৫ জানুয়ারি ভারতীয় নৌবাহিনী পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলের (আইওআর) আরব সাগরে লাইবেরিয়ান-পতাকাযুক্ত জাহাজ এমভি লিলা নরফোককে অপহরণ করার জন্য জলদস্যুদের অপপ্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। বাণিজ্যিক জাহাজের ২১ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে ছ’জন ফিলিপিনো নাগরিক ছিলেন। আইওআর-এ জলদস্যুতা একটি সমস্যাজনক বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং লোহিত সাগরে বহুজাতীয় বাণিজ্যিক জাহাজের উপর হুতিদের চলতে থাকা হামলাগুলি আইওআর-এর নিরাপত্তা সঙ্কটকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। আর ঠিক তাই ফিলিপিন্সের জন্য একটি সক্রিয়, পশ্চিমকেন্দ্রিক বিদেশনীতি তৈরি করা এবং তা পরিচালনা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যখন আইওআর-এর নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
১৯৪৬ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ফিলিপিন্সের জাতীয় নিরাপত্তা ধারণা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলির অন্যতমটি সংঘটিত হয়েছিল ২০১০ সালে, যখন সামুদ্রিক নিরাপত্তার উপর জোর দিয়ে অভ্যন্তরীণ হুমকি থেকে বহির্মুখী হুমকির দিকে মনোনিবেশ করার একটি রূপান্তর প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল। এই পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী অনুঘটকগুলির অন্যতম ছিল দক্ষিণ চিন সাগরে সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা-সহ আগ্রাসী চিনের তরফে দেওয়া স্পষ্ট হুমকি। চিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জলসীমায় সামরিকীকরণ করে চলেছে এবং একই সঙ্গে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশনস অন দ্য ল অব দ্য সি (ইউএনসিএলওএস বা আনক্লজ) ও ২০১৬ সালের সালিশি রায়কে উপেক্ষা করে চলেছে, যা পশ্চিম ফিলিপিন সাগরের উপর বেজিংয়ের বিস্তৃত দাবিকে খারিজ করে দেয়। পশ্চিম ফিলিপিন সাগর আসলে দক্ষিণ চিন সাগরেরই একটি অংশ যা ফিলিপিন্সের অধীনস্থ আঞ্চলিক সমুদ্র এবং ২০০ নটিক্যাল মাইল এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনও (ইইজেড) বটে।
এই পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী অনুঘটকগুলির অন্যতম ছিল দক্ষিণ চিন সাগরে সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা-সহ আগ্রাসী চিনের তরফে দেওয়া স্পষ্ট হুমকি।
উপলব্ধ হুমকি এবং বিদেশনীতির মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, পশ্চিম ফিলিপিন সাগরের নিরাপত্তা গতিশীলতা মার্কিন-চিন শক্তি প্রতিযোগিতার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যানিলাকেও প্রধানত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর-কেন্দ্রিক বহির্মুখী সম্পৃক্ততার নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে পরিচালিত করেছে। যাই হোক, পশ্চিম ফিলিপিন সাগরের স্থিতিশীলতা নিঃসন্দেহে ম্যানিলাকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর-চালিত বিদেশ ও নিরাপত্তা নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে অনুপ্রাণিত করলেও আইওআর-এ হুমকির সম্মুখীন দেশগুলিকে চিহ্নিত করাও সমান জরুরি। এই প্রেক্ষিতে এ হেন যুক্তিটিকে আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা আবশ্যক।
প্রথমত, ফিলিপিন্স হল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামুদ্রিক সরবরাহকারী। আনুমানিক ৩৮০,০০০ ফিলিপিনোই সমুদ্রযাত্রী, যা সমস্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজের ক্রু সদস্যদের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি এবং দেশীয় বা বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজে তাঁরা কর্মরত। এ কথা স্পষ্ট যে, ভারত মহাসাগরের মোট বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হওয়ায় অনিবার্য ভাবেই ফিলিপিনো নাবিকদের একটি বড় শতাংশ ক্রমাগত এই জলপথ দিয়ে যাতায়াত করেন। সেই অনুসারে, ভারত মহাসাগর জলদস্যুতা এবং সামুদ্রিক সন্ত্রাস থেকে শুরু করে মাদক ও বন্দুক চোরাচালান হয়ে মানব পাচার পর্যন্ত অপ্রচলিত নিরাপত্তা হুমকির আধিক্যের আবাসস্থল। লাইবেরিয়ান-পতাকাবাহী জাহাজের সাম্প্রতিক অপহরণের প্রচেষ্টা এই ধরনের সামুদ্রিক হুমকিরই প্রমাণ। প্রকৃতপক্ষে, সোমালি জলদস্যুদের হাতে আটক হওয়া মানুষদের অর্ধেকেরও বেশি ফিলিপিনো। এর পাশাপাশি, হুতি হামলা অব্যাহত থাকায় ফিলিপিনো নাবিকরা সম্ভবত সমগ্র আইওআর জুড়ে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন।
দ্বিতীয়ত, এবং প্রায় একই ভাবে ফিলিপিনো জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বিদেশে কর্মরত এবং বিভিন্ন পেশায় অন্তর্ভুক্ত। ফিলিপিন্স স্ট্যাটিস্টিকস অথরিটি-র মতে, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আনুমানিক ১.৯৬ মিলিয়ন ছিলেন ওভারসিজ ফিলিপিনো ওয়ার্কার্স বা বিদেশি ফিলিপিনো কর্মী (ওএফডব্লিউ)। বেশির ভাগ ওএফডব্লিউ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই) এবং ওমানের মতো উপসাগরীয় দেশগুলিতে কাজ করেন। একই সময়ে, প্রায় ১ শতাংশ আফ্রিকায় বসবাস করেন এবং মহাদেশটির পূর্ব উপকূলে এক বড় সম্প্রদায় গড়ে তুলেছেন। যেহেতু ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের ইতিমধ্যেই অস্থির নিরাপত্তা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, তাই ওএফডব্লিউ-এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
ভারত মহাসাগর জলদস্যুতা এবং সামুদ্রিক সন্ত্রাস থেকে শুরু করে মাদক ও বন্দুক চোরাচালান হয়ে মানব পাচার পর্যন্ত অপ্রচলিত নিরাপত্তা হুমকির আধিক্যের আবাসস্থল।
তৃতীয়ত, আইওআর বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেখানে বছরে প্রায় ৯.৮৪ বিলিয়ন টন কার্গো এই অঞ্চলের জলপথ দিয়ে যাতায়াত করে। সেই অনুসারে, প্রশান্ত মহাসাগরের উন্নয়নশীল দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির উপর নির্ভর করে, যা ভারত মহাসাগরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের তুলনায় কম খরচ হওয়া সত্ত্বেও ফিলিপিন্স একটি নেট জ্বালানি আমদানিকারক। ফিলিপিন্স ২০২৩ সালে তার মোট ব্যবহৃত তেলের ৭০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করেছে। ফলে এ কথা স্পষ্ট যে, ফিলিপিন্স কতটা আইওআর-এর গুরুত্বপূর্ণ সি লাইন কমিউনিকেশনস (সিএলওএস) বা সামুদ্রিক শৃঙ্খল সংক্রান্ত যোগাযোগের সুরক্ষার উপর নির্ভর করে। ফিলিপিন্সের শীর্ষ আমদানির উত্স হল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার এবং ওমান।
ফিলিপিন্সের বৈদেশিক নীতির তিনটি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে দু’টি হল বিদেশে কর্মরত ফিলিপিনোদের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা অর্জন। ফলে ম্যানিলার জন্য আইওআর-এর গুরুত্ব তুলে ধরে একটি শক্তিশালী ও দূরদর্শী বৈদেশিক নীতি প্রণয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ হবে। ভূগোল এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংযোগের কারণে এই অঞ্চলে ম্যানিলার চিরাচরিত সীমিত কূটনৈতিক উপস্থিতি বোধগম্য হলেও ইন্দো-প্যাসিফিক ভূ-রাজনৈতিক গঠনের উত্থান ফিলিপিন্সের জন্য তার অবস্থানকে লাভবান করে তোলার একটি অপরিহার্য সুযোগ প্রদান করে, এবং তা শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ হিসেবে নয়, একটি ইন্দো-প্যাসিফিক মধ্যশক্তি হিসেবেও।
২০১৬ সাল থেকে ফিলিপিন্স আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার কারণে কৌশলগত অংশীদারদের বৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের বর্তমান প্রশাসনের অধীনে ম্যানিলা অপ্রচলিত অংশীদারদের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উভয়ই শক্তিশালী করার উপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। এই বিদ্যমান প্রচেষ্টার মধ্যে ম্যানিলা তার পশ্চিমী প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মধ্যে অন্যতম হল ফিলিপিন্স ও ভারতের মধ্যে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করা। ব্রহ্মস চুক্তি থেকে ফিলিপিন্স ও ভারতীয় উপকূলরক্ষীদের মধ্যে একটি সমঝোতাপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর করা থেকে উভয় দেশ ধারাবাহিক ভাবে তাদের সম্পর্কের পরিধি আরও গভীর ও প্রসারিত করার চেষ্টা চালিয়েছে, বিশেষ করে সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। ফিলিপিন্স তার উপকূলরক্ষীদের জন্য সাতটি হেলিকপ্টার সরবরাহের উদ্দেশ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে এবং উভয় পক্ষ যৌথ সামুদ্রিক মহড়ার সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে আছে।
ম্যানিলা তার পশ্চিমী প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মধ্যে অন্যতম হল ফিলিপিন্স ও ভারতের মধ্যে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করা।
আইওআর-এ তার স্বার্থগুলিকে আরও ভালভাবে সুরক্ষিত করতে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ফিলিপিন্সের জন্য আরও বেশি সুযোগের দরজা খুলে দিতে পারে। স্বাধীনতার পর থেকে, ভারত আইওআর-এর নেট নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করে চলেছে। লাইবেরিয়ান-পতাকাবাহী জাহাজটিকে সংরক্ষণ এবং সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাম্প্রতিক সাফল্য এই অঞ্চলে প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী হিসাবে তার ভূমিকাকেই দর্শায়। ফিলিপিনো নাবিকদের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে, ফিলিপিন্স গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের গভীরতা এবং ভারতের সঙ্গে নৌ-আন্তঃকার্যকারিতাসম্পন্ন সহযোগিতার উন্নতির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ভাবে উপকৃত হবে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন-এর (আইওআরএ) মতো আইওআর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া ফিলিপিন্সের সর্বোত্তম স্বার্থের অনুকুল, যেখানে সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং তাইল্যান্ড সদস্য এবং যেখানে চিন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া আলোচনা চালাচ্ছে। অংশীদার ফ্রান্সের প্রাতিষ্ঠানিক সদস্যপদ সহজতর করার ক্ষেত্রে ভারত যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই আইওআরএ-তে আলোচনামূলক অংশীদার হিসেবে ম্যানিলার সম্ভাব্য অন্তর্ভুক্তির জন্য নয়াদিল্লি একটি অপরিহার্য সেতুবন্ধনকারী হয়ে উঠতে পারে। আইওআরএ-তে সম্পৃক্ত হওয়া ফিলিপিন্সকে সদস্য এবং আলোচনার অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করতে, ভারত মহাসাগর এবং তার এসএলওসিগুলির স্থিতিশীলতায় আরও সক্রিয় ভাবে অবদান রাখতে এবং আইওআর-এ তার কূটনৈতিক উপস্থিতিকে আরও গভীরতর করার সুযোগ করে দেবে।
ভারতের পাশাপাশি ফিলিপিন্স সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে তার নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে এবং উভয় পক্ষই দ্রুত প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করার আশা করছে। এমনটা কার্যকর হলে এটিই হবে উপসাগরীয় কোনও দেশের সঙ্গে গৃহীত ফিলিপিন্সের প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মার্কোস জুনিয়রও ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম বারের মতো অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর (আসিয়ান) গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। ইউএই এবং সৌদি আরব হল আইওআর এবং শক্তির ভূ-রাজনীতিতে প্রভাবশালী দেশ। অতএব, আবুধাবি ও রিয়াধের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা ফিলিপিন্সকে শক্তি নিরাপত্তা এবং ওএফডব্লিউ-দের সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পথ সূচিত করবে। যাই হোক, যখন উভয় উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে ম্যানিলার কৌশলগত সহযোগিতা সবেমাত্র তার বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে চিত্রিত করতে শুরু করেছে, তখন ফিলিপিন্সের জন্য এই ক্রমবর্ধমান গতি বজায় রাখা এবং শেষ পর্যন্ত অন্যান্য আঞ্চলিক দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুযোগ প্রসারিত করা জরুরি।
মার্কোস জুনিয়রও ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম বারের মতো অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর (আসিয়ান) গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। ইউএই এবং সৌদি আরব হল আইওআর এবং শক্তির ভূ-রাজনীতিতে প্রভাবশালী দেশ।
অতএব, ফিলিপিন্স চিরাচরিত ভাবে আইওআর-এ তেমন শক্তিশালী ভাবমূর্তি বজায় না রাখলেও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির পরিবর্তন দেশগুলিকে এ হেন পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজিত হতে বাধ্য করবে। যেহেতু ইন্দো-প্যাসিফিক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছে, তাই ফিলিপিন্সের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ হিসেবে নিজের ভূমিকা বৃদ্ধি করতে এবং শুধু পূর্বে নয়, পশ্চিমেও অনস্বীকার্য স্বার্থ থাকার প্রেক্ষিতে ম্যানিলার কৌশলগত সমীকরণের ক্ষেত্রে আইওআর-এর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করার সুযোগটি সর্বাধিক করে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ডন ম্যাকলেন গিল ফিলিপিন্সভিত্তিক ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ক বিশ্লেষক, লেখক এবং দে লা সাল ইউনিভার্সিটির (ডিএলএসইউ) ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.