অবৈধ সীমান্ত পারাপারে ব্যাপক বৃদ্ধি, সম্পদের ভাঁড়ারে টান, ভগ্ন আশ্রয় ব্যবস্থা এবং গভীর ভাবে বিভক্ত জনমতের মতো চ্যালেঞ্জ-সহ আসন্ন নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অভিবাসনও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৬.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, যা অভিবাসন সমস্যার বিস্তৃতিকেই দর্শায়। মার্কিন আশ্রয় ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ ভাবে অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়েছে, ২ মিলিয়নেরও বেশি মামলা বাকি থাকার দরুন উল্লেখযোগ্য অসম্পূর্ণ কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সমগ্র প্রক্রিয়াটিতে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারীদের সংখ্যাবৃদ্ধি ব্যাপক অভিবাসন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরে। বিশেষ করে অভিবাসন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ভোটারদের মনোভাবকে প্রভাবিত করে এবং মার্কিন রাজনৈতিক পরিসরকে আকার দেয়। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট উভয়েই এই সঙ্কট কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে গভীর ভাবে বিভক্ত। ফলে এটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে উঠেছে, যা নির্বাচনের ফলাফল এবং ভবিষ্যতের নীতি অভিমুখকে প্রভাবিত করতে পারে।
অবৈধ সীমান্ত পারাপারে ব্যাপক বৃদ্ধি, সম্পদের ভাঁড়ারে টান, ভগ্ন আশ্রয় ব্যবস্থা এবং গভীর ভাবে বিভক্ত জনমতের মতো চ্যালেঞ্জ-সহ আসন্ন নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অভিবাসনও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।
রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, এই নীতিগুলি নিতান্তই নরম ও এটি অবৈধ সীমান্ত পারাপারের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করেছে। ‘মাইগ্রেশন প্রোটেকশন প্রোটোকলস’-এর (এমপিপি) মতো - যা ‘রিমেনিং মেক্সিকো’ নীতি নামেও পরিচিত - ট্রাম্প-যুগীয় নীতিগুলির বাইডেনের প্রত্যাহার করে নেওয়াকে রিপাবলিকানরা দোষ দিয়েছেন। এই নীতি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে আগত আশ্রয়প্রার্থীদের অভিবাসনের সময় মেক্সিকোতে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সচেষ্ট অভিবাসীদের সংখ্যাবৃদ্ধির মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন আদালতে দাবিগুলির শুনানি হয়েছিল, সেই সঙ্গে কঠোর আশ্রয়ের নিয়মগুলি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। রিপাবলিকানরাও সীমান্ত সম্পদের উপর চাপ এবং জনবহুল ডিটেনশন কেন্দ্রগুলিকে সীমান্ত সঙ্কটের প্রমাণস্বরূপ তুলে ধরেছেন। তাঁরা কঠোর সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন, নির্বাসন বৃদ্ধি এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে এনফোর্সমেন্ট বা সেনাসংখ্যা বাড়ানোর কথা ব্যক্ত করেছেন। এই বিরোধিতা রাজনৈতিক বিতর্ককে উসকে দিয়েছে এবং ব্যাপক অভিবাসন সংস্কার পাস করার জন্য বাইডেনের প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য বাধা তৈরি করেছে। এর ফলস্বরূপ, ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনকে বিস্তৃত অভিবাসন ত্রাণ প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেছিল, যা প্যারোল প্রোগ্রামকে প্রসারিত করে। এটি এমন এক নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া যা অবৈধ ভাবে দেশে প্রবেশকারী কোনও বিদেশি ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেই দেশে থাকার অনুমতি দেয়। বর্তমানে, প্যারোল সাধারণত কেস-বাই-কেস বা আবেদনের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।
বাইডেনের বাধা
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য অভিবাসন একটি জটিল সমস্যা হয়ে উঠেছে, যা রাজনৈতিক এবং বাস্তব উভয় চ্যালেঞ্জকেই উপস্থাপন করেছে। সীমান্ত পারাপার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও ডেমোক্র্যাটদের আরও মানবিক আচরণের দাবিতে রাজনৈতিক সমালোচনার দিকে চালিত করেছে। জনমত বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং বাইডেনের অনুমোদনের রেটিং ও আইনি প্রচেষ্টাকে তা প্রভাবিত করছে। অ্যাসাইলাম সিস্টেম বা আশ্রয় প্রদানকারী ব্যবস্থা পুরনো অসমাপ্ত কাজ-সহ উল্লেখযোগ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত মার্কিন অভিবাসন আদালতে প্রায় ৭৮৮০০০টি আশ্রয়ের আবেদন বাকি রয়েছে, যার ফলে বেশ কিছু মামলাকে শুনানির জন্য কয়েক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আশ্রয়প্রার্থীদের দাবি বৃদ্ধি এবং সীমিত প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা, সম্পদের সীমাবদ্ধতা, নীতি পরিবর্তন ও মানবিক উদ্বেগের কারণে এই অসমাপ্ত কাজের পরিমাণ গত দশকে নাটকীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্প যুগ থেকে বিধিনিষেধমূলক নীতিগুলি খর্ব করার প্রচেষ্টা আইনি ও লজিস্টিক বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর পাশাপাশি আটক কেন্দ্রের অবস্থা এবং আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি আচরণ, বিশেষ করে পরিবার ও সঙ্গীহীন নাবালকদের সমস্যা মানবিক উদ্বেগ উত্থাপন করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অভিবাসন প্রবাহ পরিচালনা এবং মূল কারণগুলি সমাধানের সমস্যা জটিলতার আর একটি স্তর যোগ করেছে। মানবিক বিবেচনার সঙ্গে প্রয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক বিরোধিতার মাঝে পথ খুঁজে নেওয়াই হল এই প্রতিবন্ধকতাগুলি মোকাবিলার মূল চাবিকাঠি।
সীমান্ত পারাপার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও ডেমোক্র্যাটদের আরও মানবিক আচরণের দাবিতে রাজনৈতিক সমালোচনার দিকে চালিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর মেয়াদকালে জো বাইডেনের অভিবাসন নীতি তাঁর পূর্বসূরি দ্বারা বাস্তবায়িত অনেক বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থাকে খর্ব করার উপরেই মনোনিবেশ করেছিল। বাইডেন আরও মানবিক এবং সুশৃঙ্খল অভিবাসন ব্যবস্থা তৈরি করার চেষ্টা করেছেন এবং পারিবারিক ঐক্যের গুরুত্ব ও অভিবাসীদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণের উপর অনেক বেশি জোর দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসন ‘জিরো টলারেন্স’ বা ‘শূন্য সহনশীল’ নীতির অবসান ঘটিয়েছে, যা পারিবারিক বিচ্ছেদ ঘটায় এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুনরায় একত্রিত করতে সাহায্য করে। বাইডেন ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) প্রকল্পটিকে সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন, যে প্রকল্পটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশু বয়সে আসা অ-নথিভুক্ত অভিবাসীদের সুরক্ষা প্রদান করা হয়। উপরন্তু, তিনি দেশে বসবাসকারী অ-নথিভুক্ত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য ব্যাপক অভিবাসন সংস্কারের প্রস্তাব করেন। মধ্য আমেরিকা থেকে অভিবাসনের মূল কারণগুলিকে মোকাবিলা করার প্রচেষ্টা এবং আশ্রয় প্রক্রিয়া উন্নত করা বাইডেনের নীতির কেন্দ্রে থেকেছে।
ট্রাম্পের অধীনে অভিবাসন
প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর মেয়াদকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি আইনি এবং অবৈধ অভিবাসন উভয়ই হ্রাস করার লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাঁর প্রশাসন ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়ন করেছে, যার ফলে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে পরিবারগুলির বিতর্কিত বিচ্ছেদ ঘটছে। ট্রাম্প ডিএসিএ কর্মসূচির অবসানও চেয়েছিলেন, যা শিশু অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা অ-নিবন্ধিত অভিবাসীদের সুরক্ষা প্রদান করেছিল। উপরন্তু, তিনি বেশ কয়েকটি প্রধানত মুসলিম দেশের উপর ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এমনটা জরুরি। দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ট্রাম্পের এক উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি ছিল, যেখানে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ সম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছিল। ট্রাম্পের নীতিগুলি ব্যাপক বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে এবং অভিবাসন নিয়ে মার্কিন সমাজে বিভাজন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি থেকে উদ্ভূত অসংখ্য নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল সে দেশে কাজ করতে আসা বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া।
২৭ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া তাঁদের প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ট্রাম্প জো বাইডেনকে তাঁর উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির জন্য নিন্দা করেছিলেন এবং জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, অবৈধ অভিবাসনের বৃদ্ধির ফলে দেশটি ‘অসভ্য’ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প জোর দিয়েছিলেন যে, তাঁর প্রশাসনের অধীনে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর ছিল এবং তিনি আইনের প্রয়োজন ছাড়াই ‘সীমান্ত বন্ধ’ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
জো বাইডেন তাঁর প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের পক্ষাবলম্বন করে বলেছেন যে, ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ৪০ শতাংশ কম অবৈধ সীমান্ত পারাপারের ঘটনা ঘটেছে। বাইডেন সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে পৌঁছনোর বিষয়ে তাঁর প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে, ট্রাম্পের সহযোগী এবং সেনেট রিপাবলিকানদের কারণে এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। উপরন্তু, তিনি সাম্প্রতিক কার্যনির্বাহী পদক্ষেপের উল্লেখ করেছেন, যা অবৈধ সীমান্ত পারাপার কমিয়ে অভিবাসীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করেছে।
সামনের পথ
কমলা হ্যারিস এখন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসাবে বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিসরে অভিবাসন প্রসঙ্গটি প্রকৃতপক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। তিনটি মধ্য আমেরিকার দেশ অর্থাৎ হন্ডুরাস, এল সালভাদর এবং গুয়াতেমালা থেকে উদ্ভূত অভিবাসনের ‘মূল কারণ’ সমাধানের জন্য হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনোনীত করেছিলেন। অভিবাসন নিয়ে হ্যারিসের কাজ মধ্য আমেরিকায় বিনিয়োগ করতে এবং কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে উত্সাহিত করার দিকে মনোনিবেশ করেছিল। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে হোয়াইট হাউস বলেছিল যে, হ্যারিস এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি করতে এবং অপরাধ কমাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বেসরকারি খাত থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন।
এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হ্যারিস মধ্য আমেরিকার অভিবাসনের মূল কারণগুলি মোকাবিলার জন্য তাঁর প্রচেষ্টার দরুন ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। সমালোচকরা অভিবাসীদের আগমন পরিচালনা করতে বাইডেন প্রশাসনের অক্ষমতার প্রমাণ হিসাবে বন্দি বা আটক কেন্দ্রগুলিতে রেকর্ড মাত্রার সীমান্ত পারাপার, জনবহুল পরিস্থিতি এবং খারাপ অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে তাঁর বিলম্বিত সফর গুরুত্বের অভাব দর্শিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আবার অন্য দিকে গুয়াতেমালার সম্ভাব্য অভিবাসীদের জন্য তাঁর ‘ডু নট কাম’ সাবধানবাণী অভিবাসী অধিকার সংস্থাগুলির তরফে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মধ্য আমেরিকায় দুর্নীতি, সহিংসতা এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মতো সমস্যাগুলি মোকাবিলায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর জোর দেওয়া সত্ত্বেও রিপাবলিকানরা দাবি করে যে, এই প্রকল্পগুলি এখনও অর্থপূর্ণ ফলাফল প্রদান করতে পারেনি।
সম্প্রতি, জো বাইডেন এমন বৃহত্তম অভিবাসন নিয়মিতকরণ প্রকল্প চালু করেছেন, যেটি দেশের হাজার হাজার অ-নথিভুক্ত অভিবাসীকে নাগরিকত্বের দিশা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন বাসিন্দাদের অবৈধ পত্নীরা নতুন নিয়মের কারণে দেশ ছেড়ে না গিয়ে স্থায়ী ভাবেই দেশে বসবাস করতে এবং অবশেষে নাগরিকত্ব পেতে সক্ষম হবেন।
মার্কিন নাগরিকদের পাঁচ লক্ষেরও বেশি স্বামী / স্ত্রী এই পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হবেন। ২১ বছরের কম বয়সি ৫০,০০০ অনাগরিক শিশু যাদের বাবা-মা বিবাহসূত্রে মার্কিন নাগরিক, তারাও এ ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করবে। হ্যারিস যদি তাঁর প্রচারে এই কৌশলটির প্রচার করেন, তা হলে অভিবাসন সংস্কারে হ্যারিসের অবস্থান উন্নত হতে পারে।
মার্কিন নাগরিকদের পাঁচ লক্ষেরও বেশি স্বামী / স্ত্রী এই পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হবেন। ২১ বছরের কম বয়সি ৫০,০০০ অনাগরিক শিশু যাদের বাবা-মা বিবাহসূত্রে মার্কিন নাগরিক, তারাও এ ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করবে।
এ দিকে, নভেম্বর মাসে নির্বাচিত হলে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প প্রথম মেয়াদের অভিবাসন নীতিই ফিরিয়ে আনতে চান। এই নীতিগুলির মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়ের প্রবেশাধিকার সীমিত করা, অভিবাসীদের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব বাতিল করা, ন্যাশনাল গার্ড ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারীকে ‘দ্রুত ভাবে অবৈধ এলিয়েন গ্যাং সদস্য এবং অপরাধীদের অপসারণ’ করার দায়িত্ব দেওয়া এবং যোগ্যতা ভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থা সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন করা।
অভিবাসনের বিষয়টি নির্বাচনী চক্রের কেন্দ্রে উঠে এসেছে এবং তা ভোটারদের আচরণকে প্রভাবিত করছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্কিন আশ্রয় ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যেমন অসমাপ্ত কাজ, সম্পদের ঘাটতি, নীতি পরিবর্তন এবং মানবিক উদ্বেগ, যা জনমতকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও মানবিক ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন বিধি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করলেও এই প্রচেষ্টাগুলি অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলি সম্পূর্ণ রূপে সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বাত্মক ও বিদ্যমান সংস্কারের জোয়ার পরিবর্তন করা এবং আশ্রয় ব্যবস্থার প্রক্রিয়াকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার প্রয়োজন রয়েছে। এই ক্রমাগত অসুবিধাগুলি এবং গভীর ভাবে প্রোথিত সমস্যাগুলির সমাধান করা কমলা হ্যারিসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো।
অঙ্কিতা ব্রিজেশ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.