Author : Heena Makhija

Published on Aug 26, 2025 Updated 0 Hours ago

শক্তির বৈষম্য রাজনৈতিক কৌশলের কারণে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস দমন নীতিমালা গঠনে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে, যার ফলে কার্যকর ভাবে উদীয়মান হুমকির প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা সীমিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের রাজনীতি এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাস দমন ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা

পাকিস্তান বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) অস্থায়ী সদস্য এবং সম্প্রতি তালিবান নিষেধাজ্ঞা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। এটি ১৩৭৩ সন্ত্রাসবাদ দমন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবে এবং জুলাই মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করেছে এই ঘটনাপ্রবাহ এমন এক সময়ে উন্মোচিত হয়েছে, যখন ভারত পহেলগাম হামলার পর সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত জোগানোর নিন্দা জানাতে রাষ্ট্রপুঞ্জে তার কূটনৈতিক মামলা জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমন ব্যবস্থার মধ্যে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য তৈরির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান দখল করে আছে। কিন্তু পাঁচ স্থায়ী সদস্যের (পি৫) উপর ন্যস্ত ভেটোর ভারসাম্যহীনতার কারণে রাজনৈতিক কৌশল প্রায়শই অচলাবস্থার দিকে পরিচালিত করে, যা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুঝতে থাকা রাষ্ট্রগুলির জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা দ্বারা চালিত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিক্রিয়া একটি স্থিতিশীল আদর্শগত ব্যবস্থা তৈরির পরিবর্তে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করার উপরেই মনোযোগ দিয়েছে।

ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা দ্বারা চালিত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিক্রিয়া একটি স্থিতিশীল আদর্শগত ব্যবস্থা তৈরির পরিবর্তে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করার উপরেই মনোযোগ দিয়েছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাসবাদ দমন ব্যবস্থার উন্নয়ন

সন্ত্রাসবাদ একটি প্রতিষ্ঠিত হুমকি হলেও বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি আদর্শগত সন্ত্রাসবাদ দমন কাঠামো প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এই সময়ে প্রধান উদ্যোগগুলির মধ্যে ছিল সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের ব্যবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য ১৯৯৬ সালে ভারত কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাপক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কনভেনশন-এর (সিসিআইটি) মতো প্রস্তাব।

তবে ১৯৯৯ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদই প্রাথমিক ভাবে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ নীতিমালাকে সুসংহত করে, সপ্তম অধ্যায়ের অধীনে ১২৬৭ নম্বর রেজোলিউশন গ্রহণ করে, যা তালিবানদের উপর লক্ষ্যনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০০১ সালে ১৩৭৩ নম্বর রেজোলিউশন গ্রহণের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলা শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে। এই রেজোলিউশন সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি (সিটিসি) প্রতিষ্ঠা করে সন্ত্রাসবাদী হামলায় অর্থায়ন, সমর্থন বা সংঘটিতকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল অস্বীকার করার জন্য রাষ্ট্রগুলিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশিই সাধারণ পরিষদ রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী কৌশল গ্রহণ, সন্ত্রাসবিরোধী বাস্তবায়ন টাস্ক ফোর্স (সিটিআইটিএফ) প্রণয়ন এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যালয় (ইউএনওসিটি) প্রতিষ্ঠার মতো পদক্ষেপও করে। এই কাঠামোগুলি ছাড়াও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদই কৌশলগত সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থার উপর ‘কার্যত’ আইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেছিল।

১৯৯০ সাল থেকে সন্ত্রাস দমনে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ৭৩১ (১৯৯২)

প্যান অ্যাম ফ্লাইট ১০৩-এ বোমা হামলার আন্তর্জাতিক নিন্দা; আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের উপর আলোকপাত করা এবং তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য লিবিয়াকে আহ্বান জানানো।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন  ১২৬৭ (১৯৯৯)

তালিবানদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পত্তি আটক করা। বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য ১২৬৭টি তালিবান কমিটিপ্রতিষ্ঠা।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ১৩৭৩ (২০০১)

৯/১১ হামলার পর সপ্তম অধ্যায়ের অধীনে গৃহীত। সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নকে অপরাধ ঘোষণা, সন্ত্রাসবাদী সম্পদ আটক এবং সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল অস্বীকার করার রাষ্ট্রগুলির জন্য  বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি (সিটিসি) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ১৫৩৫ (২০০৪)

সিটিসি-র কাজকে সমর্থন করার জন্য কাউন্টার-টেররিজম কমিটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরেট (সিটিইডি) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ১৫৪০ (২০০৪)

সন্ত্রাসবাদের জন্য পারমাণবিক, রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র তৈরি, অর্জন, উৎপাদন, পরিবহণ বা ব্যবহার করতে পারে এমন অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলিকে সহায়তা প্রদান থেকে রাষ্ট্রগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৫৪০ কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ১৬২৪ (২০০৫)

সন্ত্রাসবাদের প্ররোচনা নিষিদ্ধ, প্রতিরোধ এবং উগ্রবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত প্ররোচনা মোকাবিলা করে সন্ত্রাসবাদের প্ররোচনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রগুলিকে  আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ২১৭৮ (২০১৪)

আইএসআইএল, এএনএফ এবং আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত সকল গোষ্ঠী কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বা যোগদানকারী বিদেশি সন্ত্রাসবাদী যোদ্ধাদের (এফটিএফ) নিয়োগ, সংগঠিত, পরিবহণ বা সরঞ্জাম সরবরাহ প্রতিরোধ এবং দমন করার জন্য রাষ্ট্রগুলির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ২৩৪১ (২০১৭)

সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ঝুঁকি মোকাবিলা এবং সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রগুলির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইউএনএসসি রেজোলিউশন ২৪৬২ (২০১৯)

সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নের উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কেন্দ্রীয় ভূমিকার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রগুলিকে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতা

গত দুদশক ধরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী কাঠামোর মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। লক্ষ্যনির্দিষ্ট আর্থিক নিষেধাজ্ঞা (টিএফএস) এবং নিষেধাজ্ঞা তালিকা সম্প্রসারণের মতো কিছু পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তবুও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের মতো উদীয়মান শক্তিগুলির সামনে। অনেক কাঠামোগত বাস্তববাদীর মতে, বর্তমান সময়ের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নীতিগুলি শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির হুমকির ধারণা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রগুলি সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নীতিগুলির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সহমত পোষণ করলেও সমস্ত সদস্য তাদের নীতিগুলি গঠনে একই প্রভাব ফেলেনি। সর্বসম্মত ভাবেযে নীতিগুলি উদ্ভূত হয়েছিল তা প্রায়শই প্রধান শক্তিগুলির মধ্যে আদর্শগত ঐকমত্যের ফলাফল ছিল। চিমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের প্রতি একটি বিভাগীয় পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মোকাবিলার উপর কেন্দ্রীভূতএমনকি যখন অন্যান্য দেশ একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছিল, তখনও চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনটা করেছিল ভারত-সহ বেশিরভাগ অস্থায়ী সদস্য প্রায়শই এমন প্রস্তাব থেকে বিরত থেকেছে, যা কোনও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার নীতির সঙ্গে সংঘর্ষপূর্ণ হলে সন্ত্রাসবাদ দমন ব্যবস্থা হিসেবে শক্তি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়।

চিমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের প্রতি একটি বিভাগীয় পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মোকাবিলার উপর কেন্দ্রীভূতএমনকি যখন অন্যান্য দেশ একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছিল, তখনও চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনটা করেছিল

সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতার রাজনীতি প্রভাবের অসামঞ্জস্যতার প্রভাব স্পষ্ট। ২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের সমর্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির বেশ কয়েকটি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে কারণ খসড়ায় হামাসকে স্পষ্ট ভাবে সন্ত্রাসবাদেরঅপরাধী হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। অতি সম্প্রতি যখন ভারত পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট-কে (টিআরএফ) যুক্ত করে একটি নথি জমা দেয়, তখন চিপাকিস্তান রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে টিআরএফ-এর কোনও প্রকার উল্লেখকে আটকাতে সক্ষম হয়। শ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে প্রায় এক দশক ধরে লড়াই করতে হয়েছিল। আজহারকে তালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টা বেজিং দ্বারা ধারাবাহিক ভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিলকেউ কেউ যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ২০১৯ সালে চিনে‘টেকনিক্যাল ব্লক অপসারণও ভারতের সঙ্গে ব্যাকচ্যানেল আলোচনার ফলাফল ছিল।

বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমন ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ

আজকের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা, একটি সর্বাত্মক আইনি কনভেনশন বা প্রশাসনিক সংস্থা না থাকার প্রেক্ষাপটে, ক্রাসনার (১৯৮৩)-এর বর্ণিত ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা’র উদাহরণ প্রদর্শন করে — যেখানে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক নীতিমালা রাষ্ট্রের আচরণকে পরিচালিত করে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের ‘সংস্কারবিহীন’ কাঠামো ও রাজনৈতিক প্রভাবাধীন কার্যপদ্ধতির কারণে সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থার জন্য দুটি প্রধান প্রভাব উদ্ভূত হয়।

প্রথমত, সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর পি৫ রাজনীতির প্রভাব, যা মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলার সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, রাষ্ট্রগুলিকে তাদের নিজ নিজ জাতীয় সন্ত্রাসবাদ দমন তত্ত্বের উপর নির্ভর করতে এবং অগ্রাধিকার দিতে প্ররোচিত করবে। ভারতের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দেখা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক নিয়মের বিস্তৃত সীমানার মধ্যে কাজ করে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামোতে আঘাত করে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইঙ্গিত দিয়েছে যে, হামলাগুলি তীব্রতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছিল না।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর পি৫ রাজনীতির প্রভাব, যা মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলার সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, রাষ্ট্রগুলিকে তাদের নিজ নিজ জাতীয় সন্ত্রাসবাদ দমন তত্ত্বের উপর নির্ভর করতে এবং অগ্রাধিকার দিতে প্ররোচিত করবে।

দ্বিতীয়ত, আলোচনা ও অভিন্ন সাধারণ প্রক্রিয়া সত্ত্বেও সন্ত্রাসবাদকী তা নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত কোনও আইনি সংজ্ঞা নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিদ্যমান কমিটিগুলি দক্ষ অভিযানমূলক ভূমিকা পালন করার পরিবর্তে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি অবকাঠামোগত উন্নয়নের মূলে প্রবেশ করে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মতো সাধনীগুলির সঙ্গে জড়িত থাকে। তাই কেবল ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করা বা নিষেধাজ্ঞাগুলি একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসাবে প্রমাণিত হবে না। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে এবং ঐকমত্য তৈরি করতে, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে উপযুক্ত একটি কাঠামো তৈরি করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কার্যকারিতাকে অবশ্যই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।

 


হিনা মাখিজা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Heena Makhija

Heena Makhija

Dr. Makhija is an Associate Fellow at ORF and specializes in the study of Multilateralism, International Organizations, Global Norms, India at UN, Multilateral Negotiations, and ...

Read More +