ওয়াশিংটন ডিসিতে এই বাগাড়ম্বরই জোরালো হয়েছে যে, বিদ্যমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আলোকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারত অটুট সম্পর্ক বজায় রাখা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের শিথিলতা কেটেছে। নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গি তার পক্ষেই খানিক ঝুঁকছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও ভারতকে প্রয়োজন রয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নের উত্তর এই দুই প্রসঙ্গের মধ্যেই লুকিয়ে। যেমন, আমেরিকার দিল্লির প্রতি ঝোঁক বাধ্যতামূলক ভাবে শক্তিশালী করে তোলে এ হেন সূক্ষ্মতাগুলির অন্বেষণ করা তাই গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত আজ এমন এক অনন্য বাস্তববাদ অনুশীলন করে, যেখানে দেশটি কোনও আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক উদ্দেশ্যের জন্য নিষ্ঠুর স্বার্থ-প্রণোদিত পথের অন্বেষণ করে না। পরিবর্তে, ভারতের স্বার্থগুলির সঙ্গে মূল্যবোধ ভারসাম্যপূর্ণ এবং ভারত স্পষ্টতই এমন এক উদীয়মান শক্তি হয়ে উঠেছে, যা সম্প্রসারণবাদী নয় এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কথোপকথনে বিশ্বাসী, যেমনটা চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। সর্বোপরি, ভারতের উত্থান ও তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন থেকে উদ্ভূত ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান অন্তত পক্ষে দু’প্রকারে এক সূক্ষ্ম সংশোধনবাদকে দর্শায়: প্রথমত, ভারত বিশ্ব অর্থনীতিকে তার নিজস্ব অভিমুখে চালিত করতে সাহায্য করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দ্বারা ভাগ করে নেওয়া সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক তথ্য অনুযায়ী, ভারত ক্রমবর্ধমান বৃহৎ অর্থনীতিগুলিকে পথ দেখিয়েছে। দ্বিতীয়ত, একটি বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃহত্তর ভূমিকার অন্বেষণ করছে ভারত এবং নিজের কৌশলগত পছন্দগুলি পশ্চিম সংক্রান্ত পুনর্মূল্যায়নে বাধ্য করেছে। এটি ভারতের প্রতিবেশ অঞ্চলের বিকল্পের তুলনায় বিপরীত, যেখানে ভারত সাধারণত নিজে অভিযোজিত হওয়ার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন উপায়ে ভারত তার নিজস্ব বাস্তবসম্মত মূল্যায়নকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে চায়, যা একটি প্রধান শক্তি চালনাকারী এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের মূলধন হিসাবে তার ভূমিকাকে প্রতিফলিত করে। সেই সাধনার একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হল ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং একই সঙ্গে ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা এই পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে।
ভারত আজ এমন এক অনন্য বাস্তববাদ অনুশীলন করে, যেখানে দেশটি কোনও আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক উদ্দেশ্যের জন্য নিষ্ঠুর স্বার্থ-প্রণোদিত পথের অন্বেষণ করে না।
তর্কসাপেক্ষ ভাবে, এই পরিবর্তন সেই সকল দেশকেও নিযুক্ত করে, যারা বৃহত্তর ব্যক্তিবাদের লক্ষ্যে ব্রতী। ভারত বুঝতে পেরেছে যে, বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তাকে যে কোনও অনমনীয় জোট ব্যবস্থার ধারণা থেকে দূরে থাকতে হবে, যা সাধারণত নিরাপত্তা-ভিত্তিক হয়। একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন তার জোটনিরপেক্ষ নীতিতে প্রোথিত, যা ভারতকে ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগে একটি প্রক্সি রাষ্ট্র হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করেছিল। এই জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন একটি কৌশলগত পছন্দ। কারণ এটি কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
বর্তমানে ভারত দৃঢ় ভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করছে এবং শক্তিশালী এইচএডিআর উদ্যোগের মাধ্যমে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রথম প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠতে চায়। সর্বোপরি, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় একটি দৃঢ় গণতান্ত্রিক শক্তি হিসাবে ভারত নিজের অবস্থান সশক্ত করেছে। নিরাপত্তার পরিসরে এর অর্থ প্রায়শই ভারত কী ভাবে চিনের মোকাবিলা করতে পারে, সেই বিষয়ে নিহিত। এ ছাড়াও, ভারতের গণতন্ত্রের বিস্তৃত বলয় এবং একটি ‘বিশ্বস্ত’ আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে তার মর্যাদা দেশটিকে সংবেদনশীল তথ্য ও প্রযুক্তি আদান-প্রদানের সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমেরিকাকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সম্পর্কে এক উল্লেখযোগ্য পরিস্থিতিগত সচেতনতা অর্জনে সাহায্য করেছে। তাই সম্পূর্ণ কৌশলগত নিশ্চয়তার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও আমেরিকার ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে মেনে নেওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু অনস্বীকার্য কারণ রয়েছে।
একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন তার জোট নিরপেক্ষ নীতিতে প্রোথিত, যা ভারতকে ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগে একটি প্রক্সি রাষ্ট্র হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করেছিল।
ওয়াশিংটনের জন্য চিনা প্রশ্নের ভিত্তি ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিনের আচরণ অন্তর্নিহিত ভাবে মার্কিন আধিপত্যের ধরন এবং তার মৌলিক বিশ্বাস ব্যবস্থার প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মতো দুই বিদ্যমান সংঘাতের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করলেও বিরোধী শক্তিগুলির নিরিখে চিনের ভূমিকা ও প্রভাব ওয়াশিংটনের ইন্দো-প্যাসিফিক মনোযোগকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে চিনের সাম্প্রতিক অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, চিন সক্রিয় ভাবে এই অঞ্চলে একটি বৃহত্তর কৌশলগত পরিসরের সন্ধানে রয়েছে। সর্বোপরি চিনের অবস্থান আদর্শগত ভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র ইজরায়েলকে দুর্বল করে তুলেছে। সৌদি আরব যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নতুন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে, তাই চিন এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ভাবে প্রবেশ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর (বিআরআই) মাধ্যমে চিন মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রদের সঙ্গে একটি জটিল আন্তঃনির্ভরশীলতা চালানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ কথাও মনে রাখা অপরিহার্য যে, চিনের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাই আমেরিকার প্রধান সমস্যা নয়, বরং চিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফলে সৃষ্ট ভূ-রাজনৈতিক ও আদর্শগত হুমকিগুলিই এ ক্ষেত্রে প্রধান।
সৌদি আরব যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নতুন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে, তাই চিন এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ভাবে প্রবেশ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনকে ভূ-রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ভারতের অপরিহার্যতার বিষয়ে ওয়াশিংটনের স্পষ্ট স্বীকৃতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর আঞ্চলিক নীতি কখনও কখনও মূল ভারতীয় স্বার্থ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যেমন অঞ্চলটিতে ভারতের নিজের স্বার্থও ওয়াশিংটনের চেয়ে পৃথক থেকেছে। এটি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে একটি বৃহত্তর প্রসার বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, যা একটি আনুষ্ঠানিক জোটের মাধ্যমে করা সম্ভব হত না। এই আপাত দূরত্ব ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই লাভজনক হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিনের রাষ্ট্রীয় আচরণ সহজাত ভাবে মার্কিন আধিপত্যের বিরোধিতা করে এবং সম্পৃক্ততা ও বিরোধিতার প্রয়োজনীয়তাকেও দর্শিয়েছে। গ্লোবাল সাউথে পরিমার্জিত ভাবমূর্তি নিয়ে ভারত এক অগ্রণী অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে। সেই সব কিছুই দ্বৈত বিকল্প প্রদান করে, যেখানে প্রয়োজনে চিনের সঙ্গে দায়িত্বশীল ভাবে সম্পৃক্ত হওয়া ও প্রয়োজনে চিনের বিরোধিতা করার সুযোগ পাওয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে এটি সহিংসার একপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিস্থাপন করে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে সূক্ষ্মতা প্রদান করে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ‘দি ইন্ডিয়া ওয়ে’ নামক তাঁর বইতে এ কথার উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন যে, ভারতের লক্ষ্য হল পৃথক ভাবে নয়, একজোটে বৃদ্ধি অর্জন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য, ভারতের প্রেক্ষিতে সবচেয়ে আশ্বস্তমূলক বাজিটি হল, ভারতের এক শক্তিশালী প্রতিবেশ প্রথম নীতিতে মনোনিবেশ করা। এটি ভারতকে আঞ্চলিক শান্তি ও প্রবৃদ্ধি-সহ নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, বিশেষ করে এই অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে। সর্বোপরি ভারতের ‘নো-ফার্স্ট ইউজ’ নীতি, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মার্কিন চাপ সত্ত্বেও আফগানিস্তানের সেনাদের দেশের ভূখণ্ডে মোতায়েন করতে অস্বীকৃতি, দেশটিকে তার প্রতিবেশীদের জন্য একটি ঝুঁকিহীন দেশ করে তুলেছে, যা স্থিতিশীল বৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকাশক্তি। ইতিমধ্যে, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কটিতে বিশ্বাসের স্তর যোগ করেছে। ২০২৩ সালে ভারত পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ছিল। যদিও এই তেলের বেশির ভাগই ভারত রাশিয়া থেকে আমদানি করেছিল, যা এ কথাই দর্শায় যে, আদর্শগত ভাবে চালিত হওয়ার পরিবর্তে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন অধিক প্রয়োজন। নব্য বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পথ খুঁজে নেওয়ার জন্য যে কোনও ‘মূল্যবোধ’ চাপিয়ে দেওয়া - যা দীর্ঘমেয়াদে গভীর ভাবে ভেঙে পড়তে পারে - একটি সামগ্রিক পতন ডেকে আনতে পারে। জোটনিরপেক্ষ উত্তরাধিকার থেকে আগত ভারতই প্রথম দেশ, যে এ হেন মানসিকতার নেতিবাচক দিকগুলি প্রথম উপলব্ধি করে।
ওয়াশিংটনের একের পর এক প্রশাসনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এ কথা প্রমাণ করেছে যে, স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এমন এক কূটনৈতিক ভারসাম্যে পৌঁছনো যেতে পারে, যা বজায় রাখা সম্ভব।
ভারত এক নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিজেকে যথেষ্ট ভাল অবস্থানে রেখেছে – এমন এক ব্যবস্থা যেটি অনমনীয় হওয়ার বদলে আরও বেশি বাস্তববাদী এবং সংঘাত এড়িয়ে চলে। এমনটা করার মাধ্যমে ভারত দুই মহাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সংঘাতের নিরিখে সৃষ্ট গভীর ভাবে মেরুকৃত বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে পথ করে নিয়েছে। আমেরিকার জন্য, এই ধরনের ভারসাম্য-সহ গ্লোবাল সাউথের এই অংশীদার ভারত মহামূল্যবান। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব আমেরিকার কাঙ্ক্ষিত অংশীদার হয়ে ওঠার পথকে সুগম করে। ওয়াশিংটনের একের পর এক প্রশাসনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এ কথা প্রমাণ করেছে যে, স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এমন এক কূটনৈতিক ভারসাম্যে পৌঁছনো যেতে পারে, যা বজায় রাখা সম্ভব। উভয় তরফেই বাধ্যতামূলক টানাপড়েন ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বজায় রেখেও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত গুরুত্বের বিষয়ে সমন্বিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
বিবেক মিশ্র স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং কাশভি চৌধুরি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.