Published on Oct 18, 2021 Updated 0 Hours ago

তালিবানদের প্রত্যাবর্তন ভূ-রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস ঘটাবে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পড়া সন্ত্রাস মোকাবিলায় অন্য শক্তিশালী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও পুনর্বিন্যস্ত হবে।

কেন আফগানিস্তান নতুন ভূ-রাজনৈতিক চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে চলেছে

তালিবানদের ‘সবাইকে নিয়ে গড়া’ সরকার রীতিমতো প্রহসনে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রিসভার ১০০%-ই পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই পাশতুন। এবং কেউ কেউ আবার আন্তর্জাতিক স্তরে দাগিয়ে দেওয়া কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীও। ৩৩ জন তালিবান মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র ২ জন তাজিক এবং একজন উজবেক। আফগানিস্তানের জাতিগত, উপজাতীয় এবং আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যেকার ফাটল স্পষ্ট। কারণ বিভিন্ন তালিবানি উপগোষ্ঠীগুলি ক্ষমতার জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। বাস্তববাদীরা রীতিমতো কোণঠাসা এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর মদতপুষ্ট আইএসআই-হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো কট্টরপন্থীরাই এখন সর্বেসর্বা। হাক্কানি-আইএসআই জোট ২০০৮ সালে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক-সহ ৫৮ জনকে হত্যা করেছিল। গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদর আহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এ-ও রটে যে, পাকিস্তানের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই গুজব দূর করার জন্য তিনি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। ওসামা বিন লাদেনের একজন ডেপুটি আল কায়দা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি, যিনি পাকিস্তানে লুকিয়ে আছেন বলে মনে করা হয়, তিনিও একটি ভিডিয়ো বার্তা জারি করেছেন। তিনিও বেঁচে আছেন। আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তালিবানরা নিজেদের গঠিত সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকারের তকমা দিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক দাবি এবং অভ্যন্তরীণ নীতি সামাল দিতে দুমুখো নীতি গ্রহণ করেছে। ১১ সেপ্টেম্বরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। ৯/১১ হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আইএসআইয়ের পরামর্শের উপর ভিত্তি করে এই দুই নৌকোয় পা দিয়ে চলার মানসিকতা শুধু মাত্র আন্তর্জাতিক স্তরে বৈধতা এবং গ্রহণযোগ্যতা কুড়োনোর এক প্রকার চাল বলা চলে—আন্তর্জাতিক সাহায্য পাওয়ার জন্য যা জরুরি। আফগানিস্তান আসলে একটি মানবিক সংকটের অতলান্তে ডুবে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তালিবানরা নিজেদের গঠিত সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকারের তকমা দিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক দাবি এবং অভ্যন্তরীণ নীতি সামাল দিতে দুমুখো নীতি গ্রহণ করেছে।

দোহা চুক্তি ভঙ্গের লক্ষণও প্রকাশ্যে আসছে। তালিবান ইতিমধ্যেই দোহা চুক্তি থেকে সরে আসার জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে দোষী সাব্যস্ত করছে। কারণ এই চুক্তিতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ২০২০ সালের ২৯ মে-র মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে জোট বেঁধে তালিবান সদস্যদের নাম নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে প্রত্যাহার করবে। তালিবানদের হাতে আফগানিস্তানকে তুলে দেওয়ার ব্যাপারটিকে ন্যায্য প্রমাণ করার জন্য দোহা চুক্তির পরে পশ্চিমী গণমাধ্যমগুলো তালিবানদের ‘বদলে যাওয়া’র ব্যাপারে রব তুলেছে। এমনকি পশ্চিমী গণমাধ্যমগুলিও পাকিস্তানের আসল ভূমিকা চেপে গিয়েছে। অন্যথায় পরমাণু প্রযুক্তি চোরাচালান এবং পরমাণু অস্ত্রের নির্মাণ ও ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের মতো বিষয়গুলিতে ইসলামাবাদের আচরণ নিয়ে আমেরিকার একচোখামির উত্তর দিতে তারা বাধ্য থাকবে। আমেরিকা বরাবরই পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব পোষণ করেছে। ওয়াশিংটনে একটি প্রভাবশালী লবি রয়েছে যারা আমেরিকার স্বার্থের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অপরিহার্য বলে মনে করে। এটি আসলে ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমেরিকার রাজনীতির বাস্তব মুখ।

এই তথাকথিত ‘বদলে যাওয়া’ তালিবানদের শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে উচ্চশিক্ষা বাতিল করেছেন এবং শরিয়ার গুরুত্বের উপরে ফের জোর দিয়েছেন। আফগানিস্তানের মহিলাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। যারা স্কুল-কলেজে পড়ছে, তাদের পৃথক বসতে বাধ্য করা হচ্ছে, এবং পুরো বোরখা পরতে বাধ্য করা হয়েছে। একজন তালিবান মুখপাত্র প্রকাশ্যে এ-ও ঘোষণা করেছেন যে, মহিলাদের ঘরে থাকাই উচিত এবং তাঁদের এক মাত্র কাজ হল সন্তানের জন্ম দেওয়া। আর এক জন বলেছেন যে, মহিলা এবং পুরুষ পাশাপাশি কাজ করতে পারে না। সঙ্গীত এবং মহিলাদের খেলাধুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক আফগান মহিলা এর প্রতিবাদ করতে নামলে তালিবান সেনা গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে তাদের চাবুক মেরেছে। সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। অনেক বিক্ষোভেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান উচ্চারিত হয়েছে। আর তালিবানরা আফগানিস্তানের প্রাক্তন সামরিক কর্মীদের সুপরিকল্পিত ভাবে খুন করে চলেছে।

গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলির নিজেদের সাবধানতা অবলম্বন করা সরাসরি তালিবানদের তরফে পাওয়া সহযোগিতার সমানুপাতিক; বিদেশি এবং আফগানরা যাতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারে, তার জন্য তালিবানরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমেরিকার সমর্থন নিয়ে বিমান চলাচলের সুবিধে প্রদান এবং মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কাতার আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

ব্রিকস শীর্ষ নেতাদের জারি করা দিল্লি ঘোষণাপত্রে খুব সাবধানে তালিবানদের নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, আফগানিস্তানের মাটিকে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর প্রচেষ্টা রোধ করা এবং পাশাপাশি মাদক ব্যবসার ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। আফগানিস্তানে তালিবানদের ক্ষমতা দখলে নানা সন্ত্রাসবাদীদের মহলে এবং পাকিস্তানে ওঠা জয়ধ্বনি ফের নতুন করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলির নিজেদের সাবধানতা অবলম্বন করা সরাসরি তালিবানদের তরফে পাওয়া সহযোগিতার সমানুপাতিক; বিদেশি এবং আফগানরা যাতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারে, তার জন্য তালিবানরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমেরিকার সমর্থন নিয়ে বিমান চলাচলের সুবিধে প্রদান এবং মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কাতার আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

তালিবানদের প্রত্যাবর্তন আফগানিস্তানকে ভূ-রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পড়া সন্ত্রাস মোকাবিলায় অন্য শক্তিশালী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও পুনর্বিন্যস্ত হবে। তালিবান যদি এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে দমন করতে পারে, তা হলে তারা অবশ্যই সম্মান অর্জন করবে এবং অন্য দেশগুলির পক্ষে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা সম্ভব হবে। এদিকে, পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান চিন, ইরান ও রাশিয়ার গোয়েন্দা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় সরাসরি আঙুল তুলেছে ভারতের দিকে। তাদের বক্তব্য আফগানিস্তানের পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় ভারতই পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার ‘লঙ্ঘন’ নিয়ে একটি দস্তাবেজ প্রকাশ করে পাকিস্তান মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করেছে। অনিবার্য ভাবে, তারা ভারতের বিরুদ্ধে বেকার তালিবানি, লস্কর-এ-তইবা ও জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গিদের কাজে লাগাবে। তালিবানরা কি এই ঘটনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম?

যখন আফগানিস্তান একটি অর্থনৈতিক বিনিয়োগক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, তখন তালিবানদের সঙ্গে চিনের সুসম্পর্ক সহজেই বোধগম্য এবং পাকিস্তান তালিবানের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্ককে ব্যবহার করে বেজিংকে খানিক ছাড় দেবে, এ কথা বলাই যায়। চিনের অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং তালিবানদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের ভিত্তিই চিন-পাকিস্তান জোটের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

চিন ইতিমধ্যেই তালিবানকে মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পিছনে আসলে তিনটি কৌশলগত দিক রয়েছে- সন্ত্রাসবাদ, ব্যবসায়িক স্বার্থে খনিজ পদার্থ ব্যবহার এবং আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারে বি আর আই-কে (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ) আরও প্রসারিত করা। জঙ্গি উইঘুর সংগঠন ই টি আই এম আফগানিস্তানে যথেষ্ট সক্রিয় এবং অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে জোটবদ্ধ। চিন প্রতিশ্রুতি আদায় করতে সমর্থ হয়েছে যে তালিবানরা ই টি আই এম জঙ্গিদের বহিষ্কার করবে। এর পরিবর্তে ৩ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের একটি সহায়তা প্রকল্প ঘোষণা করেছে চিন। যখন আফগানিস্তান একটি অর্থনৈতিক বিনিয়োগক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, তখন তালিবানদের সঙ্গে চিনের সুসম্পর্ক সহজেই বোধগম্য এবং পাকিস্তান তালিবানের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্ককে ব্যবহার করে বেজিংকে খানিক ছাড় দেবে, এ কথা বলাই যায়। চিনের অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং তালিবানদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের ভিত্তিই চিন-পাকিস্তান জোটের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

শেষমেশ রাশিয়াকেও ভাবতে হবে, এই অঞ্চলে চিনের একচ্ছত্র আধিপত্য মেনে নিলে তার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ কোথায় দাঁড়াবে। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী এবং শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যুক্ত ইরানও কাবুলে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব। চিনের সঙ্গে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা আরোপিত আইনি নিষেধাজ্ঞাও তাকে আফগানিস্তানে চিনের নেতৃত্ব অনুসরণ করতে বাধ্য করবে। যদিও এই সম্পর্কে বাধা সৃষ্টি করতে পারে শিয়াদের প্রতি সুন্নি তালিবানদের হিংসাত্মক মনোভাব। আমেরিকা এবং রাশিয়ার গোয়েন্দা প্রধানরা সম্প্রতি দিল্লিতে আলোচনার জন্য এলেও  চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান এবং আমেরিকা এ বিষয়ে আলোচনায় ভারতকে ডাকেনি।

ভারতের জন্য দ্বন্দ্বের প্রধান কারণটি হল তালিবানদের সমর্থন করা বা না করার বিষয়টি। কারণ এত দিন পর্যন্ত তারা কাবুলের নির্বাচিত সরকারকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন জুগিয়ে এসেছে।

ভারতের জন্য দ্বন্দ্বের প্রধান কারণটি হল তালিবানদের সমর্থন করা বা না করার বিষয়টি। কারণ এত দিন পর্যন্ত তারা কাবুলের নির্বাচিত সরকারকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন জুগিয়ে এসেছে। কাবুলে নিজেদের দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ায় সে দেশে ভারতের আর কোনও প্রতিনিধি নেই। এটি অবশ্য আফগান জনগণকে ভারতের তরফে অত্যাবশ্যকীয় সরঞ্জাম ও পণ্য সরবরাহের কাজে বাধা হবে না, যে কাজের জন্য ভারতকে সে দেশের মানুষ যথেষ্ট সম্মানের চোখে দেখেন। এই সুসম্পর্কটি বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর এই সকল সরঞ্জামের অবাধ ও সুষম বণ্টনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

ভূরাজনৈতিক ভাবে এই চতুর্দেশীয় জোট আগামী দিনে আরও বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে চলেছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠা এবং আমেরিকা ও ফ্রান্সের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম কেনার পরিমাণ বৃদ্ধি রাশিয়ার রফতানিতে প্রভাব ফেলেছে। এটা স্বীকার করতেই হবে যে, ভারত এবং রাশিয়া উভয়েই তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মৌলিক উপাদানগুলিকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, যদিও চতুর্দেশীয় জোট সম্পর্কে উভয় দেশই বিরূপ মত পোষণ করেছে। ভারত-রাশিয়ার এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা তুঙ্গে থাকাকালীন বেজিংয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ভারতকে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম জোগান দেওয়া। রাশিয়া যেমন এক দিকে চিন-পাকিস্তান জোটকে কাজে লাগায়, অন্য দিকে নয়াদিল্লি এবং মস্কো আফগান প্রসঙ্গে সহযোগিতার জন্য একটি জানালা খোলা রাখছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.