Expert Speak Young Voices
Published on Oct 14, 2022 Updated 8 Days ago

ডেনমার্কের পথ অনুসরণ করে ভারত সমলিঙ্গের মানুষদের দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্য একটি নজির স্থাপন করতে পারে।

আইনের গলদ: এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের দত্তক নেওয়ার অধিকার
আইনের গলদ: এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের দত্তক নেওয়ার অধিকার

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এন সি পি) সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে লোকসভায় একটি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল উত্থাপন করেছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট বা বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সমকামী বিবাহকে বৈধ করার উদ্দেশ্যে এলজিবিটিকিউ+ যুগলদের বিয়ে করার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ বছরের বয়সসীমা নির্ধারণ করা। সমকামী বিবাহের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক এবং আলোচনা দীর্ঘকাল ধরে চললেও যে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি বরাবর উপেক্ষিত রয়েছে তা হল, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের দত্তক গ্রহণ এবং পারিবারিক অধিকার। আইন প্রণয়ন ও বিচার বিভাগীয় আইন তাঁদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার যেমন সমতার অধিকার, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। এমন একটি সময়ে যখন সমগ্র বিশ্ব আরও বেশি এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, ভারতেরও উচিত প্রথম দক্ষিণ-এশীয় দেশ হিসেবে সমকামী মানুষদের দত্তক গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি তুলে নেওয়া।

আইন প্রণয়নে বাধা

হিন্দু দত্তক ও রক্ষণাবেক্ষণ আইন, ১৯৫৬ (এইচ এ এম এ), ভারতে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ এবং জৈনদের জন্য বৈবাহিক সম্পর্কের নিরিখে প্রযোজ্য একমাত্র বিধিবদ্ধ আইন এবং এই আইন অনুসারে দম্পতি দ্বারা দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের সম্মতিই বাধ্যতামূলক। আইনে ব্যবহৃত ‘স্বামী’ এবং ‘স্ত্রী’-এর মতো শব্দ দু’টি আইনের যুগ্ম দৃষ্টিভঙ্গিকেই নির্দেশ করে। পার্সি, খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। ২০১৪ সালে শবনম হাশমি রায় দানের আগে পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য দত্তক নেওয়ার কোনও আইন ছিল না এবং এই রায় দানের পরে বৈষম্য নিরপেক্ষ জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের (জে জে অ্যাক্ট) ভিত্তিতে সকলের জন্যই দত্তক নেওয়ার অধিকার স্থাপন করা হয়। যদিও উভয় আইনেই সমকামী দম্পতি এবং ‘লিভ ইন’ বা ‘সহবাসী’ দম্পতিদের দ্বারা দত্তক নেওয়ার বিষয়ে কোনও কিছু উল্লেখ করা নেই।

আইন প্রণয়ন ও বিচার বিভাগীয় আইন তাঁদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার যেমন সমতার অধিকার, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে।

সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি (সি এ আর এ) হল আন্তর্দেশীয় দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে হেগ কনভেনশন দ্বারা স্বীকৃত আইনি দত্তক সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা৷ যদিও লিভ-ইন সম্পর্কের অংশীদারদের ক্ষেত্রে দত্তক গ্রহণকারী সম্ভাব্য পিতা-মাতা হতে বাধা দেওয়া সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বা বিজ্ঞপ্তি সম্প্রতি সি এ আর এ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ ধরনের যুগলরা সারোগেসি রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০২১-এরও আওতার বাইরে রয়েছেন, যা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সরকারের তরফে এই বিষয়ে আমল না দেওয়াকেই পুনর্ব্যক্ত করে। সমকামী যুগলদের জন্য এ হেন কোনও পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে যে কোনও এক জন অভিভাবকের নামে দত্তক নেওয়ার মতো উপায়গুলি ভাবতে বাধ্য করা হচ্ছে। ‘এইচ এ কিউ: সেন্টার ফর চাইল্ড রাইটস’-এর আইনজীবী এবং আইনি সদস্য তারা নারুলা উল্লেখ করেছেন যে, এইচ এ এম এ বা জে জে অ্যাক্টের অধীনে সমকামীদের দত্তক নেওয়ার এক মাত্র বিকল্পটি হল একক ভাবে পিতা বা মাতার দত্তক গ্রহণ, যার অর্থ হল দম্পতিদের যে কোনও এক জনের আত্মত্যাগ। ব্যক্তিগত আইনে বিদ্যমান অভাবের কারণে ভারত সরকার সমকামীদের অধিকারের বিষয়টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

বর্তমান বিচার সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলি কি সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ?

বিভিন্ন ব্যক্তিগত আইনের শিকড় সেই প্রাক-সাংবিধানিক যুগ থেকে মানুষের বিশ্বাস ও অনুসরণ করা রীতিনীতি এবং অনুশীলনের মধ্যেই অন্তর্নিহিত থেকেছে। যদিও সংস্কৃতি কোনও স্থির ধারণা নয়; তা সামাজিক উদ্দেশ্য এবং বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে অভিযোজিত হয় ও তার বিকাশ ঘটে। সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর যখনই মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়, তখন প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিকারের জন্য আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটি এ কথাই বোঝায় যে, এমনকি ব্যক্তিগত আইনগুলিও সংবিধানকে অগ্রাহ্য করতে পারে না, যেমনটি আদালত বিভিন্ন রায়ের ক্ষেত্রে ধার্য করেছে, যাতে সেগুলি আর্টিকল ১৩-র অধীনে খারিজ না হয়ে যায়।

বিদ্যমান আইনটি আর্টিকল ১৪-কেই লঙ্ঘন করে, যা যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিভাগকে পরীক্ষার মুখে ফেলে। এর অর্থ হল শ্রেণিবিভাগকে অবশ্যই একটি বোধগম্য পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা মাথায় রেখেই এই ধরনের শ্রেণিবিভাগের অবশ্যই তার সঙ্গে একটি যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক থাকতে হবে। যদিও বিশেষ করে ‘সমকামী যুগলদের’ আইনি বৈধতা প্রদানের ক্ষেত্রে বাইরে রাখার ফলে ‘সমলিঙ্গ’কে স্বীকৃতি দেওয়ার লড়াইয়ে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি এই ধরনের বর্জন দ্বারা কোনও যৌক্তিক সম্পর্ক অর্জনের অভিজ্ঞতামূলক প্রমাণ নেই।

আদালতগুলি সামাজিক নিয়ম নির্ধারণ এবং সংশোধন করার ক্ষেত্রে সামাজিক প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করে এবং এ ভাবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে অন্যান্য আদালত এবং সমাজকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।

সামাজিক নৈতিকতা সংরক্ষণ, সমকামী পুরুষ এবং সমকামী নারীদের অভিভাবকত্বের অনিশ্চয়তা, অর্থাৎ একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ভূমিকার মডেল (মাতা-পিতা) সুনিশ্চিত করা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার ভয় এবং শিশুদের উপর এটির মানসিক প্রভাবের মতো লক্ষ্যমাত্রাগুলি অর্জন করার চেষ্টা করা হয়। সমাজ দ্বারা নির্ধারিত এ হেন সামাজিক আখ্যানগুলি আদালতের নিরপেক্ষতাকে কলঙ্কিত করতে এবং প্রধান বিচারবিভাগীয় ও আইনি সিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৮ সালের রায় দানের সময়ে এই বিষয়টি আদালতে উত্থাপিত হয় – যা ৩৭৭ ধারার দুর্বৃত্তায়নকে খারিজ করে – যেখানে আদালত বিবাহের পবিত্রতা, সামাজিক সমস্যা ইত্যাদির আকারে উপস্থাপিত আপত্তিগুলিকে খতিয়ে দেখে। তবে এই উদ্বেগের বিপরীতে বিভিন্ন গবেষণায় এ কথাই প্রমাণিত হয়েছে যে, সমকামী যুগলদের দ্বারা দত্তক নেওয়া শিশুরা আরও স্থিতিস্থাপক, মুক্তমনা এবং মানসিক ভাবে স্থিতিশীল হয়। এ পি এ-র কমিটি অন সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন অ্যান্ড জেন্ডার ডাইভারসিটি এবং কমিটি অন উইমেন ইন সাইকোলজি (সি ডব্লিউ পি) দ্বারা যৌথ ভাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

একই ভাবে সংবিধানের আর্টিকল ১৫ ভারতের যে কোনও ‘নাগরিক’ এবং বিশেষত ‘পুরুষ’ ও ‘মহিলাদের’ বিরুদ্ধে নয়, সমকামীদের তাঁদের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করে যৌনতার উপর ভিত্তি করে বৈষম্যকে খারিজ করে। আমাদের সংবিধানের আর্টিকল ২১-এর অধীনে সংরক্ষিত গোপনীয়তার অধিকারটি নিজেই পারিবারিক অধিকারগুলির আওতায় পড়ে: ‘গোপনীয়তার বিষয়টির মধ্যে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা, পারিবারিক জীবনের পবিত্রতা, বিবাহ… যৌন অভিমুখিতা’ অন্তর্ভুক্ত। আদালতগুলি সামাজিক নিয়ম নির্ধারণ এবং সংশোধন করার ক্ষেত্রে সামাজিক প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করে এবং এ ভাবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে অন্যান্য আদালত এবং সমাজকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। সাংবিধানিক প্রবিধানগুলির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ‘শিশু কল্যাণ’-এর গুণমান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সামাজিক আলোচনার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার দিকটিই নির্দেশ করে।

এলজিবিটিকিউ+ এবং দক্ষিণ এশিয়া

ইক্যুয়ালডেক্স-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের ৫০টি দেশে সমকামী যুগলদের আইনত দত্তক নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমগ্র এশিয়ার মধ্যে ইজরায়েলই এক মাত্র দেশ, যে এটির অনুমতি দিয়েছে। সমকামী যুগলদের দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আইনি সমতা-সহ দক্ষিণ আমেরিকা এ ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে, যেখানে মাত্র ২ শতাংশ সমতার হার থাকার দরুন এশিয়া সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। ৪০ শতাংশ আইনি সমতা নিয়ে ইউরোপ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং দত্তক গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সমকামী যুগলদের স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডেনমার্ক প্রথম স্থানে রয়েছে। পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী সেই কণ্ঠস্বর আজও প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। ২০২২ সালে স্লোভানিয়া একই পথ অনুসরণ করে।

৪০ শতাংশ আইনি সমতা নিয়ে ইউরোপ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং দত্তক গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সমকামী যুগলদের স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডেনমার্ক প্রথম স্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রসঙ্গে যোগজাকার্তা প্রিন্সিপল-এর প্রিন্সিপল ২৪-এ বলা হয়েছে যে, ‘যৌন অভিমুখিতা বা লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই পরিবার খুঁজে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ ২০০৬ সালে প্রকাশিত এই নীতিগুলি তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পন্থ বনাম নেপাল সরকারের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অফ নেপাল এবং নালসা বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কাজে লাগিয়েছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৬ সালে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’কে সম্পূর্ণরূপে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভুটান ২০২১ সালে সমকামিতাকে অপরাধমুক্ত করলেও আফগানিস্তান এবং মলদ্বীপের মতো দেশগুলিতে এখনও সমকামিতার জন্য মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে তুলনামূলক ভাবে আরও বেশি সংখ্যক আইন স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে এবং বিদ্যমান আইনগুলিকে সমস্ত এলজিবিটিকিউ+ যুগলদের ক্ষেত্রে সমান ভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্য সেই নজির স্থাপন করতে পারে যা ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য ডেনমার্ক স্থাপন করেছে। আইন ও কর্মী সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দ্বারা প্রদত্ত একটি কার্যকর পরামর্শ হল সংসদে একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনা এবং হিন্দু দত্তক ও রক্ষণাবেক্ষণ আইন এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন করা। এ বিষয়ে এমনকি সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি নোটিশ জারি করে সকলের জন্য সমান দত্তক ও অভিভাবকত্ব আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে।

আইন, আদালত, বিতর্ক এবং আলোচনা সমাজকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে এবং সামাজিক পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে। নভতেজ সিং জোহরের রায়ের আগে রূপান্তরকামী মানুষ এবং সমকামিতার স্বীকৃতি নিয়ে সমাজে মিশ্র মতামত থাকলেও এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের পরবর্তী সময়ে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলজিবিটিকিউ+ অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে সমান অধিকারের আহ্বান জানিয়ে আইনি ও বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পর সমলিঙ্গের যুগলদের দত্তক নেওয়ার বিষয়ে অন্তর্নিহিত সামাজিক গতানুগতিকতাগুলিকেও ধীরে ধীরে বর্জন করা যেতে পারে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.