Published on Jul 06, 2023 Updated 0 Hours ago
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের সঙ্গে চিপস যুদ্ধ জোরদার করেছে

বিশ্বের ভূরাজনীতি এখন নিরন্তর পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। চিনের উত্থান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় বৃহত্তর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুদ্ধোত্তর বিশ্বব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। গত কয়েক দশকে চিনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উচ্চ হারের অর্থ হল সামরিক খাতে বৃহৎ বাজেট বরাদ্দ করা। এর ফলে, চিনের সামরিক উত্থান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে, যেখানে চিন হিমালয় থেকে দক্ষিণ চিন সাগর হয়ে পূর্ব চিন সাগর পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এই নিবন্ধে দর্শানো হয়েছে, চিনের বিশাল সামরিক শক্তি এবং প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণের হুমকি একজোটে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি করেছে। তা সত্ত্বেও চিনের চ্যালেঞ্জ বহুমুখী এবং তা কেবলমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে সীমিত নয়। এই নিবন্ধে প্রযুক্তির পরিসরটির উপর মনোনিবেশ করা হয়েছে।


আরোপণ: রাজেশ্বরী পিল্লাই রাজাগোপালন, ‘দি ইউএস এস্কেলেটস চিপস ওয়ার উইথ চায়না,’ ওআরএফ অকেশনাল পেপার নং ৩৯৭, এপ্রিল ২০২৩, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।


ভূমিকা

চিন-মার্কিন প্রযুক্তি এবং বাণিজ্য যুদ্ধ এক নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছে। কারণ ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আমেরিকা চিনের উপর নতুন একদফা প্রযুক্তি সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণবিধি জারি করেছে। এই নিয়ন্ত্রণগুলি ‘বেজিংয়ে উচ্চ মানের সেমিকন্ডাক্টর ও সেমিকন্ডাক্টর তৈরির যন্ত্রপাতি সরবরাহ প্রভাবিত করবে।’(১) বিশ্ব জুড়ে একাধিক অঞ্চলে চিনা টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা হুয়াইয়ের ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণ সীমিত করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন প্রচেষ্টা হিসাবে ২০১৯ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তরঙ্গ শুরু হয়েছিল। সামরিক ও নিরাপত্তা উপযোগিতা-সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিতে প্রতিযোগিতার গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর (বা চিপস) এবং অন্যান্য উপাদান-সহ প্রযুক্তিতে চিনের প্রবেশাধিকারকে সীমিত করার প্রচেষ্টা সম্ভবত ব্যাপক হয়ে উঠবে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ কথাও বলেছে যে, যদি তার  মিত্র এবং অংশীদার দেশগুলি নতুন ব্যবস্থা আরোপ করার ক্ষেত্রে তার নেতৃত্ব অনুসরণ না করে, তা হলে তারা ‘ভূখণ্ড-বহির্ভূত পদক্ষেপ’ নেবে।(২)

ইউরোপীয় কমিশন সেমিকন্ডাক্টর পরিসরে মহাদেশটির প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা জোরদার করার প্রয়াসে ২০২২ সালে চিপস অ্যাক্ট প্রবর্তন করে, যা প্রাথমিকভাবে ইউরোপের বাজারের অংশ বর্তমান ১০ শতাংশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২০ শতাংশ করতে চায়।(৩) সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহের দুর্বলতা থেকে ইউরোপকে সুরক্ষিত করার জন্য এই আইনে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে: পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা; কাটিং-এজ চিপগুলির প্রোটোটাইপিং, পরীক্ষা ও নিরীক্ষার জন্য সরঞ্জাম এবং পাইলট লাইন পরিকল্পনা করার জন্য সমগ্র ইউরোপ জুড়ে লভ্যতার সুযোগ দেওয়া; অধিকতর বিনিয়োগকারী-বান্ধব পরিকাঠামো নিশ্চিত করা যা ইউরোপে উত্পাদন সুবিধা স্থাপনে সহায়তা করবে; এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য গুণমান এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করতে শক্তি-দক্ষ এবং বিশ্বস্ত চিপগুলির জন্য শংসাপত্র পদ্ধতি চালু করা।

এই আইন স্টার্ট-আপ এবং এসএমইকে ইক্যুইটি অর্থায়নে আরও ভাল সুযোগ প্রদানের বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতে; মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্সে আরও দক্ষতা, প্রতিভা এবং উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে; সরবরাহ সংক্রান্ত দুর্বলতা দূর করতে সম্ভাব্য সেমিকন্ডাক্টর ঘাটতির আন্দাজ, সঙ্কটের পূর্বাভাস এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষমতা তৈরিতে; এবং সারা বিশ্ব জুড়ে সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়।(৪) গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, চিপস অ্যাক্ট ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরকারি এবং বেসরকারি উভয় বিনিয়োগক্ষেত্রে ১৫ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৭.১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করার অনুমতি দেবে।(৫)

এই নিবন্ধটি আমেরিকা-চিন প্রযুক্তি যুদ্ধের তীব্রতাকে বর্ণনা করে; এই প্রযুক্তি যুদ্ধের যুক্তিগুলি পরীক্ষা করে; এবং নতুন মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপগুলি ব্যাখ্যা করে, যা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে চিনে প্রযুক্তি প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে। এটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মার্কিন বিধিনিষেধের প্রতিক্রিয়া প্রশমিত করার জন্য চিনের অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টার দিকেও নজর দেয়।

মার্কিন-চিন প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ ৫জি, এআই, স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং ইন্টারনেট অফ থিংস-এর (আইওটি) মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির চাবিকাঠি। যুদ্ধের পরিবর্তিত প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রযুক্তিগুলির অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মূল্য বিদ্যমান এবং দেশগুলির প্রতিরক্ষা বিভাগ সম্ভাব্য সুবিধাভোগীদের মধ্যে রয়েছে। কারণ অটোমেশন এবং ডিজিটালকরণ সামরিক পরিসরে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। ইন্টেল কর্পোরেশনের সিইও প্যাট গেলসিঞ্জার ২০২২ সালের মার্চ মাসে তাঁর সেনেটের সাক্ষ্যদানে মন্তব্য করেছিলেন যে, ক্রমবর্ধমান ডিজিটালকরণের ফলে সেমিকন্ডাক্টরের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা গত কয়েক বছরে বিশেষভাবে তীব্র হয়ে উঠেছে।(৬) এর ফল স্বরূপ, চাহিদার সুবিশাল বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টরের গুরুতর ঘাটতির দিকে পরিচালিত করেছে। আমেরিকাভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, অতিমারি দ্বারা প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সংযোগের জন্য ব্যাপক চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে ‘গাড়ির মতো অন্য পণ্যগুলির জন্য চিপ চাহিদার উল্লেখযোগ্য ওঠানামা সারা বিশ্ব জুড়ে সরবরাহ-চাহিদার ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে।’(৭)

যে সব দেশের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে, তারা প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তারের জন্য ভাল অবস্থানে রয়েছে।(৮) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর কয়েকটি অংশীদার দেশ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সফল হয়েছে, যদিও আরও বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে যারা এই পরিসরে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। চিন সামরিক বাহিনী-সহ একাধিক ক্ষেত্র জুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্পষ্টতই স্বীকৃতি দিয়ে ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের (১.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।(৯) যদিও এটি এখনও এই ধরনের ব্যাপক বিনিয়োগের সুফল পেতে সক্ষম হয়নি এবং এই নীতি পদ্ধতির পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেছে। পশ্চিমে উত্পাদিত উপাদানগুলি না-পেলে চিন সেই উচ্চ মানের চিপ তৈরি করতে পারে না, যেগুলি অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর নোড ব্যবহার করে।(১০) চিনের দুর্দশার বিষয়ে মন্তব্য করে ইউরোপীয় এন্টারপ্রাইজ পরিকাঠামোর আইডিসি রিসার্চ ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু বাস বলেছেন যে, ‘আমরা চিনের অভ্যন্তরের বিষয়টি আরও স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাব, যেখানে এসএমআইসি-র মতো নির্মাতারা পশ্চিমী সংস্থাগুলির জন্য একটি নির্মাণকারী হওয়ার পরিবর্তে দেশীয় বাজারে পরিবেশনকারী হিসেবে সক্রিয় থাকছে।’(১১)

এই মনোভাবকে সমর্থন করে গার্টনারের সেমিকন্ডাক্টর এবং বৈদ্যুতিন চর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড গর্ডন বলেছেন যে, চিন ‘ভবিষ্যতে তার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য তার সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ব্যবহার করার দিকে মনোনিবেশ করলেও’ এটি প্রায় অসম্ভব যে ‘তারা (চিন) সমস্যাটি সমাধানে অর্থের ব্যবহার বন্ধ করবে। কিন্তু আরও বড় সমস্যা হল, এমনটা করার জন্য দক্ষতা ও সময়ের প্রয়োজন হবে এবং তা দীর্ঘমেয়াদি।’(১২) আমেরিকা-চিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিকে (টিএসএমসি) ঘিরে তাইওয়ান আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। কারণ,  সংস্থাটি অ্যাপল, কোয়ালকম, ব্রডকম, আর্ম এবং এনভিডিয়ার মতো সংস্থার ডিজাইনের জন্য চিপ তৈরি করে।(১৩) টিএসএমসি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে উন্নত চিপগুলির ৮৪ শতাংশ উত্পাদন করে।(১৪)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রবিধান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি প্রবাহ সীমাবদ্ধ করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রবিধান প্রয়োগ করে। এর মধ্যে রয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ট্রাফিক ইন আর্মস রেগুলেশনস (আইটিএআর), যা অস্ত্র রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইন (এইসিএ) প্রয়োগ করে এবং মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি (বিআইএস) দ্বারা বাস্তবায়িত ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের এক্সপোর্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেগুলেশনস (ইএআর)। বিআইএস-এর নিয়ন্ত্রিত উপাদানগুলি কমার্স কন্ট্রোল লিস্টে (সিসিএল) রয়েছে।(১৫) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বিআইএস কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতির পরিবর্তন শুরু করে, যার মধ্যে ‘কিছু উন্নত কম্পিউটিং সেমিকন্ডাক্টর চিপস (চিপস, উন্নত কম্পিউটিং চিপস, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি), সুপার কম্পিউটারের শেষ ব্যবহারের জন্য লেনদেন এবং নির্দিষ্ট কিছু সত্তার সঙ্গে জড়িত লেনদেনগুলির উপর অতিরিক্ত রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।’(১৬)

এই নীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি বিআইএস রফতানি প্রশাসন প্রবিধান (ইএআর) সংশোধন করেছে, যার মধ্যে ৩১ জনকে আনভেরিফায়েড লিস্ট-এ (ইউভিএল) যোগ করার পাশাপাশি বিআইএস তাদের পরিচয় যাচাই করতে সক্ষম হওয়ার পরে ইউভিএল থেকে ন’জনকে অপসারণ  করেছে।(১৭) যাচাই না-করা তালিকায় সেই পক্ষগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাদের সঙ্গে প্রযুক্তি, হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার লেনদেন করা যাবে না। কারণ বিআইএস ‘তাদের পরিচয় যাচাই করতে পারেনি।’ যদি ‘মার্কিন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার কারণে’ বিআইএস একটি নির্দিষ্ট পক্ষের ব্যাপারে ‘সন্তোষজনক ভাবে’ একটি ‘শেষ ব্যবহারের যাচাই’ সম্পূর্ণ করতে অক্ষম হয়, তা হলে পার্টিটিকে ইউভিএল-এ যুক্ত করা হয়।(১৮) নতুন সংযোজন এবং বর্জন, সবটাই চিন সম্পর্কিত। বিআইএস উল্লেখ করেছে যে, ৩১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছিল, কারণ এটি ‘তাদের সত্যতা যাচাই করতে অক্ষম ছিল এবং মার্কিন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার কারণে শেষ ব্যবহারের যাচাই সন্তোষজনক ভাবে সম্পন্ন করা যায়নি।‘ ন’টি পার্টিকে ইউভিএল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‘কারণ বিআইএস তাদের সত্যতা যাচাই করতে সমর্থ হয়।’ এ হেন কার্যকলাপের ‘এআই-এর ভবিষ্যতে চিনে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়ার উপরে’ প্রভাব রয়েছে।(১৯)

এই নীতি পরিবর্তনগুলি ২০২২ সালের অগস্ট মাসে বাইডেন প্রশাসনের চিপস এবং বিজ্ঞান আইনের প্রেক্ষাপটে উঠে আসে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় গবেষণা, উন্নয়ন এবং উৎপাদন ক্ষমতা জোরদার করে সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে দেশের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে আশাবাদী।(২০) হোয়াইট হাউসের একটি ফ্যাক্ট শিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই আইনটি ‘আমেরিকার উৎপাদন, সরবরাহ শৃঙ্খল ও জাতীয় নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে এবং গবেষণা ও উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের কর্মশক্তিতে বিনিয়োগ করবে, যাতে আমেরিকা ন্যানো প্রযুক্তি, দূষণহীন শক্তি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো আগামিদিনের শিল্পে নেতৃত্ব প্রদান করে।’ চিপস এবং সায়েন্স অ্যাক্টের স্বাক্ষর অবিলম্বে মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের উপর জোর দেয় এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে বাধ্য করার মাধ্যমে মোট ব্যবসায়িক বিনিয়োগকে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে দেয়।’(২১) চিপস এবং সায়েন্স অ্যাক্ট হল দু’টি দ্বিপাক্ষিক বিলের সংমিশ্রণ, যেখানে উভয়েরই লক্ষ্য উচ্চ মানের প্রযুক্তিতে মার্কিন প্রতিযোগিতার গতি বাড়ানো: উচ্চ মানের প্রযুক্তি গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এন্ডলেস ফ্রন্টিয়ার অ্যাক্ট এবং চিপস ফর আমেরিকা অ্যাক্ট, যার লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদনকে পুনরুজ্জীবিত করা।(২২)

সারণি ১. সেমিকন্ডাক্টর সম্পর্কিত চিপস অ্যাক্টে বরাদ্দ (মার্কিন বিলিয়ন ডলারে)

চিপস আইনে বরাদ্দ অর্থবর্ষ ২২ অর্থবর্ষ২৩ অর্থবর্ষ২৪ অর্থবর্ষ২৫ অর্থবর্ষ২৬ অর্থবর্ষ ২৭ সর্বমোট
ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (ইনসেন্টিভস) ১৯ ৩৯
ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজি সেন্টার ১.৩ ১.১ ১.৬ ১১
ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম ২.৫
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি সেমিকন্ডাক্টর মেট্রোলজি আরঅ্যান্ডডি ০.৫
ম্যানুফ্যাকচারিং ইউএসএ ইনস্টিটিউট ফর সেমিকন্ডাক্টরস
ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স সেমিকন্ডাক্টর আরঅ্যান্ডডি নেটওয়ার্ক ০.৪ ০.৪ ০.৪ ০.৪ ০.৪
ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট টেকনোলজি সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনোভেশন ফান্ড ০.১ ০.১ ০.১ ০.১ ০.১ ০.৫(২৩)
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন চিপস এডুকেশন ফান্ড  ০.০২৫ ০.০২৫ ০.৫ ০.৫ ০.৫ ০.২
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস অ্যান্ড ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওয়্যারলেস সাপ্লাই চেন ইনোভেশন ফান্ড ১.৫ ১.৫

সূত্র: সেন্টার ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি(২৪)

প্রেসিডেন্ট বাইডেনও ২০২২ সালের অগস্ট মাসে একটি মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন। ওহিওর ডেমোক্র্যাট মার্কিন সেনেটর শেরড ব্রাউন এই আইনটিকে সমর্থন করেছেন। কারণ এটি ‘আমেরিকার তৈরি বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ভর্তুকি প্রদান করে, যার মূল লক্ষ্য হল চিন থেকে সরবরাহ শৃঙ্খলকে পুনরায় দেশে ফিরিয়ে আনা।’(২৫) এই আইনের লক্ষ্য হল অন্য বিষয়ের মধ্যে, ‘আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীর উৎপাদন শক্তিশালী করা এবং দুর্বল সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর আমাদের নির্ভরতা হ্রাস করা।’(২৬)

এই সমস্ত নিয়ম রাতারাতি বদলে যায়নি। বরং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিন এবং চিনা সংস্থাগুলির উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তার একটি বিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে।(২৭)

২০২২ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘোষিত নতুন মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রক বিধি চিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি আমদানিকে কঠিন করে তুলেছে, রফতানি লাইসেন্স ছাড়া মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি সেমিকন্ডাক্টর স্থানান্তর এবং/অথবা বিক্রয় নিষিদ্ধ করে।(২৮) এই বিধিনিষেধগুলি সম্ভবত এআই, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং এবং সুপার কম্পিউটারের মতো ক্ষেত্রগুলিতে চিনা গবেষণার উপরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। নতুন নিয়মে চিনে চিপ তৈরির সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি রফতানি খর্ব করা হয়েছে। চিনা সংস্থাগুলির নিজস্ব সরঞ্জাম তৈরি করার জন্য এই চিপ প্রয়োজন হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে নির্দিষ্ট অনুমোদন ছাড়া চিনা চিপ নির্মাতাদের সঙ্গে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিক এবং সংস্থার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যে অনুমোদন সম্ভবত সহজে পাওয়া যাবে না। এ কথা জানা গিয়েছে যে, চিনা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কর্মরত প্রায় ২০০ জন পাসপোর্টধারী ব্যক্তি আদতে প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফেরত চিনা এবং তাইওয়ানিজ। বেশ কিছু বিশ্লেষকদের মতে, এটি আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।(২৯)

এই নতুন বিধিনিষেধগুলি যথেষ্ট ব্যাপক এবং অন্তত স্বল্পমেয়াদে বেজিংয়ের উপর গুরুতর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শিল্প ও নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব কমার্স অ্যালান এস্তেভেজ ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বলেন যে, ‘আমরা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের সামরিক বাহিনী, বুদ্ধিমত্তা এবং সামরিক অ্যাপ্লিকেশন-সহ সংবেদনশীল প্রযুক্তি সংগ্রহ করা ঠেকাতে আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। হুমকির পরিসর প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে এবং আমরা বর্তমানে আমাদের নীতিগুলির সংস্কার করছি, যাতে আমাদের মিত্র ও অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সমন্বয় বজায় রাখার  পাশাপাশি পিআরসি দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে পারি।’(৩০) এক্সপোর্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব কমার্স থিয়া ডি রোজম্যান কেন্ডলার এই ভাবনার পুনরাবৃত্তি করে বলেন যে, ‘পিআরসি সুপারকম্পিউটিং ক্ষমতার বিকাশে যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ বিনিয়োগ করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে সে বৈশ্বিক নেতা হয়ে উঠতে চায়। দেশের নাগরিকদের নিরীক্ষণ, গতিবিধির উপর নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, এবং সামরিক আধুনিকীকরণে গতি আনতে এই ক্ষমতাগুলি ব্যবহার করছে।’(৩১)

আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ হ্যাল ব্র্যান্ডস নতুন নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে কারণ দর্শিয়েছেন: ‘চিনা অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং সামরিক শক্তিকে বাধা দেওয়ার জন্য… এর পাশাপাশি এর মাধ্যমে এ-ও স্পষ্ট হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু মাত্র নিজের গতি বাড়িয়ে চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারবে না। একই সঙ্গে বেজিংয়ের গতিও মন্থর করতে হবে।’(৩২) অন্য বিশেষজ্ঞরাও একই ধরনের যুক্তি দর্শিয়ে বলেন যে, নতুন রফতানি নিয়ন্ত্রক ‘কেবল মাত্র চোকপয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে নয়, বরং সক্রিয়ভাবে চিনা প্রযুক্তি শিল্পের একটি বড় অংশকে অকেজো করে কার্যত ধ্বংস করার জন্য একটি নতুন নীতির সূচনায় মার্কিন সরকারের এক অভূতপূর্ব হস্তক্ষেপের নিদর্শন প্রদর্শন করে।(৩৩)

তাঁদের যুক্তি অনুযায়ী বাইডেন প্রশাসন কার্যত চারটি প্রয়াস  চালিয়েছে: ‘(১) উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপগুলি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে চিনা এআই শিল্পের শ্বাসরোধ করা; (২) আমেরিকা নির্মিত চিপ ডিজাইন সফটওয়্যার পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে চিনের অভ্যন্তরীণ ভাবে এআই চিপ ডিজাইন করা থেকে বিরত রাখা; (৩) আমেরিকা নির্মিত সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন সরঞ্জামগুলির লভ্যতা বন্ধ করে চিনকে উন্নত চিপ তৈরি করা থেকে বিরত রাখা; এবং (৪) আমেরিকা নির্মিত যন্ত্রাংশের লভ্যতা নিষিদ্ধ করে সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণ সরঞ্জামগুলি্র অভ্যন্তরীণ উত্পাদনে চিনকে বাধা দেওয়া।’(৩৪) চিনের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞাগুলি স্বল্প মেয়াদে চিনের পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যেমনটা তাইপে-র ইশাইয়া রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্ট লুসি চেন বলেছেন যে, ‘সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিগুলিকে অভ্যন্তরীণ বিকল্প দ্বারা প্রতিস্থাপিত করার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।’(৩৫)

বিধিনিষেধের এ হেন প্রবাহের আগে মার্কিন পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। ওবামা প্রশাসন শুধু মাত্র উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপগুলিতে চিনা সামরিক বাহিনীর লভ্যতাকে সীমিত করেছিল, যার ফলে চিনা বাণিজ্যিক শক্তিগুলির কাছে মার্কিন প্রযুক্তির লভ্যতা ভোগ করার সুযোগ অব্যাহত ছিল। ওবামা প্রশাসন মার্কিন চিপনির্মাতা ইন্টেলের উপর ‘তার উচ্চ মানের জিওন চিপগুলি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ডিফেন্স টেকনোলজির (এনইউডিটি) মতো চিনা সামরিক সুপার কম্পিউটার গবেষণা কেন্দ্রের কাছে বিক্রি করার উপর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যদিও ‘এটি শেল কোম্পানিগুলির কাছে পরোক্ষ  বিক্রয় বন্ধ করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রূপে অকার্যকর ছিল, যেগুলি চিনা সামরিক বাহিনীকে রফতানি নিয়ন্ত্রণ এড়াতে সাহায্য করেছিল।’(৩৬) তাছাড়া চিনে সামরিক-নাগরিক ভেদরেখা জোরালো না হওয়ায় চিনের ক্ষেত্রে এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা সামরিক ও নাগরিক সংস্থার মধ্যে কোনও ফারাক নেই। ফলে চিনা সামরিক বাহিনী পরোক্ষ ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদার দেশগুলি থেকে সেরা প্রযুক্তিগুলি পেতে সক্ষম হয়েছিল।(৩৭) কয়েক জন বিশেষজ্ঞ এই যুক্তি দর্শিয়ে বলেন যে, বাইডেন প্রশাসন তাঁর পন্থা অবলম্বন করে ঠিক এটিরই প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ, ‘যদি আপনার নীতি সামরিক-বেসামরিক নীতির সংমিশ্রণ হয়, তা হলে আমাদের (প্রযুক্তি) শেষমেষ সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার বন্ধ করার নীতি বাস্তবায়নের একমাত্র বাস্তব উপায় হল সমস্ত  বিক্রয় বন্ধ করে দেওয়া। চিনের ক্ষেত্রে আমরা এখন সেই পদক্ষেপ নিতেই ইচ্ছুক।’(৩৮)

বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং নেদারল্যান্ডসের শিল্পগুলি সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের পরিসরে আধিপত্য বিস্তার করে। সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (এসআইএ) অনুসারে, ২০২২ সালে সেমিকন্ডাক্টরের বিশ্বব্যাপী বিক্রয় ৫৭৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেটিকে গোষ্ঠীটি ‘সর্বকালীন সর্বাধিক বার্ষিক মোট বিক্রি এবং ২০২১ সালের মোট ৫৫৫.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৩.৩% বৃদ্ধি’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে মন্দা সত্ত্বেও এই ক্ষেত্র রেকর্ড সাফল্যের সাক্ষী থেকেছে।(৩৯) প্রকৃতপক্ষে, এসআইএ আশা করে যে, আগামী বছরগুলিতে বিশ্বব্যাপী এই চাহিদা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে। ২০২২ সালে ১৮০.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বিক্রয় ২০২১ সালের তুলনায় ৬.২ শতাংশ কমে যাওয়ায় সত্ত্বেও চিন সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবেই রয়ে গিয়েছে।(৪০)

এ দিকে, বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ক্ষমতায় মার্কিন শেয়ার ১৯৯০ সালে ৩৭ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। কারণ অন্য দেশগুলি গত কয়েক বছরে এই পরিসরে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।(৪১) ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসআইএ উল্লেখ করেছে যে, এর ফলে চিপ উত্পাদন ক্ষমতার বেশির ভাগই এখন পূর্ব এশিয়ায় সীমাবদ্ধ এবং চিন ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উৎপাদনের বৃহত্তম অংশীদার হয়ে উঠতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চিনের অবস্থান যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং এই পরিসরে সরকারের কাছ থেকে যথেষ্ট তহবিল পেতে সক্ষম হলেও এই পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

চিন অনেক ধরনের চিপ তৈরি করলেও স্মার্টফোন, সুপারকম্পিউটার বা এআই সিস্টেমে ব্যবহার করার মতো অত্যাধুনিক কম্পিউটার চিপগুলির জন্য বেজিংকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা জাপান বা নেদারল্যান্ডের মতো  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার দেশগুলির কয়েকটি শিল্পের উপর নির্ভর করতে হয়।(৪২) এটি অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের ‘মানবাধিকার বা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিস্বরূপ চিনা রাষ্ট্র বা বেসরকারি ক্ষেত্রটিকে চিপ সরবরাহ বন্ধ করা’র সুযোগ করে দেয়।(৪৩) এই বছর জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে চিনে রফতানি বন্ধ করার কাজে জাপান ও নেদারল্যান্ডস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামিল হয়েছে, যা চিনের জন্য অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থায় এই সকল চিপের ব্যবহার সুনিশ্চিত করার কাজকে আরও কঠিন করে তোলে।(৪৪) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় দু’বছর ধরে এই দু’টি  দেশের সঙ্গে আলোচনা চালালেও নেদারল্যান্ডসের এএসএমএল এবং জাপানের টোকিও ইলেক্ট্রন এবং নিকনের মতো নিজস্ব চিপ তৈরির সরঞ্জাম সংস্থাগুলির উপর সম্ভাব্য প্রভাবের আশঙ্কায় উভয় দেশই এই ধরনের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

কিছু জটিল এসএমই প্রযুক্তি এই দেশগুলির মাত্র কয়েকটি সংস্থা দ্বারা উত্পাদিত হয়। এর একটি অন্যতম উদাহরণ হল, ইইউভি ফটোলিথোগ্রাফি সরঞ্জাম – লজিক চিপ তৈরির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম – যা শুধু মাত্র ডাচ সংস্থা এএসএমএল বিক্রি করে।(৪৫) বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, চিনের কাছে ৫ এনএম বা তার থেকে কম চিপ তৈরিতে প্রয়োজনীয় এক্সট্রিম আল্ট্রাভায়োলেট (ইইউভি) ফটোলিথোগ্রাফি মেশিন তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় ‘শতবর্ষের না হলেও, দশকব্যাপী’ অভিজ্ঞতা এবং নিরঙ্কুশ জ্ঞান নেই, যা চিনের চিপগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা উপস্থাপন করে।’(৪৬) একই ভাবে আমেরিকার সিনপসিস এবং ক্যাডেন্স বা জার্মানির সিমেনস (মেন্টর গ্রাফিক্স) থেকে ইলেকট্রনিক ডিজাইন অটোমেশন (ইডিএ) টুলস বা আমেরিকার অ্যাপ্লাইড মেটেরিয়ালস এবং ল্যাম রিসার্চ থেকে উৎপাদিত সরঞ্জাম বা ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক পরিদর্শন সরঞ্জাম কেএলএ চিনের জন্য সেমিকন্ডাক্টর বা অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস তৈরির ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।(৪৭)

চিনের প্রতিক্রিয়া

বিশেষত প্রযুক্তিতে আমেরিকা-চিন প্রতিযোগিতা গত কয়েক বছর ধরে চরমে পৌঁছনর ফলে চিন হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের তরফে এই ধরনের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছিল। তা সত্ত্বেও এই বিধিনিষেধগুলি এখনও এই উচ্চ প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে একটি দেশীয় কেন্দ্র স্থাপনে চিনের ক্ষমতার উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।(৪৮) ২০১৫ সালে চালু হওয়া চিনের ‘মেড ইন চায়না ২০২৫’ কৌশলটি দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের কৌশল কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পেলেও ‘গুরুত্বপূর্ণ  দক্ষতার অভাব’ এমন এক বাধা, যা চিনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের পিছনেই রেখে দেবে। এই পরিসরে ২০১৪ সালে চিনের প্রথম বিনিয়োগকৃত তহবিলের পরিমাণ ছিল প্রায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৩৯ বিলিয়ন রেনমিনবি) এবং এটি শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক (এমআইআইটি) দ্বারা পরিচালিত হত। তহবিলের দ্বিতীয় বরাদ্দ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে করা হয়েছিল, যার মূল্য ছিল ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০৪ বিলিয়ন রেনমিনবি)।(৫০) এ ছাড়াও ন্যূনতম ১৫টি স্থানীয় সরকারি তহবিল স্থাপন করা হয়েছিল, যা প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্র করে। ওইসিডি এবং ইউএস কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস-সহ (সিআরএস) চিনের বাইরের বিভিন্ন প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, চিন তার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোট ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।(৫১) চিন সরকার তার ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) কৌশলগত শিল্পের জন্য, যার মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পও রয়েছে, সেই খাতে ১.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে।(৫২)

চিন বর্তমানে অনিবার্য ভাবে এ সব ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার দিকে মনোনিবেশ করবে, যার মধ্যে রয়েছে এই উন্নত প্রযুক্তিগুলির বিকাশের জন্য নীতি কাঠামো সশক্ত করা। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সঙ্গে জড়িত জটিল প্রযুক্তি এবং খরচ পোষানোর প্রশ্ন-সহ একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।(৫৩) চিন এখনও পর্যন্ত একটি উন্মুক্ত বিশ্ব বাজারের সুবিধা উপভোগ করতে পারলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বের মতো বিশ্বায়িত ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়ার দিন চিনের জন্য ফুরিয়ে আসছে। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রাকেশ কুমার পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, ‘উচ্চ খরচ কনজিউমার ডিভাইসগুলির জন্য চিপগুলিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে হুমকির মুখে ফেলবে, যেমন মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলি জেডটিই-কে প্রায় দেউলিয়া করে দিয়েছে এবং হুয়াওয়েকে আটকে দিয়েছে। কিন্তু খরচ সামরিক এবং অন্যান্য কৌশলগত উদ্দেশ্যে এই মূল্যবান চিপগুলির ব্যবহার ঠেকাতে পারবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার – যেখানে চিনের ইতিমধ্যেই বিশ্ব মানের শক্তি রয়েছে – চিপ উত্পাদন এবং সঞ্চিত অভিজ্ঞতাও বিকল্পের খরচ কমাতে পারে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রফতানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কম কার্যকর করে তুলবে।’(৫৪)

এ দিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষেধের সর্বশেষ রাউন্ডে চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মঞ্চে অভিযোগ করেছে। চিন আন্ডারস্ট্যান্ডিং অন রুলস অ্যান্ড প্রসিডিয়োরস গভর্নিং দ্য সেটেলমেন্ট অব ডিসপিউটস (‘ডিএসইউ’), জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেন্ড ১৯৯৪-এর (‘জিএটিটি ১৯৯৪’) ২২তম অনুচ্ছেদ, জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেন্ড ইন সার্ভিসেস-এর (‘জিএটিএস’) ২২তম অনুচ্ছেদ, এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড রিলেটেড ইনভেস্টমেন্ট মেজারস-এর (ট্রিমস এগ্রিমেন্ট) ৮ম অনুচ্ছেদ, এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড রিলেটেড অ্যাস্পেক্টস অফ ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্ট রাইটস-এর (ট্রিপস এগ্রিমেন্ট) ৬৪.১তম অনুচ্ছেদ অনুসারে সঙ্গতিপূর্ণ আলাপ-আলোচনা করার আবেদন জানিয়েছে।(৫৫) চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ‘বৈষম্যমূলক এবং ছদ্মবেশী বাণিজ্য বিধিনিষেধ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।(৫৬)

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য চিন আরও উদ্ভাবনী সমাধান খোঁজা এবং নিজেদের প্রযুক্তিগত ভিত্তিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালাচ্ছে।(৫৭) উদাহরণস্বরূপ, চিনা চিপনির্মাতা সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন (এসএমআইসি) বলেছে যে, সংস্থাটি ৭ এনএম (ন্যানোমিটার) চিপ উত্পাদন করছে, যদিও চিন ইইউভি সরঞ্জামগুলির ব্যাপারে অস্বীকার করেছে।(৫৮) এটি ৫ এনএম-এর আরও উন্নত চিপস নির্মাণের কাজ করছে বলেও জানা গেছে।(৫৯) এসএমআইসি একটি নতুন ৩০০ মিমি ওয়েফার ফ্যাব (ফ্যাব্রিকেশন ফেসিলিটি) নির্মাণ করছে বলে জানা গিয়েছে।(৬০) একই ভাবে এআই এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং-এর ক্ষেত্রে জিয়াংডিজিয়ান কম্পিউটিং টেকনোলজি এবং মফেট এআই-এর চিনা সংস্থাগুলি নতুন ডিভাইসগুলি নির্মাণের দাবি জানিয়েছে, যেগুলি তাদের মতে সেই সকল জিপিইউ-র প্রতিস্থাপন করতে পারে, যেগুলি এনভিডিয়া এবং এএমডি-র মতো আমেরিকান সংস্থাগুলি চিনের কাছে বিক্রি করেছিল৷ এগুলি স্পষ্টতই ততটা আধুনিক না হলেও, চিন এগুলিকে কার্যকর বলে দাবি করেছে।

ইতিমধ্যে অ্যাডভান্সড মাইক্রো-ফেব্রিকেশন ইকুইপমেন্ট ইনক (এএমইসি) এবং সাংহাই মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স ইকুইপমেন্ট (গ্রুপ) কোম্পানি লিমিটেড-এর (এসএমইই) মতো অন্য চিনা সংস্থাগুলি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে একটি দেশীয় ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করছে। হুওয়াই অর্থায়িত স্টার্ট-আপও ক্ষেত্রটিতে প্রবেশ করছে এবং চিপ তৈরির জন্য একটি ফ্যাব নির্মাণ করছে বলে জানা গিয়েছে।(৬১) এই সব তথ্যই দর্শায় যে, চিন অবিলম্বে সময়সীমার মধ্যে একটি কঠিন স্বদেশীকরণ প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে। এই বছরের মার্চ মাসের শুরুতে বেজিং একটি নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা গঠন করে, যার নাম সেন্ট্রাল কমিশন অন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এটি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক বিভাগ।(৬২) এটি ‘ক্ষমতাসীন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির হাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতির উপর ক্ষমতাকে আরও কেন্দ্রীভূত করবে’ এবং এটি আদতে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের স্বনির্ভরতার উপর জোর দেওয়ার একটি প্রদর্শন স্বরূপ। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি) প্রতিনিধিদের একটি গোষ্ঠীর কাছে শি মন্তব্য করেছেন যে, ‘মারাত্মক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার পরিসরে… আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বাত্মক উপায়ে একটি সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গড়ে তুলতে পারি কি না তা নির্ভর করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আত্মনির্ভরশীলতা এবং আত্ম-উন্নতির উপর।’(৬৩) নতুন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা অনুসরণ করে চিন সর্বাধিক সফল চিপ সংস্থাগুলির জন্য ভর্তুকি এবং রাষ্ট্র-সমর্থিত গবেষণার উপর বৃহত্তর নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করছে।(৬৪) গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল (এসএমআইসি), হুয়া হং সেমিকন্ডাক্টর, হুয়াওয়ে এবং নওরা অ্যান্ডবং অ্যাডভান্সড মাইক্রো-ফেব্রিকেশন ইক্যুইপমেন্ট ইনক চায়নার মতো সরঞ্জাম সরবরাহকারী-সহ চিনের দেশীয় সংস্থাগুলি চিনের নীতি পরিবর্তনের ফলে লাভবান হবে। নীতি পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ ধারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি গণমাধ্যমে বলেছেন যে, ‘চিনা সরকার এই সংস্থাগুলিকে ভর্তুকি দেবে এবং শুধু মাত্র মার্কিন বিধিনিষেধ অতিক্রম করার জন্য স্থানীয় চিপমেকিং সরঞ্জামগুলিকে কোনও তহবিল ছাড়াই উৎপাদন এবং স্থাপনা নির্মাণে সাহায্য করবে।’(৬৫) পূর্ববর্তী চিনা পদ্ধতির ত্রুটি প্রায় স্বীকার করে নিয়েই এক আধিকারিককে বলতে শোনা গিয়েছে যে, ‘চিন লাভ না করেই নিষেধাজ্ঞাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অ-কার্যকর গবেষণায় অনেক বেশি অর্থ অপচয় করেছে। বিভ্রান্তি দূর করার এবং শিল্পকে দুর্দশা থেকে বের করে আনার সামর্থ্য-সহ সমস্ত সম্ভাব্য সংস্থানকে কাজে লাগানোর সময় এসেছে।’(৬৬)

সর্বোপরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের দ্বারা চিনের উপর আরোপিত বিধিনিষেধগুলি ব্যবসাকে চিনের বাইরে প্রসারিত করেছে। চিন একটি অনুকূল উত্পাদন কেন্দ্র হিসেবে নিজের স্থান হারাচ্ছে, চিন থেকে শিল্পগুলি বাইরে বেরিয়ে অন্যত্র নিজেদের উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বিশ্বের বৃহত্তম চিপ অংশগুলির অন্যতম উত্পাদক জাপানি সংস্থা কিয়োসেরা স্বদেশ জাপানেই নিজেদের কারখানা স্থাপন করছে৷ বিশ্বব্যাপী চিপ উত্পাদন সরঞ্জামের জন্য সেরামিক উপাদানগুলিতে কিয়োসেরার ৭০ শতাংশ বাজার শেয়ার রয়েছে।(৬৭) সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিদেয়ো তানিমোতো বলেছেন যে, তিনি ‘প্রায় দু’দশক সময় জাপানে প্রথম কারখানা নির্মাণ-সহ কিয়োসেরার জন্য একটি আক্রমণাত্মক বিনিয়োগ কৌশলের উপর জোর দিচ্ছিলেন।’(৬৮) যেহেতু ‘চিনে উৎপাদন এবং বিদেশে রফতানির ব্যবসায়িক মডেল আর কার্যকর নয়’, তাই পরিবর্তনের জন্য অন্য কারণগুলি হল সস্তা শ্রমের লভ্যতা এবং মজুরি বৃদ্ধি। বেশির ভাগ উদ্বেগগুলি আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক গতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এ ভাবে চিন থেকে রফতানি চালিয়ে যাওয়া অসুবিধাজনক।(৬৯)

চিপসের বিশ্বজোড়া ঘাটতি এবং নির্ভরশীল সরবরাহ শৃঙ্খলের অভাবের মধ্যে অন্য দেশগুলি আরও বেশি বিনিয়োগ করে বড় অংশীদার হয়ে ওঠার দাবি করছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান কান্ট্রিজ (আসিয়ান) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চাইছে। ভিয়েতনাম-ভিত্তিক পরামর্শদাতা সংস্থার একটি সমীক্ষা অনুসারে, সীমিত হলেও অঞ্চলটি শক্তিশালী। যেমন: গবেষণা ও উন্নয়ন ও আইসি ডিজাইনের নিরিখে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স এবং তাইল্যান্ড ভাল ফল করেছে, যেখানে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরকে ওয়েফার এবং সরঞ্জাম উত্পাদনের জন্য এই অঞ্চলের মধ্যে নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর পাশাপাশি মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া আনুষঙ্গিক উত্পাদনে যথেষ্ট উন্নতি করেছে এবং সিঙ্গাপুর ও তাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার পরিসরে নেতৃস্থানে রয়েছে।(৭০)

উপসংহার

চিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রযুক্তি যুদ্ধ বর্তমানে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমেরিকা তার আধিপত্য বজায় রাখতে সচেষ্ট, যেমনটা চিনের উপর জারি করা বেশ কয়েকটি কঠোরতম নিষেধাজ্ঞামূলক রফতানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করার মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে। নেদারল্যান্ডস এবং জাপানের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের একই বিষয়ে রাজি করানোর মার্কিন ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা প্রদান করবে৷ এর ফলে চিপ তৈরির জন্য চিপ এবং সরঞ্জাম-সহ উন্নত সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে প্রবেশ করা এবং নিজের উন্নত চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন সরঞ্জাম তৈরি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ চিনের পক্ষে কষ্টসাধ্য হবে। এটি চিনের প্রযুক্তির অগ্রগতি হ্রাস করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংকল্পের অন্যতম নিদর্শন।

চিন বেশ কিছু সময় যাবৎ এমনটা হবে অনুমান করলেও এবং এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিলেও অন্ততপক্ষে স্বল্পমেয়াদে দেশটি সম্ভবত রফতানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পাবে না। যদিও দেশটি এই প্রভাব প্রশমনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রতিযোগিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের সীমান্ত ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং অন্য দেশগুলি একই প্রযুক্তি পরিসরে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মুষ্টিমেয় অংশীদাররা সম্ভবত তাদের ধার ও ভার বজায় রাখবে।(৭১)

অবশেষে ভারতের উপর মার্কিন-চিন বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রভাব খতিয়ে দেখাও গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যেহেতু নয়াদিল্লি তার নিজস্ব দক্ষতা বিকাশের জন্য তৎপর। সেমিকন্ডাক্টর ও চিপ ডিজাইন ও উৎপাদনে দক্ষতার বিকাশ হল এমন এক জটিল ক্ষেত্র, যেখানে উল্লেখযোগ্য আর্থিক বিনিয়োগ, গবেষণা ও উন্নয়ন, অত্যাধুনিক উদ্ভাবন এবং একটি বৃহৎ দক্ষ প্রতিভাভাণ্ডারের প্রয়োজন। ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের (আইইএসএ) ভাইস-প্রেসিডেন্ট কর্নেল অনুরাগ অবস্থি যুক্তি দিয়েছেন যে, ‘যেহেতু ভারত ফ্যাব্রিকেশন প্লান্ট ও জটিল সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণে যাত্রা শুরু করেছে এবং নীতি কাঠামোর একটি শক্তিশালী ভিত্তি-সহ ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং (ইএসডিএম) শিল্পক্ষেত্রে উচ্চ বৃদ্ধির হার অর্জন করেছে, তাই দক্ষতার উপর মনোনিবেশ করা জরুরি।’(৭২)

একটি অপ্রিয় সত্য হল ভারত বাস্তবে প্রতিভার ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে, যদিও এই সমস্যাটি শুধু ভারতেরই নয়। চিপ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে আরঅ্যান্ডডি হল এমন একটি পরিসর যেখানে ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় প্রতিভারা কর্মরত। ভারতকে ‘ইলেকট্রিশিয়ান, পাইপফিটার এবং ওয়েল্ডার, প্রযুক্তিগত প্রকৌশলবিদ, রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী, স্মার্ট ফ্যাক্টরি অটোমেশন বিশেষজ্ঞ’-সহ অন্য প্রতিভা ক্ষেত্রগুলিতে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি চিপ গড়ে তোলার সঙ্গে জড়িত নির্মাণ প্রক্রিয়াগুলিতে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলবিদ্যায় পাঠরত ভারতীয় স্নাতকদের জোর দিতে হবে।(৭৩) কর্নেল অবস্থি উল্লেখ করেছেন যে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১.৫ মিলিয়ন প্রকৌশলবিদ স্নাতক স্তর অতিক্রম করলেও ‘খুব কম সংখ্যক ছাত্রই মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স, বৈদ্যুতিক, রাসায়নিক এবং উপাদান প্রকৌশলের মতো ক্ষেত্র বেছে নেন। এবং এর নেপথ্যে দু’টি প্রধান কারণ হতে পারে: ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং সংশ্লিষ্ট শাখার তুলনায় সচেতনতার অভাব এবং চাকরির বিকল্পের লভ্যতার অভাব।’(৭৪)

ভারত সরকার এই সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য কিছু উদ্দেশ্যমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখ্য হল ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্পোরেশনের মধ্যে একটি ‘স্বাধীন ব্যবসায়িক বিভাগ’ হিসাবে ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন (আইএসএম) প্রতিষ্ঠা করা। আইএসএম-কে ‘সমস্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদন, প্যাকেজিং এবং ডিজাইনে অনুঘটক রূপে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে’। এই পরিসরে প্রয়োজনীয় বৃদ্ধির সুবিধার্থে এটি গুরুত্বপূর্ণ।(৭৫) এ ছাড়াও আইএসএম একটি উপদেষ্টা সংস্থার মাধ্যমে সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে সেরা বৈশ্বিক চিন্তকদের নিযুক্ত করে, যাঁরা সেমিকন্ডাক্টর এবং চিপের ক্ষেত্রে ভারতের ভবিষ্যৎ গতিপথ সংক্রান্ত পরামর্শ দিতে এবং পথ নির্দেশ করতে পারেন।

নীতির প্রেক্ষিতে ভারত সরকার ভারতে সেমিকন্ডাক্টর ওয়েফার ফ্যাব্রিকেশন সুবিধা স্থাপনের জন্য বৃহদাকার বিনিয়োগের প্রেক্ষিতে চারটি প্রকল্প নিয়ে এসেছে; ভারতে ডিসপ্লে ফ্যাব সেট আপ করার জন্য; ভারতে কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টরস / সিলিকন ফটোনিক্স / সেন্সর ফ্যাব / ডিসক্রিট সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব এবং সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি, টেস্টিং, মার্কিং অ্যান্ড প্যাকেজিং (এটিএমপি) / ওএসএটি ফেসিলিটি স্থাপনের জন্য; এবং আর্থিক প্রণোদনা প্রদানকারী একটি ডিজাইন লিঙ্কড ইনিশিয়েটিভ, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি), চিপসেট, সিস্টেম অন চিপস (এসওসি), সিস্টেমস অ্যান্ড আইপি কোরস এবং সেমিকন্ডাক্টর সংক্রান্ত ডিজাইনের জন্য সেমিকন্ডাক্টর  ডিজাইনের উন্নয়ন এবং স্থাপনার বিভিন্ন পর্যায়ে ডিজাইন পরিকাঠামোয় জোগাবে।(৭৬)

সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বিশুদ্ধ জলের জোগান-সহ বৃহৎ বিনিয়োগ এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রয়োজন। একর একর জমির লভ্যতাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, যার অধিগ্রহণ ভারতে একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। বিশাল পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগের পাশাপাশি এই প্রযুক্তিগুলি দীর্ঘ নির্মাণ ও ফলাফল প্রদান পর্যায়সাপেক্ষ, যা কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় স্তরেই স্থিতিশীল কর্মসূচির দাবি রাখে। কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা,

ত্রিপুরা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্য এবং দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-এর মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিজেদের অঞ্চলে সেমিকন্ডাক্টর চিপ উত্পাদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করার আগ্রহ প্রদর্শন করেছে।(৭৭) বিরামহীন বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রণোদনা-সহ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে অবস্থানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসলে সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করবে।

এই সবগুলিই সরকার কর্তৃক গৃহীত চিত্তাকর্ষক পদক্ষেপ হতে পারে। তবে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর মিশনকে সশক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিভা, সংস্থান এবং দক্ষতাকে সমন্বিত করতে তারা কার্যকর হবে কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

 


পাদটিকা

১) হ্যাল ব্র্যান্ডস, ‘বাইডেনস চিপ লিমিটস অন চায়না মার্ক আ ওয়ার হাই-টেক অ্যাট্রিশন’, ব্লুমসবার্গ, অক্টোবর ১০, ২০২২

২) জন ক্যালাব্রিস, ‘চিপস অন দ্য টেবিল: এস্কেলেটিং ইউএস-চায়না টেক ওয়ার ইমপ্যাক্টস দ্য মিডইস্ট’, মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

৩) ইউরোপিয়ান কমিশন, ‘ইউরোপিয়ান চিপস অ্যাক্ট’, ফেব্রুয়ারি ২০২২

৪) ইউরোপিয়ান কমিশন, ‘ইউরোপিয়ান চিপস অ্যাক্ট’

৫) অর্জুন খারপাল, ‘গ্লোবাল সেমিকন্ডাক্টর সেলস টপ হাফ আ ট্রিলিয়ন ডলারস ফর ফার্স্ট টাইম অ্যাপ চিপ প্রোডাকশন গেটস বুস্ট’, সিএনবিসি, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২

৬) ইউএস সেনেট কমিটি অন কমার্স, সায়েন্স অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন, ‘রিটেন টেস্টিমোনি অব প্যাট জেলসিঙ্গার, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, ইনটেল কর্পোরেশন, ‘ডেভেলপিং নেক্সট জেনারেশন টেকনোলজি ফর ইনোভেশন’, মার্চ ২৩, ২০২২

৭) সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ২০২১ স্টেট অব দি ইউএস সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি, তারিখবিহীন

৮) ট্রুয়ং ল্যাং, ‘সেমিকন্ডাক্টর প্রোডাকশন – দ্য ফিয়ার্স কম্পিটিশন অব দি ওয়ার্ল্ডস সুপারপাওয়ারস অ্যান্ড দ্য রাইজ অব পোটেনশিয়াল স্টিডস’, ভিয়েতনকিন কনসাল্টিং, ডিসেম্বর ৭, ২০২২

৯) ‘ব্যাটারড বাই কোভিড, চায়না হিটস পজ অন জায়ান্ট স্পেন্ডিং এইমড অ্যাট রাইভালিং ইউএস’, ব্লুমবার্গ জানুয়ারি ২৩, ২০২৩

১০) ড্যান রবিনসন, ‘চায়না মে রিঅ্যাসেসেস চিপ স্ট্র্যাটেজি ইন ফেস অফ ইউএস স্যাংশনস’, দ্য রেজিস্টার, মার্চ ৯, ২০২৩

১১) ড্যান রবিনসন, ‘চায়না মে রিঅ্যাসেসেস চিপ স্ট্র্যাটেজি ইন ফেস অফ ইউএস স্যাংশনস’

১২) ড্যান রবিনসন, ‘চায়না মে রিঅ্যাসেসেস চিপ স্ট্র্যাটেজি ইন ফেস অফ ইউএস স্যাংশনস’

১৩) জন নটন, ‘কোল্ড ওয়ার ২.০ উইল বি আ রেস ফর সেমিকন্ডাক্টরস, নট আর্মস’, দ্য গার্ডিয়ান, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩

১৪) ‘হাউ টিএসএমসি হ্যাজ মাস্টারড দ্য জিওপলিটিক্স অব চিপমেকিং’, দি ইকোনমিস্ট, এপ্রিল ২৯, ২০২১

১৫) ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স, ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ‘কমার্স কন্ট্রোল লিস্ট (সিসিএল)’, কমার্স কন্ট্রোল লিস্ট (সিসিএল), তারিখবিহীন

১৬) ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স, ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অফ অ্যাডিশনাল এক্সপার্ট কন্ট্রোলস: সার্টেন অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং আইটেমস; সুপারকম্পিউটার অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর এন্ড ইউজ; এন্ট্রি লিস্ট মডিফিকেশন’, অক্টোবর ৭, ২০২২

১৭) ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স, ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ‘রিভিশনস টু দি আনভেরিফায়েড লিস্ট; ক্ল্যারিফিকেশন টু অ্যাক্টিভিটিজ অ্যান্ড ক্রায়টেরিয়া দ্যাট মে লিড টু অ্যাডিশনস টু দি এনটিটি লিস্ট’, অক্টোবর ৭, ২০২২

১৮) ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স, ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ‘রিভিশনস টু দি আনভেরিফায়েড লিস্ট; ক্ল্যারিফিকেশন টু অ্যাক্টিভিটিজ অ্যান্ড ক্রায়টেরিয়া দ্যাট মে লিড টু অ্যাডিশনস টু দি এনটিটি লিস্ট’

১৯) গ্রেগরি সি অ্যালেন, ‘চোকিং অব চায়না’জ অ্যাকসেস টু দ্য ফিউচার অফ এআই’, সেন্টার ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, অক্টোবর ১১, ২০২২

২০) দ্য হোয়াইট হাউস, ‘ফ্যাক্ট শিট: চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট উইল লোয়ার কস্টস, ক্রিয়েট জবস, স্ট্রেন্থেন সাপ্লাই চেনস, অ্যান্ড কাউন্টার চায়না’, অগস্ট ৯, ২০২২

২১) দ্য হোয়াইট হাউস, ‘ফ্যাক্ট শিট: চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট উইল লোয়ার কস্টস, ক্রিয়েট জবস, স্ট্রেন্থেন সাপ্লাই চেনস, অ্যান্ড কাউন্টার চায়না’

২২) ইউএস কংগ্রেস, ‘এন্ডলেস ফ্রন্টিয়ার অ্যাক্ট’, ১১৬তম কংগ্রেস, (২০১৯-২০২০); ইউএস কংগ্রেস, ‘চিপস ফর আমেরিকা অ্যাক্ট’, ১১৬তম কংগ্রেস (২০১৯-২০২০)

২৩) মূল নিবন্ধে দেওয়া চিত্রটিতে এর পরিমাণ ছিল ০.১, যা একটি ত্রুটি বলে মনে করা হয় এবং পরে এখানে সংশোধন করা হয়েছে।

২৪) জন ভেরওয়ে, ‘বেটিং দ্য হাউস: লিভারেজিং দ্য চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট টু ইনক্রিজ ইউএস মাইক্রোইলেকট্রনিকস সাপ্লাই চেন রেজিলিয়েন্স’, সেন্টার ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি, জানুয়ারি ২০০৩

২৫) ‘আমেরিকা’জ এশিয়ান অ্যালাইজ ডিসলাইক ইটস টেক ওয়ার অন চায়না’, দি ইকোনমিস্ট, ডিসেম্বর ১, ২০২২

২৬) ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাইনস ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট ইনটু ল, ইউএস সেনেটর শেরড ব্রাউন অফ ওহিও’, অগস্ট ১৬, ২০২২

২৭) ফর দি ইভোলিউশন অব দি ইউএস রেগুলেশনস অন চায়না, দ্রষ্টব্য টেমার এ সোলিমান, জিং ঝাং এবং গ্রেটেল ইকার্ট মোরালস, ‘টাইটেনিং দ্য স্ক্রুজ: ইউএস ফার্দার রেস্ট্রিক্টস হাওয়াই’স অ্যাকসেস টু ইউএস টেকনোলজিস’, মেয়ের ব্রাউন, মার্চ ২০, ২০২৩

২৮) ম্যাট শিহান, ‘বাইডেনস আনপ্রেসিডেন্টেড সেমিকন্ডাক্টর বেট’, কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস, অক্টোবর ২৭, ২০২২

২৯) জেন পারলেজ, এমি চ্যাং কিয়েন এবং জন লিউ, ‘ইঞ্জিনিয়ারস ফ্রম তাইওয়ান বলস্টারড চায়নাজ চিপ ইন্ডাস্ট্রি। নাও দে আর লিভিং’, নিউ ইয়র্ক টাইমস, নভেম্বর ১৬, ২০২২

৩০) ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ‘কমার্স ইমপ্লিমেন্টস নিউ এক্সপোর্ট কন্ট্রোলস অন অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং আইটেমস টু দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়না (পিআরসি)’, অক্টোবর ৭, ২০২২

৩১) ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ‘কমার্স ইমপ্লিমেন্টস নিউ এক্সপোর্ট কন্ট্রোলস অন অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং আইটেমস টু দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়না (পিআরসি)’

৩২) হ্যাল ব্র্যান্ডস, ‘বাইডেনস চিপ লিমিটস অন চায়না মার্ক আ ওয়ার হাই-টেক অ্যাট্রিশন’

৩৩) গ্রেগরি সি অ্যালেন, ‘চোকিং অব চায়না’জ অ্যাকসেস টু দ্য ফিউচার অফ এআই’

৩৪) গ্রেগরি সি অ্যালেন, ‘চোকিং অব চায়না’জ অ্যাকসেস টু দ্য ফিউচার অফ এআই’

৩৫) কিয়ানের লিউ, ‘চায়না গিভস চিপমেকারস নিউ পাওয়ারস টু গাইড ইন্ডাস্ট্রি রিকভারি’, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, মার্চ ২১, ২০২৩

৩৬) গ্রেগরি সি অ্যালেন, ‘চোকিং অব চায়না’জ অ্যাকসেস টু দ্য ফিউচার অফ এআই’

৩৭) ম্যাট শিহান, ‘বাইডেনস আনপ্রেসিডেন্টেড সেমিকন্ডাক্টর বেট’

৩৮) গ্রেগরি সি অ্যালেন, ‘চোকিং অব চায়না’জ অ্যাকসেস টু দ্য ফিউচার অফ এআই’

৩৯) সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ‘গ্লোবাল সেমিকন্ডাক্টর সেলস ইনক্রিজেস ৩.৩% ইন ২০২২ ডেসপাইট সেকেন্ড-হাফ স্লোডাউন’, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩

৪০) সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ‘গ্লোবাল সেমিকন্ডাক্টর সেলস ইনক্রিজেস ৩.৩% ইন ২০২২ ডেসপাইট সেকেন্ড-হাফ স্লোডাউন’

৪১) সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ‘২০২১: স্টেট অব দ্য ইউএস সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি’, তারিখবিহীন

৪২) উইল হান্ট, সইফ এম খান এবং ডালিয়া পিটারসন, ‘চায়নাজ প্রোগ্রেস ইন সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইকুইপমেন্ট: অ্যাকসিলারেন্টস অ্যান্ড পলিসি ইমপ্লিকেশনস’, সিএসইটি পলিসি ব্রিফ, সেন্টার ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি

৪৩) আন্দ্রে বার্বে এবং উইল হান্ট, ‘প্রিজার্ভিং দ্য চোকপয়েন্টস: রিডিউসিং দ্য রিস্কস অফ অফশোরিং অ্যামং ইউএস সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইকুইপমেন্ট ফার্মস’, সিএসইটি পলিসি ব্রিফ, সেন্টার ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি, মে ২০২২

৪৪) দিমিত্রি সেভাস্তোপুলো এবং স্যাম ফ্লেমিং, ‘নেদারল্যান্ডস অ্যান্ড জাপান জয়েন ইউএস ইন রেস্ট্রিক্টিং চিপ এক্সপোর্টস টু চায়না’, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

৪৫) সইফ এম খান এবং ক্যারিক ফ্লিন, ‘মেনটেইনিং চায়না্জ ডিপেন্ডেন্স অন ডেমোক্র্যাসিজ ফর অ্যাডভান্সড কম্পিউটার চিপস’, ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন, এপ্রিল ২০২০

৪৬) নাইজেল ইঙ্কস্টার, এমিলি এস ওয়েইনস্টাইন এবং জন লি, ‘আস্ক দি এক্সপার্টস: ইজ চায়নাস সেমিকন্ডাক্টর স্ট্র্যাটেজি ওয়ার্কিং?’ ব্লগ, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২

৪৭) স্কট ফস্টার, ‘চায়না অন কোর্স টু ইলিউড ইউএস চিপ-মেকিং ইকুইপমেন্ট ব্যানস’, এশিয়া টাইমস, অক্টোবর ৩, ২০২২

৪৮) উইল নাইটপ, ‘ইউএস চিপ স্যাংশন ‘নিক্যাপ’ চায়নাস টেক ইন্ডাস্ট্রি’, ওয়্যারড, অক্টোবর ১২, ২০২২

৪৯) নাইজেল ইঙ্কস্টার, এমিলি এস ওয়েইনস্টাইন এবং জন লি, ‘আস্ক দি এক্সপার্টস: ইজ চায়নাস সেমিকন্ডাক্টর স্ট্র্যাটেজি ওয়ার্কিং?’; হেনরি ফ্যারেল, ‘হাউ ডাজ দি ইউএস ব্লক চায়না ফ্রম গেটিং মাইক্রোচিপস মেড অ্যাব্রড’, ওয়াশিংটন পোস্ট, অক্টোবর ৮, ২০২২

৫০) অ্যালিসিয়া গার্সিয়া-হেরারো এবং পাওলিন ওয়েল, ‘লেসনস ফর ইউরোপ ফ্রম চায়নাস কোয়েস্ট ফর সেমিকন্ডাক্টর সেলফ রিল্যায়েন্স’, পলিসি ব্রিফ, ব্রুজেন, নভেম্বর ১৮, ২০২২

৫১) অ্যালিসিয়া গার্সিয়া-হেরারো এবং পাওলিন ওয়েল, ‘লেসনস ফর ইউরোপ ফ্রম চায়নাস কোয়েস্ট ফর সেমিকন্ডাক্টর সেলফ রিল্যায়েন্স’

৫২) সিআরএস রিপোর্ট, ‘চায়না’স নিউ সেমিকন্ডাক্টর পলিসিজ: ইস্যুজ ফর কংগ্রেস’, এপ্রিল ২১, ২০২১

৫৩) হেনরি ফ্যারেল, ‘অ্যানালিসিস, হাউ ডাজ দি ইউএস ব্লক চায়না ফ্রম গেটিং মাইক্রোচিপস মেড অ্যাব্রড?’ ওয়াশিংটন পোস্ট, অক্টোবর ৮, ২০২২

৫৪) স্কট ফস্টার, ‘চায়না অন কোর্স টু ইলিউড ইউএস চিপ-মেকিং ইক্যুইপমেন্ট ব্যানস’, এশিয়া টাইমস, অক্টোবর ৩, ২০২২

৫৫) ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন, ‘ইউনাইটেড স্টেটস – মেজারস অন সার্টেন সেমিকন্ডাক্টর অ্যান্ড আদার প্রোডাক্টস, অ্যান্ড রিলেটেড সার্ভিসেস অ্যান্ড টেকনোলজিস: রিকোয়েস্ট ফর কনসাল্টেশনস বাই চায়না’, ডব্লিউটি/ডিএস৬১৫/১, জি/৭/১৪৭১, এস/এল/৪৩৮, জি/ট্রিমস/ডি/৪৬, আইপ/ডি/৪৪১৫ ডিসেম্বর ২০২২

৫৬) ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন, ‘ইউনাইটেড স্টেটস – মেজারস অন সার্টেন সেমিকন্ডাক্টর অ্যান্ড আদার প্রোডাক্টস, অ্যান্ড রিলেটেড সার্ভিসেস অ্যান্ড টেকনোলজিস: রিকোয়েস্ট ফর কনসাল্টেশনস বাই চায়না’

৫৭) জুসুয়ান তাং, ‘অ্যানাদার লুক অ্যাট চায়না’স সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইক্যুইপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি’, ইক্যুয়ালওশান ইন্টারন্যাশনাল, জানুয়ারি ১৯, ২০২২; চেং তিং-চাং এবং শুনসুকে তাবেতা, ‘চায়না’স চিপ ইনডাস্ট্রি ফাইটস টু সার্ভাইভ ইউএস টেক ক্র্যাকডাউন’, নিক্কেই এশিয়া, নভেম্বর ৩৯, ২০২২; ‘ইউএস স্যাংশনস হ্যাভ হেল্পড চায়না সুপারচার্জ ইটস চিপমেকিং ইন্ডাস্ট্রি’, টাইম, জুন ২১, ২০২২

৫৮) স্কট ফস্টার, ‘এসএমআইসি’স ৭এমএম চিপ প্রসেস এ ওয়েক-আপ কল ফর ইউএস’, এশিয়া টাইমস, জুলাই ২৫, ২০২২

৫৯) স্কট ফস্টার, ‘চায়না অন কোর্স টু ইলিউড ইউএস চিপ-মেকিং ইক্যুইপমেন্ট ব্যানস’

৬০) পিটার ব্রাউন, ‘এসএমআইসি টু বিল্ড নিউ ৩০০ এমএম ফ্যাব ইন তিয়ানজিন, চায়না’, ইলেকট্রনিকস ৩৬০, অগস্ট ৩০, ২০২২

৬১) ‘সিক্রেটিভ চিপ স্টার্টআপ মে হেল্প হুয়াই সারকামভেন্ট ইউএস স্যাংশনস’, ব্লুমবার্গ, অক্টোবর ৬, ২০২২

৬২) এদুয়ার্দো বাপতিস্তা, ‘চায়না টু রিস্ট্রাকচার সাই-টেক মিনিস্ট্রি টু অ্যাচিভ সেলফ-রিলায়েন্স ফাস্টার’, রয়টার্স, মার্চ ৭, ২০২৩

৬৩) এদুয়ার্দো বাপতিস্তা, ‘চায়না টু রিস্ট্রাকচার সাই-টেক মিনিস্ট্রি টু অ্যাচিভ সেলফ-রিলায়েন্স ফাস্টার’

৬৪) কিয়ানের লিউ, ‘চায়না গিভস চিপমেকারস নিউ পাওয়ারস টু গাইড ইন্ডাস্ট্রি রিকভারি’, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, মার্চ ২১, ২০২৩

৬৫) কিয়ানের লিউ, ‘চায়না গিভস চিপমেকারস নিউ পাওয়ারস টু গাইড ইন্ডাস্ট্রি রিকভারি’

৬৬) কিয়ানের লিউ, ‘চায়না গিভস চিপমেকারস নিউ পাওয়ারস টু গাইড ইন্ডাস্ট্রি রিকভারি’

৬৭) এরি সুগিউরা, ‘চায়না নো লঙ্গার ভায়াবেল অ্যাজ ওয়ার্ল্ডস ফ্যাক্টরি, সেজ কিয়োসেরা’, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩

৬৮) এরি সুগিউরা, ‘চায়না নো লঙ্গার ভায়াবেল অ্যাজ ওয়ার্ল্ডস ফ্যাক্টরি, সেজ কিয়োসেরা’

৬৯) এরি সুগিউরা, ‘চায়না নো লঙ্গার ভায়াবেল অ্যাজ ওয়ার্ল্ডস ফ্যাক্টরি, সেজ কিয়োসেরা’

৭০) ত্রুয়ং ল্যাং, ‘(পার্ট ১) সেমিকন্ডাক্টরস প্রোডাকশন – দ্য ফিয়ার্স কম্পিটিশন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’স সুপারপাওয়ারস অ্যান্ড দ্য রাইজ অব পোটেনশিয়াল স্টিডস’, ভিয়েত্তনকিং কনসাল্টিং, ৭ ডিসেম্বর ২০২২; আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং, ‘হোয়েন দ্য চিপস আর ডাউন: আসিয়ান কুড বি দি আনসার টু দ্য সেমিকন্ডাক্টর ক্রাঞ্চ’

৭১) অক্ষয় মাথুর, ‘আ সাপ্লাই চেন রেজিলিয়েন্স অ্যাজেন্ডা ফর দ্য কোয়াড’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

৭২) অবস্থি, অনুরাগ, ‘আপস্কিলিং দ্য চিপ ইন্ডাস্ট্রি: ট্রান্সফর্মিং হিউম্যান রিসোর্স ইনটু হিউম্যান ক্যাপিটাল’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২

৭৩) আয়ুশ জৈন, ‘ইন্ডিয়া হ্যাজ দ্য ম্যাজিক ল্যাম্প ফর সেমিকন্ডাক্টরস ইন্ডাস্ট্রি’, অ্যানালিটিকস ইন্ডিয়া ম্যাগাজিন, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩

৭৪) আয়ুশ জৈন, ‘ইন্ডিয়া হ্যাজ দ্য ম্যাজিক ল্যাম্প ফর সেমিকন্ডাক্টরস ইন্ডাস্ট্রি’

৭৫) লোক সভা, ‘আনস্টারড কোয়েশ্চেনস নম্বর ২৪২৭ – ইন্ডিয়ান সেমিকন্ডাক্টর মিশন’, মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলজি, ডিসেম্বর ২১, ২০২২

৭৬) লোক সভা, ‘আনস্টারড কোয়েশ্চেনস নম্বর ৬০৪ – হোলিস্টিক ইকোসিস্টেম ফর সেমিকন্ডাক্টর’, মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলজি, জুলাই ২০, ২০২২

৭৭) লোক সভা, ‘আনস্টারড কোয়েশ্চেনস নম্বর ১৬৫৪ – সেটিং আপ দ্য সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিজ’, মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলজি, জুলাই ২৭, ২০২২

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.