Published on Apr 30, 2024 Updated 0 Hours ago

চিন–রাশিয়া জৈবপ্রযুক্তি সহযোগিতা, যা ফার্মাসিউটিক্যালস ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর কৌশলগত নজরের কারণে উদ্দীপ্ত হয়েছে, তা বিশ্বায়নের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে

চিন–রাশিয়া জৈব-প্রযুক্তি সহযোগিতার বিশ্বব্যাপী প্রভাব

২০১৯ সালে চিন ও রাশিয়া বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিতে তাদের সহযোগিতা শক্তিশালী করে। এই সহযোগিতা, যার সূত্রপাত ১৯৯০–এর দশকে তা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফের জোরদারভাবে শুরু করেন তাঁর রাশিয়া সফরের আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে। ২০২১ সালে রাশিয়া ও চিন তাদের চন্দ্র গবেষণা ও অন্বেষণের পথনির্দেশিকা প্রকাশ  করেছিল। এই দুই দেশের সহযোগিতার মধ্যে রিমোট সেন্সিং, স্পেস ফ্লাইট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ইলেকট্রনিক উপাদান এবং মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত। পারমাণবিক প্রযুক্তি ও জ্বালানি সহযোগিতায় দুই দেশ সপ্তম ও অষ্টম বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। চিনের জুদাবাও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের তিয়ানওয়ান পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের তৃতীয় ও চতুর্থ পাওয়ার ইউনিটগুলি ২০২১ সালের মে মাসে চালু করা হয়েছিল। উপরন্তু, দেশগুলি বেজিং, সাংহাই ও তিয়ানজিন রুটে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য একটি আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


এই দুই দেশের সহযোগিতার মধ্যে রিমোট সেন্সিং, স্পেস ফ্লাইট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ইলেকট্রনিক উপাদান এবং মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত।



এর অতিরিক্ত, রাশিয়ান ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও চায়না ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন তৈরি করেছিল
রাশিয়া–চিন বিনিয়োগ তহবিল। চিন ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার এই ক্ষেত্রটিতে আসন্ন তহবিল ও বিনিয়োগের বেশিরভাগই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ–এর নামে করা হয়, যা জীববিদ্যা, বস্তুগত বিজ্ঞান ও মহাকাশ অনুসন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাকেন্দ্রগুলিতে গবেষণার প্রসার ঘটাচ্ছে৷ সহযোগিতার এই ইতিহাস বায়োটেকনোলজি ক্ষেত্রের দিকে একটি কৌশলগত মিলনের ভিত্তিতে ঘটছে, কারণ উভয় দেশ শুধুই তাদের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি নয়, বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক ভূচিত্রকে নতুন আকার দেওয়ার জন্য এই ক্ষেত্রের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়।

চিন–রাশিয়া জৈব-প্রযুক্তি সহযোগিতার বহুমুখী মাত্রা রয়েছে, যার মধ্যে পড়ছে এর ঐতিহাসিক শিকড়, সুদূরপ্রসারী প্রভাব, বাধা এবং সম্ভাব্য পরিণতি, যার মধ্যে আবার জৈব-যুদ্ধ ও জৈব নিরাপত্তার উপর এর প্রভাব রয়েছে।

চিন তার মেড ইন চায়না ২০২৫ কৌশলে
উদ্ভাবনী ওষুধসহ বায়োটেক লক্ষ্যগুলির রূপরেখা দিয়েছে। একইভাবে, রাশিয়া তার ফার্মা ২০৩০ কৌশলটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করেছে৷ এই কৌশলটির লক্ষ্য ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের উৎপাদন ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি করা।

এই সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি হল জেনেটিক্স ও জিনোমিক্স। উভয় দেশের মধ্যে বিপুল জিনগত বৈচিত্র্য বিভিন্ন রোগের জটিল জেনেটিক ভিত্তিকে উন্মোচন করার জন্য যৌথ গবেষণার একটি অভূতপূর্ব প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। তাদের বিশাল সম্পদ, বিস্তৃত ডেটাসেট ও বৈজ্ঞানিক দক্ষতা একত্র করে চিন ও রাশিয়া জিনোমিক গবেষণার গতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে, এবং ব্যক্তিগতকৃত ওষুধ ও রোগ প্রতিরোধের উদ্ভাবনী পদ্ধতির পথ তৈরি করতে পারে। এটি তাদের জনসংখ্যা এবং বিস্তৃত
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সেবা এবং জৈবপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের ভূচিত্রের উপর প্রভাব ফেলে।


উভয় দেশের মধ্যে বিপুল জিনগত বৈচিত্র্য বিভিন্ন রোগের জটিল জেনেটিক ভিত্তিকে উন্মোচন করার জন্য যৌথ গবেষণার একটি অভূতপূর্ব প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।



গত এক দশকে উভয় দেশেরই জৈব-প্রাযুক্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, চিনের জৈবপ্রযুক্তির বাজারমূল্য ২০২১ সালের হিসাবে প্রায়
৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইভাবে, রাশিয়াও জৈবপ্রযুক্তিতে গবেষণা এবং বাজার বিনিয়োগ সম্প্রসারণ শুরু করেছে, বিশেষ করে তাদের  সার্স–কোভ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ৫–এর আবির্ভাবের পর থেকে। যদিও রাশিয়ার বাজার এখনও অন্যান্য বৃহত্তর অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো করে সম্প্রসারিত হতে পারেনি, চিনের সঙ্গে এর সহযোগিতা এই ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে।

তাদের জাতীয় বায়োটেক শিল্পে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া ও চিন জৈবপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে; এবং এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ান কোম্পানি বায়োক্যাড ও চিনা প্রস্তুতকারক সাংহাই ফার্মাসিউটিক্যালস হোল্ডিং-এর (এসপিএইচ) চিনের বাজারে ওষুধের বাণিজ্যিকীকরণে সহযোগিতা। এই উদ্যোগটি
উল্লেখযোগ্য তহবিল পেয়েছে:‌ এসপিএইচ এনেছে ৫০.১% এবং বায়োক্যাড ৪৯.৯%।


বিশ্বব্যাপী প্রভাব

তবে চিনা ও রুশ বায়োটেক কর্মসূচির প্রসার এবং তাদের সহযোগিতা অন্যান্য দেশে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বায়োডিফেন্স পোস্টার রিভিউ ২০২৩–এ বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) সহ অনেক দেশ এদের ‘‌অনির্ভরযোগ্য তথ্য’‌–এর কারণে নজর রাখার যোগ্য দেশ (‌কান্ট্রিজ টু মনিটর)‌ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে
ন্যাশনাল বায়োডিফেন্স স্ট্র‌্যাটেজি অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন প্ল্যান এবং এর বায়োডিফেন্স পসচার রিভিউ ২০২৩ প্রকাশ করেছে। ২০২৩ বায়োডিফেন্স পসচার রিভিউ জৈব প্রতিরক্ষার জন্য একটি জৈব নিরাপত্তা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। একইভাবে, ব্রিটেন একটি  জৈব নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করেছে, যেখানে এভিয়ান ফ্লু বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি কেস স্টাডিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত উদ্বেগের বাইরে, ভারতের বায়োসেফটি ম্যানুয়াল ফর পাবলিক সেফটি ল্যাবরেটরিজ –সহ এই কৌশলগুলি জৈব যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, এবং অ–প্রতিবেদিত কার্যকলাপ বা অ–রাষ্ট্রীয় কুশীলবদের মোকাবিলা করা ও জৈব সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার তাৎপর্যকে চিহ্নিত করে। 

ব্রিটেন একটি জৈব-নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করেছে, যেখানে এভিয়ান ফ্লু বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত একটি কেস স্টাডিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।



অতিমারির উদ্বেগ এবং ভবিষ্যতের অতিমারির সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের জৈব প্রযুক্তিতে সরে যাওয়ার বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে
ইউরোপীয় ইউনিয়নআফ্রিকা-সহ অন্য অঞ্চলগুলিও জৈব সুরক্ষা ও জৈব নিরাপত্তা কৌশলগুলিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

জৈব সুরক্ষা ও জৈব নিরাপত্তা আগামী দশকে জাতি–রাষ্ট্রগুলির জন্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে, এবং সেই কারণে অনেকেই তাদের কৌশলগুলিতে এই ক্ষেত্রগুলিকে তুলে ধরছে৷ যাই হোক, অবিশ্বস্ত বলে দায়ী করা দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার সময়ে এই কৌশলগুলিকে অবশ্যই ভুল তথ্য ও অসৎ উদ্দেশ্যের প্রতিক্রিয়ার কথাও বিবেচনা করতে হবে।


চিন–রাশিয়া সহযোগিতার প্রতিক্রিয়া

জৈবযুদ্ধের সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলায় কৌশলগুলি যথেষ্ট নয়, এবং বৃহত্তর অর্থনীতিগুলির সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জৈব সন্ত্রাসবাদী হুমকি সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও প্রশমিত করার জন্য উন্নততর কৌশল বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। জেনেটিক্স ও বায়োটেকনোলজিতে তাদের সম্মিলিত দক্ষতা সম্ভাব্য জৈব যুদ্ধের এজেন্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা, উন্নত ডায়াগনস্টিকস এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করার সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এই ধরনের সহযোগিতা চিন–রাশিয়া সহযোগিতা, অ–রাষ্ট্রীয় কুশীলবদের হুমকি, এবং ভবিষ্যতের অতিমারি সম্পর্কে কৌশল, প্রয়োগ ও উদ্বেগের সমাধান করতে পারে।

জৈবপ্রযুক্তি প্রসারণ ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক জোট তৈরি করা হলে তা চিন–রাশিয়া সহযোগিতার সম্ভাবনাকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী উন্নয়নকে বাধা না–দিয়েও অন্যান্য অর্থনীতির চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেবে। এই ধরনের জোট কোয়াড (চতুর্পক্ষীয় কৌশলগত জোট — ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্র) বা আই২ইউ২ (ভারত, ইজরায়েল, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)‌–এর মতো বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের অধীনেও গড়ে উঠতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন উন্নয়নে সহযোগিতামূলক অগ্রগতির সঙ্গে বিশ্ববাজারে ভারতের অগ্রগতি দেখেছি। একইভাবে প্রসারিত ডায়াগনস্টিকস ও নজরদারি প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও প্রস্তুতির সম্ভাবনার সাক্ষ্য দেয়। তারা গ্লোবাল সাউথ ও উঠে–আসা অর্থনীতিগুলিকে রাশিয়া ও চিনের মতো অর্থনীতিগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে।


জৈবপ্রযুক্তি প্রসারণ ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক জোট তৈরি করা হলে তা চিন–রাশিয়া সহযোগিতার সম্ভাবনাকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী উন্নয়নকে বাধা না–দিয়েও অন্যান্য অর্থনীতির চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেবে।



চিন–রাশিয়া জৈব-প্রযুক্তি সহযোগিতার যাত্রা চ্যালেঞ্জিং, বিশেষ করে জৈব যুদ্ধের প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়ার প্রেক্ষিতে। ভূ–রাজনৈতিক বিবেচনা, চিকিৎসা উদ্ভাবন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা, এবং
নিয়ামক সমন্বয়ের জটিলতাগুলির মধ্যে দিয়ে ঠিকভাবে এগিয়ে চলা প্রয়োজন। এই সহযোগিতার সাফল্য বজায় রাখার জন্য দ্বিপাক্ষিক/ত্রিপক্ষীয় স্তরে অন্যান্য দেশের মধ্যে আরও বিশ্ব–অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, পারস্পরিক বিশ্বাস, ন্যায়সঙ্গত সম্পদ বরাদ্দ এবং বন্ধুত্বের পরিবেশে জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া প্রয়োজন।


উপসংহার
কোভিড–১৯ অতিমারি চলাকালীন সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি উদীয়মান সংক্রামক রোগ এবং জৈব সন্ত্রাসবাদী হুমকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার জরুরি প্রয়োজন ও কার্যকারিতা তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ করেছে যে সহযোগিতামূলক আন্তঃসীমান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত ভ্যাকসিনের বিকাশ ও বিতরণ অর্জন করা যায়। যৌথ উদ্যোগগুলি বায়োফার্মাসিউটিক্যালস, পুনরুৎপাদনকারী ওষুধ, বায়োইনফরমেটিক্স এবং জৈব যুদ্ধের প্রস্তুতিতে অগ্রগতি অর্জনের জন্য তৈরি।


আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ করেছে যে সহযোগিতামূলক আন্তঃসীমান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত ভ্যাকসিনের বিকাশ ও বিতরণ অর্জন করা যায়।



চিন–রাশিয়া জৈবপ্রযুক্তি সহযোগিতা, যা ফার্মাসিউটিক্যালস, মহাকাশ, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও বিআরআই অ্যাপ্লিকেশনের উপর কৌশলগত দৃষ্টির কারণে উদ্দীপ্ত হয়েছে, তা বিশ্বায়নের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ তৈরি করেছে।
জৈব যুদ্ধ  প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বৈজ্ঞানিক অংশীদারিত্বের বিকশিত ভূচিত্র ও ভূ–রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতীক। জেনেটিক্স, জিনোমিক্স, স্বাস্থ্যসেবা ও জৈবযুদ্ধ প্রস্তুতিতে তাদের পরিপূরক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে চিন ও রাশিয়া জৈবপ্রযুক্তি শিল্পের রূপরেখা নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ফলাফলে বিপ্লব ঘটাতে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে, এবং বিশ্ব–নিরাপত্তা বাড়াতে প্রস্তুত। যেহেতু তারা নিখুঁতভাবে চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করে এগিয়ে চলে এবং সামনে থাকা সুযোগগুলিকে কাজে লাগায়, ভারত–সহ অন্য নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিগুলিকেও জৈবপ্রযুক্তিতে তাদের বৃদ্ধিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব–বাজারগুলিকে সক্রিয় করতে হবে৷



শ্রবিষ্ঠ অজয়কুমার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ‌অ্যাসোসিয়েট ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.