Author : Sohini Bose

Published on Mar 23, 2023 Updated 0 Hours ago

জি২০-র মাধ্যমে বৈশ্বিক কর্মসূচিকে ভারত রূপ দান করার চেষ্টা করছে এবং তার এই সব ধারণাকে প্রতিবেশী অঞ্চলে কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশের সমর্থন প্রয়োজন।

ভারতের জি২০ সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক ‘সোনালি অধ্যায়’-এ প্রবেশ করেছে। এই দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের উপর সিলমোহর দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের বিশেষ অতিথি হিসেবে ৯-১০ সেপ্টেম্বর আসন্ন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ বছর জি২০-র সভাপতিত্ব করার সময়ে ভারত অন্যান্য অ-সদস্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর ঐতিহ্য অনুসরণ করছে। আমন্ত্রিত দেশগুলি হল মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই)। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ, যা ভারতের অতিথি তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ২০২৪ সালে উভয় দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে এক সাম্প্রতিকতম বৈঠকে জি২০ সম্মেলনের মাঝে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের প্রস্তুতি হিসেবে নয়াদিল্লি ও ঢাকায় বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হবে।

দেশ দু’টি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য এবং বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার জন্য কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বা সর্বাত্মক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে।

বাংলাদেশকে অতিথি হিসাবে ভারতের আমন্ত্রণ আদতে দেশটি সম্পর্কে নিকটতম পূর্ব প্রতিবেশী এবং প্রতিবেশের ‘ঘনিষ্ঠতম বন্ধু’ হিসেবে উচ্চ অগ্রাধিকারকেই দর্শায়। ভারতের কাছে বাংলাদেশ কেন মৌলিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, তার তিনটি প্রধান কারণ হল:

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার

২০২১-২২ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে উঠে এসেছে এবং ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং এশিয়ার বৃহত্তম রফতানি বাজার হিসেবে উঠে এসেছে। অতিমারি সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০১৯ সালের ৯.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৪ শতাংশ অভূতপূর্ব হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ সালে ১০.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। দেশ দু’টি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য এবং বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করার জন্য কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বা সর্বাত্মক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে। দ্রুততম হারে বর্ধনশীল বিশ্বের অন্যতম অর্থনীতি হওয়ার দরুন ভবিষ্যতে ভারতের জন্য বাংলাদেশ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

ভারতের উত্তর-পূর্বের প্রবেশদ্বার

ভৌগোলিকভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বের ভূখণ্ড পরিবেষ্টিত রাজ্যগুলির মধ্যে অবস্থিত হওয়ার দরুন বাংলাদেশ তার বাণিজ্য এবং সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য দেশের বাকি অংশের পাশাপাশি সমুদ্রপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করার ক্ষেত্রে আদর্শ স্থানে অবস্থিত। এই সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করার জন্য বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে উভয় সরকারই বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক বার ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসম ও ত্রিপুরাকে উপকৃত করবে। উন্নততর বাণিজ্যের জন্য অভিন্ন ভূখণ্ড মধ্যবর্তী জলপথের সংযোগ শৃঙ্খলের পাশাপাশি পোর্ট অফ কল বা বিশ্রামবন্দর এবং প্রোটোকল পথ যুক্ত করা হয়েছে। পরিবহণকে আরও উন্নত করার জন্য ২০২১ সালে ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতু নির্মিত হয়েছে, যা ভারতের ত্রিপুরার সরবুমকে বাংলাদেশের রামগড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সদ্য উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতুও দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। রেল সংযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিতালি এক্সপ্রেস ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের ঢাকায় সপ্তাহে দু’দিন যাত্রা করার জন্য চালু করা হয়েছিল। আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভৌগোলিকভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বের ভূখণ্ড পরিবেষ্টিত রাজ্যগুলির মধ্যে অবস্থিত হওয়ার দরুন বাংলাদেশ তার বাণিজ্য এবং সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য দেশের বাকি অংশের পাশাপাশি সমুদ্রপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করার ক্ষেত্রে আদর্শ স্থানে অবস্থিত।

সংযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ ভারতের বিদ্রোহপ্রবণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরও বেশি স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেশী দেশটি নিরাপত্তা বিষয়ে ভারতের জন্য বরাবরই এক অসামান্য অংশীদার ছিল’, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার ‘জিরো টলারেন্স’ বা ‘তীব্র অসহনশীল’ মনোভাবের নিরিখে। বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ উত্তর-পূর্বের (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম) বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের গ্রেফতার করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে।

ভারতের নেবারহুড ফার্স্ট এবং অ্যাক্ট ইস্ট পলিসিতে একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ

চিনের ক্রমবর্ধমান ও আগ্রাসী উপস্থিতি বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের কৌশলগত তাৎপর্য বৃদ্ধি করেছে এবং এর ফলে ভারত উপসাগরটিতে তার আধিপত্য সুনিশ্চিত করতে উপকূলস্থিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বাধ্য হয়েছে। এটি ভারতের আগ্রহের প্রধান ক্ষেত্র। একই সঙ্গে যেহেতু দেশটির পশ্চিম সীমান্তেও সমস্যা রয়েছে, তাই ভারত তার ইন্দো-প্যাসিফিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করার জন্য তার পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই উভয় উদ্যোগেই ঘনিষ্ঠতম পূর্ব প্রতিবেশী দেশ হওয়ার দরুন বাংলাদেশ – বঙ্গোপসাগরের উত্তরে অবস্থিত – ভারতের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। চিন যেহেতু উপসাগরীয় অঞ্চলে নিজের জমি মজবুত করার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে, তাই ভারত দেশটির সঙ্গে তার সুপ্রাচীন সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করা এবং সহযোগিতার নতুন পথ সন্ধান করার অতিরিক্ত অনুপ্রেরণা অনুভব করেছে। শেষোক্ত বিষয়টি তখন স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন অতিমারির বছরগুলিতে ভারত বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১০.৩ কোটি টিকা সরবরাহ করে, যা বাংলাদেশকে ভারতের ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগের বৃহত্তম প্রাপক করে তোলে। এর প্রতিদানস্বরূপ ২০২১ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় প্রবাহ চলাকালীন ভারতের সঙ্কটের সময়ে ভারতকে বরাত দেওয়া টিকা না পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ১০,০০০ শিশি রেমডেসিভির, ৩০,০০০ পিপিই কিট এবং ওষুধ-সহ কোভিডের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব বৃহত্তর এবং নব দিগন্তে প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি এ কথা লক্ষ্যণীয় যে, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার কিছু সাম্প্রতিক ক্ষেত্র ভারতের জি২০ কর্মসূচির অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলির সঙ্গেও সাযুজ্যপূর্ণ। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের অতিথি হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই দিকগুলিই এ বছর অগ্রাধিকার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ হেন চারটি ক্ষেত্র নিম্নরূপ:

জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা

ভারতের সভাপতিত্বে জি২০-র অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘গ্রিন ডেভেলপমেন্ট, ক্লাইমেট ফিন্যান্স অ্যান্ড লাইফ’ বা ‘দূষণহীন উন্নয়ন, জলবায়ু অর্থায়ন এবং লাইফ’। নামটি থেকেই বোঝা যায় যে এই ক্ষেত্রটি পরিবেশগত সচেতনতা বিকাশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বোঝার জন্য নিবেদিত ‘কেবল জলবায়ু অর্থ ও প্রযুক্তির প্রতিই নয়, সারা বিশ্ব জুড়ে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য শক্তির পরিবর্তনকে সুনিশ্চিত করার উপরেও মনোনিবেশ করেছে।’ ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের সরকার-প্রধানরা জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি অভিন্ন উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভারত সফরের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে এবং জলবায়ু প্ররোচিত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সমস্যার সম্মুখীন সুন্দরবন অঞ্চলের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে।

গত কয়েক বছরে ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের জি২০ প্রবিধানের অধীনে বিপর্যয় ঝুঁকি প্রশমন করাও একটি নতুন ক্ষেত্র। উত্তাল বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘন ঘন দুর্যোগের সম্মুখীন হয় ভারত ও বাংলাদেশ। এর ফলস্বরূপ, এই আন্তঃদেশীয় ঝুঁকি প্রশমন করার জন্য দুই দেশই ২০২১ সালে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি মউ স্বাক্ষর করেছে।

পুনর্নবীকরণ শক্তিতে রূপান্তর

যেমনটা ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের জি২০ প্রবিধানে শক্তির রূপান্তর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ক্লিন এনার্জি বা দূষণহীন শক্তি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। গত কয়েক বছরে ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০      সালের ভার্চুয়াল যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশই হাইড্রোকার্বন ক্ষেত্রে সহযোগিতার নিরিখে ফ্রেমওয়ার্ক অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে জৈব জ্বালানি-সহ জ্বালানি দক্ষতা এবং দূষণহীন শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই দাবিটি ২০২২ সালের যৌথ বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল, যেখানে উভয় দেশ দূষণহীন শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়।

সাইবার নিরাপত্তা

ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) হল পরিচয় ব্যবস্থা, সামাজিক নিবন্ধীকরণ এবং পেমেন্ট গেটওয়ে বা লেনদেনের ব্যবস্থা – যেটির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে উঠেছে – এবং এটি মূলত মৌলিক জনসংখ্যাগত প্রযুক্তি ব্যবস্থা। এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবার একটি বৃহত্তর অংশ উন্নত গতিশীলতা ও মাত্রায় নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। সাইবার নিরাপত্তা হল ডিপিআই-এর একটি অন্তর্নিহিত দিক এবং এটি এমন এক ক্ষেত্র যেটিতে ভারত-বাংলাদেশ উভয়েই সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসে উভয় দেশই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) হল পরিচয় ব্যবস্থা, সামাজিক নিবন্ধীকরণ এবং পেমেন্ট গেটওয়ে বা লেনদেনের ব্যবস্থা – যেটির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে উঠেছে – এবং এটি মূলত মৌলিক জনসংখ্যাগত প্রযুক্তি ব্যবস্থা।

উন্নততর বহুপাক্ষিকতার সূচনা

জি২০-র মধ্যে, ভারতের জন্য একটি অন্যতম অগ্রাধিকার হল সংস্কারকৃত বহুপাক্ষিকতাকে উন্নীত করা, যা সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত, দায়বদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত, সমতাযুক্ত এবং প্রতিনিধিত্বমূলক বহুমুখী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলে। সার্ক, বিমস্টেক এবং আইওআরএ-র মতো ভারতের প্রতিবেশ সংক্রান্ত একাধিক বহুপাক্ষিক মঞ্চে (এটি এমন ক্ষেত্র, যেখানে ভারত তার প্রভাব খাটাতে চায়) বাংলাদেশও একটি সদস্য। তাই বহুপাক্ষিক মঞ্চে ভারতের জি২০ উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সে দেশের সমর্থন তার প্রয়োজন।

জি২০-র মাধ্যমে বৈশ্বিক কর্মসূচিকে ভারত রূপ দান করার চেষ্টা করছে এবং তার এই সব ধারণাকে প্রতিবেশী অঞ্চলে কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশের সমর্থন প্রয়োজন। এটি তার সভাপতিত্বকে আরও বিশ্বাসযোগ্যতা দেবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে সহযোগিতার এই সদ্যোজাত ক্ষেত্রগুলির কয়েকটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে্র ‘সোনালি অধ্যায়’-এ সংযোজন করবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.