Author : Sameer Patil

Expert Speak Raisina Debates
Published on Apr 16, 2022 Updated 13 Days ago

‘মিলন’-এর মতো বহুপাক্ষিক নৌ মহড়ায় ভারতের অংশগ্রহণ দেশের ক্রমবর্ধমান সফট মিলিটারি পাওয়ারকে দৃঢ় করে।

ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা কূটনীতি
ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা কূটনীতি

ভারতীয় নৌবাহিনী সবেমাত্র বিশাখাপত্তনমে দেশের বহুপাক্ষিক নৌ মহড়া ‘মিলন’ সম্পন্ন করেছে, যেখানে প্রথম বারের মতো মার্কিন নৌবাহিনী-সহ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি নৌবাহিনী অংশগ্রহণ করে। ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া এ বছর দু’টি পর্যায়ে পরিচালিত হয় — বন্দর পর্ব (২৫-২৮ ফেব্রুয়ারি) এবং সমুদ্র পর্ব (১-৪ মার্চ)। এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের মহড়া শুধু নৌবাহিনীকে পেশাদার সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম করেনি, বরং ভারতের সফট মিলিটারি পাওয়ার বা সহযোগিতামূলক সামরিক শক্তিকে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

মিলন মহড়ার অংশগ্রহণকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং মহড়ার জটিলতা পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের সম্প্রসারিত প্রতিরক্ষা কূটনীতির একটি অন্যতম প্রতীক। এই কূটনীতির মধ্যে রয়েছে উন্নততর নৌবাহিনীর মিথস্ক্রিয়া, বৃহত্তর সামরিক মহড়া এবং প্রতিরক্ষা রফতানির জন্য বর্ধিত প্রচেষ্টা। এর ফল স্বরূপ তারা অংশীদার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃকার্যক্ষমতার উন্নতি করেছে, অংশীদারিত্বের সূচনা এবং ভারতের জন্য কূটনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক

বিশেষত দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের প্রতিরক্ষা কূটনীতির নেপথ্যে মূল চালিকাশক্তি হল অঞ্চলটিতে চিনের নিরবচ্ছিন্ন আগ্রাসন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাত্রা জোরদার করেছে। তারাও চিনের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং তাদের সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারতের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা সম্পর্ক প্রসারণে আগ্রহ দেখিয়েছে।

মিলন মহড়ার অংশগ্রহণকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং মহড়ার জটিলতা পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের সম্প্রসারিত প্রতিরক্ষা কূটনীতির একটি অন্যতম প্রতীক।

উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশির ভাগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, তাইল্যান্ড এবং মায়ানমার এ বছরের মিলন মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া ১৯৯৫ সালে মহড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় নৌবাহিনী এই অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর কোমোদো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সাউথ-ইস্ট এশিয়া কোঅপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের মতো বহুপাক্ষিক মহড়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের সমর্থন জানায়। ভারত প্রতিরক্ষা রফতানিকে উদ্দীপিত করতে এবং চিনের মোকাবিলা করার জন্য এই সহযোগিতামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা তার প্রতিরক্ষা সরবরাহের সুগমতা বৃদ্ধি করে এই অঞ্চলে নিজের জায়গা তৈরি করতে সাহায্য করবে।

প্রতিরক্ষা রফতানি

ফিলিপিনসের সঙ্গে ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সাম্প্রতিকতম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি — যা এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম রফতানির অনুরোধ — ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য একটি আশীর্বাদস্বরূপ। এই চুক্তি অনুযায়ী ভারত ফিলিপিনস নৌবাহিনীকে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারির জোগান দেবে এবং পরে আরও অর্ডারের সম্ভাবনা আছে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানির জন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকায় অস্ত্র বিক্রির প্রচেষ্টা জোরদার করেছে, যেখানে মূলত চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির আধিপত্য বর্তমান। এই ধরনের প্রচেষ্টার ফলে ২০১৮-১৯ সালে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১০,৭৪৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যার পরিমাণ ২০১৪-১৫ সালে ছিল মাত্র ১,৯৪০.৬৪ কোটি টাকা (দ্রষ্টব্য সারণি ১)। যদিও পথ চলা এখনও অনেক বাকি।

সারণি ১: ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি

বছর প্রতিরক্ষা রফতানি (টাকা কোটিতে)
২০১৪-১৫ ১,৯৪০.৬৪
২০১৫-১৬ ২,০৫৯.১৮
২০১৬-১৭ ১,৫২১.৯১
২০১৭-১৮ ৪,৬৮২.৩৬
২০১৮-১৯ ১০,৭৪৫.৭৭
২০১৯-২০ ৯,১১৫.৫৫
২০২০-২১ ৮,৪৩৪.৮৪

সূত্র: প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, লোকসভা

অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তি প্রসারে এবং রফতানির পালে হাওয়া লাগাতে সরকার নানা পদক্ষেপ করার পাশাপাশি বিদেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলিতে অবস্থিত প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের ভূমিকাকেও শক্তিশালী করেছে। সংশ্লিষ্ট বাজারে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারত তাদের জন্য ৫০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ করেছে। সর্বোপরি এই বিক্রির বিষয়টিকে আকর্ষক করার জন্য সরকার মিত্র দেশগুলিতে তেজস যুদ্ধ বিমান এবং অ্যাস্ট্রা ক্ষেপণাস্ত্র-সহ একাধিক ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ সরঞ্জাম রফতানির অনুমতি দিয়েছে।

রফতানি ছাড়াও ভারত তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলিকে তাদের নৌ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরঞ্জাম দিয়েছে। এর মধ্যে মরিশাস (২০১৫), শ্রীলঙ্কা (২০১৮), মলদ্বীপ (২০১৯) এবং সেশেলেসকে (২০২১) সমুদ্রে টহলদারি জাহাজ, এবং সেশেলেসকে (২০১৩ এবং ২০১৮) দু’টি ডর্নিয়ার বিমান পাঠিয়েছে। ক্ষুদ্র হলেও এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে ভারত এই অঞ্চলের জন্য একটি ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার আশা করছে।

মানবিক সহায়তা

‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হল এই অঞ্চলে হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ (এইচ এ ডি আর) কার্যক্রম চালু করার ক্ষমতা। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের সুনামি, ২০১৫ সালে নেপালের ভূমিকম্প এবং ২০২০ সালে মাদাগাস্কারে বন্যার সময় দীর্ঘ দিন যাবৎ ভারত এইচ এ ডি আর কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি গত দশকে আই এন এস জলশ্ব পরিবহণ ডক এবং সি ১৭ পরিবহণ বিমানের মতো সরঞ্জাম সংগ্রহ ভারতীয় সেনাবাহিনীকে এই ধরনের কার্যক্রম চালানোর ক্ষমতা জুগিয়েছে।

এ ছাড়াও এই অঞ্চলে, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায়, চরমভাবাপন্ন জলবায়ু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রবণতা বাড়ানোর ফলে ভারত বিপর্যয় মোকাবিলা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে আন্তঃসহযোগিতার পথে হেঁটেছে। এইচ এ ডি আর কোয়াডের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মনোনিবেশের ক্ষেত্র হয়ে রয়েছে। তবে ভারত বিমস্টেক (বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) দেশগুলির সঙ্গে অতিমারির প্রেক্ষাপটে আকস্মিকতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য এ হেন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্যানেক্স-২১ অনুশীলনের মতো উদ্যোগ নিয়েছে।

ভারতের পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন

দীর্ঘ দিন যাবৎ পাকিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্ক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও ভারত বর্তমান পশ্চিম এশিয়ার রাজতন্ত্রগুলির সঙ্গে একটি স্বতন্ত্র অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। প্রতিরক্ষা কূটনীতি এই সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। যখন অঞ্চলটি অ্যাব্রাহাম অ্যাকর্ড এবং চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মতো যুগান্তকারী পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছে, তখন ভারত নৌবাহিনীর কার্যক্রমের উপরে জোর দিয়ে তার নিরাপত্তা সহযোগিতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ভারত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (জায়েদ তলওয়ার অনুশীলন), বাহরিন (মেরিটাইম পার্টনারশিপ এক্সারসাইজ) এবং সৌদি আরবের (আল-মোহেদ আল-হিন্দি অনুশীলন) সঙ্গে পর পর যৌথ নৌ মহড়া চালায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারত-সৌদি আরব মহড়া ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম যৌথ মহড়া। উভয় দেশেরই নিজ নিজ সেনাপ্রধানদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক আদান-প্রদান হয়েছে — ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে সে দেশে গিয়েছেন ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এবং সৌদি আরব ল্যান্ড ফোর্সেসের প্রধান কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাহদ বিন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল মুতাইর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম বার ভারতে এসেছেন।

এইচ এ ডি আর কোয়াডের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মনোনিবেশের ক্ষেত্র হয়ে রয়েছে। তবে ভারত বিমস্টেক (বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) দেশগুলির সঙ্গে অতিমারির প্রেক্ষাপটে আকস্মিকতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য এ হেন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্যানেক্স-২১ অনুশীলনের মতো উদ্যোগ নিয়েছে।

ওমান এই অঞ্চলে ভারতের সামরিক সক্রিয়তার নেপথ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত আদানপ্রদান ছাড়াও ওমান ভারতীয় নৌবাহিনীকে সরবরাহ ও সহায়তার জন্য ডুকম বন্দরে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। এটি ভারত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতিকে সহজতর করে তুলেছে, যেটি বহু বছর যাবৎ জলদস্যুদের কার্যকলাপের মূল কেন্দ্র ছিল। ইদানীং দস্যুবৃত্তির ঘটনা হ্রাস পেলেও মাদক পাচার এবং অবৈধ মাছ ধরার মতো অন্যান্য চ্যালেঞ্জও উঠে এসেছে, যা সামুদ্রিক নজরদারির দাবি রাখে।

আফগান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা

২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালিবান প্রশাসন ক্ষমতায় ফেরার পর ভারত আফগানিস্তানের অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির ফলে উদ্ভূত প্রতিকূল অবস্থা নিয়ন্ত্রণে তার অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধনী ভারত-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রিজিওনাল সিকিউরিটি ডায়লগ সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের বিস্তার রুখতে আফগান চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে ভারতীয় উদ্যোগকেই দর্শায়। এই লক্ষ্য অর্জনে ভারত আগ্রহী মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে যৌথ সন্ত্রাস-বিরোধী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসুক যা সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হিংসার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে ভারতীয় সামরিক প্রশিক্ষণ সংস্থা থেকে সদ্য পাশ করা ৮০ জন আফগান ক্যাডেটের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করেছে। নয়াদিল্লির তরফে এই আটকে পড়া ক্যাডেটদের ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন কর্মসূচির আওতায় এক বছর দীর্ঘ প্রশিক্ষণ কোর্স করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

উপসংহার

আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ফলে তৈরি হওয়া আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলার উপর মনোযোগ দেওয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক আগ্রাসনের মোকাবিলা করার সঙ্গে সঙ্গে ভারত আঞ্চলিক কূটনীতিকে রূপদান করতে তার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ক্রমশ কাজে লাগিয়েছে। এই সকল পদক্ষেপ ভারতকে একটি স্থিতিশীল সহযোগিতামূলক কর্মসূচি নির্মাণ এবং সমগ্র অঞ্চল জুড়ে অংশীদারিত্বের একটি আন্তর্জাল তৈরি করতে সাহায্য করছে৷ এই অংশীদারিত্বগুলি বজায় রাখার জন্য ভারতকে তার নৌবাহিনীর সঙ্গে অভিযানমূলক এবং লজিস্টিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.