Published on May 08, 2024 Updated 0 Hours ago

মনে করা হচ্ছে, পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের মধ্যে বর্তমান লড়াই অব্যাহত থাকবে, যা মলদ্বীপে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার পথকে আরও প্রশস্ত করবে

প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও ইম্পিচমেন্ট: মলদ্বীপের রাজনীতিতে এক চিরস্থায়ী দ্বন্দ্ব

প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভা অনুমোদনের জন্য একটি বিশেষ মজিলিস (পার্লামেন্ট) অধিবেশন মলদ্বীপে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে। অধিবেশনটি দ্রুত সংঘর্ষে পরিণত হয় এবং পার্লামেন্ট সদস্যরা বিরোধী দল অর্থাৎ মলদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি(এমডিপি) সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ডেমোক্র্যাটরা মুইজ্জুর মন্ত্রিসভা থেকে তিন জন মন্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনার পর বিরোধী দল বিবাদের কারণ হিসেবে মুইজ্জুকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে সম্মত হয়েছেঅন্য দিকে, মুইজ্জু মজিলি দ্বারা প্রত্যাখ্যাত মন্ত্রীদের পুনরায় নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পর থেকে দ্বীপদেশটির আইনসভা কার্যনির্বাহী বিভাগের মধ্যে বাড়তে থাকা দ্বন্দ্বকেই দর্শায়, যা পার্লামেন্ট নির্বাচনের পরে আরও বাড়তে পারে।

 

এক অবিরাম সংগ্রাম

২০০৮ সালে মলদ্বীপ একটি বহুদলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। নতুন ব্যবস্থাটির এ বিষয়টিই নিশ্চিত করার কথা ছিল যে, পার্লামেন্ট একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী বিভাগের উপর নজর রাখার পাশাপাশি ভারসাম্য বজায় রাখবে। যাই হোক, রূপান্তরটি উভয় সংস্থার মধ্যে একটি ধারাবাহিক সংগ্রাম বজায় রেখে চলেছে এবং তার বেশির ভাগটাই দেশের ভঙ্গুর মেরুকৃত রাজনৈতিক পরিসরের কারণে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য ঘটেছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেই ক্ষমতায় আসা যাবে, এ কথা জানা সত্ত্বেও সরকার ও বিরোধী দলগুলি ধারাবাহিক ভাবে পার্লামেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে।

 

নতুন ব্যবস্থাটির এ বিষয়টিই নিশ্চিত করার কথা ছিল যে, পার্লামেন্ট একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী বিভাগের উপর নজর রাখার পাশাপাশি ভারসাম্য বজায় রাখবে

 

২০০৮ সালে এমডিপি-র মোহাম্মদ নাশিদ প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলেও তাঁর দল ২০০৯ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। ৭৭টি  আসনের মধ্যে মাত্র ২৬টি আসন পেয়েছিল এমডিপি, যা বিরোধী জোটের পাওয়া ৩৫টি আসনের চেয়ে কম। পরবর্তী বছরগুলি বিরোধীদের তরফে সরকারের মূলত নীতি সংক্রান্ত সমস্যা এবং রাজনীতিকরণের সাক্ষী থেকেছেবিরোধী দল বেশ কিছু মন্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং একাধিক বিষয়ে পার্লামেন্টে অনুমোদন বাধ্যতামূলক করে আইন পাস করেছে। এটি সরকার ও পার্লামেন্টের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছিল এবং এমনকি বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারও করা হয়। বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সঠিক সংখ্যা অর্জন করতে সমর্থ না হলেও ২০১২ সালে নাশিদকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যথেষ্ট সমর্থন কুড়োতে সক্ষম হয়েছিল

পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (২০১৩) প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মলদ্বীপ-এর (পিপিএম) আবদুল্লাহ ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হন। বিগত সরকারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইয়ামিন পার্লামেন্টে জোটগত ভাবে এবং দলত্যাগকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে একটি সুবিধাজনক সংখ্যা অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পিপিএম ৮৫টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনে জয়লাভ করে এবং তাদের মিত্র জুমহুরি পার্টি (জেপি) ও মলদ্বীপ ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স (এমডিএ) যথাক্রমে ১৫টি ও ৫টি আসনে জয়লাভ করে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে২০১৭ সালের মধ্যে ইয়ামিন তাঁর নিজের দলের শক্তি বৃদ্ধি করে ক্ষমতা ৪৭টি আসনে উন্নীত করেন।

 

বিগত সরকারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইয়ামিন পার্লামেন্টে জোটগত ভাবে এবং দলত্যাগকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে একটি সুবিধাজনক সংখ্যা অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন।

 

অন্য দিকে ২৬টি আসন নিয়ে এমডিপি সরকারকে নিরীক্ষণ করার পাশাপাশি মিত্রতা অব্যাহত রেখেছিল এবং বাকি পার্লামেন্ট-সদস্যদের তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য প্ররোচিত করেছিল। তারা ২০১৭-২০১৮ থেকে প্রায় চার বার স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে, যখন সরকার বিদ্রোহী এমপিদের অযোগ্য ঘোষণা করে এবং পার্লামেন্ট থেকে বিরোধী সদস্যদেউচ্ছেদ করতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে। অবশেষে ইয়ামিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য বিরোধীরা যথেষ্ট সংখ্যায় একত্রিত হওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ইয়ামিনকে পরবর্তী কালে ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে তাঁর পরাজয়ের পর এবং ২০১৯ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এমডিপি আইনসভা ও কার্যনির্বাহী উভয় ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।

 

সংখ্যা নিয়ে মুইজ্জুর খেলা 

পিপিএম-এর জয় এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) প্রার্থী মোহাম্মদ মুইজ্জুর বিজয় এই ভারসাম্যকে ফের বদলে দেয়। মুইজ্জু শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দলের ছজন পার্লামেন্ট সদস্য এবং সহযোগী মলদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) আর ক জন সদস্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলস্বরূপ, পার্লামেন্টে পিপিএম-পিএনসি-মাত্র চার জন সদস্য ছিলেন এবং এর জোটের অংশীদার অর্থাৎ এমএনপি ও এমডিএ-র প্রত্যেকে দুজন করে সদস্য ছিলেন। সামগ্রিক ভাবে, ক্ষমতাসীন জোট ও তাদের মিত্রদের সমর্থনের সংখ্যা দাঁড়ায় এ রকম-- পার্লামেন্টে ৮৭ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৮ জন। এর উল্টো দিকে বিরোধী দল এমডিপি-৫৬ জন এবং ডেমোক্র্যাটদের ১৩ জন সদস্য ছিলেন। জেপি ও নির্দল বা স্বতন্ত্র পক্ষে দুজন করে সদস্য ছিলেন।

নিজেদের শক্তি প্রয়োগ করে এমডিপি ডেমোক্র্যাটরা একাধিক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা এবং নিজেদের মন্ত্রীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেনতাঁরা প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রক্রিয়ার নিয়ম সংশোধন করে এই পদ্ধতির জন্য প্রয়োজনীয় পার্লামেন্ট সদস্যের সংখ্যা কমিয়ে এনেছিলেন, যেহেতু সাত জনের পদত্যাগের পর সদস্য সংখ্যা ৮০-তে নেমে এসেছিলতাঁরা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরিবর্তে মন্ত্রীদের স্বতন্ত্র অনুমোদনের জন্য চাপ দিয়েছিলেন

 

নিজেদের শক্তি প্রয়োগ করে এমডিপি ডেমোক্র্যাটরা একাধিক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা এবং নিজেদের মন্ত্রীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন

 

ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি অব্যাহত রাখতে ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে মুইজ্জু ১৪ জন সদস্যকে (এমডিপি থেকে ১৩ জন এবং এক জন স্বতন্ত্র প্রার্থী) তাঁর পক্ষে যোগদান করতে প্ররোচিত করতে সক্ষম হন। এটি তাঁদের শক্তি বৃদ্ধি করলেও (দ্রষ্টব্য সারণি ১) এবং সহজেই অনাস্থা প্রস্তাব পাওয়ার আশঙ্কাকে দুর্বল করে দিলেও হুমকি এখনও অব্যাহত রয়েছে। ডেমোক্র্যাট এবং এমডিপি-র কাছে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় (৫৪) সংখ্যার চেয়ে বরং বেশি সংখ্যা (৫৬) রয়েছে।

 

সারণি ১. মলদ্বীপের মজলিসের (পার্লামেন্ট) বর্তমান অবস্থা

দল

অবস্থান

এমডিপি

৪৩

জেপি

০২

পিপিএম

০২

পিএনসি

১৫

এমডিএ

০২

স্বতন্ত্র বা নির্দল

০৩ (এমএনপি থেকে ০২)

ডেমোক্র্যাট

১৩

মোট

৮০

সূত্র: আভাস, সা

 

মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রয়াস?

এমডিপি ডেমোক্র্যাট উভয়ই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলির উপরে সরকারের নিয়ন্ত্রণ, পার্লামেন্টের আকার বৃদ্ধি, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব নিয়োগ, চিনপন্থী ভারতবিরোধী ঝোঁক, ব্যয়ের অস্বচ্ছতা, আর্থিক অবস্থা এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। সরকারকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য বিরোধী দল মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার তিন জন মন্ত্রীকেও প্রত্যাখ্যান করেছে। যাই হোক, পিপিএম-পিএনসি-হিংসার প্রতি প্ররোচনা এবং পার্লামেন্টের বাইরে প্রতিবাদ করা আসলে দ্বীপরাষ্ট্রটির গণতান্ত্রিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ার লক্ষণকেই নির্দেশ করেছে এবং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে বিরোধীদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে।

তবে এই অনাস্থা প্রস্তাব সত্ত্বেও মুইজ্জুর টিকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিহাস যেমন দর্শায়, অনাস্থা প্রস্তাবের প্রক্রিয়া এড়াতে প্রশাসন তার সমস্ত কার্যনির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করবে। সরকার ইতিমধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের প্রক্রিয়ার সাম্প্রতিক সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। আদালতের স্থগিতাদেশ অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার আকস্মিক অবসান ঘটাতে পারে, বিশেষ করে যখন পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।

 

সরকার ইতিমধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের প্রক্রিয়ার সাম্প্রতিক সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে।

 

রাজনৈতিক ভাবে, বিরোধী দলের সদস্যরাও এই প্রস্তাবে দ্বিধাবিভক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তাদের ভোটের ধরনে এ হেন বিভাজনটি আরও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে, যেখানে কেউ কেউ পার্টির থ্রি-হুইপ লাইনকে রীতিমতো অস্বীকার করেছিলেন অনাস্থা প্রস্তাবও ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে যদি মুইজ্জু তাঁসঙ্গে যোগ দিতে বা এমনকি প্রস্তাবের বিরোধিতা করার জন্য দুই বিরোধী সদস্যের সঙ্গ পান। তাঁর দলগুলি অর্থাৎ পিপিএম-পিএনসি জোট, মিত্রদল এমডিএ, এমএনপি এবং জেপি ইতিমধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মুইজ্জুকে রক্ষা করার জন্য তাদের সমর্থন জোগানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।

 

সামনের পথ

ফলাফল যা-ই হোক না কেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর অনাস্থা প্রস্তাবের আহ্বান মুইজ্জুর সামনে উপস্থিত এক বৃহত্তর কাঠামোগত সমস্যাকে দর্শায়। দলত্যাগ বিরোধী আইনের অভাব এবং দেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের দলত্যাগের দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে একটি সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা মুইজ্জুর শাসনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ফলস্বরূপ, সরকার প্রায় ৬২টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করবে বলে আশা করছে। তবে এটি সরকারকে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে:

প্রাথমিক ভাবে, সরকার একটি বৃহত্তর জোট গড়তে ব্যর্থ হয়েছে এবং এমনকি ক্ষমতা ভাগাভাগি করতেও অনিচ্ছুক। এর অংশীদারদের মধ্যে এমডিএ-র কোন রাজনৈতিক নিয়োগ বা সরকারে দলটির কোনও পদ নেই এবং এমএনপি শুধু মাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত। জেপি নিরপেক্ষতার ইঙ্গিত অব্যাহত রেখেছে। অন্য দিকে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে মিত্রতার প্রাথমিক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পিপিএম-পিএনসি তাদের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আসনে স্থান দিতে অস্বীকার করায় তারা বিচ্ছিন্ন বোধ করেছে। বিষয়গুলিকে জটিল করার তুলেছে সরকারের সাম্প্রতিক নীতি কার্যকলাপ এমনকি এ হেন কার্যকলাপ ডেমোক্র্যাটদের এমডিপি-ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে।

 

তাঁর অনুগতদের ক্ষমতায়ন এবং ইয়ামিনের সমর্থকদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য মুইজ্জুর প্রচেষ্টাও অনেক পিপিএম-পিএনসি সমর্থককে ক্ষমতাসীন দল থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।

 

অন্য দিকে, ইয়ামিনকে এড়িয়ে যাওয়া এবং পিপিএম-পিএনসি থেকে ইয়ামিনের অব্যবহিত বহিষ্কারের রাজনৈতিক মূল্য মুইজ্জুকে চোকাতে হবে। টি কোন কাকতালীয় ঘটনা নয় যে মুইজ্জুর বিশ্বাসঘাতকতার শিকার ইয়ামিন এখন মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের আহ্বানকে সমর্থন করেছেন ইয়ামিনের দল পিপলস ন্যাশনাল ফ্রন্ট (পিএনএফ) আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে মুইজ্জুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটদাতাদের ভিত্তিকে বিভক্ত করতে আগ্রহী। তাঁর অনুগতদের ক্ষমতায়ন এবং ইয়ামিনের সমর্থকদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য মুইজ্জুর প্রচেষ্টাও অনেক পিপিএম-পিএনসি সমর্থককে ক্ষমতাসীন দল থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।

মুইজ্জুর অসাধু প্রশাসন এবং অন্যান্য নেতা ও দলের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অক্ষমতা তাঁকে পার্লামেন্টে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা থেকে বিরত রাখতে পারে। এর পাশাপাশি, ডেমোক্র্যাট, এমডিপি এবং পিএনএফ-এর মতো দলগুলি মুইজ্জুর বিরুদ্ধে খোলামেলা অবস্থান নেওয়ায় নতুন পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকবে এবং তা আরও অনিশ্চয়তা অস্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করবে।

 


আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.