Author : Sarthak Shukla

Published on Jan 07, 2022 Updated 0 Hours ago

শীতকালীন বায়ুদূষণের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা কি প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ দ্বারা প্রশমিত করা যাবে?

শীতকালীন বায়ুদূষণ এবং উত্তর ভারতে নাড়া পোড়ানো: একটি নিয়ন্ত্রক প্রশাসনিক প্রেক্ষিত

দিল্লির অধিবাসী এবং নিকটবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ ভয়ঙ্কর শীতকালীন বায়ুদূষণের সঙ্গে তাঁদের নিয়মমাফিক বার্ষিক মোকাবিলায় বাধ্য হচ্ছেন। প্রতি বছরই শীতের মাসগুলিতে এই অঞ্চলগুলি ধোঁয়াশা ও বিষাক্ত গ্যাসের মেঘে ঢাকা পড়ে যায়। দিল্লিতে শীতকালীন বায়ুদূষণের প্রায় ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী প্রতিবেশী রাজ্য পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে নাড়া পোড়ানো। প্রধানত এই নাড়া পোড়ানোর কারণেই শীতের মরসুমে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা বহু গুণ বৃদ্ধি পায় এবং তা এক বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়।

বিগত পাঁচ বছর যাবৎ একই রকমের ছক অনুসরণ করে নাসা সম্প্রতি তাদের ভিজিবল ইনফ্রারেড ইমেজিং রেডিওমিটার সুট-এর (ভি আই আই আর এস) মাধ্যমে ভারতের পঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে নাড়া পোড়ানোর ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। প্রসঙ্গত নাড়া পোড়ানোর ঘটনা এবং তার ফলে বায়ুদূষণ ছাড়াও এমন অন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা আছে যেগুলির প্রতি বছরই প্রায় একই সময়ে পুনরাবৃত্তি হয়। এগুলির মধ্যে একটি হল সরকারের বিচারবিভাগীয় এবং আধিকারিক শাখাগুলির সক্রিয় হয়ে ওঠা। বিগত বছরগুলির মতোই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সমস্যাটি সম্পর্কে সজাগ হয়েছে এবং তদবধি বায়ুদূষণ এবং নাড়া পোড়ানোর কুপ্রভাব সম্পর্কে বিবৃতি এবং নির্দেশিকা জারি করতে শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে ২০১৬ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল নাড়া পোড়ানো এবং দীপাবলির সময়ে দিল্লিতে আতশবাজির ব্যবহার নিয়ে রায় ঘোষণা করছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি পরস্পরের সঙ্গে বিদ্রুপাত্মক কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে এবং সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার ভাবধারাকে আঘাত করে। এবং এমনটা করার মাধ্যমে তারা এক রক্ষণশীল এবং সংকীর্ণ মনোভাব প্রকাশ করে যেখানে একটি রাজ্যের সমস্যার জন্য অপর একটি সমগ্র রাজ্যকে দায়ী করা হয়। এর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি দ্বারা স্বঘোষিত ‘বৈপ্লবিক’ পদক্ষেপ যেমন স্মগ টাওয়ার, জোড়-বিজোড় নীতি, স্কুল, নির্মাণকার্য এবং অন্যান্য প্রাত্যহিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে লকডাউন ঘোষণা করা।

বিগত বছরগুলির মতোই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সমস্যাটি সম্পর্কে সজাগ হয়েছে এবং তদবধি বায়ুদূষণ এবং নাড়া পোড়ানোর কুপ্রভাব সম্পর্কে বিবৃতি এবং নির্দেশিকা জারি করতে শুরু করেছে।

পঞ্জাব এবং হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই নাড়া পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, অন্যথায় জরিমানা ধার্য করা এবং সি আর পি সি-র ১৪৪ নং ধারা অনুযায়ী দোষী কৃষকদের গ্রেফতার এবং জেল হেফাজতের নিয়মও চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে কৃষক বা কৃষক গোষ্ঠীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে ‘হ্যাপি সিডার’ প্রদানের কর্মসূচিও বিদ্যমান।

সমাজের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বর্তমান সমস্যা সমাধানে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। খবরের কাগজগুলিতে এই বিষয়ে অসংখ্য প্রতিবেদনও লক্ষ করা যায়। পরিবেশবিদ এবং গবেষণা সংস্থাগুলি প্রতি বছরই এই বায়ুদূষণ সংক্রান্ত বহু রিপোর্ট প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

তবুও প্রতি বছরই রাজ্য সরকারগুলি অসহায় এবং দুর্বল বোধ করে যখন কৃষকেরা পুনরায় নাড়া পোড়ানোর পন্থা অবলম্বন করেন। এ রকমটা করার কারণ হিসেবে কৃষকেরা জানান যে তাঁরা সময় মতো নতুন রবি শস্য চাষের জন্য চাপের সামনে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন। পাশাপাশি তাঁরা এ-ও জানান যে সরকারি প্রকল্প এবং ভর্তুকির উপরে তাঁদের আস্থা নেই।

একটি নিয়ন্ত্রক সমস্যা

এই সব ঘটনার অন্তরালে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সমস্যা প্রায়শই নজর এড়িয়ে যায়। একটি নিয়ন্ত্রক সমস্যা এমন এক সমস্যা যেটির সমাধানে নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ — এমন এক সমাধান যার কেন্দ্রে রয়েছে মানুষের ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ। শীতকালীন বায়ুদূষণের মূল নিয়ন্ত্রক সমস্যাটি হল ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এন সি আর)-এর প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নাড়া পোড়ানো নিয়ে চারিত্রিক জেদ। পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের উপরে নাড়া পোড়ানোর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও কৃষকেরা তাঁদের অভ্যাস মতো এই কাজের পুনরাবৃত্তি করেন। রাজ্য এবং আইন বলবৎকারী সংস্থাগুলি সমস্যা সমাধানে প্রথাগত পদ্ধতির অকার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বার একই পন্থা অবলম্বন করে। এই দুই প্রধান অংশীদার ছাড়া সমস্যাটি সম্পর্কে সামাজিক ধারণা এবং ব্যবহারের পুনরাবৃত্তি আর একটি উদ্বেগের কারণ।

বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি করে যেখানে একটি রাজ্যের সমস্যার জন্য অপর একটি সমগ্রপরস্পরের সঙ্গে বিদ্রুপাত্মক কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে এবং সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার ভাবধারাকে আঘাত করে। করে। এবং এমনটা করার মাধ্যমে তারা এক রক্ষণশীল এবং সংকীর্ণ মনোভাব প্রকাশ রাজ্যকে দায়ী করা হয়।

বিজ্ঞানসম্মত নিয়ন্ত্রক শাসন অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রক সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য একটি অনুক্রমিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত।

প্রথম পদক্ষেপটি হল কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রক সমস্যাটি স্পষ্ট করা। এবং তা করার প্রধান দুটি শর্ত হল পরিমাপযোগ্যতা এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা। অর্থাৎ প্রথমত সমস্যা সৃষ্টিকারী আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে সমস্যাটি ঠিক কতটা সমাধানযোগ্য, তার পরিমাপ নির্ধারণ করতে পারা যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, যদি কৃষকদের দ্বারা ইচ্ছাকৃত ভাবে নাড়া পোড়ানোর আচরণটি নিয়ন্ত্রক সমস্যা হয়, তা হলে এমন আচরণ বন্ধ করলে তার সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে পারে, সে সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকা উচিত।

পরবর্তী এবং সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল নিয়ন্ত্রক সমস্যাটি সমাধান করার জন্য ব্যাপক ভাবে খতিয়ে দেখা। এর অর্থ হল আলোচ্য সমস্যাটির সম্ভাব্য সমস্ত কারণ সর্বাত্মক আঙ্গিকে দেখা। নাড়া পোড়ানোর ফলে শীতকালীন বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্য অনেক কার্যকারণ বিশ্লেষণের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। প্রথমত, এটা স্বীকার করতে হবে যে শীতকালীন বায়ুদূষণের জন্য নাড়া পোড়ানো ছাড়াও অন্য বিভিন্ন কারণ দায়ী। বায়ুমণ্ডলের দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এমন মনুষ্যকৃত উপাদানও পরিবেশে বর্তমান। যেমন- যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পজাত দূষিত পদার্থ, বর্জ্য দূষণ এবং অন্যান্য। সর্বোপরি, মন্থর বাতাসের গতি এবং কম বৃষ্টিপাতের মতো প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে যা এই দূষণকারী পদার্থগুলিকে পরিবেশে আটকে রাখে এবং সমস্যার মাত্রা বৃদ্ধি করে। একটি দূষণ সংকটকে কতটা প্রশমিত করা যায় এবং সমস্যার অনিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশটির মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় অভিযোজন পদ্ধতির গুরুত্ব নির্ণয়ে এই স্বীকৃতি ও সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাজ্য এবং আইন বলবৎকারী সংস্থাগুলি তাদের সমস্যা সমাধানে প্রথাগত পদ্ধতির অকার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বার একই পন্থা অবলম্বন করেন।

এই পদক্ষেপটি বিদ্যমান সমস্যাটি সমাধানের উপায় খুঁজতে একটি সিস্টেমস-থিঙ্কিং পদ্ধতি অনুসরণ করার উপরে জোর দেয়। সমস্যাটির কারণগুলির গভীরে যেতে হবে, শুধু উপরে উপরে দেখলেই চলবে না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কৃষিক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট উন্নয়নও রয়েছে যেগুলি নাড়া পোড়ানোর মতো ঘটনাকে উস্কে দিতে সাহায্য করে। চালের বিপুল রফতানির সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকরা তার উৎপাদন বাড়াতে আগ্রহী। এর পাশাপাশি বিশেষ করে সবুজ বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে এক বছরে একাধিক শস্যচক্র বাস্তবায়নের জন্য উত্তর ভারতের কৃষকদের উপর চাপ বাড়তে থাকায় ধান কাটা এবং পরবর্তী শস্যচক্রের জন্য নতুন ধান বপন করার মধ্যে চাষিদের হাতে সময় প্রায় থাকে না বললেই চলে। সরকার সমর্থিত সমাধানের উপকারিতা প্রাপকের কাছে সব সময়ে পৌঁছয়ই না। ফলে নাড়া পোড়ানোর মতো ঘটনা চলতেই থাকে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী কৃষক এবং কৃষক গোষ্ঠীকে ভর্তুকি মূল্যে হ্যাপি সিডারস যন্ত্র প্রদানের জন্য একটি তহবিল গঠন করেছিলেন। যদিও বাস্তবিক সমস্যাগুলি থেকেই গিয়েছিল এবং কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করা যায়নি। তহবিলটি গত চার বছরে ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি জোগাড় করতে সমর্থ হয়েছে। তবে নাড়া পরিষ্কার করার মতো যন্ত্রপাতি এখনও কৃষকদের নাগালের বাইরে। যদিও হ্যাপি সিডার মেশিনগুলিতে ভর্তুকির বন্দোবস্ত করা হয়েছে, কিন্তু ট্র্যাক্টর এবং ট্রলির মতো দামি আনুষঙ্গিক যন্ত্রগুলিকে ভর্তুকির আওতাভুক্ত করা হয়নি যেগুলি হ্যাপি সিডারের চেয়ে অনেক বেশি দামি। এবং এই যন্ত্রগুলি ধান ক্ষেত থেকে নাড়া পরিষ্কার করার জন্য অপরিহার্য। এর পাশাপাশি এই যন্ত্রগুলি কেনার জন্য কৃষকদের প্রথমে সম্পূর্ণ দাম চোকাতে হয় এবং পরে সে তার ভর্তুকির টাকা ফেরত পায়। কিন্তু নগদ টাকার অভাবে ভুগতে থাকা অধিকাংশ চাষির পক্ষেই এটি মেনে চলা অত্যন্ত শক্ত। একই ভাবে অন্যান্য সমস্যাও রয়েছে যা বিদ্যমান সমাধানগুলিকে অকার্যকর করে তোলে এবং এই অঞ্চলে নাড়া পোড়ানো এবং অব্যবহিত বায়ু দূষণের সংকটকে বহু গুণ বাড়িয়ে তোলে।

সরকার সমর্থিত সমাধানের উপকারিতা প্রাপকের কাছে সব সময়ে পৌঁছয়ই না। ফলে নাড়া পোড়ানোর মতো ঘটনা চলতেই থাকে।

নিয়ন্ত্রক সমাধান পদ্ধতির পরবর্তী ধাপ হল সমাধানগুলির একটি সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করা যা পূর্ববর্তী ধাপে চিহ্নিত দূষণের জন্য দায়ী কারণগুলির মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। এগুলির মধ্যে প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ, তহবিল এবং ভর্তুকির সুষম বণ্টন, কাঠামোগত উন্নয়ন, নীতিভিত্তিক সুপারিশ, লেনদেনের উপকরণ এবং পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক বিনিয়োগগুলি উল্লেখযোগ্য। যেমন, নাড়া পোড়ানোর সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানগুলির মধ্যে আছে সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি, ভর্তুকিতে সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি বণ্টন, গবেষণায় বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ পরিষেবাগুলিতে বিনিয়োগ এবং কৃষক ও রাষ্ট্রের মধ্যে তাদের সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার জন্য একটি সাধারণ মঞ্চের নির্মাণ। এগুলির পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহায়তায় যে ফাঁক রয়ে গিয়েছে তার সংস্কার এবং অন্যান্য নীতি গ্রহণও উল্লেখযোগ্য।

এক বার সম্পূর্ণ তালিকাটি সংকলিত হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপটি হল প্রতিটি স্তরে খুব খুঁটিয়ে যাচাই করা ও ভাল-খারাপের তুল্যমূল্য বিচার করা এবং সব সমাধানের গুণগত ও সংখ্যাগত মূল্য এবং লাভ খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা। উদাহরণ স্বরূপ, মূল্য বলতে যন্ত্রপাতি অথবা সরঞ্জামের মূল্য হতে পারে অথবা কোনও নীতিভিত্তিক পদক্ষেপের প্রশাসনিক খরচের কথাও বলা যেতে পারে। অবশেষে এই জাতীয় সমাধানগুলির সমস্ত সম্ভাব্য খরচ এবং সুবিধাগুলির একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার পরে, স্থানীয় অবস্থার কথা মাথায় রেখে নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপগুলির একটি সর্বোত্তম মিশ্রণ তৈরি করা প্রয়োজন যেটি বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব হবে। স্থানীয় অবস্থা বলতে রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসনিক দফতরগুলির সক্ষমতা, আবহাওয়ার অবস্থা, জনসংখ্যা, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা বোঝায়, যা প্রস্তাবিত সমাধানের কার্যকারিতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

সুতরাং নাড়া পোড়ানোর ফলে তৈরি হওয়া শীতকালীন দূষণের সমস্যাটির মোকাবিলায় বিশ্বাসযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে যে কোনও তাৎক্ষণিক পন্থা এড়িয়ে চলা এবং কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া আবশ্যক। এবং স্পষ্টতই, কঠোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য একটি সর্বাঙ্গীন মূল্যায়ন প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রক শাসনের বিজ্ঞান তারই উপযুক্ত কাঠামো প্রদান করে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পদক্ষেপটি নাড়া পোড়ানোর সমস্যার কার্যকর এবং সর্বাত্মক সমাধানের আদর্শ উপায় হয়ে উঠতে পারে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.