২৮ এপ্রিল টেসলার সিইও ইলন মাস্কের চিনে আশ্চর্যজনক সফর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। তাঁর বহু প্রত্যাশিত ভারত সফর স্থগিত করার এক সপ্তাহ পরেই মাস্কের বেজিং সফর আসলে অনেক রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এই সফরের পরে ভারত এবং তার বাইরেও যে আখ্যানটি আরও বেশি করে প্রকাশ্যে আসছে, তা হল ‘মাস্কের চিন সফর: মাস্ক ও চিনের জন্য জয় এবং ভারতের জন্য অপমান।’
যাই হোক, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে এই ধরনের আখ্যান চিনের স্বার্থের অনুকূল বলে মনে হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল দু’টি প্রধান রাজনৈতিক বিষয়ের জন্য এই সফরকে ব্যবহার করা।
প্রথমত, চিনের লক্ষ্য ছিল এই বার্তাই দেওয়া যে, চিন এখন বিশ্বের ‘প্রকৃত চালিকা শক্তি’ এবং কর্পোরেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত ত্রাণকর্তা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অভিজাতরা যতই চিন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান না কেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক স্বার্থ এই ধরনের প্রচেষ্টাকে হতাশ করবে এবং এর জন্য চিনকে বিশেষ কিছুই করতে হবে না। চিনা গণমাধ্যমগুলি কী ভাবে বারবার চিনা বাজার টেসলা-সহ বৃহৎ মার্কিন সংস্থাগুলির উদ্ধারকার্যে সুবিশাল ভূমিকা পালন করেছে, তা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করছে। চিনা ইন্টারনেটের বিভিন্ন মন্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালে যখন টেসলা উৎপাদন ক্ষমতা বাধার সম্মুখীন হয়েছিল এবং দেউলিয়া হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিল, তখন সাংহাই গিগাফ্যাক্টরির সময় মতো পদক্ষেপ শুধুমাত্র উত্পাদন ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যারই সমাধান করেনি, বরং টেসলার স্টক মূল্যকেও চালিত করেছিল। আর আজ যখন আবার টেসলা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে — অর্থাৎ প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক প্রতিবেদন দর্শিয়েছে যে, টেসলার তৈরি করা গাড়ির সংখ্যা চার লক্ষের নীচে নেমে গিয়েছে, রাজস্ব ৯ শতাংশ এবং মোট আয় ৫৫ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে – আবারও সমস্যা সমাধানের জন্য চিনের বাজারের মুখাপেক্ষী হয়েছে। মাস্ক চিনে মাত্র একদিন কাটালে টেসলার স্টক পরের দিন ১২ শতাংশ বেড়ে যায়, যা শেয়ার প্রতি ১৬০ মার্কিন ডলারে পৌঁছয় এবং মাস্কের মোট মূল্য ২৭০ বিলিয়ন ইউয়ান (৩৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি) অর্থাৎ আকাশচুম্বী হয়। এ দিকে, ওয়াল স্ট্রিট ক্যাপিটাল শর্টিং টেসলা - এবং পরোক্ষ ভাবে চিনের বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের শৃঙ্খল - গত কয়েক মাসে মাত্র চারটি ব্যবসায়িক দিনে ৪০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) হারিয়েছে। এটি চিনের শক্তি এবং ‘মেড ইন চায়না’র শক্তির যথেষ্ট প্রমাণ।
চিনা গণমাধ্যমগুলি কী ভাবে বারবার চিনা বাজার টেসলা-সহ বৃহৎ মার্কিন সংস্থাগুলির উদ্ধারকার্যে সুবিশাল ভূমিকা পালন করেছে, তা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করছে।
দ্বিতীয়ত, চিন এমনটা করতে সক্ষম হয়েছে যে, তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বা তার সমকক্ষ হওয়ার ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অথবা চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৃহৎ শক্তি প্রতিযোগিতা থেকে লাভবান হওয়ার (মার্কিন বা পশ্চিমের ডি-রিস্কিং বা ঝুঁকিমুক্তকরণ, ডি-সিনিসাইজেশন বা অ-চিনকরণ, চিন +১ নীতি) ইচ্ছে নিতান্তই ক্ষীণ ভিত্তির উপর নির্ভর করে এবং চিনা বাজারের আকর্ষণ সহজেই সেই উচ্চাভিলাষ ভেঙে দিতে পারে। তাই ভারতকে অবশ্যই অর্থনীতি এবং বাজারের আকারের ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে ব্যবধান স্বীকার করতে হবে এবং চিনের প্রতি তার প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। সেই অনুসারে, বিভিন্ন চিনা পর্যবেক্ষক এ বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন যে, ‘মাস্কের চিন সফরে হিমালয়ের অপর প্রান্তের দেশটির জন্য এক থাপ্পড়’ এবং ‘টেসলা যাই-ই করতে চাক না কেন, চিনই হল আসল চাবিকাঠি… …তার ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জন করতে হলে টেসলাকে চিনা বাজারে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেতে হবে… চিন এক অতি প্রয়োজনীয় বাজার, যেখানে ভারত এক শৌখিন বাজার মাত্র’… ‘এতে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, মাস্ক তাঁর ভারত সংক্রান্ত পরিকল্পনার চাইতেও চিনের সঙ্গে টেসলার বাণিজ্যকে অনেক বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন (অর্থাৎ অন্যরাও এমনটাই করবে)।’
যাই হোক যখন চিনের অভ্যন্তরীণ বিতর্ক এবং আলোচনার আঙ্গিকে দেখা হয়, তখন মনে হয় যে এই সফরটি একেবারেই ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঘটেছে এবং বেশ জটিল ফলাফল তুলে ধরেছে।
মাস্কের চিন সফরের এক স্বল্প পরিচিত প্রসঙ্গ
এ কথা এখন ব্যাপক ভাবে পরিচিত যে, টেসলার সিইও বিশ্বব্যাপী কঠোর টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই বেজিং সফর করেছেন। এ কথাও প্রকাশ্যে এসেছে যে, টেসলা চিনের বাজারেও কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, যেখানে টেসলার উৎপাদন এবং বিক্রয় পর পর দুই ত্রৈমাসিকের জন্য পতনের সম্মুখীন হয়েছে এবং এটি বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক চাপের মুখে পড়েছে।
যাই হোক, টেসলা যে চিনে সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছে, সে কথা চিনা গণমাধ্যমে একবার চোখ বোলালেই স্পষ্ট হয়ে যায়। চিনের অনলাইন পরিসরটি কৌশল, ব্যবস্থাপনা, পণ্য উদ্ভাবন এবং অন্য দিকগুলির পরিপ্রেক্ষিতে চিনা বাজারে টেসলার সম্পূর্ণ ‘পতন’ সংক্রান্ত তথ্যে পরিপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যেহেতু টেসলা ‘বিশ্বব্যাপী ১০ শতাংশ ছাঁটাই’-এর ঘোষণা করেছে, চিনে এই ছাঁটাইয়ের অনুপাত ১০ শতাংশের অনেক বেশি ছিল। এমনকি কিছু কিছু বিভাগে এই ছাঁটাইয়ের পরিমাণ বিস্ময়কর ভাবে ৫০ শতাংশকেও ছাড়িয়ে যায়। শুধু তাই নয়, চিনে টেসলা বেশ কিছু কর্মচারীকে কোনও বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই, কোনও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই ছাঁটাই করেছে। এর ফলে বেশ কয়েকজন শ্রম সালিশির পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যে সাংহাইয়ের কারখানাটি ৩০ শতাংশ উৎপাদন হ্রাস করার ঘোষণা করেছে এবং উৎপাদনের সময় প্রতি সপ্তাহে সাড়ে ছ’দিন থেকে কমিয়ে পাঁচ দিন করা হয়েছে। টেসলা চিনের সমস্ত নতুন স্নাতকদের সঙ্গে হওয়া চুক্তিও বাতিল করেছে।
চিনের অনলাইন পরিসরটি কৌশল, ব্যবস্থাপনা, পণ্য উদ্ভাবন এবং অন্য দিকগুলির পরিপ্রেক্ষিতে চিনা বাজারে টেসলার সম্পূর্ণ ‘পতন’ সংক্রান্ত তথ্যে পরিপূর্ণ।
অন্য দিকে, টেসলা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বারবার মূল্য পরিবর্তনের কারণে চিনে ভোক্তাদের তরফে উল্লেখযোগ্য অসন্তোষের সম্মুখীন হচ্ছে, যার ফলে টেসলার বিদ্যমান ভোক্তারা উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এমন খবরও শোনা যাচ্ছে, টেসলা গাড়িগুলির তুলনামূলক পুরনো সংস্করণের ভোক্তারা সংস্থার ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন এবং কেউ কেউ এমনকি ১৫০০০ মার্কিন ডলারের মতো মোটা অঙ্কের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
চিনা বাজারে এই ধরনের মন্থনের মাঝেই মাস্ক তাঁর সম্ভাব্য ভারত সফরের ঘোষণা করেছিলেন এবং টেসলা ভারতে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এর পরে, চিনের কৌশলগত সম্প্রদায়কে যে উদ্বেগটি গ্রাস করেছিল তা হল, ‘মাস্কও কি চিন ছেড়ে চলে যেতে চান?’
কিছু চিনা পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন যে, এই ধরনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসাবে চিনা সরকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রচারের জন্য চায়না কাউন্সিলের মাধ্যমে মাস্ককে আমন্ত্রণ জানানো এবং একটি আকর্ষক ‘উপহার প্যাকেজ’ প্রদানের বিরল পদক্ষেপ নিয়েছে, যা টেসলাকে নির্দিষ্ট তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তাগুলি এড়িয়ে যেতে এবং চিনের বিভিন্ন স্থানে (যেমন সরকারি সংস্থা, বিমানবন্দর, মহাসড়ক ইত্যাদি) টেসলা যানবাহন চলাচল ও পার্কিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টিতে সাহায্য করেছে। চিনা বাজারে টেসলার বিক্রয়ের উন্নততর ফলাফলের প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন কোনও পদক্ষেপই সংস্থাটিতে বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে পারে।
একটি জটিল ফলাফল
চিনে ফুল সেলফ ড্রাইভিং (এফএসডি) গাড়ির বিক্রি এবং বিদেশি তথ্য স্থানান্তরের অনুমতি/অনুমোদনের মতো প্রধান কর্মসূচিগুলিতে বেজিংয়ের তরফে ইতিবাচক শিলমোহর পাওয়ার নিরিখে পশ্চিমী গণমাধ্যম মাস্কের চিন সফরকে টেসলার জন্য ‘এক বৃহৎ জয়’ বলে তুলে ধরেছে।
যাই হোক, চিনের অভ্যন্তরে পশ্চিমী গণমাধ্যমের ‘বিদেশে তথ্য স্থানান্তর’-এর উপর বারবার জোর দেওয়ার বিষয়টি ব্যাপক সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। কিছু ভাষ্যকার প্রশ্ন করেছেন যে, মাস্কের সফর আদতে কোনও ফাঁদ কি না, যার লক্ষ্য ছিল ‘চিনা তথ্য’ সংগ্রহ করা। সর্বোপরি, টেসলা একটি মার্কিন সংস্থা এবং এ কথা সুনিশ্চিত করা কঠিন যে, চিনের এই তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে পড়বে না। এমনটা চিনা ইন্টারনেটের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ্যে এসেছে। এই প্রতিবেদনে আরও সাবধান করা হয়েছে যে, টেসলার ‘সেন্টিনেল মোড’টি চিনের ভূ-সংস্থান, বড় এবং ছোট রাস্তার দৃশ্যপট ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে।
টেসলা একটি মার্কিন সংস্থা এবং এ কথা সুনিশ্চিত করা কঠিন যে, চিনের এই তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে পড়বে না। এমনটা চিনা ইন্টারনেটের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ্যে এসেছে।
অন্য দিকে, চিনা কৌশলগত সম্প্রদায়ের একাংশ চিনে টেসলার সম্ভাব্য এফএসডি লঞ্চকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা করে যে টেসলার অত্যাধুনিক এফএসডি প্রযুক্তি (বিশেষ করে এফএসডি ভি১২-এর সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তি) কোনও না কোনও ভাবে চিনের অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিন যানবাহন সংস্থাগুলির (বর্তমানে চিনে টেসলার পাশাপাশি চিনা নিউ এনার্জির যানবাহনগুলির জন্য স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং ক্ষমতা এল২-তেই আটকে রয়েছে, যা কিনা আংশিক ভাবে স্বয়ংক্রিয়) কাছে উপলব্ধ করা যায় কি না। এক বার টেসলার গাড়ির প্রযুক্তি চিনের হাতে এলে চিনের নিউ এনার্জি অটোমোবাইল শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সংস্করণকে আরও উন্নত করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, ভেহিকল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির-র ডিরেক্টর এবং চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ওয়াং গুয়ে উল্লেখ করেছেন যে, টেসলার স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তি সমাধানগুলি হুয়াই বা অন্যান্য চিনা সংস্থার স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তি সমাধানগুলির সঙ্গে সমন্বিত করার সম্ভাবনা বেশি। কিছু চিনা পর্যবেক্ষক এই যুক্তিও দিয়েছেন যে, টেসলা এবং চিনের অভ্যন্তরীণ ইভি সংস্থাগুলির মধ্যে এই প্রযুক্তিগত সহযোগিতা শেষ পর্যন্ত চিনা সংস্থাগুলির জন্য বিদেশের বাজারে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে বিশেষ করে ইউরোপ এবং মার্কিন বাজারে সেই সকল বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে, যেগুলি সাম্প্রতিক সময়ে চিনের উপর আরোপ করা হয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে চিনের অবস্থান স্পষ্ট। অর্থাৎ ‘চিনা তথ্য ফাঁস করা তো দূর, চিন টেসলাকে অনুমতি ছাড়া এই তথ্য ব্যবহার করতে দেবে না। যাই হোক, টেসলা যদি চিনে চালকবিহীন প্রযুক্তির সত্যিকারের বাস্তবায়ন চায় এবং চিনের তথ্য থেকে সুবিধা পেতে চায়, তা হলে স্থানীয় চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে টেসলাকে গভীর ভাবে আদান-প্রদান করতে হবে।’ এখন, চিন-মার্কিন প্রযুক্তি যুদ্ধের তীব্রতা দেখে এমনটা বিশ্বাস করা কঠিন যে, চিনা প্রস্তাবটি ওয়াশিংটন সহজে মেনে নেবে, যা কার্যত চিনে টেসলার ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে দিয়েছে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, কেউ যুক্তি দিতে পারে যে, সম্প্রতি ইলন মাস্কের চমকে দেওয়া চিন সফরের নেপথ্যে অনেক কিছুই লুকিয়ে রয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে তথ্য সংক্রান্ত যুদ্ধ মনে হওয়া এ হেন অবস্থায় ভারতের উচিত অগোচরে থাকা বিষয়গুলির উপরেও নজর রাখা।
অন্তরা ঘোষাল সিং অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.