-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারতের ভিঝিনজাম ও শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে যৌথ অংশীদারিত্ব আরও সহযোগিতামূলক সামুদ্রিক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের কাছে ৮,৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভিঝিনজাম আন্তর্জাতিক গভীর জল বহুমুখী সমুদ্রবন্দরের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন কালে মন্তব্য করেন, ‘উপকূলীয় রাজ্য এবং বন্দর শহরগুলি উন্নত ভারতের মূল প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হয়ে উঠবে।’ তিনি আরও বলেন যে, কেন্দ্র অর্থনৈতিক শক্তির এই সামুদ্রিক শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করতে এবং ভারতের বন্দর অবকাঠামোকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কৌশলগত ভাবে ভিঝিনজাম ব্যস্ত সুয়েজ--দূরপ্রাচ্য শিপিং রুট থেকে মাত্র ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত, যা ইউরোপ, উপসাগর এবং এশিয়াকে সংযুক্ত করে। এটি প্রাথমিক পূর্ব-পশ্চিম সামুদ্রিক অক্ষ/করিডোর। এই অবস্থানটি ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বিদেশি বন্দরের উপর ভারতের নির্ভরতা হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে কলম্বোর ক্ষেত্রে, যা মাত্র ১৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত এবং ভারতের পণ্যের একটি বড় অংশ পরিচালনা করে।
ভিঝিনজাম ভারতের প্রথম ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর, যা অতি-বড় কন্টেনার জাহাজ নোঙর করাতে সক্ষম। এটি শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরের কাছে অবস্থিত, যা বর্তমানে ভারতগামী ট্রান্সশিপমেন্ট কার্গোর ৭০ শতাংশ পরিচালনা করে। প্রতিটি ভ্রমণের মাধ্যমে সমুদ্র অতিক্রম করে এমন বন্দরগুলির সাফল্য নির্ভর করে বিশ্বব্যাপী শিপিং লাইনগুলি তাদের শৃঙ্খলে সেগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক কি না, তার উপর।
কৌশলগত ভাবে ভিঝিনজাম ব্যস্ত সুয়েজ--দূরপ্রাচ্য শিপিং রুট থেকে মাত্র ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত, যা ইউরোপ, উপসাগর এবং এশিয়াকে সংযুক্ত করে। এটি প্রাথমিক পূর্ব-পশ্চিম সামুদ্রিক অক্ষ/করিডোর। এই অবস্থানটি ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বিদেশি বন্দরের উপর ভারতের নির্ভরতা হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে কলম্বোর ক্ষেত্রে, যা মাত্র ১৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত এবং ভারতের পণ্যের একটি বড় অংশ পরিচালনা করে।
ভিঝিনজামকে বিশিষ্ট করে তোলে এর প্রাকৃতিক ২৪-মিটার গভীরতা, যা উল্লেখযোগ্য ড্রেজিং ছাড়াই বিশ্বের বৃহত্তম কন্টেনার জাহাজ বার্থিং করতে সক্ষম করে। এর ভাঙাচোরা পাথরের ঢিবিযুক্ত ব্রেকওয়াটার, যা একটি প্রকৌশলগত বিস্ময়, ২,৯৬০ মিটার লম্বা, ১৮ থেকে ২০ মিটার গভীরতায় নির্মিত এবং মোট উচ্চতা ২৮ মিটার। এটি একটি ন’তলা ভবনের সমান। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এটি ভারতের সবচেয়ে গভীর ব্রেকওয়াটার।
বন্দরের প্রথম ধাপে ১০ লক্ষ টিইইউ (বিশ ফুট সমতুল্য ইউনিট) ধারণক্ষমতা রয়েছে। সম্পূর্ণ রূপে চালু হয়ে গেলে এটি ৬০.২ লক্ষ টিইইউ পরিচালনা করতে সক্ষম হবে, যা ভারতের পরিকল্পিত ট্রান্সশিপমেন্ট চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই ভিঝিনজাম তার পরীক্ষামূলক পরিচালনা এবং পরবর্তী পাঁচ মাসের বাণিজ্যিক কার্যকলাপের সময় অনেক সাফল্য ও পরিচালনার সম্ভাবনা প্রদর্শন করেছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এটি ১৫টি দক্ষিণ ভারতীয় বন্দরের মধ্যে কার্গো পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকার করে: ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০টি জাহাজ থেকে ৭৮,৮৩৩ টিইইউ এবং মার্চ মাসে ৫১টি জাহাজ থেকে ১.০৮ লক্ষ টিইইউ। এখানে মোট ২৮৫টি জাহাজ নোঙর করেছে এবং ৫.৯৩ লক্ষ টিইইউ পরিচালনা করেছে - যা এর বর্তমান/স্থাপিত ক্ষমতার প্রায় ১১০ শতাংশ।
বিশ্বের বৃহত্তম কন্টেনার জাহাজগুলির মধ্যে অন্যতম এমএসসি তুর্কিয়ে (২৪,৩৪৬ টিইইউ) এবং এমএসসি ক্লদ জিরারদে-র (২৪,১১৬ টিইইউ) মতো বিশাল মাদার জাহাজগুলি নোঙর করার ক্ষমতা এর প্রকৌশলগত দক্ষতা ও বিশ্বব্যাপী প্রস্তুতিকে দর্শায়। অত্যাধুনিক অটোমেশন ও সুবিন্যস্ত অবকাঠামো দ্রুত গতিতে জাহাজ ঘোরানো ও ন্যূনতম যানজট নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পিত হয়েছে।
ঐতিহাসিক বন্দরকে পুনরুজ্জীবিত করা
ভিঝিনজামের একটি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক উত্তরাধিকার রয়েছে, যা প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত অব্যাহত ছিল, বিশেষ করে চোল রাজা রাজরাজের রাজত্বকালে। ভারত যখন কলম্বো বন্দরের অভ্যন্তরীণ বিকল্প অনুসন্ধান শুরু করে, তখন এটি নীতিগত আলোচনায় পুনরায় উঠে আসে।
বছরের পর বছর ধরে, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট চাহিদা কলম্বো, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ের মাধ্যমে পূরণ করা হত। দেশীয় কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা যথেষ্ট হলেও নয়াদিল্লি দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। কেন্দ্র উদ্বিগ্ন ছিল যে, যানজট পুনর্নির্দেশিত করা কলম্বোর ব্যবসা এবং তার অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে/ক্ষতি করতে পারে, এবং আরও বিস্তৃত ভাবে দেখলে শ্রীলঙ্কার ক্ষতি সাধন করতে পারে।
যাই হোক, এক দশকেরও বেশি সময় আগে শ্রীলঙ্কা ভারতের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ চিনকে হাম্বানটোটা বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পর কৌশলগত সতর্কতার পথ তৈরি করে। নয়াদিল্লি আশঙ্কা করেছিল যে, বন্দরের উপর চিনা নিয়ন্ত্রণ দুর্বলতা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যদি ভারতীয় জাহাজগুলিকে পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মধ্যে চলাচলের সময় শ্রীলঙ্কাকে প্রদক্ষিণ করতে বাধ্য করা হয়, তা হলে চিনা তত্ত্বাবধানে ও তাদের উত্তর সীমান্তে সামরিক উত্তেজনার ক্ষেত্রে সংঘাতের সম্ভাবনা থাকে।
দেশের কৌশলগত বিশ্লেষকদের মনোভাব থেকে ভারতীয় উদ্বেগ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন একটি চিনা সংস্থাকে কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কন্টেনার টার্মিনালের (সিআইসিটি) ৮৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব দেওয়া হয় এবং তার পরে সেখানে নতুন গুদামজাতকরণ সুবিধায় একই রকম অংশীদারিত্ব দেওয়া হয়। এর উপর আবার শ্রীলঙ্কা সরকার ভারত ও জাপানের সঙ্গে বন্দরের ইস্টার্ন কন্টেনার টার্মিনালের (ইসিটি) যৌথ উন্নয়ন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে হওয়া একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তিও বাতিল করে, যা প্রস্তাবিত চিন-অর্থায়িত কলম্বো পোর্ট সিটি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ছিল। এটি একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্র এবং সেই সময় থেকে হওয়া দেশের বৃহত্তম বিনিয়োগ। বন্দর শহরের কাজ তখন থেকে এগিয়ে চলেছে, যদিও শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে প্রাথমিক ভাবে যে গতিতে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেই গতিতে কাজ এগোচ্ছে না।
শ্রীলঙ্কা সম্পর্কিত কৌশলগত উদ্বেগের ঊর্ধ্বে উঠে নয়াদিল্লি বাণিজ্যিক বিকল্প অনুসন্ধান শুরু করে — যার সূচনা হয় কলম্বোর বিকল্প হিসাবে স্ট্যান্ড-বাই বন্দরগুলি খুঁজে বের করার মাধ্যমে — যে কোনও বহিরাগত কারণে ভবিষ্যতে ট্রানশিপমেন্ট চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে এই আশঙ্কায়।
ভারতের আদানি গ্রুপ - ভিঝিনজাম বন্দরের বেসরকারি খাতের প্রবর্তক - শ্রীলঙ্কার একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে কলম্বো ওয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল অথবা সহজ কথায় বলতে গেলে ওয়েস্টার্ন কন্টেনার টার্মিনাল (ডব্লিউসিটি) যৌথ ভাবে উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব করেছিল। তার পরে দেশের বন্দরগুলি পরিচালনাকারী সরকারি সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় সরকারি চিন্তাভাবনা ইতিমধ্যেই একত্রিত হয়েছিল। তবে এ কথা অন্য বিষয় যে, ভিঝিনজাম উদ্বোধনের এক মাস আগে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ডব্লিউসিটি কার্যক্রম শুরু করে।
পরিক্রমণ এড়িয়ে যাওয়া
বিকল্পগুলি বিবেচনা করার প্রাথমিক পর্যায়ে - বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার উপকূলরেখায় চিনা উপস্থিতির ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপটে - ভারত দীর্ঘ-বিস্মৃত সেতুসমুদ্রম জাহাজ খাল প্রকল্পটিও পুনরুজ্জীবিত করে। এর লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ তামিলনাড়ু উপকূল বরাবর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সঙ্কীর্ণ জলপথ খনন করে পরিক্রমণ এড়াতে সহায়তা করা। এই প্রকল্পটি খুব জাঁকজমকের সঙ্গে চালু হলেও এখন ধর্মীয় বিশ্বাস ও হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণ থেকে শুরু হওয়া পৌরাণিক রাম সেতুর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সম্পর্কিত কৌশলগত উদ্বেগের ঊর্ধ্বে উঠে নয়াদিল্লি বাণিজ্যিক বিকল্প অনুসন্ধান শুরু করে — যার সূচনা হয় কলম্বোর বিকল্প হিসাবে স্ট্যান্ড-বাই বন্দরগুলি খুঁজে বের করার মাধ্যমে — যে কোনও বহিরাগত কারণে ভবিষ্যতে ট্রানশিপমেন্ট চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে এই আশঙ্কায়। হাই ড্রাফ্ট এবং ব্যস্ত ভারত মহাসাগরের যোগাযোগের সমুদ্রপথের (এসএলওসি) নিকটবর্তিতা ছিল তখনকার মতোই প্রধান বিবেচ্য বিষয়, এখনও তাই।
প্রাথমিক ভাবে উত্তরে বিদ্যমান কোচিন বন্দর - কেরালায়ও এবং ভিঝিনজাম থেকে খুব বেশি দূরে নয় - সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থী ছিল। সেখানে বেশিরভাগ মৌলিক অবকাঠামো ইতিমধ্যেই তৈরি ছিল এবং এটি ইতিমধ্যেই চালু একটি বন্দর ছিল। যাই হোক, একটি শিপইয়ার্ডের উপস্থিতি এবং ভবিষ্যতের সম্প্রসারণের জন্য জায়গার অভাবের মতো কৌশলগত বিবেচনা নীতিনির্ধারকদের অন্য কোনও বিকল্প খুঁজতে বাধ্য করে এবং ভিঝিনজাম সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছিল।
কেন্দ্রের নীলনকশা
ভিঝিনজামে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন যে, কী ভাবে অবকাঠামো ও ব্যবসা করার সহজতা একসঙ্গে প্রচার করা হলে বন্দর অর্থনীতিগুলি তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছয়। তিনি বলেন যে, এটি গত দশকে কেন্দ্রীয় বন্দরের নীলনকশা এবং জলপথ নীতি। তিনি বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপরও জোর দিয়েছিলেন এবং আরও বলেছিলেন যে, গত দশকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, ভারতের বন্দরগুলিকে বিশ্বমানের মানদণ্ডে উন্নীত করা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
যেমনটা জানা যায়, কেন্দ্র অবকাঠামোগত ব্যবধান পূরণের জন্য অতিরিক্ত তহবিল-সহ সাগরমালা ২.০ চালু করছে। প্রধানমন্ত্রী ‘দেশের সমুদ্র খাতকে রূপান্তরিত করার জন্য... বন্দর-নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন এবং উপকূলীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য’ সাগরমালা কর্মসূচি চালু করেছিলেন।
একাধিক উন্নয়ন
এখন প্রশ্ন হল: ভিঝিনজাম বন্দর কি কলম্বো বন্দরের জন্য সহযোদ্ধা হবে না কি হুমকিস্বরূপ? যদিও আগামী বছর ও দশকগুলিতে অন্যান্য জায়গার মতো এই অঞ্চলে একাধিক ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন বন্দর অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে। ভিঝিনজামের বেসরকারি খাতের প্রবর্তকরাও কলম্বো ওয়েস্ট টার্মিনালে যে বিনিয়োগ করেছেন, তা ইঙ্গিত দেয় যে, এই দু’টির বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিসর এবং ব্যবসা উভয়ই বিদ্যমান।
কিছু দিন আগেও নয়াদিল্লি ভিঝিনজাম থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এনায়াম (কোলাচেল) আর একটি কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর তৈরির ভাবনা খতিয়ে দেখছিল, যদিও দ্রুত বর্ধনশীল তুতিকোরিন বন্দরটি মাত্র ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। এর অর্থ হল, কোচি থেকে তুতিকোরিন/থুথুকুডি পর্যন্ত বর্তমান তিনটির পরিবর্তে চারটি প্রধান বন্দর থাকত। তবে স্থানীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও পরিবেশবাদীদের ব্যাপক প্রতিবাদের পর কেন্দ্র কোলাচেল প্রস্তাবটি বাতিল করে দেয়।
এই সব কিছুই দর্শায় যে, এই বন্দরগুলির কোনওটিই একে অপরের জন্য হুমকি নয়; বরং, তারা সকলেই একসঙ্গে মিলে বিকশিত হতে পারে। এই দৃঢ় বিশ্বাসের নেপথ্যে রয়েছে এই বছরের শুরুতে উন্মোচিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘অঞ্চলগুলিতে সুরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক ও সামগ্রিক অগ্রগতি’র (মিউচুয়াল অ্যান্ড হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ অ্যাক্রস রিজিয়নস বা ‘মহাসাগর’) ভাবনা। এটি ২০১৫ সালে উন্মোচিত প্রধানমন্ত্রীর ‘অঞ্চলে সকলের জন্য সুরক্ষা ও বৃদ্ধি’র (সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন বা ‘সাগর’) পূর্ববর্তী আহ্বানের একটি বর্ধিত সংস্করণ। এটি কথাও লক্ষ্যণীয় যে, বেশিরভাগ ভারতীয় ভাষায়, ‘সাগর’ শব্দটির অর্থ ‘সমুদ্র’ এবং ‘মহাসাগর’ বলতে ‘মহাসমুদ্র’কেই বোঝায়। এই ক্ষেত্রে দেখতে গেলে ভারত মহাসাগর এবং এর উপকূলীয় দেশগুলি দিয়েই শুরু হয়েছে এই ভাবনার গতিপথ।
এন সত্য মূর্তি চেন্নাইভিত্তিক নীতি বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
N. Sathiya Moorthy is a policy analyst and commentator based in Chennai. ...
Read More +