Author : Nilanjan Ghosh

Expert Speak Raisina Debates
Published on Nov 05, 2022 Updated 12 Days ago

যদিও বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে, তবুও  জলবণ্টন একটি বিতর্কিত বিষয় হিসাবে থেকে গেছে।

বাংলাদেশ–ভারত জল রাজনীতি: মধুর চুক্তি ও বিতর্কিত বিষয়
বাংলাদেশ–ভারত জল রাজনীতি: মধুর চুক্তি ও বিতর্কিত বিষয়

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫–৮ সেপ্টেম্বর ২০২২–এর ভারত সফর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল, যার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছিল এই সফর থেকে বাংলাদেশের লাভ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও উদ্বেগ। দুই পক্ষের মধ্যে এই ধরনের বৈঠকের সময় আলোচ্যসূচিতে জল একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে থাকে। তা মোটেই আশ্চর্যজনক নয়, কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী আছে। যেহেতু ভারত প্রধান নদীগুলির উজানের নিয়ন্ত্রক, তাই তা অনেক বিতর্কিত সমস্যার মূল কারণ হয়ে উঠেছে। কাজেই প্রত্যাশিতভাবেই, ‘‌বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ভারত–বাংলাদেশ যৌথ বিবৃতি’তে  জলের বিষয়ে যথেষ্ট উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে।

যদিও বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে জল প্রায়ই একটি বিতর্কিত সমস্যা হিসাবে থেকে যায়, যৌথ বিবৃতিতে কিন্তু কিছু মধুর চুক্তি রয়েছে। যৌথ বিবৃতিটি ২৩–২৫ আগস্ট ২০২২–এ অনুষ্ঠিত ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের ৩৮তম মন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠকের প্রেক্ষাপটে একটি চুক্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যেখানে কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টনের বিষয়ে দুই দেশের সরকারের জলসংক্রান্ত মন্ত্রক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছিল। মনে করা হচ্ছে যে এই সমঝোতাপত্রটি দক্ষিণ অসমের জল প্রকল্পের সুবিধা করে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের সেচে সাহায্য করবে।

ত্রিপুরা রাজ্যে সেচের জরু্রি প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ বিবৃতিতে ভারতের তরফে দ্রুত ফেনী জলবণ্টন অন্তর্বর্তী চুক্তি সম্পন্ন করার প্রয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

৯ মার্চ ২০২১–এ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভাজিত আন্তঃসীমান্ত ফেনী নদীর উপর ‘‌মৈত্রী সেতু’‌টি দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রীরা উদ্বোধন করেছিলেন। ত্রিপুরা রাজ্যে সেচের জরুরি প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ বিবৃতিতে ভারতের তরফে দ্রুত ফেনী জলবণ্টন অন্তর্বর্তী চুক্তি সম্পন্ন করার প্রয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে ভারত এই প্রসঙ্গে পানীয় জল পাওয়ার উদ্দেশ্যে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক জল নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যেকার ২০১৯ সালের সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়িত করে পরিকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত সহায়তার কথা উল্লেখ করেছে।

তথ্য আদানপ্রদানকে অগ্রাধিকার দিতে এবং অন্তর্বর্তিকালীন জলবণ্টন চুক্তির কাঠামো প্রণয়নের জন্য অতিরিক্ত সংখ্যক নদী অন্তর্ভুক্ত করে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রশস্ত করার বিষয়ে যৌথ নদী কমিশনের সিদ্ধান্ত যৌথ বিবৃতিতে প্রশংসনীয় উল্লেখ পেয়েছে। আকর্ষণীয় বিষয় হল, বিবৃতিটি গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তি, ১৯৯৬–এর বিধানের অধীনে বাংলাদেশের প্রাপ্ত জলের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য সমীক্ষা চালানোর
উদ্দেশ্যে একটি যৌথ টেকনিক্যাল কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে।

১৯৯৬ সালের গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কী হবে?

এ পর্যন্ত সব ভাল। যৌথ বিবৃতিতে উপরের সবগুলিই জল–সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক উপকারী চুক্তি। যাই হোক, এটাও লক্ষ্যণীয় যে এই চুক্তিগুলির মধ্যেও অন্তর্নিহিত আছে বিতর্কিত নানা বিষয়, যা উপেক্ষা করা যায় না। ইতিহাস এ ধরনের বিষয়ের যথেষ্ট সাক্ষ্য বহন করে। এর মধ্যে রয়েছে ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণ, যা বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ১৬.৫ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত। এই ব্যারেজ নির্মাণের মৌলিক উদ্দেশ্য ছিল একটি ফিডার ক্যানেলের মাধ্যমে ভাগীরথী–হুগলি চ্যানেলের (গঙ্গার একটি শাখা) প্রবাহ বৃদ্ধি করে পলিমাটি ধুয়ে বার করে কলকাতা বন্দরকে পুনরুজ্জীবিত করা। ব্যারেজটি ১৯৭৫ সালে চালু হয়। নদীর নিম্নধারায় থাকা বাংলাদেশ সব সময় দাবি করে এসেছে যে এই পরিবর্তন শুষ্ক মরসুমে মূল স্রোতপ্রবাহকে হ্রাস করে, এবং এইভাবে তাদের শুষ্ক মরসুমের কৃষিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে।

এই জল–রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে বাঁচতে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি (জি ডবলিউ টি) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিটিকে সফল হিসাবে ধরা যেতে পারে, কারণ ভারত ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে চুক্তিতে উল্লেখিত জানুয়ারি–মে মাসের প্রবাহের সূচি কঠোরভাবে মেনে চলে। উল্টো দিকে, সাম্প্রতিক তথ্য থেকে জানা যায় যে ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে যতটা জল ছাড়া হয় তার চেয়ে বাংলাদেশ হার্ডিঞ্জ ব্রিজে ১০–১৫ শতাংশ বেশি জল পায়। এটি সুসংবাদ ছাড়া অন্য কিছু নয়।

চুক্তিটিকে সফল হিসাবে ধরা যেতে পারে কারণ ভারত ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে চুক্তিতে উল্লেখিত জানুয়ারি–মে মাসে প্রবাহের সূচি কঠোরভাবে মেনে চলে।

গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে অন্যত্র উদ্বেগ রয়েছে, কারণ চুক্তিটি ২০২৬ সালে শেষ  হবে। প্রশ্ন হল: এর পরে কী হবে? ফরাক্কা ব্যারেজকে তখন কীভাবে দেখা উচিত? জল কী ভাবে ভাগাভাগি হবে? একেবারে শুরুতেই এটা বোঝা দরকার যে ফরাক্কা ব্যারেজ ও গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি উভয়ই দক্ষিণ এশিয়ায় জলশাসনের একটি হ্রাসবাদী প্রকৌশল দৃষ্টান্ত–নকশা (‌রিডাকশানিস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং প্যারাডাইম)‌–এর প্রতিমূর্তি, যার মূল বিষয় হল ‘‌পাটিগাণিতিক জলবিদ্যা’‌ (যা জলকে শুধু তার পরিমাণের মাধ্যমে দেখে, এবং একটি প্রবাহ–শাসনের অন্য সমস্ত পরামিতি উপেক্ষা করে।) গঙ্গার মতো হিমালয় থেকে আসা নদীগুলি জলের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পলি বহন করে। এই পলি মৃত্তিকা গঠন ও মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবাগুলি সম্পাদন করে। গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র–মেঘনা বদ্বীপ এই নদীবাহিত পলি দিয়ে গঠিত;‌ কিন্তু চুক্তিটি সেই বিষয়টির স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

গঙ্গাবাহিত পলির বৃহৎ অংশ ফরাক্কা ব্যারেজের উজানে আটকে যাচ্ছে এবং  বদ্বীপের মৃত্তিকা গঠনে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে বদ্বীপের ভারতীয় সুন্দরবনের অংশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং লবণাক্ততা প্রবেশের ফলে ভূমি হারিয়ে যাচ্ছে, কারণ একই সঙ্গে পলি পড়ে ভূমির পুনরুজ্জীবন হচ্ছে না। তার উপর পলি জমে ফরাক্কার উজানে বাধাপ্রাপ্ত জমে–যাওয়া জল বিহারে বন্যাজনিত ক্ষতির জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এটি তখন ঘটতে পারে যখন বিহারের কোশি নদী থেকে উচ্চপ্রবাহ ও গঙ্গার মূলধারা একত্র হয়, এবং পলির মধ্য দিয়ে প্রবাহের পথ পায় না। অতএব, প্রস্তাবিত যৌথ টেকনিক্যাল কমিটির (বিবৃতিতে উল্লিখিত) অধ্যয়নের সুযোগকে শুধুমাত্র জল বণ্টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না–রেখে গবেষণায় পলি ও বদ্বীপের উদ্বেগের বিষয়গুলি নিয়ে আসা অপরিহার্য। ২০২৬–এর দিকে তাকালে পলিসংক্রান্ত উদ্বেগ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

তিস্তার জটিলতা

দুই দেশের মধ্যে আরেকটি বিতর্কিত বিষয় হল তিস্তা নদী। যৌথ বিবৃতি থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে বলা হয়েছে: ‘‌‘‌…প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর জলবণ্টনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তি, যার খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল, তা চূড়ান্ত করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’‌’‌ এখানে সমস্যাটি গঙ্গার জল ভাগাভাগির ক্ষেত্রে যা ছিল সেই রকমই: শুষ্ক ঋতু বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চলে। বছরের এই মাসগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই সেচনির্ভর বোরো ধান চাষ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আপত্তির কারণে ২০১১ সালের বাংলাদেশ–ভারত তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়িত করা যায়নি।

যদিও বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে উজান থেকে কম প্রবাহ তাদের কৃষিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে একটি সংশয়জনক পাল্টা বক্তব্য রয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে শুখা মরসুমে তিস্তার সামগ্রিক জল–উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে।

যদিও বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে উজান থেকে কম প্রবাহ তাদের কৃষিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে একটি সংশয়জনক পাল্টা বক্তব্য রয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে শুখা মরসুমে তিস্তার সামগ্রিক জল– উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু পানীয় জল ও সেচনির্ভর ধান চাষের চাহিদা মেটাতে গাজলডোবা (উত্তর পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়) থেকে তিস্তা–মহানন্দা সংযোগ খালের আকারে একটি ডাইভারশন চ্যানেলের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে জলের ব্যবহার বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করা যায়। অবশ্যই উভয় দেশের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি (ভারতে এমএসপি পদ্ধতি–সহ) ঐতিহাসিকভাবে মিলেটের চেয়ে ৮–১০ গুণ বেশি জল ব্যবহারকারী সেচনির্ভর ধানের পক্ষে বাণিজ্যের শর্তাবলি ও জমির একরপ্রতি ব্যবহারের পরিবর্তনের জন্য দায়ী। জলসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করা হয়েছে, যার ফলে শুষ্ক মরসুমে জলের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়।

তবে এই সমস্যার আরেকটি স্তর উপেক্ষিত হয়ে চলেছে। প্রায় ৩০টি কার্যকর, এখনও কার্যকর–না–হওয়া, এবং পরিকল্পিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তিস্তার উপর অবস্থিত, যার ৮০ শতাংশ আছে  সিকিমে। যদিও এগুলিকে ‘‌রান–অফ–রিভার’‌ বা জলপ্রবাহ কাজে–লাগানো প্রকল্প বলে দাবি করা হয়, এই সমস্ত প্রকল্পে (স্বল্প ব্যবধানে অবস্থিত) উজানে জল সঞ্চয় করার ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে কম প্রবাহের সময়ের জন্য জল সঞ্চিত রাখা হয় এবং তারপর তা জলবিদ্যুৎ তৈরি করতে টারবাইনের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এটি প্রবাহ ধারাবাহিকতা ব্যাহত করে; নিম্নধারায় স্রোতধারা শুকিয়ে যায়; নদীকে খণ্ডিত করে; পলি আটক করে; নদীর অনুভূমিক অখণ্ডতার ক্ষতি করে; এবং মৎস্য ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির দিকে চালিত করে।

প্রায় ৩০টি কার্যকর, এখনও কার্যকর–না–হওয়া, এবং পরিকল্পিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তিস্তার উপর অবস্থিত, যার ৮০ শতাংশ আছে  সিকিমে।

একটি আধা–বহুকেন্দ্রিক আলোচনার পদ্ধতি

ভারতীয় সংবিধানে জল হল রাজ্যের বিষয়। এই সত্যটিকে উপেক্ষা করা যায় না যে  ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বাংলাদেশ–ভারত জল–রাজনৈতিক সম্পর্কের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক। এখানে আবার বলা দরকার যে গঙ্গার জলচুক্তির সময় পশ্চিমবঙ্গ একটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল, যেখানে তিস্তার ক্ষেত্রে তার ঠিক উল্টোটা হচ্ছে! তিস্তা সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন হলে আলোচনার টেবিলে পশ্চিমবঙ্গকে রাখা জরুরি। আবার তিস্তা যেহেতু একটি আন্তঃরাজ্য নদী, তাই নয়াদিল্লি ও ঢাকার সঙ্গে শুধু পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে এলে পরিস্থিতির সমাধান হবে না। আলোচনা প্রক্রিয়ায় সিকিম থেকে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে সিকিমকেও একটি পক্ষ করা উচিত। এটি সমাধান প্রক্রিয়ায় একটি আধা–বহুকেন্দ্রিক পদ্ধতির (সম্পূর্ণ বহুকেন্দ্রিক নয়, যা কিনা আধা–স্বায়ত্তশাসিত ইউনিটের একাধিক কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার একটি জটিল রূপ) বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। কেন্দ্র ও রাজ্যের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘‌দ্বন্দ্বমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তা’‌র বর্তমান ভারসাম্য এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে যদি বিভিন্ন পক্ষ চাহিদা ব্যবস্থাপনার প্রণালী বেছে নেয়। অতএব ২০১১ সালের তিস্তা চুক্তি (যৌথ বিবৃতিতে উল্লিখিত) এই মুহূর্তে অকার্যকর, এবং একটি আধা–বহুকেন্দ্রিক পদ্ধতির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.