Expert Speak Raisina Debates
Published on Mar 29, 2022 Updated 7 Days ago

একটি সুরক্ষাবলয় রূপে ‘কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ’-এর (সি এস সি) প্রাসঙ্গিকতা, সীমাবদ্ধতা এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলির অন্বেষণ।

ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নিরাপত্তাবলয়ের দিকে ধীর পদক্ষেপ

Source Image: Sajith T.S. — Flickr/CC BY-SA 2.0

ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নিরাপত্তাবলয়ের দিকে ধীর পদক্ষেপ

মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে ‘কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ’-এর (সি এস সি) ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসরদের (এন এস এ) পঞ্চম বৈঠকটি মরিশাসকে এক পূর্ণ সদস্য রূপে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও সেশেলসের পর্যবেক্ষক অবস্থান অব্যাহত রাখা হয়েছে যারা নির্দিষ্ট সময়ে সংযুক্ত হবে বলে আশা করা যায়। যেমনটা দেখা যাচ্ছে, ২০১১ সালে এটির সূচনা থেকে সতর্ক ভাবে ছোট ছোট পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে এই বহুদেশীয় আঞ্চলিক ব্যবস্থাটি বহু দূর এগিয়ে এসেছে এবং ২০২০ সালে পূর্ববর্তী কলম্বো অধিবেশনে ‘মেরিটাইম সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট’ থেকে ‘মেরিটাইম অ্যান্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট’-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম বদলের ঘটনা তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথাই তুলে ধরেছে।

সি এস সি-র আগে আঞ্চলিক সমীকরণের জটিলতার প্রেক্ষিতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন (আই ও আর) প্রতিবেশ অঞ্চলে অবশ্যম্ভাবী অনিবার্য কেন্দ্রাভিমুখী শক্তি হিসেবে ভারত কৌশলগত এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক রেখেছিল। সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন-এর (সার্ক) সনদ প্রতিশ্রুত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিকে দূরে সরিয়ে রাখার ব্যর্থতা নয়াদিল্লিকে, দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রিক বহুপাক্ষিক আয়োজন সম্পর্কে বিশেষ ভাবে চিন্তায় ফেলেছিল। কিন্তু ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগত বাস্তবতা অন্য কথাই বলে। কনক্লেভের অন্যান্য সদস্য এবং পর্যবেক্ষকের ক্ষেত্রেও এটিই সত্য। ভারত আগেও বলেছে যে, এই অঞ্চলে ‘প্রধান নিরাপত্তা প্রদানকারী’র ভূমিকা পালন করবে তারাই। এটি এমন একটি প্রতিশ্রুতি, যা তাকে রাখতে হবে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিটি শুধু মাত্র একটি ঐকমত্যযুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমেই রাখা উচিত ও সম্ভব, যেমনটা বর্তমান সি এস সি নির্দেশ করে।

ঐকমত্যই চাবিকাঠি

১৯৮৮ সালে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের বিরুদ্ধে ভাড়াটে সেনার নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের চেষ্টায় ইতি টানার আমন্ত্রণে ভারতের ‘অপারেশন ক্যাকটাস’ প্রথম সামরিক হস্তক্ষেপ। সেই পথে হেঁটেই ভারত-মলদ্বীপের দ্বি-বার্ষিক ‘দোস্তি’ কোস্ট গার্ড মহড়ার মাধ্যমে এই সব কিছুর শুরু। মূল উদ্দেশ্যে যেমনটাই ইঙ্গিত করা হয়ে থাকুক না কেন, ‘দোস্তি’ মহড়া মানবিক সাহায্য এবং সমুদ্র দূষণের মতো অপ্রচলিত নিরাপত্তা বিষয়গুলি কেন্দ্রিকই ছিল। শ্রীলঙ্কায় অব্যাহত জাতিগত যুদ্ধ দেশটির অন্তর্ভুক্তির পথে বিলম্ব ঘটিয়েছে এবং সি এস সি বর্তমানে অপ্রচলিত নিরাপত্তার ঊর্ধ্বে উঠে তার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে। যদিও আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির মতো প্রচলিত নিরাপত্তা সমস্যা এবং সহযোগিতাকে নাগালের মধ্যেই রাখা হয়েছে।

কিন্তু ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগত বাস্তবতা অন্য কথাই বলে। কনক্লেভের অন্যান্য সদস্য এবং পর্যবেক্ষকের ক্ষেত্রেও এটিই সত্য।

ভারতের বাইরে এটির বাস্তব সূচনা তখনই হয়েছিল যখন শ্রীলঙ্কায় ২০০৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যেমন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ এবং তার পূর্বসূরি রনিল বিক্রমসিংহে পারস্পরিক পরামর্শ ছাড়াই দেশের সাধারণ নিরাপত্তা অগ্রাধিকারগুলির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার ঐকমত্য উদীয়মান ভূ-কৌশলগত বাস্তবতা এবং ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়ের মতো গোষ্ঠীগুলি থেকে দেশটির দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এবং এ ভাবে দেশটি তার জলসীমা ও সীমানা-বহির্ভূত অঞ্চল থেকে বহিঃশক্তিগুলিকে দূরে রাখতে সমর্থ হয়েছে।

ভারত মহাসাগরকে একটি ‘শান্তির অঞ্চল’ রূপে প্রশংসা করা এবং ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রথম দশকে একই উদ্দেশ্যে প্রচার চালানোর দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অবস্থান বোধগম্য। তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে কলম্বো বৃহত্তর ভারতীয় প্রতিবেশের সঙ্গে একটি ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি’ করতে অনিচ্ছুক ছিল না। কিন্তু আবার ২০০৯ সালের শেষে জাতিগত যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান বদলে যায়।

রাজাপক্ষের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সমস্যা বিষয়ক টালমাটাল অবস্থার কথা জানানো হলেও যদিও ভারতীয় কৌশলগত সম্প্রদায়ের মধ্যে তা শোনার মতো কোনও শ্রোতা ছিল না এবং ভারতই অংশীদার হিসেবে তাদের একমাত্র বিকল্প ছিল। সেই সময় থেকে নয়াদিল্লিতে সরকারি ধারণার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। উন্নয়ন তহবিলের জন্য শ্রীলঙ্কার চিনকে বেছে নেওয়া, বিশেষ করে দক্ষিণের হাম্বানটোটা বন্দরে, যেটি কলম্বোয় ক্রমান্বয়ী সরকার দ্বারা বরাবরই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব ছিল, সেটিকে কেন্দ্র করেই ভারতীয় উদ্বেগগুলি গড়ে ওঠে। ভারত সঠিক ভাবেই বলেছিল যে প্রকল্পটি আর্থিক দিক থেকে লাভজনক হবে না, কিন্তু তা শ্রীলঙ্কাকে নিরুৎসাহ করতে পারেনি। কারণ এটি দ্বীপদেশটির জন্য তার ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত এক আবেগের বিষয় ছিল।

এমনকি সি এস সি ভারত প্ররোচিত সিদ্ধান্তও ছিল না। যদি কিছু ঘটে থাকে তবে তা এই যে, একই রকম যুক্তি এবং পথে হেঁটে শ্রীলঙ্কার একতরফা ঐকমত্য একটি অভিন্ন প্রতিবেশী মলদ্বীপকে জড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। ২০০৪ সালে মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কায় সুনামির পরে উদ্ধার ও পুনর্বাসন সহায়তা প্রদানে ভারতের হস্তক্ষেপ, ভারতের নিজস্ব ক্ষতির ঊর্ধ্বে উঠে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং যত দ্রুত সম্ভব ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করার মতো ঘটনা নয়াদিল্লির প্রতি তাদের আস্থার জন্ম দেয় এবং এটি ইন্ডিয়ান পিস কিপিং ফোর্সেস (আই পি কে এফ) দ্বারা একটি স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি/ ঘাঁটির নির্মাণের সন্দেহের নিরসন ঘটায়।

ভারত বরাবরই বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমিক বিপর্যয়কর ঘূর্ণিঝড়ের পরে এবং নেপালে ধ্বংসাত্মক ‘হিমালয়ান ভূমিকম্প’-এর পরে দেশগুলিকে সাহায্যের জন্য ছুটে গেছে। যদিও সেগুলি সবই দ্বিপাক্ষিক আয়োজন ছিল। এর উলটো দিকে দাঁড়িয়ে ২০১৯ সালের জঘন্য ‘ইস্টার সিরিয়াল ব্লাস্টস’কে কেন্দ্র করে ভারতের তরফে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইন্টেলিজেন্স তথ্য ভাগ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সি এস সি উদ্যোগ না দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা থেকেছে, যেমনটা সাধারণ জলভাগে বৃহৎ মাত্রার মাদক পাচার বন্ধ করতে ত্রিদেশীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে।

ভারতের পুকুর

যাকে এখন ন্যায়সঙ্গত ভাবে ‘ভারতের পুকুর’ বলা যেতে পারে, সেটির ভারতীয় সূচনা হয়েছিল যখন বিদেশমন্ত্রক (এম ই এ) একটি পৃথক আই ও আর বিভাগ তৈরি করে, যার লক্ষ্য ছিল মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার মতো নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া। পরে এই তালিকায় মরিশাস এবং সেশেলসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৯ সালে মরিশাস এবং সেশেলস-সহ ভারত মহাসাগরের ‘মুখ’ গঠনকারী কোমোরোস, মাদাগাস্কার এবং ফ্রেঞ্চ রিইউনিয়ন দ্বীপকে আই ও আর বিভাগের কার্যভারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

উন্নয়ন তহবিলের জন্য শ্রীলঙ্কার চিনকে বেছে নেওয়া, বিশেষ করে দক্ষিণের হাম্বানটোটা বন্দরে, যেটি কলম্বোয় ক্রমান্বয়ী সরকার দ্বারা বরাবরই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব ছিল, সেটিকে কেন্দ্র করেই ভারতীয় উদ্বেগগুলি গড়ে ওঠে।

কোমোরোস এবং মাদাগাস্কারের সি এস সি-তে যোগদানের বিষয়ে বর্তমানে কেউ কথা বলছে না। তবুও আন্দামান ও লক্ষদ্বীপ সাগরের উভয় পার্শ্বে ভারতের বর্ধিত ভূখণ্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে এবং মাঝে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ মার্কিন ডিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটির (রিইউনিয়নের উপর ফরাসি সার্বভৌমত্বও উল্লেখযোগ্য) অবস্থানের ফলে একটি নিরাপত্তা বলয় আকার নিচ্ছে যা ‘পুকুর’টিকে রক্ষা করবে। এই বাস্তবতার কথা গুণগ্রাহী এবং প্রতিপক্ষ… কেউই অনুমান করেননি। যদিও এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ অঞ্চল বহির্ভূত শক্তিগুলিকে জড়িয়ে ফেলা সি এস সি-র মূল ধারণার ক্ষতি করতে পারে।

তবুও মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়াড, এমনকি অউকাসেরও বিপরীতে হেঁটে, সি এস সি আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য সীমিত সুযোগ ও লক্ষ্য-সহ একটি আঞ্চলিক উদ্যোগ হিসেবেই রয়ে যাবে, যেমনটা সাধারণ ভাবে মেনে নেওয়া সনদ এবং পরিকল্পনা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যদি সদস্যপদ বা এজেন্ডা সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়, তবে তা শুধু মাত্র সার্বভৌম দেশগুলির সঙ্গে জড়িত ঐকমত্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করা হবে। এই গোষ্ঠীর বৃহত্তম দেশ ভারত-সহ সদস্য দেশগুলি বিষয়টির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ভাল মতো ওয়াকিবহাল এবং তাদের মধ্যে এক বা একাধিক দেশ যদি নির্দিষ্ট কর্মসূচির সুযোগের বাইরে বেরিয়ে যায়, তবে সম্পূর্ণ পতনের সম্ভাবনার দিকটি সম্পর্কেও তারা সজাগ।

সম্পদের ঘাটতি

ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী ক্রমপরিবর্তনশীল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ছাড়াও, আই ও আর এবং অন্যত্র ছোট দেশগুলি তাদের সম্পদের উপর চাহিদা পূরণে নিজেদের অসহায় এবং নিরুপায় বলে মনে করে। এ ক্ষেত্রে মলদ্বীপের ঘটনা উল্লেখ্য। একবিংশ শতাব্দীর নিরাপত্তা দৃষ্টান্তের চাহিদা পূরণে অপ্রতুলতার দিক থেকে অন্য দেশগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।

উপস্থাপক হিসেবে মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া দিদি ২০২২ সালের ৯ মার্চ মালে অধিবেশনে তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘দেশের ভূখণ্ডের ৯৭.৫ শতাংশ সমুদ্র দ্বারা গঠিত।’ যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা উল্লেখ করেননি যে, দেশটি শুধু মাত্র অর্থনৈতিক পুঁজির অভাবেই নয়, মুক্ত সমুদ্রে এ হেন বিশাল অঞ্চল যা আকাশের দিকেও উন্মুক্ত, তাকে সুরক্ষিত রাখার মতো মানব সম্পদেরও ঘাটতির সঙ্গেও যুঝছে। একটি সাম্প্রতিক সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী শহর মালেতে জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, যেখানে দেশের ৪,৫০,০০০ জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ বাস করে। তাই বাহ্যিক সহায়তা অনিবার্য হয়ে ওঠে।

এই গোষ্ঠীর বৃহত্তম দেশ ভারত-সহ সদস্য দেশগুলি বিষয়টির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ভাল মতো ওয়াকিবহাল এবং তাদের মধ্যে এক বা একাধিক দেশ যদি নির্দিষ্ট কর্মসূচির সুযোগের বাইরে বেরিয়ে যায়, তবে সম্পূর্ণ পতনের সম্ভাবনার দিকটি সম্পর্কেও তারা সজাগ।

এখানেই সামগ্রিক ভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সম্পৃক্ততা মোটের উপর পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন দ্বারা পরিচালিত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বারা ভুল ভাবে ব্যাখ্যায়িত হচ্ছে, যিনি বিশেষ করে ভারতীয় সামরিক উপস্থিতির কথা দর্শিয়ে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারের সূচনা করেন। মন্ত্রী মারিয়া দিদি এবং তাঁর সরকার স্পষ্টতই এই প্রচারের কথা অস্বীকার করেছেন, যা অধিকাংশ ভাগই অপ্রমাণিত থেকে গিয়েছে। একই ধরনের ভারত-বিরোধী মনোভাব বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতেও দেখা গিয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৭৪) — যাঁর এখনও পর্যন্ত উত্তরাধিকারী, এমনকি প্রতিপক্ষও নেই — ভবিষ্যতে ‘নেতৃত্বের শূন্যতা’কে একটি প্রকৃত সম্ভাবনা করে তুলছেন।

তবুও গোষ্ঠীর অঘোষিত নেতা হিসেবে ভারতের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে সি এস সি নিরীক্ষণ ভবিষ্যতেও ব্যর্থ না হয়, সে বিষয়ে মুক্তমনা হওয়া যায়। যেমন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালে মলদ্বীপে ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ত্রিদেশীয় এন এস এ বৈঠকগুলি অধিকাংশ সময়েই স্থগিত ছিল। এটি সি এস সি ব্যবস্থার সর্বাপেক্ষা পরীক্ষামূলক এবং জটিল অংশ হতে চলেছে এবং দ্বিপাক্ষিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার (কেবল মাত্র) মাধ্যমে এই ধরনের সাময়িক অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনগুলিকে অতিক্রম করা বর্তমান প্রকল্পের দীর্ঘায়ু এবং সাফল্য নির্ধারণ করবে। এমনটা হলে ভবিষ্যতের দিকে আত্মবিশ্বাস, ধারাবাহিকতা এবং বর্তমান লক্ষ্যের ঊর্ধ্বে উঠে ক্রমান্বয়ী লক্ষ্যগুলি অর্জনের পথে এগোনো সম্ভব হবে এবং ‘অঞ্চল বহির্ভূত’ শক্তিগুলির সাহায্য ছাড়াই অভিন্ন জলরাশি সুরক্ষিত রাখা যাবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.