Image Source: Getty
ভূমিকা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২তম ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ২০২৪ সালের ৮-৯ জুলাইয়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়া যান। ২০১৯ সালের পর থেকে এটিই তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ন’টি সমঝোতাপত্রের (মউ) মধ্যে অন্যতম হল ‘২০২৪ থেকে ২০২৯ সময়কালের জন্য রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত-রাশিয়া সহযোগিতা’ এবং ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের আর্কটিক অঞ্চলে সহযোগিতার নীতি’। এই সমঝোতাপত্র নর্দার্ন সি রুট বা উত্তর সাগর রুট এবং সর্বাত্মক ভাবে রুশ আর্কটিক অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য অংশীদারদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পথনির্দেশিকার বিবরণ দেয়। নর্দার্ন সি রুট (এনএসআর) আসলে আর্কটিক মহাসাগরের এমন একটি সামুদ্রিক পথ, যা আর্কটিকের মধ্য দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরকে সংযুক্ত করে। আর তাই এটি বিশেষ করে ভারত, রাশিয়া এবং চিনের আগ্রহের কারণ হয়ে উঠেছে। এটি সুয়েজ খাল পথের তুলনায় এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে দূরত্ব ১০ থেকে ১৪ দিন কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। আর্কটিক বরফ গলানোর বিষয়টি পথটিকে ক্রমবর্ধমান ভাবে কার্যকর করে তোলে।
মানচিত্র ১: নর্দার্ন সি রুট
সূত্র: আর্কটিক ইনস্টিটিউট
এই কাজের জন্যই রাশিয়া অংশীদার খুঁজতে আগ্রহী। কারণ রাশিয়ার আর্কটিক উপকূলে অবকাঠামোর ঘাটতি, বন্দর এবং সংযোগ পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে যা এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে। সর্বোপরি, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বহরে বরফ ভাঙতে সক্ষম জাহাজের অভাব স্বল্পমেয়াদি ব্যবহারকে অকার্যকর করে তোলে। রাশিয়ার শক্তির শীর্ষ আমদানিকারক হিসাবে ভারত এবং চিন রাশিয়ার উপকূলে এনএসআর বিকাশ ও কার্যকর করার জন্য আদর্শ। এই নিবন্ধটিতে এনএসআর-এর জন্য চিনা এবং ভারতীয় স্বার্থকে বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি এই পথের কার্যকারিতার জন্য দুই দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
নর্দার্ন সি রুট (এনএসআর) আসলে আর্কটিক মহাসাগরের এমন একটি সামুদ্রিক পথ, যা আর্কটিকের মধ্য দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরকে সংযুক্ত করে। আর তাই এটি বিশেষ করে ভারত, রাশিয়া এবং চিনের আগ্রহের কারণ হয়ে উঠেছে।
পোলার সিল্ক রোড
চিনের আর্কটিক সম্পৃক্ততা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। যেমন সম্পদ শোষণ, জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্কটিক সার্কেলের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক শাসন, যা অন্যদের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক সাধারণ বিষয়। বেজিংয়ের আর্কটিক নীতি ২০১৪ সালে সঠিক দিকনির্দেশনা পেয়েছিল, যখন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চিনের সবুজ পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে একটি ‘জ্বালানি বিপ্লব’-এর সূচনা করেছিলেন এমন এক দেশের জন্য, যেটি তার মোট জ্বালানি চাহিদার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির উপর খুব বেশি নির্ভরশীল ছিল এবং দেশটির জীবাশ্ম জ্বালানির ৮০ শতাংশ আমদানি করা হয়। রাশিয়ান আর্কটিক অনাবিষ্কৃত জ্বালানি এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মজুদ, বেজিংয়ের জন্য কৌশলগত আমানত ও ভবিষ্যতে চিনের অর্থনীতিকে ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা ও জ্বালানি সরবরাহের বাধা থেকে রক্ষা করার জন্য সহায়ক।
মানচিত্র ২: চিনের পোলার সিল্ক রুট
সূত্র: জাপান ফরওয়ার্ড
সেই লক্ষ্যে চিন ২০১৭ সালে পোলার সিল্ক রোড (পিএসআর) শুরু করে এবং ২০১৮ সালে একটি আর্কটিক পলিসি পেপার প্রকাশ করে। পিএসআর-এর লক্ষ্য হল চিনের প্রধান আন্তর্দেশীয় সংযোগ উদ্যোগ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) উত্তর অংশ হিসাবে পথটি বিকাশের জন্য চিন, রাশিয়া এবং আর্কটিক দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করা। রাশিয়ান আর্কটিকে চিনা বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এতে ইয়ামাল এলএনজি পাইপলাইন ও আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চিনের রাষ্ট্রীয় সংস্থা চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিএনপিসি) এ সব প্রকল্পে ২০ শতাংশ অংশের মালিক। সিএনপিসি এবং চায়না ন্যাশনাল অয়েল ইতিমধ্যে এই প্রকল্পগুলির রুশ অংশীদার রোভাটেক-এর সঙ্গে আর্কটিক এলএনজি এবং এই প্রকল্পগুলি থেকে নির্গত তেল কেনার জন্য ২০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী এ সব প্রকল্পের উৎপাদনের ৫০ শতাংশ চিনে রফতানি করা হবে।
তবে আঞ্চলিক ভাবে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ইত্যাদি দেশের সঙ্গে চিনের বিআরআই অংশীদারিত্ব ব্যর্থ হয়েছে। কারণ পিএসআর-সংযুক্ত প্রকল্পগুলি আর্থিক, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে জর্জরিত।
তবুও সমস্যাগুলি পিএসআর বাস্তবায়নকে বিলম্বিত করেছে। রাশিয়াই একমাত্র আর্কটিক দেশ যারা এই পথ তৈরিতে চিনকে সহযোগিতা করেছে। চিনা এবং রুশ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির বরফ ভাঙতে সক্ষম জাহাজ সংক্রান্ত সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্প এবং এর সংশ্লিষ্ট অন্বেষণের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্ধিত সংযোগের জন্য চিন রাশিয়ার আর্কটিক সম্পদের উন্নয়নেও জড়িত। অতি সম্প্রতি সেন্ট পিটার্সবার্গ ইকোনমিক ফোরামে চিনা জাহাজ সংস্থা হাইনান ইয়াংপু নিউনিউ শিপিং এবং একটি রুশ পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম যৌথ ভাবে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য হল নিউনিউ আর্কটিক আইসব্রেকার ফ্লিট পরিচালনা করা এবং এনএসআর-এর জন্য একটি নতুন আইস ক্লাস কনটেনার জাহাজ তৈরি করা। তবে আঞ্চলিক ভাবে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ইত্যাদি দেশের সঙ্গে চিনের বিআরআই অংশীদারিত্ব ব্যর্থ হয়েছে। কারণ পিএসআর-সংযুক্ত প্রকল্পগুলি আর্থিক, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে জর্জরিত। উল্লেখযোগ্য উদাহরণগুলি হল উত্তর ফিনল্যান্ড ও নরওয়ের মধ্যে একটি রেল সংযোগ; গ্রিনল্যান্ডে ইউরেনিয়াম লৌহ-আকরিক এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ খনি; নুনাভুতে সোনার খনি ক্রয়। আর্কটিক অঞ্চলে চিনের ব্যর্থ অংশীদারিত্বের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই অঞ্চলের সমস্ত দেশ যারা চিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব প্রত্যাখ্যান করেছে তারা উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং পশ্চিমের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিনের দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ঝুঁকির ভয় ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে চিনা সাহায্য প্রত্যাখ্যান করার জন্য চাপ রয়েছে তাদের উপর।
ভারতের জন্য এনএসআর: প্রাসঙ্গিকতা এবং সুযোগ
চিনের সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা মস্কোতেও উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে বেজিংয়ের চিরাচরিত আগ্রহের কারণে এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। রাশিয়ার জন্য সুদূর প্রাচ্যে চিনের অর্থনৈতিক পদচিহ্নের ভারসাম্য বজায় রাখা কৌশলগত ভাবে বাধ্যতামূলক। সেই লক্ষ্যে, মস্কো দীর্ঘদিনের অংশীদার ভারতকেও এনএসআর-এ বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মস্কো সফরের সময় মোদী এনএসআর অবকাঠামো অপারেটর রোসাটমে যান ও দু’টি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যা বিশেষ ভাবে রাশিয়ার সুদূর পূর্ব ও আর্কটিক অঞ্চলে বাণিজ্য এবং সরবরাহ প্রকল্পগুলি সংক্রান্ত। এই চুক্তিগুলি সরাসরি ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উচ্চাভিলাষী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এনএসআর রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে পণ্য পরিবহণের জন্য একটি মূল ধমনী হয়ে উঠতে পারে এবং পরিবহণের সময় ও খরচ কমিয়ে এই লক্ষ্য অর্জনে এনএসআর কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে।
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে বেজিংয়ের চিরাচরিত আগ্রহের কারণে এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। রাশিয়ার জন্য সুদূর প্রাচ্যে চিনের অর্থনৈতিক পদচিহ্নের ভারসাম্য বজায় রাখা কৌশলগত ভাবে বাধ্যতামূলক।
এনএসআর-এ ভারতের আগ্রহ চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্টক ইস্টার্ন মেরিটাইম করিডোর তৈরির উপর নির্ভর করে, যা ভারত-ইউরোপ ভ্রমণের সময় দু’সপ্তাহ পর্যন্ত কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই লক্ষ্যে অংশীদাররা গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট ২০২৩ থেকে গতিশীলতার ভিত্তিতে করিডোর সহযোগিতা অগ্রসর করার জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং বডি প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছিল, যেখানে রুশ কর্মকর্তারা ভারতীয় সংস্থাগুলিকে চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্টক করিডোরের সম্ভাব্য সুবিধাগুলি অন্বেষণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং বৃহত্তর এসএসআর রুট, ভ্লাদিভোস্টকের রাশিয়ান মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পোলার এবং আর্কটিক জলে ভারতীয় নাবিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
এনএসআর বিকাশ করা যেমন একটি কৌশলগত অপরিহার্য, তেমনই এটির একটি অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত রয়েছে। ইন্দো-রাশিয়ান এনএসআর সহযোগিতা ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা সমীকরণে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর ভিত্তি করে তৈরি। কারণ আধুনিক যুগে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের পর জ্বালানি বাণিজ্য অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এনএসআর-এর মাধ্যমে ভারত রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চল ও রাশিয়ার সুদূর পূর্ব অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা অনাবিষ্কৃত গ্যাস, খনিজ এবং পেট্রোলিয়ামের ভাণ্ডার। একই অঞ্চলে আর্কটিক এলএনজি ২ পাইপলাইন এবং অনুসন্ধান সংক্রান্ত প্রকল্পও রয়েছে, যেখানে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থা ওএনজিসি-র বিদেশে তেলের ১০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে।
এই করিডোর তৈরির আর একটি ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য হল এমন একটি পথ যেখানে চিনা আধিপত্য রোধ করা যাবে, যা ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহের ধমনী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
উপসংহার
যাই হোক, প্রধান বাণিজ্য দেশগুলিতে বরফ ভাঙার নৌবহরের অভাব এবং রাশিয়ান আর্কটিকের বন্দর অবকাঠামোর অভাবের কারণে এই পথের স্বল্পমেয়াদে লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যা এনএসআর-এর প্রধান সমস্যা। এই বাস্তবতা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আইস-ব্রেকার ফ্লিটগুলির ক্রমাগত মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজন। সর্বোপরি, বন্দর এবং রেললাইনের মতো প্রয়োজনীয় সংযোগ পরিকাঠামো, যা এনএসআর-কে কার্যকর করবে, তা এখনও অনুন্নত এবং কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতও নয়। এই চ্যালেঞ্জগুলি অনেক দেশের জন্যই এনএসআর-এর তাৎক্ষণিক রূপান্তরকে বাধা দেয়।
ইন্দো-রাশিয়ান এনএসআর সহযোগিতা ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা সমীকরণে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর ভিত্তি করে তৈরি। কারণ আধুনিক যুগে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের পর জ্বালানি বাণিজ্য অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এনএসআর বর্তমানে একটি ক্রমবর্ধমান বাধ্যতামূলক দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। এটি তার অংশীদারদের প্রবেশাধিকার, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্ভাব্য ভাবে একটি সমুদ্রপথে একচেটিয়া অধিকারের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা চিরাচরিত পথের একটি দক্ষ ও নিরাপদ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এনএসআর-এর আবেদন শুধুমাত্র এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পরিবহণের দূরত্ব ৪০ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সাইবেরিয়া ও রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য অঞ্চলে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদের উন্নয়নের সুযোগও রয়েছে। চিন এবং ভারতের মতো দেশগুলির জন্য এই সম্পদগুলিকে পুঁজি করা এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক করিডোরে প্রভাব অর্জনের সম্ভাবনা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত মস্কোর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাকে চালিত করছে এবং রাশিয়াও নির্ভরযোগ্য মিত্র খুঁজতে আগ্রহী। এই কারণে এনএসআর-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুট হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি এই পথের সম্ভাবনাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে।
পৃথ্বী গুপ্ত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।
অনীশ পারনারকর অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.