Published on Apr 17, 2024 Updated 0 Hours ago

নেতাজির মেয়র থাকার মেয়াদে তাঁর প্রচেষ্টার বিশ্লেষণ ভারতে পৌর সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সামাজিক-রাজনৈতিক বর্ণালী জুড়ে প্রেরণা দেয়

নেতাজির মেয়র হিসাবে কর্মকাল: জাতীয়তাবাদী নীতির মাধ্যমে জনকেন্দ্রিক প্রশাসন

পৌরসভার ভূমিকা শহুরে অভিজ্ঞতার অবস্থা নির্ধারণের চাবিকাঠি। একটি বিকেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কাঠামোকে, যেখানে একটি পৌরসভা স্বায়ত্তশাসিতভাবে কাজ করতে পারে, একটি শক্তিশালী নগর নীতি ও শাসন কাঠামোর জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। ভারতের ১৯৯২ সালের সংবিধান (৭৪ তম সংশোধন) আইনটি রাজ্য সরকারের থেকে ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলির (‌ইউএলবি)‌ কাছে স্থানান্তর করে ইউএলবি–গুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসন প্রদানের জন্য প্রণীত হয়েছিল। যাই হোক,  সীমিত কার্যকরী ও আর্থিক ক্ষমতার চ্যালেঞ্জগুলি অনেকাংশে সমাধান করা হয়নি। পৌর নির্বাচনেও একাধিকবার অনিয়ম হয়েছে। যেমন, ভারতের অন্যতম নগরায়িত রাজ্য মহারাষ্ট্র ২০২০ সাল থেকে নির্বাচিত মিউনিসিপ্যাল বোর্ড ছাড়াই কাজ করছে, ইউএলবি-‌তে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) প্রতিনিধিত্ব সংক্রান্ত অমীমাংসিত সমস্যার কারণে।


ভারতীয়দের নেতৃত্বে মিউনিসিপ্যালিটিগুলির কার্যকারিতা মসৃণ বিষয় ছিল না, কারণ ভারতীয় নেতাদের জাতীয়তাবাদী উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে প্রায়শই ব্রিটিশ সরকারের দমন-পীড়নের সংঘর্ষ বাধত।



এই মুহূর্তে ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে শুরু হওয়া পৌর শাসনের ইতিহাসের দিকে নজর দেওয়া উপযোগী হতে পারে। ১৬৮৮ সালে চেন্নাইতে (পূর্ববর্তী মাদ্রাজ) প্রথম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন স্থাপিত হয়, এবং তারপর ১৭২৬ সালের মধ্যে
মুম্বই (পূর্ববর্তী বম্বে) ও কলকাতায় (পূর্ববর্তী ক্যালকাটা) মেয়র্স কোর্ট স্থাপিত হয়। যখন দেশটি ব্রিটিশদের দ্বারা শাসিত ছিল, তখন পৌরসভাগুলি হয়ে ওঠে সেই সব প্রাথমিক সংস্থাগুলির একটি যেখানে ভারতীয়রা নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে স্ব-শাসন অনুশীলন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারতীয়দের নেতৃত্বে মিউনিসিপ্যালিটিগুলির কাজকর্ম পরিচালনা মসৃণ বিষয় ছিল না, কারণ ভারতীয় নেতাদের জাতীয়তাবাদী উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে প্রায়শই ব্রিটিশ সরকারের দমন-পীড়নের সংঘর্ষ বাধত। ভারতের অগ্রণী স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩০-১৯৩১ সালে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (কেএমসি) মেয়র ছিলেন। নেতাজির মেয়র পদে কর্মকালের বিশদ বিশ্লেষণ একটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অসম ক্ষমতা কাঠামোর অধীন থাকাকালীন জনগণের কল্যাণে কাজ করার চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে। ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতাদের অনুরূপ সময়সীমার মধ্যে অন্যান্য গভর্নিং বডিতে অনুরূপ অভিজ্ঞতা আজকের শাসন ও নীতি চ্যালেঞ্জের জন্য শিক্ষামূলক হতে পারে। কেএমসি-‌তে সুভাষ বোসের একটি মূল অবদান ছিল মিউনিসিপ্যাল গেজেট কমিশন করা, যা জনগণ ও কেএমসি-‌র বিষয়গুলির মধ্যে একটি সংযোগসূত্র হিসাবে ধারণা করা হয়েছিল। প্রথম গেজেট ১ এপ্রিল ১৯২৪-এ প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য পৌর শাসন-কেন্দ্রিক উপকরণগুলির সঙ্গে গেজেটগুলি এখন কেএমসি দ্বারা ডিজিটালভাবে সংরক্ষণাগারভুক্ত করা হয়েছে, এবং সেগুলি এই নিবন্ধের প্রধান তথ্য উৎস।


পৌর শাসনে বোসের প্রচেষ্টা

কেএমসি-‌তে সুভাষ বোসের মেয়াদ ১৯২৪ সালে একজন কাউন্সিলর হিসাবে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৪০ সালে
একজন অল্ডারম্যান হিসাবে শেষ হয়েছিল। তাঁকে পুরসভায় এনেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক মেন্টর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, যিনি ছিলেন একজন সর্বোচ্চ শ্রেণির আইনজীবী এবং উপনিবেশ–বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের আলোকবর্তিকা। চিত্তরঞ্জন দাস কেএমসি-র মেয়র নির্বাচিত হন এবং সুভাষ বোস ছিলেন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও), যিনি কর্পোরেশনের পরিষেবাগুলির তত্ত্বাবধান করতেন। চিত্তরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে কেএমসির কিছু বিশেষ মনোযোগের ক্ষেত্র ছিল বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা; দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা; ভাল মানের খাদ্য ও দুধ সরবরাহ; ফিল্টার করা এবং অপরিশোধিত জল সরবরাহের উন্নতি, ভাল স্যানিটেশন; দরিদ্রদের জন্য আবাসন, শহরতলির এলাকার উন্নয়ন; উন্নত পরিবহণ সুবিধা; এবং কম খরচে প্রশাসনে অধিকতর দক্ষতা। সিইও হিসাবে এবং পরে মেয়র হিসাবে, বোস পৌর শাসনের ক্ষেত্র প্রসারিত করার জন্য এই অ্যাজেন্ডাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

বোসের আমলে জনগণের জীবিকা ও শ্রম কল্যাণের বিষয়টির উপরেও জোর দেওয়া হয়েছিল। কেএমসি-র মেয়র হিসাবে তিনি বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট (ভারতীয় বাস মালিকদের গঠিত একটি সংস্থা)-‌এর উদ্যোগকে সমর্থন করেছিলেন ব্রিটিশ সরকার-সমর্থিত ট্রামওয়ে কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য। তার জন্য তিনি বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের অধীনে থাকা বাসের জন্য নতুন রুটের পারমিটের ব্যবস্থা করেছিলেন। বোস একচেটিয়া (‌মনোপলি)‌ অনুশীলনের বিষয়ে প্রকাশ্যে তাঁর আপত্তি জানিয়েছিলেন, এবং উৎপাদন প্রচেষ্টায় স্থানীয়ভাবে তৈরি পণ্যগুলির পক্ষে কথা বলেছিলেন। নাগরিক কর্তব্য ও দায়িত্বের মাধ্যমে বোস একটি জাতীয় উন্নয়ন কথন কল্পনা করেছিলেন যা ব্রিটিশ শাসনের একটি যোগ্য বিকল্প হিসাবে কাজ করবে।


বোস একচেটিয়া (‌মনোপলি)‌ অনুশীলনের বিষয়ে প্রকাশ্যে তাঁর আপত্তি জানিয়েছিলেন, এবং উৎপাদন প্রচেষ্টায় স্থানীয়ভাবে তৈরি পণ্যগুলির পক্ষে কথা বলেছিলেন।



ব্রিটিশ প্রশাসনের সময় পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবস্থা একটি সাধারণ অভ্যাস ছিল, যেখানে বর্তমান কর্মচারীদের সুপারিশের ভিত্তিতে গভর্নিং এজেন্সি দ্বারা কর্মী নিয়োগ করা হত। বোস এই জাতীয় পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবস্থার সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করেছিলেন, এবং উল্লেখ করেছিলেন যে এই জাতীয় ব্যবস্থা শুধু একটি অন্তর্নিহিত শক্তি অসমতার মাধ্যমেই কাজ করতে পারে। পরিবর্তে বোস একটি প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পদ্ধতির জন্য জোরালোভাবে চেষ্টা করেছিলেন (অনেকটা ভারতীয় সিভিল সার্ভিস অফিসার বাছাইয়ের ব্যবস্থার মতো)। দুর্ভাগ্যবশত, ভারতে পৌরসভা ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের নিয়োগ আজও
দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত হয়ে রয়েছে, যা জনসেবা ও কল্যাণের দক্ষ সরবরাহকে বাধা দেয়। দক্ষ মিউনিসিপ্যাল কর্মীদের নিয়োগের জন্য বোস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে পৌরশাসন শেখানোর জন্য একটি উপ-বিভাগ খোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

আজকের বিশ্বে পেশাদার ক্ষেত্রজুড়ে কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তির (ডিইআই) জন্য
একটি ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই বিষয়ে সুভাষ বোস একজন দূরদর্শী ছিলেন। তিনি তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন, কারণ তিনি কেএমসি কর্মীবাহিনীতে সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি জোরালোভাবে সমর্থন করেছিলেন। এমনকি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ভারতীয় মুসলিম লিগের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সময়ও বোস দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি জোট গঠন করতে সক্ষম হন, এবং বিশিষ্ট মুসলিম নেতাদের সঙ্গে কাজ করেন। একজন জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় মর্যাদা তাঁকে যেমন দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়েছিল, তেমনই প্রশাসক হিসাবে বোসের অভিজ্ঞতার অন্বেষণও করেছিল ভারতের বিভিন্ন পৌরসভা। আর্কাইভাল উপাদান প্রকাশ করে যে বোসকে প্রায়ই করাচি (বর্তমানে পাকিস্তানে) ও কুষ্টিয়া (বর্তমানে বাংলাদেশে)-‌সহ বিভিন্ন পৌরসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেখানে তিনি মূলত স্থানীয় স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন।


ভারতে পৌরসভা ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের নিয়োগ আজও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত রয়েছে, যা জনসেবা ও কল্যাণের দক্ষ সরবরাহকে বাধা দেয়।



একদিকে বোস ভারতের ঐতিহ্যবাহী শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, এবং অন্যদিকে অন্যান্য দেশের পৌর শাসনের সমস্যাগুলি সম্পর্কে তাঁর তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি ছিল। বোস অন্যত্র পৌর শাসনের পাঠের সন্ধান করেছিলেন এবং কলকাতায় তা প্রয়োগ করেছিলেন। একবার তিনি কলকাতায় খাদ্যের অপচয় কমাতে কোল্ড স্টোরেজের একটি নেটওয়ার্ক কীভাবে তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে একজন কেএমসি কর্মকর্তাকে লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন।


উপসংহার

সুভাষ বোস একজন দূর-চিন্তাশীল প্রশাসক ছিলেন, যা কেএমসি-তে তাঁর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছিল। তিনি ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতা ও ভারসাম্যহীনতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, এবং ভারত তার নিজের বলে দাবি করতে পারে এমন শাসনের মডেল তৈরির জন্য প্রয়াসী ছিলেন। বোসের সময়েই মেয়র-ইন-কাউন্সিল গভর্নিং সিস্টেমের মাধ্যমে কেএমসি-‌র ক্ষমতায়ন জোরদার করা হয়েছিল, এবং এটি একটি অগ্রণী অনুশীলন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজও
মুম্বইয়ের মতো অনেক বড় পৌর কর্পোরেশনে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মেয়র এবং অন্যান্য কাউন্সিল সদস্য নেই।

শহর সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন থাকার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সরবরাহ ও পরিবহণের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে জনগণকে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বোস পৌরসভার একটি বিস্তৃত ভূমিকা কল্পনা করেছিলেন। বিপরীতে, ভারতের আজকের মিউনিসিপ্যাল সংস্থাগুলির
শহুরে ভূদৃশ্য গঠনে খুব কম কাজের সুবিধা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, কারণ কররাজস্বের সুযোগ হ্রাসের ফলে তহবিলের অভাবের দরুন তাদের সীমাবদ্ধতা। কেএমসি-র মাধ্যমে জনগণকে সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বোস উচ্চাভিলাষী ছিলেন, এবং দিল্লি, মুম্বই ও চট্টগ্রামের মতো অন্যান্য ভারতীয় পৌরসভা থেকে যে সমস্ত পাঠ শেখা যেতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তিনি নদী প্রকৌশল ও সড়ক প্রযুক্তির মতো বিদেশী দক্ষতার প্রয়োজনীয়তাগুলিও দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন।


কেএমসি-র মাধ্যমে জনগণকে সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বোস উচ্চাভিলাষী ছিলেন, এবং দিল্লি, মুম্বই ও চট্টগ্রামের মতো অন্যান্য ভারতীয় পৌরসভা থেকে যে সমস্ত পাঠ শেখা যেতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।



যদিও সুভাষ বোস তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং মেয়র হিসাবে ভূমিকার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন, কেএমসিতে তার কার্যকাল প্রায়শই ব্যাহত হয়েছিল কারণ তিনি ব্রিটিশ প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হতেন। প্রকৃতপক্ষে, আর্কাইভাল সামগ্রীগুলি প্রকাশ করে যে ভারতের স্বাধীনতার প্রতি তাঁর অটল অঙ্গীকারের কারণে সুভাষ বোসের মেয়র হিসাবে নির্বাচনে ব্রিটিশ প্রশাসন শঙ্কিত হয়েছিল। অবশেষে, বোস মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ানো এবং কেএমসির বাইরে তাঁর জনজীবন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তথাপি, কেএমসি-তে সুভাষ বোসের কার্যকাল দূরদর্শী চিন্তাভাবনা এবং সক্রিয় ব্যস্ততার দ্বারা চিহ্নিত ছিল, যা জনগণের প্রতি উৎসর্গীকৃত ছিল এবং জাতির কল্যাণের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

ব্রিটিশ আমলে নগর পৌরশাসনে জাতীয়তাবাদী নেতাদের সম্পৃক্ততা বুঝিয়ে দেয় রাজনৈতিক শ্রেণি নগর প্রশাসনকে কতটা গুরুত্ব দিত। সুভাষ বোস ছাড়াও ব্রিটিশ শাসনের অধীনে পৌর শাসনের সঙ্গে জড়িত অন্য উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন গোপালকৃষ্ণ গোখলে (পুনে), সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি (কলকাতা), অরুণা আসফ আলি (দিল্লি) ও বিঠলভাই পটেল (মুম্বই)। এই নিবন্ধটি যেমন দেখায়, একটি বৈরী ঔপনিবেশিক সরকারের অধীনে কাজ করা সত্ত্বেও বোসের দুর্দান্ত প্রশাসনিক দক্ষতা উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য পূরণ করেছিল। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সময়ে নগর শাসনের এই বর্ণাঢ্য ইতিহাসের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হওয়া ভারতের পৌর সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে যথাযথ গুরুত্ব এবং মনোযোগ দেওয়ার জন্য সামাজিক-রাজনৈতিক বর্ণালী জুড়ে সঠিক প্রেরণা দিতে পারে।



স্নেহাশিস মিত্র অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আরবান স্টাডিজের একজন ফেলো

নীলাঞ্জন গুপ্ত কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রিসার্চ ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.