Expert Speak Digital Frontiers
Published on Oct 31, 2022 Updated 9 Days ago

আলবেনিয়ার উপর ইরানের সাম্প্রতিক সাইবার আক্রমণ সাইবারস্পেসে সংঘাতের তীব্রতা তুলে ধরেছে।

সাইবার সংঘাতের মাঝে ‌জড়িয়ে পড়া
সাইবার সংঘাতের মাঝে ‌জড়িয়ে পড়া

সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে ‘‌সাইবার আক্রমণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় প্রতিক্রিয়া’‌ প্রত্যক্ষ করা গেল যখন আলবেনিয়া তাদের সরকারি পরিকাঠামোর উপর বিধ্বংসী সাইবার আক্রমণে ইরানের ভূমিকার জন্য দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিল। এই ঘটনা–শৃঙ্খলটি সাইবার স্পেসের মধ্যে জাতিরাষ্ট্রগুলির কর্মক্ষমতা ও প্রতিরক্ষার বিশাল পার্থক্য তুলে ধরে, এবং দেখায় আক্রমণাত্মক সাইবার অপারেশন কীভাবে এর মাঝখানে আটকে পড়া দেশগুলিকে ধ্বংস করতে পারে।

১৭ জুলাই ২০২২–এ আলবেনিয়া তার গণপরিষেবা ও সরকারি ওয়েবসাইটগুলিকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছিল। ‘‌হোমল্যান্ড জাস্টিস’ এর দায় স্বীকার করে। এই আক্রমণে ব্যবহার করা হয়েছিল নতুন ফ্যামিলি র‌্যানসমঅয়্যার ম্যালঅয়্যার রোডসুইপ ও ওয়াইপার ম্যালঅয়্যারের একটি নতুন রূপ জিরোক্লিয়ার৷ যেহেতু আলবেনিয়া ন্যাটো সদস্য, এবং এই আক্রমণগুলি রাশিয়ার ইউক্রেনে চলতি আক্রমণের সময় ঘটছে, স্থানীয় মিডিয়া জল্পনা করেছিল যে রাশিয়াই অপরাধী।

পরে মার্কিন সাইবার বিপদ গোয়েন্দা সংস্থা ম্যান্ডিয়েন্ট এই সাইবার আক্রমণ ও ‘হোমল্যান্ড জাস্টিস’‌ গোষ্ঠীর জন্য ইরানকে দায়ী করার কারণে সেই জল্পনা দ্রুত খারিজ হয়ে যায়। তাদের বিশ্লেষণটিতে সহায়তা করেছিল ‘‌হোমল্যান্ড জাস্টিস’‌ গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ব্যবহৃত ছবি। ইরান একটি ব্যানার ইমেজ পোস্ট করেছে যাতে স্টার অফ ডেভিডের মধ্যে একটি ঈগলকে একটি ছোট পাখির উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যচ্ছে।

Caught In The Crossfire Of Cyber Conflict
সূত্র: ম্যান্ডিয়েন্ট

ছোট পাখিটিকে, যা অ্যাংরি বার্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি চরিত্র, প্রথমে নিরীহ বলে মনে হলেও তা ইরানের সঙ্গে একটি স্পষ্ট যোগসূত্র ধরিয়ে দিতে বিশ্লেষকদের সহায়তা করেছিল। জন হাল্টকুইস্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ম্যান্ডিয়েন্ট থ্রেট ইন্টেলিজেন্স, ব্যাখ্যা করেছেন যে ছোট পাখিটি তাদের প্রতীক বলে দাবি করেছিল ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’‌, যারা আবার এর আগে ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সাইবার অপারেশন চালিয়েছিল।

Caught In The Crossfire Of Cyber Conflict
সূত্র: ম্যান্ডিয়েন্ট

প্রকৃতপক্ষে, জুলাই ২০২১ সাল থেকে ‘‌প্রিডেটরি স্প্যারো’‌ ইরানের বিরুদ্ধে পরিমাপ–করা ধ্বংসাত্মক সাইবার অপারেশন চালাচ্ছিল। তাদের আক্রমণাত্মক সাইবার অপারেশন  রেল পরিষেবা ব্যাহত করেছিল, জ্বালানি বণ্টন বন্ধ করে দিয়েছিল, এবং এমনকি ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড কোরের সঙ্গে যুক্ত একটি ইস্পাত কারখানাও ধ্বংস করে দিয়েছিল

‘‌প্রিডেটরি স্প্যারো’‌র কাজকর্মে আলবেনিয়া সরকারের ভূমিকা ছিল বলে কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই, তবুও ইরান ‘‌প্রিডেটরি স্প্যারো’‌র ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানতে তাদেরই ন্যায্য লক্ষ্য বলে মনে করেছে। মাইক্রোসফট থেকে একটি নতুন প্রতিবেদন দ্বারা সমর্থিত প্রচলিত তত্ত্বটি এই কথাই বলে যে ‘‌প্রিডেটরি স্প্যারো’‌ হল নির্বাসিত ইরানি বিরোধী দল মুজাহেদিন–ই–খালক (এম ই কে)‌–এর সঙ্গে যুক্ত, যা আলবেনিয়া ও ইজরায়েল থেকে কাজ করে। এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের হুমকি থেকে, যা আলবেনিয়ায় একটি পরিকল্পিত এম ই কে সম্মেলন বাতিল করতে বাধ্য করেছে।

‘‌প্রিডেটরি স্প্যারো’‌র বছরব্যাপী ধ্বংসাত্মক সাইবার ক্যাম্পেনের পরিপ্রেক্ষিতে ইরান ন্যায্যভাবে পাল্টা আঘাত হানতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ইরানের বিবেচনায় আলবেনিয়া হল এম ই কে–র জন্য একটি ‘‌নিরাপদ আশ্রয়স্থল ’‌, এবং এই ধারাবাহিক সাইবার সংঘাতে আলবেনিয়া যতটা না জ্ঞাতসারে অংশগ্রহণকারী, তার  চেয়ে বেশি ‘‌অনিচ্ছুক ষড়যন্ত্রকারী’‌। আলবেনিয়াকে ‘‌ইউরোপে সাইবার অপরাধের  পঞ্চম বৃহত্তম উৎস’‌ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অতি সম্প্রতি দেশটি একটি সাইবার অপরাধ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে, এবং একটি সাইবার সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠার জন্য ২০২১ সালের নভেম্বরে ১৮ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নাগরিকদের ডেটা ব্যাপকভাবে ফাঁসের পরে আলবেনিয়া তার সাইবার প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলিকে নিয়ে আসে।

যদিও আলবেনিয়ার যথাযথ সাইবার প্রতিরক্ষার অভাব ছিল, তবুও দেশটি ন্যাটোর সদস্য। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে এই সামরিক জোটকে আবারও চাঙ্গা করা হয়েছে, এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি আবার নিশ্চিত করেছে যে ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের উপর একটি সাইবার আক্রমণ অনুচ্ছেদ ৫–কে সক্রিয় করতে পারে, যা হল জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ধারা। ৯/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষবার এই ধারাটিকে সক্রিয় করে তুলেছিল। যাই হোক, ন্যাটো এখনও স্পষ্ট করেনি যে কোন সীমা পার হলে সেটিকে একটি উল্লেখযোগ্য সাইবার আক্রমণ (বা ‘‌সম্মিলিত অনেকগুলি ছোট আক্রমণ’‌) বলে ধরা হবে যার বিরুদ্ধে আর্টিকল ৫ সক্রিয় হবে।

ইরানের বিবেচনায় আলবেনিয়া হল এম ই কে–র জন্য একটি ‘‌নিরাপদ আশ্রয়স্থল ’‌, এবং এই ধারাবাহিক সাইবার সংঘাতে আলবেনিয়া যতটা না জ্ঞাতসারে অংশগ্রহণকারী, তার চেয়ে বেশি ‘‌অনিচ্ছুক ষড়যন্ত্রকারী’‌।

অনুচ্ছেদ ৫ সক্রিয় করা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, অনেকটা যুদ্ধ ঘোষণার মতো। আলবেনিয়ার সহযোগী ন্যাটো সদস্যরা রাশিয়ার আগ্রাসনে সক্রিয়ভাবে নিমগ্ন, এবং তারা মধ্যপ্রাচ্যে ‘‌দ্বিতীয় ফ্রন্ট’‌ সৃষ্টি করা এড়াতে চায় কি না তা নিয়ে জল্পনা চলতেই থাকবে। আলবেনিয়া অবশ্য তার সরকারি পরিষেবা ও ব্যবস্থার ব্যাঘাত ও ধ্বংস সত্ত্বেও ৫ ধারা সক্রিয় করতে এগোয়নি, বরং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই পদক্ষেপটি ইরানকে আলবেনিয়ার সীমান্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আরেকটি আক্রমণাত্মক সাইবার অভিযান পরিচালনা করা থেকে বিরত করতে পারেনি।

সাইবারস্পেসে এক সর্বাত্মক সংঘাতের ছবিই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে নজরকাড়া বিষয় হল অত্যুন্নত সাইবার ক্ষমতাধর দেশগুলির সঙ্গে অন্যান্য দেশের বিপুল ফারাক।

যে দেশগুলি সাইবার অ্যাকশন বা সাইবার–সক্ষম গুপ্তচরবৃত্তির শিকার হয়েছে, তারা তাদের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষমতারই বিকাশ ঘটাচ্ছে। তারা প্রায়শই একটি ঐতিহ্যগত সামরিক ভঙ্গি গ্রহণ করে, যা প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতার চেয়ে আক্রমণাত্মক ক্ষমতা জোরদার করার উপর জোর দেয়। ইরান এর একটি প্রধান উদাহরণ

প্রতিরক্ষামূলক দিক থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরান, উত্তর কোরিয়া, চিন ও রাশিয়ার আক্রমণাত্মক সাইবার অ্যাকশন ও সাইবার–সক্ষমতাভিত্তিক গুপ্তচরবৃত্তির মোকাবিলা করছে। ব্রিটেন (ইউ কে), ফ্রান্স, কানাডা ও জার্মানির মতো ন্যাটো সদস্যরা একই ধরনের হুমকির মোকাবিলা করতে অনেক দূর এগিয়েছে—যদিও অল্প সময়ের মধ্যে। তাদের অর্থনীতি ও সমাজ রক্ষার জন্য এই দেশগুলো সাইবার নিরাপত্তা শিল্প গড়ে তুলতে এবং আক্রমণাত্মক সাইবার অপারেশনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে বহু কোটি টাকা খরচ করেছে।

সাইবার সংঘর্ষের বৃদ্ধি

বিপরীতধর্মীভাবে এই প্রস্তুতি (কন্ডিশনিং)—ক্ষমতা তৈরি করা, স্থিতিস্থাপকতা বিকাশ করা এবং প্রতিক্রিয়ার সময় দ্রুত করা—সম্ভবত সাইবার আক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধিতে   অবদান রেখেছে, যা এই লেখক ও কলম্বিয়া এস আই পি এ–র একজন সিনিয়র রিসার্চ স্কলার জেসন হেলি ডিসেম্বর ২০২১ সালে ইঙ্গিত করেছিলেন।

Caught In The Crossfire Of Cyber Conflict
সূত্র: সিসিডিসিওই

সাইবার আক্রমণের ঘটনাগুলি, যাদেরকে ২০ বছর আগে হলে ক্রমশ বেশি করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে দেখা হত, এখন নিয়মিতভাবে সীমা অতিক্রম করছে। এর ফলাফল হল আক্রমণাত্মক সাইবার ক্রিয়াকলাপগুলিকে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলি মোকাবিলা করতে পারে, কিন্তু যে ছোট দেশগুলিকে সাইবার সংঘাতের জায়গায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তা তাদের পক্ষে বিপর্যয়কর৷ এই প্রভাবের সম্ভাব্য ক্ষতির মাত্রা সম্ভবত নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য অত্যাধুনিক  ক্ষমতাধরদের কাছে ছোট দেশগুলিকে আদর্শ লক্ষ্য করে তোলে। ইরানের কাছে ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’‌ অভিযানে ইজরায়েলের ভূমিকার বিষয়ে শক্তিশালী প্রমাণ  রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে (দুটি দেশ বছরের পর বছর ধরে পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে), কিন্তু এম ই কে–কে আশ্রয় দেওয়ার কারণে আক্রমণ করার জন্য ইরান বেছে নিয়েছে আলবেনিয়ার সরকারকে। এইভাবে এই ধ্বংসাত্মক কাজের দ্বারা ইরান তার শত্রুদের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চেয়েছে।

এই ঘটনাটি ভয়ের, কারণ এটি অত্যাধুনিক সাইবার ক্ষমতার বিস্তার এবং এই  ধরনের অপারেশন চালানোর ক্রমবর্ধমান অভিপ্রায় দেখায়। সাইবার সংঘাত নিয়ে বেশিরভাগ তত্ত্বই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের দ্বন্দ্বের মূল খেলোয়াড় হিসেবে দেখে, কিন্তু ‘‌প্রিডেটরি স্প্যারো’‌ ও ইরানের পাল্টা আক্রমণ দেখিয়ে দিয়েছে যে সেই ধারণা এখন বাতিল হয়ে গিয়েছে।

আক্রমণাত্মক সাইবার ক্রিয়াকলাপগুলিকে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলি মোকাবিলা করতে পারে, কিন্তু যে ছোট দেশগুলিকে সাইবার সংঘাতের জায়গায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তা তাদের পক্ষে বিপর্যয়কর৷

সাইবার স্পেস কীভাবে তৈরি হয় তার প্রদর্শনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি পরাক্রান্ত ভূমিকা পালন করে চলেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তার সাইবার নীতি ও প্রতিক্রিয়াগুলির বিকাশে দুর্দান্ত পদক্ষেপ করেছে। মার্কিন সরকার সর্বপ্রথম ইরানের বিরুদ্ধে আলবেনিয়ার কূটনৈতিক সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিল, এই ঘটনার জন্য ইরানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে এসেছিল, এবং মার্কিন সংস্থাগুলি ও আইন প্রয়োগকারীরা প্রাথমিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া এবং সক্ষমতা বিকাশে অংশ নিয়েছিল। যাই হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ২০১৮ সালের জাতীয় সাইবার রণকৌশল তৈরি করার পর সাইবার স্পেসকে একটি ক্রমবর্ধমানভাবে ‘‌পাঁচগুণ বিপজ্জনক’‌ বিরোধের ক্ষেত্র হিসাবে তৈরি করে চলেছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনী সাইবারস্পেসে উত্তেজনা বাড়াতে ক্রমাগত তার ‘পারসিস্টেন্ট এনগেজমেন্ট’ কৌশল ‌ও ‘‌ হান্ট ফরওয়ার্ড ’‌ অপারেশন চালিয়ে একটি সহজাত আক্রমণাত্মক ভঙ্গি অনুসরণ করছে। এই ক্রিয়াশীলতা প্রতিপক্ষের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে তাদের মোকাবিলা করে। এই অপারেশনগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের (সম্মতিতে এবং সম্মতি ছাড়া) নেটওয়ার্ক ব্যবহার  করেও পরিচালনা করা যেতে পারে, যা কাউন্টার সাইবার অপারেশনগুলিকে  বিভ্রান্ত করতে পারে।

ইচ্ছাকৃত হোক বা না হোক, মার্কিন নীতিগুলি একটি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে যা পরবর্তিকালে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করে নেয়। প্রতিপক্ষের কাছে কিন্তু এই নীতিগুলি কে দোষী তা নির্ণয়ের প্রশ্নে বিভ্রান্তিকর হয়ে দাঁড়ায়।। এই ঘটনাগুলি প্রতিপক্ষকে ছোট, কম সাইবার–সক্ষম দেশগুলির সন্ধান করার দিকে চালিত করে, যাতে করে

তারা উদাহরণ তৈরি করতে পারে। এই ধরনের প্রচেষ্টা সাইবারস্পেসকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.