য একটি গণনির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়। ইউক্রেন এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছিল।

ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যাশ্চর্য ভাবে ২০১৪ সালের কথা মনে করায়। যদিও পশ্চিমি দেশগুলি ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং সেনার জোগান দিয়ে সাহায্য করছে, তবে তা কৌশলগত ভাবে অবস্থানরত এবং বিপুল সংখ্যক রুশ সেনার বিরুদ্ধে কার্যকর ভাবে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হচ্ছে না। রাশিয়ার তরফে পরমাণু হামলার হুমকি, কিছু সেনা ফিরিয়ে আনা এবং বর্তমানে একটি সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা ও পুরোদমে আক্রমণ শুরু করার মতো একগুচ্ছ ঘটনার পরে পশ্চিমি দেশগুলির তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো স্বাভাবিক। কিন্তু এই প্রতিক্রিয়া রাশিয়াকে যুদ্ধ ঘোষণা করা থেকে বিরত করতে পারেনি এবং অবস্থার পরিবর্তনেও সঠিক দিশা দেখানো সম্ভব হয়নি।

এর পূর্বে রাশিয়ার আক্রমণ এবং ক্রিমিয়া অধিকারের কথা মাথায় রেখে কেউই পুতিনের তরফে ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে না। শুধু মাত্র এ বার আক্রমণের মাত্রা এবং পশ্চিমের (অর্থাৎ, ন্যাটো) থেকে প্রতিরোধ… দুই-ই যে চরম মাত্রায় পৌঁছবে, তেমনটা মনে করা যায়। মিশ্র যুদ্ধকৌশলের দৃষ্টিকোণ থেকে ২০২১-২২ সালে দাঁড়িয়ে, ২০১৪ সালের ক্রিমিয়া এবং সামগ্রিক ভাবে ইউক্রেন… এই দুটি সঙ্কট পরিস্থিতির তুলনা এবং বিশ্লেষণ করা কার্যকর হতে পারে।

প্রক্সির ব্যবহার

এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, ২০১৪ সালের আক্রমণের ঘটনায় ক্রিমিয়া অধিকার আধুনিক সময়ের মসৃণতম আক্রমণগুলির মধ্যে একটি। আক্রমণের পরিকল্পনার গোপনীয়তা রক্ষায় রুশ গোয়েন্দা বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ধারাবাহিক ভাবে ক্রিমিয়ায় সেনা প্রবেশ করানোর পাশাপাশি বেশ কিছু নাগরিকের গোপন সহযোগিতায় আক্রমণের প্রক্রিয়াটি সকলের অলক্ষে এগোতে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, রাশিয়া যখন ক্রিমিয়াকে সিল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে, তখন ইউক্রেনীয় উর্দিধারী রুশিরা চেকপোস্টে পুলিশ এবং সেনা সেজে স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া সবার উপরে তল্লাশি চালিয়েছিল। ক্রিমিয়া অধিকারের পরে এই কর্মী এবং ‘সেনারা’ ইউক্রেনীয় ঘাঁটিগুলির দখল নিতে সাহায্য করে। আক্ষরিক অর্থে এটি ছিল অনেক বেশি পরিকল্পিত ও গোপন অনুপ্রবেশ যা শুধু প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিতই করেনি, পাশাপাশি ইউক্রেনের তরফে বিশেষ প্রতিরোধ ছাড়াই অধিকারের প্রক্রিয়াটিকে সুনিশ্চিত করে।

ধারাবাহিক ভাবে ক্রিমিয়ায় সেনা প্রবেশ করানোর পাশাপাশি বেশ কিছু নাগরিকের গোপন সহযোগিতায় আক্রমণের প্রক্রিয়াটি সকলের অলক্ষে এগোতে থাকে।

উভয় পরিস্থিতির গোপনীয়তাই লক্ষ করার মতো আর একটি বিষয়। গোয়েন্দাবাহিনী ব্যবহার করে মসৃণ এবং গোপনীয় ভাবে ক্রিমিয়ায় অপারেশনটি চালানো হয়েছিল। এর ফল স্বরূপ, গোটা বিশ্বের ব্যাপারটি বুঝে ওঠা অথবা সেটি সম্পর্কে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আগেই অধিকারের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আলাদা। ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর সেনা মোতায়েনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি প্রকাশ্যে ঘটেছে। রাশিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, রুশ পদক্ষেপগুলি নিজেদের ক্ষমতা জাহির করা এবং মস্কোর চাহিদা অনুযায়ী পশ্চিমি দেশগুলিকে নতি স্বীকারে বাধ্য করারই একটি অন্য উপায় কি না।

গুজব এবং প্রচার

ক্রিমিয়ার ক্ষেত্রে ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাশিয়ার অংশ করে তোলার জন্য, রাশিয়ান ফেডারেশনে যোগদানে ক্রিমিয়ার ‘মানুষদের ইচ্ছা’ দর্শিয়ে গণনির্বাচনটি রাশিয়াকে অধিকারের অজুহাত জুগিয়েছিল। রুশ প্রচারকে বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত না হওয়ার দোষে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এমন অভিযোগও উঠছে যে, রাশিয়া একাধিক দুর্ঘটনার শিকার হিসেবে অভিনয় করার জন্য অভিনেতাদের নিয়োগ করেছে, তথ্য প্রমাণ নির্মাণ এবং জাল রিপোর্টিংয়ের মতো একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

বর্তমান সঙ্কটের ক্ষেত্রে, গুজবের অংশটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন মার্কিন প্রতিবেদনে দর্শানো হয় যে, রাশিয়া ইউক্রেনীয় আধিকারিকদের দ্বারা রুশভাষী মানুষজনদের উপর আক্রমণের একটি মিথ্যা ঘটনা প্রচারের চেষ্টা চালিয়েছে। এই ঘটনাটিকে তারা ইউক্রেনের উপর হামলার একটি কারণ হিসেবে দর্শাতে পারত। যদিও বিষয়টিকে ঘিরে যথেষ্ট বিতর্ক থাকলেও এই বিতর্কই একটি ধারণাকে মজবুত করার ক্ষেত্রে গুজব এবং প্রচারের ক্ষমতাকে তুলে ধরে। 

ইউক্রেনের উপর সাইবার হামলা

মিশ্র যুদ্ধকৌশলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশটি হল, ইউক্রেনের উপর একগুচ্ছ সাইবার আক্রমণ, যার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে। এই আক্রমণগুলি রাশিয়াকে ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে সাইবার লঙ্ঘন এবং ব্যাঘাতের পরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত রাখতে সাহায্য করেছিল।

২০১৪ সালের মার্চ মাসে ক্রিমিয়া সঙ্কটের ক্ষেত্রে, ইউক্রেনের উপরে সাইবার আক্রমণের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে পার্লামেন্টের সদস্যদের কাজে লাগিয়ে অঞ্চলটিতে সংযোগ ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ইউক্রেনের সরকারি ওয়েবসাইটগুলি হ্যাক করা হয়েছিল এবং রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সেগুলি অকেজো ছিল।

বর্তমান সঙ্কটের ক্ষেত্রে, গুজবের অংশটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন মার্কিন প্রতিবেদনে দর্শানো হয় যে, রাশিয়া ইউক্রেনীয় আধিকারিকদের দ্বারা রুশভাষী মানুষজনদের উপর আক্রমণের একটি মিথ্যা ঘটনা প্রচারের চেষ্টা চালিয়েছে।

বর্তমান সংঘাতের ক্ষেত্রেও একই রকমের রুশ পদক্ষেপ স্পষ্ট। ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি ইউক্রেনের সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে একটি বড় ধরনের সাইবার আক্রমণ চালানো হয় এবং ইউক্রেনীয়দের ‘ভয় পাওয়ার এবং সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকার’ সাবধানবাণী শোনানো হয়েছিল। তদুপরি রুশ গোয়েন্দাবাহিনী এবং সামরিক সংস্থাগুলিকেও ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা পূর্ব ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক, মোবাইল আর্টিলারি, জ্বালানি ইত্যাদি সরবরাহ করার কাজে অভিযুক্ত করেছে।

প্রকৃত পক্ষে রুশরা তাদের ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনে সাইবার আক্রমণের ব্যবহারকে শানিয়ে তুলেছে। সাইবার আক্রমণের অনুরূপ ব্যবহার ২০০৭ সালে এস্তোনিয়াতেও দেখা গিয়েছিল, যখন রাশিয়া এস্তোনিয়ান ব্যাঙ্ক এবং সরকারি ওয়েবসাইটগুলির উপর একগুচ্ছ সাইবার আক্রমণ চালিয়েছিল। একই ভাবে ২০০৮ সালে জর্জিয়ার সঙ্গে একটি বিরোধে রুশ বাহিনী আক্রমণ করার আগেই সেখানে সাইবার আক্রমণ এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারই জর্জিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাবিত করেছিল। 

উপসংহার

এই বিশ্লেষণ থেকে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, ২০১৪ সালের আক্রমণের ঘটনার প্রতিক্রিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে রাশিয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমি দেশগুলির সম্ভাব্য প্রত্যুত্তরকে আগে থেকেই অনুমান করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত ন্যাটো ইউক্রেনে যুদ্ধবাহিনী পাঠাতে রাজি হয়নি। পশ্চিমি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলিরও রুশ অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার সম্ভাবনা নেই। দুই বিদ্রোহী অঞ্চলে সেনা পাঠানোর মাধ্যমে এবং পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পরেও, পশ্চিমি দেশগুলি প্রতিক্রিয়া জানাতে গড়িমসি করছে। এবং সেই প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই রাশিয়ার মিশ্র যুদ্ধকৌশলের সাফল্য লুকিয়ে আছে।


প্রতিবেদক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক জন গবেষক-ইন্টার্ন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.