-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
কাশ্মীর যখন শান্তিকে বেছে নিয়েছে, তখন পহেলগাঁও হামলা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হতাশা প্রকাশ্যে এনেছে এবং তারা অঞ্চলের অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য প্রক্সির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে মর্মান্তিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হন। লস্কর-ই-তৈয়বা-র (এলইটি) সঙ্গে যুক্ত একটি প্রক্সি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই সন্ত্রাসবাদী হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় ৪০ জন নিরাপত্তা কর্মীর প্রাণহানির পর এই ঘটনাটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি দেশ জুড়ে অনুরণিত হয়েছে, এই বর্বর ঘটনার বিরুদ্ধে সকল ধর্ম ও পরিচয় ভেদে কাশ্মীরিদের ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং এই অঞ্চলে তাঁরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। উপত্যকায় ৩৫ বছরের সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসের মাঝেই প্রথম বারের মতো সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানিয়ে পুরো অঞ্চল জুড়ে বিক্ষোভ ফেটে পড়ছে। ন্যায়বিচারের দাবি বৃদ্ধি পাচ্ছে, উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে মোমবাতি প্রজ্বলন-সহ এই ভয়াবহ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামের তরফেও নিন্দা জানানো হয়েছে।
কাশ্মীরের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে প্রক্সি যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে এবং সরাসরি পহেলগাঁও হামলায় সম্পৃক্ত হতে বাধ্য করেছে।
পহেলগাঁও হামলা পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান হতাশারই প্রতিফলন, যা উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থনের অভাব, কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা, অভ্যন্তরীণ চাপ ও পাকিস্তান-শাসিত অঞ্চলে অস্থিরতার কারণে উদ্ভূত হয়েছে। গত পাঁচ বছরে কাশ্মীরের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে প্রক্সি যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে এবং সরাসরি পহেলগাঁও হামলায় সম্পৃক্ত হতে বাধ্য করেছে। ১৫ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাত্র আসিম মুনির পাকিস্তানিদের দ্বি-জাতি তত্ত্বকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে একটি বক্তৃতা দেন এবং দাবি করেন যে, কাশ্মীর ‘আমাদের জুগুলার ভেন (বা ঘাড়ের শিরা)। এটি তাই-ই শিরা থাকবে। আমরা কাশ্মীরকে ভুলব না’, এবং তাঁরা কাশ্মীরিদের সমর্থন করবেন। ১৮ এপ্রিল লস্কর-ই-তৈয়বা কম্যান্ডার সাইফুল্লাহ মুসা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) শহর রাওয়ালকোটে একটি সমাবেশের আয়োজন করেন এবং ঘোষণা করেন যে, নয়াদিল্লি কাশ্মীরে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন করতে চায়: ‘জিহাদ চলতে থাকবে, বন্দুকের নল উদ্যতই থাকবে এবং কাশ্মীরে শিরশ্ছেদও অব্যাহত থাকবে।’
কাশ্মীরের বর্তমান বাস্তবতা
২০১৯ সালে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীর উপত্যকার বাসিন্দারা সন্ত্রাসবাদের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বৃহত্তর ভারতীয় জাতি ও ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে তাঁদের সমন্বিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পেয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ও স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী নিয়োগের হ্রাস – যা ২০২১ সালে ১২০ থেকে কমে ২০২৪ সালে মাত্র সাতে নেমে এসেছে - কাশ্মীরে পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য বৈপরীত্যকেই তুলে ধরে। স্থানীয় নিয়োগের হ্রাসের প্রবণতা, কঠোর নিরাপত্তা বলয় এবং ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (ওজিডব্লিউ) সহায়তার অনুপস্থিতির দরুন পাকিস্তান আরও বেশি সংখ্যক বিদেশি সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। ২০২৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে নিশ্চিহ্ন করা ৬৮ সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে ৪২জন বিদেশি ছিলেন এবং তাদের কাছে সাধারণত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত এম৪ কার্বাইন অ্যাসল্ট রাইফেল, নাইট ভিশন গগলস এবং ব্যাপক রকমের গোপন টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ছিল। উপত্যকায় স্থল সহায়তার অভাব ও শহরাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মুখীন হতে না পারার কারণে সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য ঘন জঙ্গল বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল। ২০২০ সালের পর সন্ত্রাসবাদীরা উপত্যকা থেকে সরে এসে পীর পাঞ্জাল পর্বতমালা এবং জম্মুর দক্ষিণে লড়াই করতে বাধ্য হয়েছিল। গেরিলা কৌশল অবলম্বন করে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করে এবং পরবর্তী সময়ে পাহাড়ি এলাকার ঘন জঙ্গলে ফিরে গিয়ে আর একটি আক্রমণের জন্য সন্ত্রাসবাদীরা পুনরায় সংগঠিত হয়।
স্থানীয় নিয়োগের হ্রাসের প্রবণতা, কঠোর নিরাপত্তা বলয় এবং ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (ওজিডব্লিউ) সহায়তার অনুপস্থিতির দরুন পাকিস্তান আরও বেশি সংখ্যক বিদেশি সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে।
গত তিন বছরে পর্যটনের উত্থানের পাশাপাশি ২০১৯ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনৈতিক রূপান্তর অব্যাহত থেকেছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জাতীয় গড় ৭.৭৭ শতাংশকে সামান্য ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন খাতের অবদানও বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য হোমস্টে প্রজেক্টের মতো সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে হাজার হাজার স্থানীয় যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে এই প্রকল্পের প্রতিটি ইউনিটই বিশেষ সহায়তা পায়।
পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান হতাশা
কাশ্মীর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তার সরকারের জন্য ধারাবাহিক ভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ আখ্যান থেকেছে এবং রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে কাজ করেছে, যা কার্যকরভাবে দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। গত চার বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে এবং দেশটির উপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি), বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে টিটিপি তাদের আক্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। তালিবানি শাসনের প্রথম ২১ মাসে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলা ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় উদ্বেগজনক ভাবে এই হামলা ২৭৯.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে ৫৭২টি ঘটনা থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ২,১৭৩টি ঘটনা থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট। একই ভাবে, বিএলএ এবং বিএলএফ-ও বিভিন্ন ফ্রন্ট পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে তার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের আক্রমণ তীব্রতর করেছে।
গত চার বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে এবং দেশটির উপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি), বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকার পরিবর্তিত পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক রূপান্তর, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, পর্যটনের ক্রমবর্ধমান বিকাশ ও স্থানীয় ধারণার পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান মূলত ভার্চুয়াল সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার এবং মৌলবাদ বৃদ্ধির চেষ্টা করেছিল। তারা সামাজিক মাধ্যমের মঞ্চগুলিতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ তীব্রতর করেছে এবং ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ২০০০টিরও বেশি সম্পর্কিত পোস্ট রিপোর্ট করেছিল। ২০২৩ সালের এ হেন রিপোর্ট করা পোস্টের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৯। তবে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত এই প্রচেষ্টায় সফল হয়নি। কারণ ২০১৯ সালের পর কাশ্মীর ও তার জনগণ সুখে জীবন উপভোগ করছিল এবং এই অঞ্চলটি দ্রুত সেরা পর্যটন গন্তব্যগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে তার খ্যাতি ফিরে পাচ্ছিল। তাই দেশি ও বিদেশি উভয় পর্যটকদের জন্য কাশ্মীর একটি অবশ্য ভ্রমণ গন্তব্য হয়ে উঠছিল। এমনকি পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এবং তাদের প্রতিনিধিরাও বিদেশি কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা প্রশংসিত কাশ্মীরের ইতিবাচক উন্নয়নগুলিকে ব্যাহত করতে পারেনি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান দেশের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং নিজের ব্যর্থতা ঢেকে রেখে দ্বি-জাতি তত্ত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভাজনমূলক বক্তব্য পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পদক্ষেপ করেছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির মনোবল বাড়ানোর জন্য কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জুগুলার ভেন বা ঘাড়ের শিরা’ হিসাবেও চিহ্নিত করেছিলেন, যার কেন্দ্রীয় ভাবনা ছিল কথিত জনসংখ্যাগত পরিবর্তন। কয়েক দিনের মধ্যেই রাওয়ালকোটে আয়োজিত একটি সমাবেশে লস্কর-ই-তৈয়বা কম্যান্ডার সাইফুল্লাহ মুসা এটি সমর্থন করেছিলেন। এই সঙ্কেত টিআরএফ ও তার সন্ত্রাসবাদীদের তরফে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করে তোলার জন্য, অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ধ্বংস করার জন্য এবং আতঙ্কের মনোভাব তৈরি করার জন্য যথেষ্ট ছিল। এর পাশাপাশি বিষয়টি উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের কৌশল বজায় রাখার জন্য সন্ত্রাসবাদী নিয়োগকে অনুপ্রাণিত করে। এই কার্যকলাপটি একটি প্রক্সি যুদ্ধ বজায় রাখার জন্য, স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টাকে বাধা দেওয়ার জন্য এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সমন্বিতকরণকে বাধা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলাতেও আসিম মুনিরকে জড়িত বলে মনে করা হয়েছিল। কারণ তিনি পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স-এর (আইএসআই) নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত আইএসআই প্রধান থাকাকালীন কাশ্মীরে কাশ্মীরি যুবকদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও মৌলবাদ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলাতেও আসিম মুনির জড়িত বলে মনে করা হয়েছিল। কারণ তিনি পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স-এর (আইএসআই) নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
উপসংহার
মৃত পর্যটকদের নাম ও পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলা চালানোর কৌশলটি পাকিস্তানি সামরিক প্রতিষ্ঠানের একটি বৃহত্তর উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল ভারতের প্রধানত সমজাতীয় সমাজের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা, যার ফলে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরও তীব্রতর করে তোলা যায়। এ কথা উল্লেখযোগ্য যে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় মাত্র এক জন কাশ্মীরি প্রাণ হারিয়েছেন; বিশেষ করে সেই টাট্টু ঘোড়াচালক, যিনি অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এক সন্ত্রাসবাদীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।
গত পাঁচ বছরে নয়াদিল্লি কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে, যার মধ্যে ৩৫ বছরের সংঘাতের মধ্যে প্রথম বারের মতো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কাশ্মীরি যুবকরা রাস্তায় নেমেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার জন্য নয়াদিল্লিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অসৎ উদ্দেশ্যের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে, বিশেষ করে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (এফএটিএফ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং-এর মধ্যে। উপরন্তু, নয়াদিল্লির উচিত পাকিস্তানি সামরিক প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে তার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে ব্যবহার করা। পাকিস্তান কী ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে তার প্রক্সি যুদ্ধকে স্থানীয় সমর্থনের সাহায্যে টিকিয়ে রাখতে পারে – যা বর্তমানে সর্বকালীন তলানিতে এসে ঠেকেছে - সে সম্পর্কে কৌশলগত স্পষ্টতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আয়জাজ ওয়ানি (পিএইচডি) অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Ayjaz Wani (Phd) is a Fellow in the Strategic Studies Programme at ORF. Based out of Mumbai, he tracks China’s relations with Central Asia, Pakistan and ...
Read More +