Published on Apr 06, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারত ও চিনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে শ্রীলঙ্কা সমস্ত বিদেশি গবেষণা জাহাজের উপর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বিদেশি গবেষণা জাহাজের উপর শ্রীলঙ্কার স্থগিতাদেশের মর্মোদ্ধার

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এক বছরের জন্য বিদেশি গবেষণা জাহাজের উপর ‘স্থগিতাদেশ ঘোষণাবিষয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তটি উদার প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পশ্চিমী ব্লকের নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের একটি প্রচেষ্টা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেও বিশেষ করে মানবাধিকারের বিষয়ে দ্বীপদেশটির উপর মোটেই সন্তুষ্ট নয়। অর্থাৎ এই বিষয়টির নিহিতার্থ হল এই যে, বেজিং চাইলেও চিনের তৃতীয় গবেষণা/গুপ্তচর জাহাজজিয়াং ইয়াং হং ৩-কে শ্রীলঙ্কা মোটেও স্বাগত জানাচ্ছে না।

বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি ব্যাখ্যা দিয়েছেন,এই জাহাজের আগমন গুরুতর কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং ২০২৪ সালটি এমনিতেও একটি নির্বাচনের বছর।’ তিনি আরও যোগ করেছেন যে, ‘এই ধরনের জাহাজ পরিদর্শন অঞ্চল শ্রীলঙ্কার জন্য বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেকারণ তা সরকারকে চাপের মুখে ঠেলে দিতে পারে।’ শ্রীলঙ্কায় বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ধার্য নির্বাচনের এক বছর আগে নতুন নির্বাচনের আদেশ দেওয়ার কথা বললেও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

 

তিনি আরও যোগ করেছেন যে, ‘এই ধরনের জাহাজ পরিদর্শন অঞ্চল শ্রীলঙ্কার জন্য বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেকারণ তা সরকারকে চাপের মুখে ঠেলে দিতে পারে।’

 

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি বহির্বিশ্বের চাপে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। এই ধরনের চাপ যদি সময় মতো সামলানো না যায়, তা হলে তা অতি প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) ঋণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং যুদ্ধ-অপরাধের তদন্ত যুদ্ধ-পরবর্তী অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইউএনএইচআরসি প্রক্রিয়াগুলিকে ধীর করে দিতে পারে, যা অবিলম্বে ঘটার কথা। এর পরিবর্তে এই বিষয়গুলিই নির্বাচনে গুরুতর আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে।

তা সত্ত্বেও কার্যত শ্রীলঙ্কার এ হেন ‘মোরেটোরিয়াম’ বা ‘স্থগিতাদেশ’-এর অর্থ হল, আগামী ২০২৫ সালে হতে চলা সম্ভাব্য একটি পূর্ণাঙ্গ নতুন জনাদেশ-সহ নব নির্বাচিত পার্লামেন্টের সঙ্গে সরাসরি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিজের দেশের জন্য উপযুক্ত উপকারী বলে বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে এবং গ্রহণ করতে পারেন। ভোট-পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্টের তরফে একটি পর্যালোচনার আদেশ দেওয়ার সম্ভাবনা নির্বাচনী ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার বা স্থগিত করার জন্যই আশা করতে পারে নয়াদিল্লি

 

সক্ষমতা বৃদ্ধি

কলম্বো-ভিত্তিক ডেলি মিরর বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরিকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, সরকার কিছু সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সময় চেয়েছিল, যাতে আমরা সমান অংশীদার হিসাবে এই জাতীয় গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারি। এটি আপাতদৃষ্টিতে দেশের গবেষণার অপ্রতুলতার একটি প্রত্যক্ষ স্বীকৃতি বলে মনে হলেও কলম্বো সরকার পরস্পরবিরোধী বিবৃতি দেওয়ার পরে দাবি করেছিল যে, শি ইয়ান ৬-এর মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কার বিজ্ঞানীরা চিনা বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি গবেষণার বিষয়ে সমান অংশীদার ছিলেন

 

গত জুলাই মাসে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার সময়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, শি ইয়ান ৬-কে শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কার তীরে আগমন এ হেন প্রতিশ্রুতিভঙ্গকেই দর্শিয়েছে।

 

গত জুলাই মাসে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার সময়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, শি ইয়ান ৬-কে শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কার তীরে আগমন এ হেন প্রতিশ্রুতিভঙ্গকেই দর্শিয়েছে। যাই হোক, বিদেশি সামরিক জাহাজ বিমান দেশে আগমনের প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার সরকার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) প্রস্তুত করেছে… এ হেন দাবি করার পর কলম্বো শি ইয়ান ৬-কে কলম্বো বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দেয় এবং চিনের সঙ্গে ‘যৌথ গবেষণাচালায়।

 

ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ

জিয়াং ইয়াং হং ৩-কে নোঙর করার জন্য চিন শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা নয়, প্রতিবেশী মলদ্বীপের কাছ থেকেও অনুমতি চায়। কিন্তু ভারত কলম্বো এবং মালে উভয়ের কাছেই এ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করার পর বিষয়টিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এ কথা অস্বীকার করার অবকাশ নেই যে, ভারতীয় উদ্বেগ মোটেও ভুল ছিল না

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শ্রীলঙ্কা সফরকারী শি ইয়ান এমন প্রথম চিনা গবেষণা/সমীক্ষামূলক জাহাজ নয়, যেটিকে একটি গুপ্তচর জাহাজ’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, শ্রীলঙ্কার তরফে স্থগিতাদেশের পর অন্তত আরও এক বছরের জন্য এ হেন উদ্বেগ এড়ানো যাবে। শি ইয়ান ৬ যেমন রাজধানীর কূটনৈতিক সম্প্রদায় স্থানীয় কৌশলগত সম্প্রদায়ের চোখের সামনে রাজধানী কলম্বোয় নোঙর করেছিল, তার বিপরীতে হেঁটে ২০২২ সালে ইউয়ান ওয়াং দ্বীপদেশের দক্ষিণ প্রান্তে চিন-নিয়ন্ত্রিত হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করেছিল

শি ইয়ান-এর বিপরীতে ইউয়ান ওয়াং শুধুমাত্র জ্বালানি ও মজুদ ভরার জন্যই শ্রীলঙ্কায় নোঙর করে। সেই জাহাজের কোন যৌথ গবেষণা বা সেই জাতীয় বিষয় নিয়ে কাজ করার কোনও কথা ছিল না কার্যকরী ভাবে এর অর্থ হল এই যে, চিন ভারতের প্রতিক্রিয়া শ্রীলঙ্কার পাল্টা ব্যাখ্যা এবং বিশেষ করে এই অঞ্চলে কৌশলগত মিত্র না হলে নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক অংশীদার হিসাবে শ্রীলঙ্কার মনোভাব কতটা অটল থাকে, তা পরীক্ষা করেছে

 

জিয়াং ইয়াং হং ৩-কে নোঙর করার জন্য চিন শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা নয়, প্রতিবেশী মলদ্বীপের কাছ থেকেও অনুমতি চায়। কিন্তু ভারত কলম্বো এবং মালে উভয়ের কাছেই এ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করার পর বিষয়টিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এ কথা অস্বীকার করার অবকাশ নেই যে, ভারতীয় উদ্বেগ মোটেও ভুল ছিল না

 

নতুন জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ৩-এর ক্ষেত্রে চিন শ্রীলঙ্কা এবং প্রতিবেশী মলদ্বীপ উভয়ের কাছেই এই জলসীমায় জানুয়ারি থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ মাসব্যাপী যাত্রা করার অনুমতি চেয়েছিল। যেহেতু এই অংশগুলিতে সমুদ্রের মানচিত্র তৈরি করাই ছিল চিনের আসল উদ্দেশ্য, তাই এই দীর্ঘ সময়ব্যাপী সমুদ্রে চিনা জাহাজের অবস্থান বৃহত্তর ভারতীয় প্রতিবেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত।

এবং একই সঙ্গে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও সমান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার ভিনটেজ গান বিমানবন্দর-সহ দিয়েগো গার্সিয়া সামরিক ঘাঁটি দক্ষিণতম আদ্দু অ্যাটল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই দূরত্ব দিয়েগো গার্সিয়া এবং শ্রীলঙ্কার চিন-নিয়ন্ত্রিত হাম্বানটোটা বন্দরের মধ্যে দূরত্বের অর্ধেকেরও চেয়েও কম (১৫০০ কিমি)।

 

মলদ্বীপের অবস্থান

চিনের প্রস্তাবে শ্রীলঙ্কার অবস্থান এখন জানা গেলেও চিনের অনুরোধে মলদ্বীপের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোন স্পষ্টতা নেই। নির্বাচনী প্রচারের সময় এবং নভেম্বর মাসে ক্ষমতা গ্রহণের পর মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু বারবার ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁর অধীনে দ্বীপদেশটি একদল বিদেশি সৈন্যের (ভারত) বদলে অন্য দলের সৈন্য (চিন) দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে নাকারণ ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়ানোর (ভারত-চিন ধরনের) প্রসঙ্গে মলদ্বীপ খুব ছোট একটি দেশ

সরকার পরিবর্তনের ফলে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু চিনপন্থী এবং বর্ধিত ভাবে ভারতবিরোধী জল্পনা শুরু করেন। অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে, তিনি ভারতীয় সামরিক পাইলট এবং প্রযুক্তিবিদদের অপসারণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেগুলি দূরবর্তী দ্বীপগুলি থেকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহৃত তিনটি ভারত-প্রদত্ত বিমান প্ল্যাটফর্ম (দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ফিক্সড-উইং ডর্নিয়ার) পরিচালনা করে এবং মাদক পাচার রোধ করার জন্য নজরদারি চালায়। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এবং ক্ষমতায় আসার পর তিনি দুবাইতে সংক্ষিপ্ত সময়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ ভারতীয় আলাপ-আলোচনাকারীদের সামনে বিষয়টি উত্থাপন করেন।

 

সরকার পরিবর্তনের ফলে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু চিনপন্থী এবং বর্ধিত ভাবে ভারতবিরোধী জল্পনা শুরু করেন।

 

নতুন বছরে মলদ্বীপের জলসীমার একটি জলভিত্তিক সমীক্ষা চালানোর জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ না করার প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লিও ক্ষুব্ধ। সমীক্ষাটি ভারত-বান্ধব পূর্বসূরি ইব্রাহিম সোলিহের অধীনে সম্ভব হয়েছিল। সেই জায়গায় চিন মলদ্বীপে একটি সমুদ্র পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবটি পুনর্নবীকরণ করে কি না, সেটাই এখন দেখার। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের দ্বিতীয় চিন সফরের সময় মুইজ্জুর কারাগারে থাকা পরামর্শদাতার সময়কালে এই উদ্দেশ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে বেজিং দাবি করেছিল, এটির কোন সামরিক আবেদন ছিল না বা এটি একটি সাবমেরিন ঘাঁটি ছিল’, যেমনটা পশ্চিম ও ভারতের কৌশলগত বিশ্লেষকরা অনুমান করেছেন। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, প্রেসিডেন্ট সোলিহের অধীনে চিনা প্রকল্পের কোনও অগ্রগতি হয়নি।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই প্রথম চিন মলদ্বীপে এই ধরনের একটি গবেষণা জাহাজপাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে। এর বিপরীতে আবার সঠিক প্রমাণের অভাবে নয়াদিল্লিকে ধরে নিতে হয়েছে যে, চিনা অনুরোধটি মলদ্বীপে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গেও অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত, যেখানে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারত-বান্ধব ইব্রাহিম সোলিহকে প্রতিস্থাপন করে ক্ষমতায় এসেছেন।

 

জলরাশি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে

ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আশপাশের জলরাশি ও বন্দরে চিনা গবেষণা/গুপ্তচরজাহাজের বারবার পরিদর্শন কেবলমাত্র বেজিং-এর ভুলে যাওয়া স্ট্রিং অ পার্লসতত্ত্বের উপাদানগুলিকে বাস্তবে প্রয়োগ করা এবং সম্ভাব্য নৌ মোতায়েনের জন্য সমুদ্রের জলরাশি পরীক্ষা করাকেই দর্শায়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা কৌশলগত… সব ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রদান করতে মধ্যস্থতাকারী সর্ব-অন্তর্ভুক্ত বিআরআই প্রকল্পটি ব্যর্থ হওয়ায় এ হেন বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক সমীকরণে নিজের জমি খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে চিনের তরফে নয়া উদ্যোগ হতে পারে

নয়াদিল্লির জন্য তার মহাসাগরীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চিনা প্রচেষ্টা - তা সে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা কৌশলগত বিষয়… যে কারণেই হোক না কেন - আগামী দীর্ঘ সময়ের জন্য চিরন্তন উদ্বেগের কারণ হয়ে থাকবে। অঞ্চলের সব দেশের সার্বভৌমত্ব আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার দরুন এবং বিগত কয়েক দশক ও শতাব্দীর ভাল প্রতিবেশী সম্পর্কের প্রতি যথাযথ সম্মানের সঙ্গে নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলা করার কারণে নয়াদিল্লি তার সামুদ্রিক প্রতিবেশীদের কাছে ক্রমাগত ভাবে চিনের প্রেক্ষিতে নিজের উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে চলেছে।

 


এন সত্য মূর্তি চেন্নাইভিত্তিক নীতি বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.