Author : Oommen C. Kurian

Expert Speak Health Express
Published on Mar 02, 2022 Updated 13 Hours ago

অতিমারির পটভূমিতে বাজেট স্বাস্থ্যের সামাজিক নির্ধারকগুলির সঙ্গে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে একীভূতই করে রেখেছে।

বাজেট ২০২২-এর বড় ধরনের মূলধনী বিনিয়োগ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে তেমন ভাবে ছোঁয়নি

Source Image: Flickr — CC BY-NC-ND 2.0

বাজেট ২০২২-এর বড় ধরনের মূলধনী বিনিয়োগ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে তেমন ভাবে ছোঁয়নি

এই নিবন্ধটি ‘‌বাজেট ২০২২:‌ পরিসংখ্যান ও তদুপরি’‌ সিরিজের অংশ।


বাজেট বক্তৃতা যাঁরা শুনছিলেন তাঁদের মনে হয়েছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের একটি দ্ব্যর্থহীন বিবৃতি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের জন্য খুবই প্রতিশ্রুতিময়। সেই বিবৃতিতে সীতারামন বলেছিলেন ‘‌দ্রুত ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের, এবং গুণক প্রভাবের মাধ্যমে তা দৃঢ় করার, চাবিকাঠি হল মূলধনী বিনিয়োগ’‌। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাজেটে মূলধনী ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ গত বছরের ৫.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৩৫.৪ শতাংশ বাড়িয়ে এবার ৭.৫০ লক্ষ কোটি করা হচ্ছে৷ এই কথাগুলোকে প্রতিশ্রুতিময় মনে করার কারণ ছিল। তা হল একটি কার্যকর স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সহ মানুষের নিরাপত্তার একটি মূল উপাদান, তা ভারতকে শিখিয়েছে গত দুই বছরের অনিশ্চয়তা, এবং ঐতিহাসিক অবহেলার শিকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোটির ভাইরাসের ভারে ভেঙে পড়ার ভয়।

একটি কার্যকর স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সহ মানুষের নিরাপত্তার একটি মূল উপাদান, তা ভারতকে শিখিয়েছে গত দুই বছরের অনিশ্চয়তা, এবং ঐতিহাসিক অবহেলার শিকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোটির ভাইরাসের ভারে ভেঙে পড়ার ভয়।

যাই হোক, বাজেটের বিশদ সংখ্যাগত খতিয়ান প্রমাণ করেছে যে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য ভাবে উচ্চ মূলধনী বিনিয়োগের এই আশা ভুল ছিল। ভারত যদিও আবাসন, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, স্যানিটেশন, রাস্তা ও জলের প্রাপ্যতার মতো স্বাস্থ্যের সামাজিক নির্ধারকগুলিতে প্রশংসনীয় ভাবে যথেষ্ট ও ক্রমশ বেশি করে বিনিয়োগ করে চলেছে, এই বাজেট কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু করেনি যা পরিস্থিতি দাবি করছিল।

ভারতের এমন অবস্থা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর স্বস্থ ভারত যোজনা (পিএম-এএসবিওয়াই), যা এখন নাম বদলে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী-আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন (পিএম-এবিএইচআইএম), গোত্রের প্রয়াস বহাল থাকা সত্ত্বেও। প্রকল্পটি গত বছর চালু করা হয়েছিল, এবং ছয় বছরে প্রায় ৬৪,১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির ধারণক্ষমতার বিকাশ, এখনকার জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা, এবং নতুন রোগ শনাক্ত করা ও নিরাময়ের জন্য নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। এছাড়া দেশের সবচেয়ে দুর্গম এলাকায় চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি পরিকাঠামোর সম্প্রসারণের জন্য তৈরি প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা (পিএমএসএসওয়াই)–র বরাদ্দ গত বছরের ৭,০০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে এই বছর ১০,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

কিন্তু একই সময়ে এই ইতিবাচক পদক্ষেপগুলিকে ছাপিয়ে দীর্ঘ হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে (এনএইচএম) সম্পদ প্রবাহে স্থবিরতার ছায়া, বিশেষ করে অতিমারির মধ্যে, যখন সরকারি জনস্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে তার মূল্য প্রমাণ করেছে, আর বেসরকারি হাসপাতালগুলি পিছিয়ে গিয়েছে। ১ নম্বর লেখচিত্রটি দেখায়, এনএইচএম–এ বরাদ্দ এখনও ২০২০ সালের প্রকৃত স্তরের চেয়ে কম।

১ নম্বর লেখচিত্র: জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে গত তিনটি বাজেটের বরাদ্দ

সূত্র: indiabudget.gov.in/doc/eb/allsbe.pdf

আরও বেশি উদ্বেগের বিষয় হল পরের বছরে পরিকল্পিত মূলধনী ব্যয়ের প্রতিশ্রুত ৭৫০,২৪৫ কোটি টাকার মধ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্র পেয়েছে মাত্র ৫,৬৩৮ কোটি টাকা, বা ভিন্ন ভাবে বললে ০.৭৫ শতাংশ। তুলনায়, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক পেয়েছে ১৮৭,৭৪৪ কোটি বা ২৫ শতাংশ; প্রতিরক্ষা পেয়েছে ১৬০,৪১৯ কোটি বা ২১.৪ শতাংশ; রেল ১৩৭,১০০ কোটি বা ১৮.২৭ শতাংশ; যোগাযোগ ৫৫,০৩৯ বা ৭.৩৪ শতাংশ; আবাসন ও নগর সংক্রান্ত বিষয় ২৭,৩৪১ কোটি বা ৩.৬৪ শতাংশ, এবং মহাকাশ ক্ষেত্র পেয়েছে ৭,৪৬৫ কোটি বা সামগ্রিক মূলধনী ব্যয়ের প্রায় ১ শতাংশ। অবশ্যই এই সমস্ত ক্ষেত্র অপরিহার্য, কিন্তু স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে তুলনামূলক ভাবে এত কম অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘটনাটি অতিমারির প্রেক্ষাপটে বিশেষ ভাবে বিস্ময়কর।

সামগ্রিক ভাবে, দুটি প্রকল্প বাদে মূল স্বাস্থ্যক্ষেত্র এই বাজেটে প্রাপ্য মনোযোগ পায়নি, যদিও অতিমারি এই ক্ষেত্রটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং পরিকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্পদ ঢালার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দিয়েছিল। ব্যতিক্রমী প্রকল্প দুটি হল আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন (এবিডিএম), যার লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলির ডিজিটাল রেজিস্ট্রি, একটি অনন্য স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র তৈরি করা, একটি সম্মতি–কাঠামো ও স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, এবং ন্যাশনাল টেলি মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম (এনটিএমএইচপি), যা মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিং এবং যত্ন–পরিষেবা প্রদান করবে।

বাস্তবায়ন পরিস্থিতির পূর্ববর্তী একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে বেশি সংখ্যক কার্যকর এইচডব্লিউসি অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীভূত, যা এগুলি তৈরি করার সময় ন্যায্যতার বিষয়টিকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করছে।

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নতুন পরিকাঠামো নির্মাণের গতির উপর অবশ্যই অতিমারির কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত এবং সম্ভবত তহবিলের অভাবের প্রভাব পড়েছে। আয়ুষ্মান ভারত-স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রগুলি (এবি-এইচডব্লিউসি) এর একটি উদাহরণ। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বাত্মক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১.৫ লক্ষ নতুন স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র (এইচডব্লিউসি) তৈরি করার কথা (২ নম্বর লেখচিত্র রোলআউট পরিকল্পনাটি ব্যাখ্যা করে)। যাই হোক, মনিটরিং পোর্টালের ডেটা থেকে দেখা যায় যে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত সারা দেশে মাত্র ৭৬,৬৩৩টি এইচডব্লিউসি চালু হয়েছে। এর অর্থ হল যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য গত চার বছরে তৈরি করা এইচডব্লিউসি–র প্রায় সমসংখ্যক এইচডব্লিউসি ২০২২–এর বাকি ১১ মাসে তৈরি করতে হবে। অনড় মনোযোগ এবং সম্পদের সক্রিয় জোগান ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। বাস্তবায়ন পরিস্থিতির পূর্ববর্তী একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে বেশি সংখ্যক কার্যকর এইচডব্লিউসি অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীভূত, যা এগুলি তৈরি করার সময় ন্যায্যতার বিষয়টিকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করছে।

লেখচিত্র ২: আয়ুষ্মান ভারত-স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রের রোলআউট পরিকল্পনা

সূত্র: ab-hwc.nhp.gov.in

গত বছরের বাজেট নথিতে ‘‌স্বাস্থ্য ও সুস্থতা’‌ নামে ইচ্ছামতো একটি বিভাগ তৈরি করে নিয়ে এবং এতে পানীয় জল ও স্যানিটেশনের বর্ধিত বরাদ্দ যুক্ত করে প্রকৃত স্বাস্থ্য ব্যয়কে স্ফীত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এটি গত বছর বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল, কারণ অনেকেরই ভুল বিশ্বাস ছিল যে ব্যয় যথেষ্ট বেড়েছে। সৌভাগ্যক্রমে, এই বছরের বাজেট ‘‌স্বাস্থ্য ও সুস্থতা’‌কে একটি বিভাগ হিসেবে উল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছে, কিন্তু অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুরূপ কিছু করার চেষ্টা করেছে। প্রকৃত পক্ষে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ পরিকল্পনা করেছিল সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয় ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপি–র ২.৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার৷ আকর্ষণীয় বিষয় হল, অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ (সারণি ১) এই চমকপ্রদ দাবি করেছে যে ২০১৪–১৫ সালের ১.২ শতাংশের তুলনায় আমরা এখন জিডিপির ২.১ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করছি। অর্থনৈতিক সমীক্ষার অনুসারী পাঠ্যটিতে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭–র ২.৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ যে শুধুই স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিল তা স্পষ্ট করার কোনও চেষ্টা করা হয়নি। তবে সারণির নিচে একটি নোটে বলা হয়েছে,‘‌‘‌‘‌স্বাস্থ্য’‌-এর ব্যয়ের মধ্যে ‘‌চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য’‌, ‘‌পরিবার কল্যাণ’‌ এবং ‘‌জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন’‌-এর ব্যয় অন্তর্ভুক্ত।’‌’‌ এই ঘটনা স্পষ্টতই গত বছরের বাজেটের মতোই পানীয় জল ও স্যানিটেশনে বর্ধিত ও স্বাগত ব্যয়কে সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য ব্যয়বৃদ্ধি হিসেবে চালানোর একটি অপচেষ্টা।

সারণি ১:‌ সামাজিক ক্ষেত্রে সরকারি (‌রাজ্য–কেন্দ্র মিলিত)‌ ব্যয়ের প্রবণতা

সূত্র:‌ https://www.indiabudget.gov.in/economicsurvey/

যাই হোক, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানের ব্যবস্থা করতে এই ধরনের ব্যর্থতার অর্থ এই নয় যে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় তহবিল থাকবে না। আগের দুটি বাজেটের অভিজ্ঞতা (লেখচিত্র ৩) আমাদের দেখিয়েছে যে বাজেটের বরাদ্দগুলি পুরো বছরের জন্য প্রকৃত স্বাস্থ্য ব্যয়ের সঞ্চালক নয়। অতিমারির দুটি বছরেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাজেটের বরাদ্দ বছরের পরের দিকে উল্লেখযোগ্য ভাবে সংশোধিত হয়েছে। অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অর্থ কোনও বাধা হবে না বলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে ধরে নেওয়া যায় যে প্রয়োজনে বছরের অর্ধেক সময়ের পরে বিশেষ বরাদ্দ করা হতে পারে।

লেখচিত্র ৩: স্বাস্থ্যের জন্য বাজেট বরাদ্দ ও অতিমারির সময় সংশোধিত হিসেব

সূত্র: indiabudget.gov.in/index.php

যখন কেউ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বাইরে গিয়ে বাজেটের নথিগুলিকে ভাল করে দেখেন, তখন স্বাস্থ্যের বিস্তৃততর ক্ষেত্রের মধ্যে এবিডিএম ও এনটিএমএইচপি-র মতো আরও অগ্রগামী উদ্যোগ চোখে পড়ে, যা ভারতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। উদাহরণ স্বরূপ ভারতে বিশাল পরিমাণে ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিম এবং সেই সঙ্গে মেডিক্যাল ডিভাইস পার্কের জন্য এই বছরের বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ আছে। এছাড়াও, স্বাস্থ্যক্ষেত্রের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলির জন্য—যেমন নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, চণ্ডীগ‌ড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এজুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, ও পুদুচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এজুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ—সামগ্রিক বরাদ্দ গত দুই বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে ২০২০ সালের ৭,৫৬৫ কোটি টাকা থেকে এই বছর ১০,০২২ কোটি টাকা হয়েছে৷

সামগ্রিক ভাবে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মধ্যে পরিকাঠামো তৈরির প্রশ্নে সুস্পষ্ট সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই বাজেটটি একটি কথা প্রমাণ করেছে। তা হল ধীরে ধীরে এবং অবিচলিত ভাবে ভারত স্বাস্থ্যের সামাজিক নির্ধারক (এসডিএইচ) কাঠামোকে বাস্তবায়িত করার জন্য কাজ করছে। এক্ষেত্রে প্রধান হস্তক্ষেপের জায়গাগুলি হল পুষ্টি, পানীয় জল, গৃহের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ, স্যানিটেশন, রাস্তার ব্যবহার ও লিঙ্গ। এই হস্তক্ষেপগুলির মাধ্যমে স্বাস্থ্যের বাহ্যিক সক্রিয়তা (যেখানে উৎপাদক বা ভোক্তাদের কাজ অন্য উৎপাদক বা ভোক্তার উপর প্রভাব ফেলে)‌ প্রসারিত করা যেতে পারে। সেই সঙ্গেই যদি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ও মানবসম্পদের বাধাগুলিকে দূর করার জন্য মনোনিবেশ করা হয়, তা হলে গড় ভারতীয় নাগরিকের স্বাস্থ্যের অবস্থার প্রায় জাদুসদৃশ উন্নতি অর্জন করা যেতে পারে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.