ভারত ১ ডিসেম্বর ২০২২ সাল থেকে জি২০ প্রেসিডেন্সিতে রয়েছে। কোভিড–১৯ অতিমারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, রাশিয়া–ইউক্রেন ভূ–রাজনৈতিক উত্তেজনা, এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভারত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। দেশটি জি২০ প্ল্যাটফর্মের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বহুপাক্ষিকতাকে উৎসাহিত করেছে, এবং আন্তর্জাতিক আলোচনার প্রক্রিয়াগুলিকে পুনর্নির্মাণ করে ও গ্লোবাল সাউথের জন্য স্থিতিশীল উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিশ্বায়নকে উন্নত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে৷
২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক ও ব্যাঙ্কিং সঙ্কট একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসাবে চিহ্নিত, যা প্রথম জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দিকে নিয়ে যায়।
মূলত বিশ্বব্যাপী আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নীতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীদের ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির গভর্নরদের একটি গ্রুপ হিসাবে গঠিত জি২০ ১৯৯৭ সালের আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ১৯৯৯ সালে আবির্ভূত হয়। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক ও ব্যাঙ্কিং সঙ্কট একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসাবে চিহ্নিত, যা প্রথম জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দিকে নিয়ে যায়। জি২০ এখন দারিদ্র্য ও অসমতা, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও ঋণ ত্রাণকে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাপকতর ক্ষেত্রের সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করে, যেগুলি সবই রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অ্যাজেন্ডা ২০৩০–এর বিস্তৃত ছত্রছায়ার মধ্যে পড়ে৷
বসুধৈব কুটুম্বকম: ভারতের জি২০ মুহূর্ত
পশ্চিমী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ক্রমবর্ধমান জাল উদীয়মান অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে, এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, যা খাদ্য ও শক্তির দামের সীমার বাইরেও প্রসারিত। এই চাপগুলি কোভিড–১৯ অতিমারি থেকে উদ্ভূত ক্রমাগত ব্যাঘাত ও বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে জটিল হয়ে উঠেছে। এই পটভূমিতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের তাৎপর্য অতুলনীয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রণীত নীতিগত সিদ্ধান্ত ও কৌশলগুলি বিশ্বব্যাপী অনুরণিত হচ্ছে, এবং তা এই কারণে যে জি২০ সদস্য দেশগুলি সম্মিলিতভাবে নির্ণায়ক প্রভাব ফেলে। এই দেশগুলির অবদান বিশ্বের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ৮০ শতাংশের বেশি, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ, এবং বিশ্ব জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ।
এই প্রেক্ষাপটে শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকা বহুমুখী। ভারতের প্রেসিডেন্সি এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলির জটিল ভূচিত্রের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং জি২০–র সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে স্থিতিশীল উন্নয়নের তিনটি স্তম্ভের দিকে চালিত করার জন্য উপযুক্ত ছিল: মানুষ, গ্রহ ও সমৃদ্ধি। ভারতের লক্ষ্য শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, জলবায়ু অর্থায়ন এবং ঋণ শাসনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অতিমারি-পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা, কারণ দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে চায়।
চিত্র ১: ভারতের এসডিজি সূচক স্কোর (১০০–র মধ্যে), ২০১৫ – ২০২২
সূত্র: সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়র্ক
ক) এক পৃথিবী: জলবায়ু অর্থায়ন
ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকারী হলেও উন্নত অর্থনীতির তুলনায় মাথাপিছু অনেক কম নির্গমনকারী। ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু ১৫.৫ টন ও রাশিয়ার ১২.৫ টন এর বিপরীতে ভারত জনপ্রতি ১.৯ টন সিওটু নির্গত করেছে। ২০৭০ সালের মধ্যে নেট–শূন্য নির্গমন অর্জন সম্ভাব্যভাবে ভারতের জিডিপি–কে ২০৩৬ সালের মধ্যে বেসলাইন বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে ৪.৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার পরিমাণ ৩৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই সম্ভাবনা পূরণ করতে এবং আর্থিক সুবিধাগুলির ফয়দা তুলতে ভারতকে জি২০–র মতো মঞ্চ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে হবে, বিশেষ করে আর্থিক বাধাগুলি৷
২০৭০ সালের মধ্যে নেট–শূন্য নির্গমন অর্জন সম্ভাব্যভাবে ভারতের জিডিপি–কে ২০৩৬ সালের মধ্যে বেসলাইন বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে ৪.৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার পরিমাণ ৩৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ভারত একটি ‘পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রকল্প তহবিল’ প্রতিষ্ঠার জন্য তার প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে জোরাজুরি করতেও প্রস্তুত, যে তহবিলে অনুন্নত দেশগুলিতে সবুজ উদ্যোগের অর্থায়নের জন্য ধনী দেশগুলি জিডিপির এক শতাংশ বরাদ্দ করবে৷ উপরন্তু, সবুজ হাইড্রোজেনের উৎপাদন ও ব্যবহারকে উন্নীত করার জন্য জি২০ দেশগুলির মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা তৈরি করার কথা ভারতকে অবশ্যই বলে যেতে হবে।
খ) এক পরিবার: মানব পুঁজির অগ্রগতি
অতিমারিটি জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালীকরণে সহযোগিতা কতটা জরুরি তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের জন্য একটি বৈশ্বিক তহবিল প্রতিষ্ঠা করা এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য মান ও পদ্ধতি নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা, যার জন্য ভারত চাপ দিতে পারে। উপরন্তু, ডিজিটাল সমাধানগুলি স্বাস্থ্য ও সুস্থতার লক্ষ্য অর্জনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য রেকর্ডগুলির ডিজিটাইজেশন এবং আন্তঃকার্যযোগ্যতা, যার উদাহরণ ভারতের কো–উইন ও কন্ট্যাক্ট–ট্রেসিং অ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি, দক্ষ যত্ন প্রদানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জি২০ বিশ্বব্যাপী যে অংশীদারিত্বগুলি তৈরি করতে পারে, সেগুলি স্বাস্থ্যঝুঁকি ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতির কারণে বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের জন্য একটি বৈশ্বিক তহবিল প্রতিষ্ঠা করা এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য মান ও পদ্ধতি নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা, যার জন্য ভারত চাপ দিতে পারে।
২০২৩ সালের গোড়ার দিকে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চিনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান তরুণ জনসংখ্যা একটি স্বতন্ত্র প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা উপস্থাপন করলেও কর্মসংস্থানের সুযোগে এখন যে অভাব রয়েছে তা একটি চ্যালেঞ্জও তৈরি করে। এসডিজি লক্ষ্য ৮, ‘শালীন কাজ ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি’, প্রধানত একটি জাতীয় পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ হিসাবে গণ্য হয়। ফলস্বরূপ, ভারত তার প্রেসিডেন্সি অ্যাজেন্ডাকে একটি ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অতিমারি–উত্তর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং জি২০–র সহায়তাপুষ্ট বহুপাক্ষিক সহযোগিতার উপর কেন্দ্রীভূত করবে বলে প্রত্যাশিত, যার জন্য দক্ষতায়ন ও অন্যান্য মানব পুঁজির অগ্রগতির জন্য জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কার্যকর সম্প্রসারণের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী আর্থিক ও মুদ্রানীতিগত সহায়তা ব্যবস্থার বিকাশের উপর জোর দেওয়া হবে।
গ) এক ভবিষ্যৎ: অতিমারি–উত্তর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত অতিমারি–উত্তর পুনরুদ্ধার ভারতের অগ্রাধিকারের অগ্রভাগে রয়েছে। জি২০–র মুখোমুখি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সার্বভৌম ঋণ সংকটের তরঙ্গ এড়ানো, যা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা এবং এসডিজি অনুসরণ উভয়কেই বিপন্ন করতে পারে। এ পর্যন্ত ঋণ ত্রাণে জি২০–র প্রচেষ্টাগুলি পরিমিত ফলাফল দিয়েছে। ২০২০ সালের মে মাসে চালু করা ডেট সার্ভিস সাসপেনশন ইনিশিয়েটিভ (ডিএসএসআই)–এর মাধ্যমে নিম্ন–আয়ের দেশগুলির (এলআইসি) জন্য আনুষ্ঠানিক পাওনাদারদের প্রায় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিষেবা প্রদান অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, প্যারিস ক্লাবের সহযোগিতায়, কেস–বাই–কেস ভিত্তিতে সরকারি ঋণ পুনর্গঠন করার জন্য কমন ফ্রেমওয়ার্ক (সিএফ) প্রতিষ্ঠিত হয়। দুঃখের বিষয় হল চাদ, ইথিওপিয়া ও জাম্বিয়া নামে মাত্র তিনটি দেশ যারা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছে।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা–সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ)–এর মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা থেকে ঋণ ত্রাণের উপর নির্ভর করেছে। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাদের অর্থনীতিকে একীভূত করার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের নীতিগুলি নিয়ে এগনোর সময় এই দেশগুলি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, যার জন্য বাইরের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন পড়েছে। যেমন, শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালে একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ে, যা এর বিদেশি আর্থিক সহায়তার উপর নির্ভরতা তুলে ধরে। অন্যদিকে, পাকিস্তান আর্থিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় কয়েক বছর ধরে একাধিক আইএমএফ বেলআউট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলকভাবে ভাল জায়গায় থাকলেও বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা পরিচালনা করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছ থেকে ঋণ ও সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা–সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ)–এর মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা থেকে ঋণ ত্রাণের উপর নির্ভর করেছে।
আইএমএফের সঙ্গে এই সম্পৃক্ততাগুলি দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলির অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে চিহ্নিত করে। ভারত এই দেশগুলির বেশিরভাগের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সম্পর্ক–সহ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ায় তার গুরুতর ঋণ সংকটে জর্জরিত দেশগুলিতে সামাজিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকিগুলিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। অতএব, ঋণ-সমস্যা মোকাবিলা করা জি২০–র রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডায় একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত, এবং তার পাশাপাশি আইএমএফ–এর শাসন ও কোটা কাঠামো বড় করার আবশ্যিকতা রয়েছে।
জি২০–র ইন্ডিয়ান প্রেসিডেন্সি ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে নয়াদিল্লিতে নির্ধারিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সঙ্গে শেষ হয়েছে। বহুপাক্ষিক চ্যালেঞ্জ দ্বারা চিহ্নিত একটি যুগে গভীরভাবে বিভক্ত বহুমেরুবিশিষ্ট বিশ্বে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল ভারতের কাঁধে। ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নের আখ্যান প্রচার করা, এবং জি২০–র অ্যাজেন্ডা চালনা করার জন্য বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসাবে এর মর্যাদাকে ব্যবহার করার একটি সুযোগ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়ে ভারতের ভূমিকা বিশ্ব শাসনের গতিপথকে রূপ দিয়েছে, যা সমসাময়িক বিশ্বের বহুমুখী চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে সম্মিলিত পদক্ষেপের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।
সৌম্য ভৌমিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন সহযোগী ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.