ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণার গতি ত্বরান্বিত করা
ইউক্রেনে সংঘাত, রুশ এরোস্পেস শিল্পের উপর পশ্চিমের প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা এবং ফলস্বরূপ রুশ প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলের অসুবিধাগুলি আবারও ভারতকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার প্রয়োজন বুঝিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক ব্যয়বহনকারী ভারত বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যের (২০১৭ ও ২০২১) প্রায় ১১ শতাংশের অংশীদার, এবং সে আমদানি করে মূলত রাশিয়া, ইজরায়েল ও ফ্রান্স থেকে ৷ এই অস্ত্র আমদানি ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা বাস্তুতন্ত্রের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে, যা কিনা অন্যান্য প্রধান সামরিক শক্তির তুলনায় এখনও তার পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করার স্তরে পৌঁছতে পারেনি। সরকার বেসরকারি ক্ষেত্র এবং স্টার্ট–আপগুলিকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় আর অ্যান্ড ডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) ভিত্তি প্রসারণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। অন্যান্য দেশের প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি বাস্তুতন্ত্র এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থার সঙ্গে বৃহত্তর সংযোগ এই প্রচেষ্টাগুলিকে সহজতর করবে এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
প্রতিরক্ষা গবেষণায় ভারতের সংগ্রাম
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডি আর ডি ও) হল ভারতের প্রধান প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি সত্তা, যেটি নতুন প্রযুক্তির স্থানীয় উন্নয়নে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে কাজ করে। এটির ৫০টিরও বেশি পরীক্ষাগার রয়েছে এবং সংস্থাটি কাজ করে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান (সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের মাধ্যমে), প্রতিরক্ষা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা (যেমন হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড), জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থা (কাউন্সিল অফ সায়ান্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ), বেসরকারি ক্ষেত্র ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে।
অন্যান্য দেশের প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি বাস্তুতন্ত্র এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থার সঙ্গে বৃহত্তর সংযোগ এই প্রচেষ্টাগুলিকে সহজতর করবে এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
এই প্রাধান্য থাকা সত্ত্বেও ডি আর ডি ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করতে পুরোপুরি সফল হয়নি। সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ হল অর্জুন ট্যাঙ্ক, যা ১৯৭৪ সালে ১৫.৫০ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছিল, কিন্তু ২০০৪–০৫ সালে ট্যাঙ্কটি বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এর নকশাটি পুরনো হয়ে গিয়েছিল। তদুপরি, যদিও এটি একটি ‘মেড-ইন-ইন্ডিয়া’ পণ্য হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল, অর্জুন ট্যাঙ্কের ৬৯ শতাংশ উপাদান বিদেশি বিক্রেতাদের কাছ থেকে এসেছে। এবং এটি বিকাশ করতে এত সময় লেগেছিল বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তার সাঁজোয়া বহরের ঘাটতি মেটাতে রাশিয়ার কাছ থেকে টি–৯০ ট্যাঙ্ক কিনতে হয়েছিল। আরও বেশ কয়েকটি উদাহরণ আছে যা দেখায় ডি আর ডি ও–র পারফরম্যান্স মোটেই চমকপ্রদ নয় (টেবিল ১ দেখুন)।
সারণি ১: ডি আর ডি ও–র গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির বর্তমান অবস্থা
প্রকল্প |
শুরু/অনুমোদনের বছর |
বর্তমান অবস্থা |
অস্ত্র এয়ার–টু–এয়ার মিসাইল |
২০০৪ |
ফার্স্ট জেনারেশন অস্ত্র–এমকে–১ উৎপাদন স্তরে যায় ২০১৭ সালে;
পরে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত হয়
|
তেজস লাইট কমব্যাট বিমান |
১৯৮৩ |
চূড়ান্ত অপারেশনাল ছাড়পত্র ২০১৯ ফেব্রুয়ারিতে; ভারতীয় বায়ুসেনায় প্রথম স্কোয়াড্রন ২০১৬ সালে |
অর্জুন মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক |
১৯৭৪ |
২০০৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত; পরবর্তী প্রজন্মের ভেরিয়েন্ট এমকে–১এ এবং এমকে–২ পরীক্ষা চলছে |
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা |
১৯৯৯ |
কর্মকর্তারা দাবি করেন যে প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ এবং দিল্লিতে এটি স্থাপনের অনুমোদন চাইছে |
নাগ অ্যান্টি–ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল |
১৯৮৩ |
একাধিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে কিন্তু এখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি |
অ্যাডভান্সড টাউড আর্টিলারি গান সিস্টেম |
২০১৩ |
বৈধকরণ ট্রায়াল ২০২২ সালে সম্পন্ন হয়েছে |
সূত্র: নিবন্ধকারের গবেষণা
যদিও ভারতের উপর প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধ স্থানীয় আর অ্যান্ড ডি বাস্তুতন্ত্রের বিলম্বিত বিকাশে একটি ভূমিকা পালন করেছিল, তবে এ কথাও সত্য যে বছরের পর বছর ধরে ডি আর ডি ও–র বৈশিষ্ট্য হল প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি, দুর্বল প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং পর্যাপ্ত চূড়ান্ত ফলাফলের অভাব। তার উপর প্রতিযোগিতামূলক সমকক্ষ সত্তার অভাব এবং অ্যাকাডেমিয়া ও বেসরকারি ক্ষেত্রের ন্যূনতম অংশগ্রহণ প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি–এর উপর ডি আর ডি ও–র দখল পরিপূর্ণ করেছে। বিপরীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলি সক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষা গবেষণায় অংশগ্রহণ করে। মার্কিন সরকারও যথেষ্ট তহবিল সহায়তা প্রদান করে তাদের উৎসাহিত করে, যার পরিমাণ ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রযুক্তির উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টা
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকার ধীরে ধীরে পথ সংশোধন করছে। যেমন এই বছর ২০২২–২৩ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে অ্যাকাডেমিক প্রতিরক্ষা গবেষণার জন্য ১,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেটে দেশীয় শিল্প থেকে কেনার জন্য মূলধন অধিগ্রহণ বাজেটের ৬৮ শতাংশ, এবং স্টার্ট–আপগুলি সহ বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ করে বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন উন্মুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আর অ্যান্ড ডি–র কাজে যুক্ত সংস্থাগুলিকে ডি আর ডি ও–র প্রযুক্তি উন্নয়ন তহবিল ১০ কোটি টাকা দেবে।
আইডেক্স–এর ডিফেন্স ইন্ডিয়া স্টার্ট–আপ চ্যালেঞ্জ (ডিস্ক) স্টার্ট–আপদের পুরস্কার দিয়েছে এনক্রিপশন, যোগাযোগ, রাডার সিস্টেম এবং মানবহীন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কিত নির্দিষ্ট সামরিক সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতার ভিত্তিতে।
সরকার ডিফেন্স ইনোভেশন অর্গানাইজেশন (ডি আই ও)–এর অধীনে তার ইনোভেশন ফর ডিফেন্স এক্সেলেন্স (আইডেক্স) প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্টার্ট–আপ বাস্তুতন্ত্রকেও কাজে লাগিয়েছে। ডি আই ও তৈরি করা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইনোভেশন ইউনিটের আদলে, যা সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। এটি সেনাবাহিনীর জন্য প্রযুক্তি সমাধান তৈরি করতে আর অ্যান্ড ডি ইনস্টিটিউটগুলি, অ্যাকাডেমিয়া, ব্যবসা, স্টার্ট–আপ এবং স্বতন্ত্র উদ্ভাবকদের সঙ্গে কাজ করে, এবং তাদের ১.৫ কোটি পর্যন্ত টাকা দেয়। ২০১৮ সাল থেকে আইডেক্স–এর ডিফেন্স ইন্ডিয়া স্টার্ট–আপ চ্যালেঞ্জ (ডিস্ক) স্টার্ট–আপদের পুরস্কার দিয়েছে এনক্রিপশন, যোগাযোগ, রাডার সিস্টেম এবং মানবহীন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কিত নির্দিষ্ট সামরিক সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতার ভিত্তিতে। এর মধ্যে অনেক প্রযুক্তিই দ্বৈত–ব্যবহারযোগ্য। যেমন ডি আই এস সি বিজয়ীদের মধ্যে একটি সংস্থা আই আর ও ভি টেকনোলজিস–এর পর্যবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য আন্ডারওয়াটার ড্রোনের সামুদ্রিক ক্ষেত্র এবং তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলির জন্য বাণিজ্যিক উপযোগিতা রয়েছে।
এটা স্পষ্ট যে সরকার গবেষণা ও উন্নয়নে অন্য অংশীদারদের অংশগ্রহণকে উদ্দীপিত করতে চায়।
প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি–এর পরিধি বিস্তৃত করা
উপরের পদক্ষেপগুলি নিঃসন্দেহে ভারতের প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন আনবে। উপরন্তু সরকারকে অন্যান্য দেশের আর অ্যান্ড ডি সেট–আপগুলির সঙ্গে বৃহত্তর সংযোগ গড়ে তুলতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সহযোগিতা ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যাই হোক, এখন এই সহযোগিতা শুধু সরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ। যেমন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ার–লঞ্চড ড্রোন একত্রে তৈরির জন্য ভারত–মার্কিন চুক্তিতে মার্কিন এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং ডি আর ডি ও একসঙ্গে কাজ করবে। বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রযুক্তি সহযোগিতাগুলিকে অবশ্যই অন্য অংশীদারদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যেমন অ্যাকাডেমিয়া, স্টার্ট আপ ও বেসরকারি ক্ষেত্র, যা প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণেও সাহায্য করবে।
এয়ার–লঞ্চড ড্রোন একত্রে তৈরির জন্য ভারত–মার্কিন চুক্তিতে মার্কিন এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং ডি আর ডি ও একসঙ্গে কাজ করবে।
আর অ্যান্ড ডি–এর জন্য তহবিল ভারতের জন্য একটি বেদনাদায়ক বিষয় হিসেবে থেকে গেছে, কারণ আর অ্যান্ড ডি–তে ভারতের ব্যয় সর্বনিম্নগুলির একটি। তহবিলের অভাব কাটিয়ে উঠতে নতুন তহবিল ব্যবস্থা উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই ব্যবধান পূরণ করা দরকার। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত লোকসভার স্থায়ী কমিটির মতে, চিনের ২০ শতাংশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ শতাংশের তুলনায় ভারত প্রতিরক্ষা বাজেটের ৬ শতাংশ ব্যয় করে গবেষণা ও উন্নয়নে। এমনকি মোট আভ্যন্তর উৎপাদনের (জিডিপি) শতাংশ হিসেবে সাধারণ গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয়ের মোট অংশ অন্যান্য দেশের তুলনায় নগণ্য।
সারণি ২: জি ডি পি–র % হিসেবে গবেষণা ও উন্নয়ন ( আর অ্যান্ড ডি) ব্যয়, ২০২০
দেশ |
জিডিপি–র শতাংশ |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
৩.৪৫ |
চিন |
২.৪০ |
রাশিয়া |
১.১০ |
ইজরায়েল |
৫.৪৪ |
জাপান |
৩.২৬ |
ইউ কে |
১.৭১ |
ফ্রান্স |
২.৩৫ |
জার্মানি |
৩.১৪ |
ভারত |
০.৬৬ |
সূত্র: ইউনেসকো ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যাটিসটিক্স থেকে বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য
এটি একটি উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকারীদের জন্যও একটি সীমাবদ্ধতা, কারণ তাঁরা সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য সম্পদের প্রাপ্যতার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তাই আর অ্যান্ড ডি ব্যয় বাড়াতে তাঁদের সৃজনশীলভাবে ভাবতে হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রকে ফ্ল্যাগশিপ টেক ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা এর একটি পথ হতে পারে। যাই হোক, এটি সরকারকে বাধা সরাতে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রকে প্রণোদনা দিতে বাধ্য করবে। একটি উপায় হল সম্ভবত ডি আই ও–র আইডেক্স প্রোগ্রামের ম্যানেজমেন্ট বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য উন্মুক্ত করা।
আরও প্রতিযোগিতামূলক আর অ্যান্ড ডি বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা এবং উদীয়মান প্রযুক্তির উপর ফোকাস করা প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতা অর্জনের সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট উপায়। ভারতে প্রতিরক্ষা আর অ্যান্ড ডি বাস্তুতন্ত্রকে সম্প্রসারিত করার জন্য সরকার বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তার অভিপ্রায় প্রদর্শন করেছে। যুদ্ধের প্রকৃতি পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন বেসরকারি ক্ষেত্র ও স্টার্ট–আপ বাস্তুতন্ত্রের সক্রিয় অংশগ্রহণ জাতীয় প্রতিরক্ষাশিল্পের ভিত্তি তৈরি করতে এবং অস্ত্র আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.