দিল্লির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আম আদমি পার্টি (আপ) সরকার ২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনী সাফল্যের পর তৃতীয় মেয়াদেও ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। এক দশক ক্ষমতায় কাটানোর পর আপ পার্টি সেই ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছ থেকে সবচেয়ে বড় লড়াইয়ের সম্মুখীন হয়েছে, যারা কেন্দ্রে ও অনেক রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে। মূল দলগুলি ভোটারদের কাছে সমস্ত ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দিল্লিকে একটি বৈশ্বিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা থেকে শুরু করে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, যমুনা নদী পরিষ্কার করা, বিনামূল্যে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথাই প্রচারের আখ্যানে উঠে এসেছে। প্রধান দলগুলির দ্বারা প্রতিশ্রুত বেশ কয়েকটি প্রকল্প/ফ্রিবি-র (দ্রষ্টব্য সারণি ১) উপর নজর রাখলে বোঝা যাবে যে, এই নির্বাচনের লড়াই ছিল ‘আমাদের ফ্রিবিজ (বিনামূল্যে প্রদেয়) বনাম আপনার ফ্রিবিজ’ সংক্রান্তই। সে ভাবে দেখতে গেলে এই নির্বাচনটি কিন্তু আপ-এর বিখ্যাত ওয়েলফেয়ার মডেলকেই পরীক্ষার মুখে ফেলেছে।
এক দশক ক্ষমতায় কাটানোর পর আপ পার্টি সেই ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছ থেকে সবচেয়ে বড় লড়াইয়ের সম্মুখীন হয়েছে, যারা কেন্দ্রে ও অনেক রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে।
আপ-এর ওয়েলফেয়ার মডেলের এক ঝলক
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অদম্য নেতৃত্বে ২০১১ সালে আপ তার সফল দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের হাত ধরে দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের ১৫ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল এবং ২০১৫ সালে আপ-এর দুর্দান্ত নির্বাচনী ফলাফলের নেপথ্যে ছিল মূলত বেশ কয়েকটি স্বাধীন বা মুক্ত প্রতিশ্রুতি। বহুল আলোচিত জন লোকপাল বিল কার্যকর করার প্রতিশ্রুতিটি আপ-এর নির্বাচনী ইশতেহারের শীর্ষে ছিল। এর পাশাপাশিই ছিল বিদ্যুৎ বিল অর্ধেক কমানোর প্রতিশ্রুতি, বিনামূল্যে জল ও ওয়াইফাই প্রদানের প্রতিশ্রুতি, যা নবাগত দলটিকে নির্বাচনী জয়লাভে সাহায্য করেছিল। দলটি এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করেছিল। কারণ বাজেটে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ (২০০ ইউনিট পর্যন্ত) ও জল-সহ আরও বেশ কিছু জিনিস বিনামূল্যে প্রদান করার ঘোষণা করেছিল।
২০২০ সালের নির্বাচনে কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতির সাফল্যের উপর ভর করে আপ সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প যুক্ত করেছিল। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও জল প্রদানের বিষয়টি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দলটি দিল্লি পরিবহণ কর্পোরেশনের বাসগুলিতে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে গণপরিবহণ সরবরাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। এমনকি এই প্রতিশ্রুতির বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আপ সরকার নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আরও কিছু বিনামূল্যের সুবিধা পরিষেবা চালু করেছিল, যার মধ্যে ছিল মেট্রোয় মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে যাত্রা, জলের বিলের বকেয়া মকুব এবং সেই সব ছাত্রের জন্য বিনামূল্যে কোচিং পরিষেবা প্রদান, যাদের বার্ষিক পারিবারিক আয় আট লক্ষ টাকার কম। দলটি দোরগোড়ায় রেশন বিতরণের কথা ঘোষণা করেছিল এবং প্রায় ১ মিলিয়ন প্রবীণ নাগরিককে বিনামূল্যে তীর্থযাত্রা করানোর কথাও বলেছিল। প্রথম মেয়াদে প্রতিশ্রুতি পূরণের বিশ্বাসযোগ্য রেকর্ডের পরিপ্রেক্ষিতে, বিনামূল্যের এই নতুন প্রতিশ্রুতিগুলির পাশাপাশিই শিক্ষা (সরকারি বিদ্যালয়ের পুনর্গঠন) এবং স্বাস্থ্যসেবা (বিখ্যাত আঞ্চলিক চিকিৎসাকেন্দ্র বা মহল্লা ক্লিনিক হিসাবে পরিচিত) খাতে চিত্তাকর্ষক কাজ করার দরুন ২০২০ সালে আর একটি নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছিল আপ। বিজেপির ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আপ-এরই জয় হয়েছিল। আপ-এর বিনামূল্যের মডেল এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্যের আখ্যান দলটিকে ২০২২ সালে পঞ্জাব নির্বাচনেও জয়ী হতে সাহায্য করেছে। এর পাশাপাশি, মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাসে চড়ার মতো দলটির বিনামূল্যের মডেলের অনুপ্রেরণা নিয়ে অন্যান্য দলও এ হেন প্রকল্প ঘোষণা করতে শুরু করে। কর্নাটকের কংগ্রেস পার্টি এহেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে (পাঁচটি গ্যারান্টির অংশ) এবং এই ভাবে ২০২৩ সালে রাজ্য নির্বাচনে জয়লাভ করে।
আপ-এর বিনামূল্যের মডেল এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্যের আখ্যান দলটিকে ২০২২ সালে পঞ্জাব নির্বাচনেও জয়ী হতে সাহায্য করেছে।
তবে ২০২৫ সালের নির্বাচনে আপ-এর বিখ্যাত ফ্রিবিজ মডেল আরও কৌতূহলী মোড় নিয়েছিল। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর দৃশ্যমান ক্ষমতা-বিরোধীদের চাপের সম্মুখীন হয়ে (দল ২৭ জন বিধায়ককে টিকিট প্রদান করতে প্রত্যাখ্যান করেছিল) এবং কিছু প্রকল্প তাদের ভোটব্যাঙ্কের আবেদন হারানোর পরে শাসক দলটি তৃতীয় মেয়াদের জন্য শুধুমাত্র নিজেদের ফ্রিবিজ সমীকরণকেই প্রসারিত করেছিল। বিদ্যমান বিনামূল্যের পরিষেবার একটি বড় সংযোজন হল দিল্লিতে মহিলাদের জন্য মাসিক ২১০০ টাকা ভাতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি। ২০২৪-২৫ সালের রাজ্য বাজেটের সময় আপ সরকার কর্মহীন মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপ মহিলা সম্মান যোজনার অধীনে অর্থের অঙ্ক বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করে। এটি ছাড়াও, দলটি পূজারী গ্রন্থি সম্মান যোজনার মতো অন্যান্য বিনামূল্যের পরিষেবার কথা বলেছিল, যার অধীনে সরকার হিন্দু ও শিখ পুরোহিতদের প্রতি মাসে ১৮০০০ টাকা প্রদান করবে। উল্লেখযোগ্য ভাবেই মধ্যবিত্তকে সন্তুষ্ট করার জন্য দলটি আরডব্লিউএ-কে (রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন) তাদের অঞ্চলগুলিতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সঞ্জীবনী যোজনার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতাসীন দল তাদের প্রকাশিত নির্বাচনী ইশতেহারে বহু নতুন প্রকল্পের (১৫ রকমের গ্যারান্টি) কথা তুলে ধরেছিল। সংক্ষেপে বললে, এএপি দিল্লিতে তার ক্ষমতা ধরে রাখতে ফ্রিবিজ-এর বা বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার লোভ যথেষ্ট পরিমাণে প্রসারিত করেছে এবং বিরোধী দলগুলি পাল্টা কিছু এ হেন বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছিল।
আপ-এর ফ্রিবিজ মডেল ২.০-এর প্রভাব
দিল্লি সরকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভর্তুকি হল মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল ও পরিবহণ এবং সেগুলির জন্য বাজেটে বড় বরাদ্দও রয়েছে। নিচের সারণিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দিল্লি বাজেটের শতাংশ হিসাবে ভর্তুকি ব্যয়ে ক্রমাগত বৃদ্ধিই হয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে মোট ভর্তুকির পরিমাণ ১৫৫০ কোটি টাকা থাকলেও এই অঙ্ক ২০২৪-২৫ সালে ১১০০০ কোটি টাকা হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। ভর্তুকি মূলধন ব্যয়ের উপর প্রভাব ফেলেছে, যা সঙ্কুচিত হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে ১৬৪০৪ কোটি টাকায় (মোট বাজেটের পরিমাণ ৮৮২০০ কোটি টাকা)। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের মধ্যে গড়ে দিল্লি সরকার মূল বাজেটের তুলনায় মূলধন ক্ষেত্রে ৩৯ শতাংশ কম ব্যয় করা হয়েছে, যা অন্যান্য রাজ্যের ১৯ শতাংশ মূলধন ব্যয়ের গড় কম খরচের তুলনায় উল্লেখযোগ্য রকমের বেশি। কম মূলধন ব্যয়ের ফল হল এই যে দিল্লির সড়ক, ব্রিজ এবং ফ্লাইওভারগুলির জরুরি মেরামতের প্রয়োজন হলেও তা করা সম্ভব হবে না। মহিলা সম্মান যোজনার অধীনে ২১০০ টাকার মতো সরকারের নতুন প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবায়িত হলে তা গুরুত্বপূর্ণ মূলধন ব্যয় খাতের জন্য বরাদ্দ আরও কমিয়ে দিত।
সারণি ১: দিল্লি বাজেটের শতাংশ হিসাবে ভর্তুকি

সূত্র: দিল্লি রাজ্যের বাজেট থেকে নেওয়া
প্রতিযোগিতামূলক জনপ্রিয়বাদের পরিসর
ভর্তুকি আসলে এক রকমের বোঝা ও রাষ্ট্রের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা সত্ত্বেও ফ্রিবিজ বা বিনামূল্যের পরিষেবা একাধিক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে নিম্ন-আয়ের অংশগুলির জন্য। এমনকি মধ্যবিত্তরাও বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও জল প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে। যাই হোক, ফ্রিবিজ মডেলের নির্বাচনী আবেদন (এবং আপ-এর অতীত সাফল্য) অনিবার্য ভাবে প্রতিযোগিতামূলক পপুলিজম বা জনপ্রিয়তাবাদের জন্য জায়গা তৈরি করে নিয়েছিল। আপ-এর বিনামূল্যের পরিষেবার মোকাবিলা করতে বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দলই সমস্ত ধরনের কল্যাণমূলক পরিকল্পনা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিল, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। উদাহরণস্বরূপ, বিজেপি আপ-কে প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। দলটি মহিলা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে মহিলাদের ২৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী মাতৃত্ব সুরক্ষা যোজনা’র অধীনে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আরও ২১০০০ টাকা ও সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের ৫০০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য পরিষেবা হল অটল ক্যান্টিন (জয়ললিতার বিখ্যাত আম্মা ক্যান্টিনের অনুসরণে) চালু করার প্রস্তুতি, যা আসলে শহুরে দরিদ্রদের ভর্তুকিযুক্ত খাবার সরবরাহ করবে। কংগ্রেসও আবার কর্নাটক ও তেলেঙ্গানায় গ্যারান্টি স্কিমের মাধ্যমে জয়লাভ করার দরুন দিল্লির ভোটারদের গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সংক্ষেপে বললে, ২০২৫ সালের দিল্লি নির্বাচন আসলে ছিল ‘আমাদের দেওয়ার বিনামূল্যের পরিষেবা বনাম আপনাদের দেওয়া পরিষেবা’ সম্পর্কিত এবং এ সবের দরুন আসল সমস্যাগুলি অর্থাৎ বায়ু দূষণ, যমুনা সংস্কার বা পরিকাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলি পিছিয়ে পড়েছে।
সারণি ১: দিল্লিতে প্রধান দলগুলির তরফে দেওয়া কল্যাণমূলক প্রতিশ্রুতি
ক্ষেত্র
|
বিজেপি
|
আইএনসি
|
আপ
|
নারী
|
মহিলা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে মহিলাদের মাসে মাসে ২৫০০ টাকা এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ২১০০০ টাকা প্রদান (মুখ্যমন্ত্রী মাতৃত্ব সুরক্ষা যোজনা)
|
‘পেয়ারি দিদি’ প্রকল্পের অধীনে মহিলাদের ২৫০০ টাকা করে প্রদান
|
মহিলা সম্মান যোজনার অধীনে মাসে মাসে মহিলাদের ২১০০ টাকা করে প্রদান
|
এলপিজি
|
সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের ৫০০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার প্রদান
|
৫০০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডারের পাশাপাশি বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
|
|
বয়স্ক মানুষজন
|
৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সি মানুষদের ২৫০০ টাকা করে পেনশন এবং সত্তরোর্ধ বৃদ্ধদের ৩০০০ টাকা করে পেনশন
|
|
ওল্ড এজ পেনশন স্কিমের আওতায় বর্ষীয়ান নাগরিকদের পেনশন দেওয়া হবে, যার ফলে ৮০,০০০ নাগরিক সুবিধা পাবেন
|
পুষ্টি
|
বস্তি অঞ্চল জুড়ে অটল ক্যান্টিন চালু করে পাঁচ টাকায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার প্রদান
|
|
|
স্বাস্থ্যসেবা
|
আয়ুষ্মান ভারত যোজনা বাস্তবায়িত হবে, যার আওতায় ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করা হবে
|
জীবনরক্ষা যোজনার অধীনে নাগরিকদের ২৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা প্রদান
|
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্ষীয়ান নাগরিকদের সঞ্জীবনী যোজনার অধীনে বিনামূল্যে চিকিৎসা
|
যুবপ্রজন্ম
|
যে সব দলিত যুব টেকনিক্যাল কোর্সের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদের মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে বৃত্তি প্রদান এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দু’বার বসতে পারার জন্য পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ১৫,০০০ টাকা প্রদান
|
যুবা উড়ান যোজনার অধীনে বেকার যুবকদের এক বছর ধরে মাসে মাসে ৮৫০০ টাকা করে বৃত্তি
|
দলিত যুবদের ডক্টর অম্বেডকর সম্মান স্কলারশিপ প্রদান, যার মধ্যে পড়াশোনা, যাতায়াতের খরচ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে
|
বিদ্যুৎ
|
২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে প্রদান এবং তার বেশি বিদ্যুৎ খরচ হলে ৫০% ভর্তুকি প্রদান
|
প্রত্যেক পরিবারে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে প্রদান
|
২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে প্রদান এবং তার বেশি বিদ্যুৎ খরচ হলে ৫০% ভর্তুকি প্রদান
|
আরডব্লিউএ
|
|
|
আরডব্লিউএ-কে (রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন) আর্থিক সাহায্য প্রদান, যাতে অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের কলোনিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে
|
অটোচালক
|
১০ লাখ টাকার জীবনবিমা এবং কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে পাঁচ লাখ টাকার বিমা ও তার পাশাপাশি অটোচালকদের সন্তানদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা
|
|
১০ লাখ টাকার জীবনবিমা, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে এক লাখ টাকার বিমা, অটোচালকদের কন্যাসন্তানের বিয়ের জন্য এক লাখ টাকা প্রদান
|
পূজারী
|
|
|
পূজারী গ্রন্থি সম্মান যোজনার অধীনে সমস্ত মন্দির পূজারী ও শিখ পুরোহিতকে মাসে ১৮,০০০ টাকা প্রদান
|
সরকারি পরিবহণ
|
মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে সরকারি পরিবহণের পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি
|
|
পড়ুয়াদের বিনামূল্যে বাস পরিষেবা ও মেট্রোয় ৫০% ছাড়
|
শিক্ষা
|
কেজি থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত দুঃস্থ পড়ুয়াদের সরকারি সংস্থায় বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান
|
|
|
গার্হস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী
|
ওয়েলফেয়ার বোর্ড গার্হস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীদের ১০ লাখ টাকার জীবনবিমা ও দুর্ঘটনা হলে পাঁচ লাখ টাকার বিমা প্রদান করবে
|
|
|
পথবিক্রেতা
|
পিএম স্বনিধি প্রকল্পের আওতায় এখন যতজন সুবিধা পান, সেই সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় পথবিক্রেতারা ঋণ পাবেন
|
|
|
উপসংহার
২০২৫ সালের দিল্লির নির্বাচনে বিনামূল্যের পরিষেবা দেওয়ার বদলে বায়ু দূষণ, যমুনা নদীর সংস্কার, ভেঙে পড়া অবকাঠামো, কর্মসংস্থান ও মহিলাদের সুরক্ষার মতো জ্বলন্ত প্রসঙ্গে লড়াই করা উচিত ছিল। যাই হোক, মূলত আপ-এর নির্বাচনী পুরস্কৃত ফ্রিবিজ মডেলের প্রেক্ষিতে, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলি ভোটারদের কাছে আবেদন করার জন্য তাদের কল্যাণমূলক প্রকল্প ও বিনামূল্যের পরিষেবার তালিকা দ্বিগুণ করেছিল। তাই নির্বাচনে পালা বদল ঘটিয়ে বিজেপি জিতলেও এ হেন বিনামূল্যের পরিষেবা শহরের আর্থিক পরিস্থিতি ও একটি বাসযোগ্য বৈশ্বিক শহর হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য গুরুতর পরিণতিই বয়ে আনবে।
নিরঞ্জন সাহু অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো।
প্রার্থনা ভট্টাচার্য অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.