ইউক্রেনের বিষয়ে মতবিরোধ অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন একটি সর্বসম্মত ‘দিল্লি ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছিল। ভারত যখন গ্লোবাল সাউথ থেকে যত বেশি সম্ভব কণ্ঠস্বর তুলে ধরার ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় পশ্চিম এশীয় (মধ্যপ্রাচ্য) প্রতিনিধিত্ব সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, মিশর, তুর্কিয়ে ও ওমানের নেতাদের নিয়ে পূর্ণ শক্তিতে উপস্থিত ছিল। জি২০ বাধ্যবাধকতার বাইরে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) সেই সময় রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন। এটি আবার ঘটেছিল ভারত–মধ্যপ্রাচ্য–ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর (আইএমইইসি) ঘোষণার সময়ে, যার একটি প্রধান অংশীদার হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস)।
উপসাগর হল সেই অঞ্চল যেখানে তর্কযোগ্যভাবে পশ্চিম বনাম চিন প্রতিযোগিতা আজ সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান।
বৈশ্বিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় জি২০–র নিজস্ব অবস্থান রক্ষা করার ক্ষমতা ভারতের আছে কি না, তা সেই সময় অনেকখানি মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। অনেকেই দারিদ্র্য ও জলবায়ু মোকাবিলায় সরবরাহযোগ্যতার অভাবের জন্য জি২০–র প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ঠিক সেই সময় পশ্চিম এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব ওই অঞ্চলের আরব রাষ্ট্রগুলির দ্রুত বেড়ে–চলা রাজনৈতিক ও আর্থিক গুরুত্ব তুলে ধরেছিল। নতুন অর্থনৈতিক করিডোর, যা স্বাভাবিকভাবেই চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)–এর পাল্টা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলির অভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য একটি ধারক পাত্রের মতো কাজ করেছে৷ যাই হোক, নয়াদিল্লিতে যা উপস্থাপন করা হয়েছিল, উপসাগরীয় দেশগুলির ভূ–রাজনীতি ও ভূ–অর্থনীতির মধ্যে তার থেকে অনেক বেশি কিছু ঘটছে।
উপসাগর হল সেই অঞ্চল যেখানে তর্কযোগ্যভাবে পশ্চিম বনাম চিন প্রতিযোগিতা আজ সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। গত এক দশকের বিভিন্ন ঘটনা — যেমন ইয়েমেনের সংঘাত, হুথি জঙ্গিদের দ্বারা সৌদি জ্বালানি স্থাপনায় হামলা যাতে তেহরানের সমর্থন ছিল বলে জানা গিয়েছিল, এবং পারমাণবিক ইরানের ধারণার পশ্চিমী গ্রহণযোগ্যতা — যা ইতিমধ্যেই গতি পেতে শুরু করেছিল সেই কৌশলগত চিন্তাভাবনার পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে। এই সবের মধ্যে উপসাগরকে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অর্থনীতির আলোকবর্তিকা হিসাবে দেখা হচ্ছে। যদিও হাইড্রোকার্বনে এর দক্ষতা সুপরিচিত, আজ এটি সামগ্রিক কনটেনার বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ এবং সমস্ত এয়ার কার্গো প্যাসেজের ১৬ শতাংশের আবাসভূমি, এবং এমন একটি ভূগোলে যেখানে বিশ্ব জনসংখ্যার ৬ শতাংশেরও কম বসবাস করে।
আইএমইইসি–র ঘোষণা ও এমবিএস–এর সফর, উভয়ই এই দুই অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার উপর নির্ভরতা বাড়ায়।
উপরোক্ত প্রবণতাগুলি উপসাগরের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে, এবং তা নতুন দিল্লির জন্য তাদের কণ্ঠস্বর ও অংশীদারিত্বকে অমূল্য করে তুলেছে। আইএমইইসি–র ঘোষণা ও এমবিএস–এর সফর, উভয়ই এই দুই অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার উপর নির্ভরতা বাড়ায়। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, কারণ বৈশ্বিক রাজনীতি অস্থিতিশীল, এবং ভারত বা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলি যে বহুমেরু বিশ্ব চায় তার পরিবর্তে দ্বিমেরু বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও আছে। এই চ্যালেঞ্জটি সকলের জন্য নির্ণায়ক হবে, এবং বিশ্বায়নের যে সংজ্ঞা আমরা জানি তা প্রতিদ্বন্দ্বিত হবে।
আইএমইইসি–র আগমন
আইএমইইসি সংযোগ প্রকল্পের ঘোষণা, যা বর্তমানে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) পর্যায়ে আছে, চিনের বিআরআই উদ্যোগের পাউন্ড–ফর–পাউন্ড উত্তর হিসাবে প্রত্যাশিতভাবে শিরোনাম দখল করেছে। কাগজে কলমে, আইএমইইসি যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি ধারণ করে তা সত্যিই চিত্তাকর্ষক, কারণ এটি সফল সহযোগিতার ট্র্যাক রেকর্ড আছে বা থাকতে পারে এমন দেশগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করে। সম্ভবত, এবং তা কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, ভৌগোলিকভাবে দূরে থাকা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এ বিষয়ে আগ্রহ সবচেয়ে স্পষ্ট ছিল। নয়াদিল্লিতে, যেখানে চিনের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক নকশাগুলোকে আজ খোলাখুলিভাবে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, সেখানে এই উৎসাহকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
তবে আইএমইইসি–র সঙ্গে দুটি বাস্তবতা যুক্ত থাকবে। একটি ভূ–রাজনৈতিক, এবং অন্যটি অর্থনৈতিক। ভারতের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়া বা তা ছাড়িয়ে আরও দূরের সংযোগকারী প্রকল্পগুলি অবশ্যই অর্থবহ, যদিও সাধারণভাবে সারা বিশ্বে সফল সংযোগ প্রকল্পগুলির সংখ্যা এখনও খুবই কম। যাই হোক, আইএমইইসি–র ঘোষণার পর থেকে বেশিরভাগ বিশ্লেষণই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেনি, এবং তা এর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত। প্রথমত, আইএমইইসি–কে এমন একটি প্রকল্প হিসাবে দেখা হবে যা প্রাথমিকভাবে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের বৈচিত্র্যের জন্য কাজ করে, শুধুমাত্র বাণিজ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। এর অর্থ হল যে এটি ভবিষ্যতে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ভিত্তি ব্যবহার করতে পারে, যা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে (এবং বাহরাইন এর মতো অন্যদের সঙ্গে) ইজরায়েলের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করে এনেছিল। তাছাড়া ছিল আই২ইউ২, যেটি ভারত, ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউএই–র মধ্যে একটি পূর্ব–বিদ্যমান অর্থনৈতিক উদ্যোগ। ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলে বর্তমান উত্তেজনার নিষ্পত্তি হলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি একটি সার্বিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে আইএমইইসি–কে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিপূর্ণ করতে পারে, যা সত্যিই বিস্তৃত গ্লোবাল সাউথে অনেক নতুন কারখানা তৈরি করবে। এর নকশাটির আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার মতো জায়গায় ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষমতার দিকেও নজর দেওয়া উচিত।
সম্ভবত, এবং তা কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, ভৌগোলিকভাবে দূরে থাকা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এ বিষয়ে আগ্রহ সবচেয়ে স্পষ্ট ছিল।
আইএমইইসি–র জন্য চ্যালেঞ্জগুলিও স্পষ্ট। শুরুতে, এই মুহূর্তের পরিস্থিতিতে, ধারণাটি সর্বোত্তমভাবে শুধুই অ্যাকাডেমিক। ইতিহাসে এমন অনেক সংযোগ প্রকল্পের ব্লুপ্রিন্ট রয়েছে যা কোথাও পৌঁছয়নি। আইএমইইসি–র রান্নাঘরে বাবুর্চির সংখ্যা বিবেচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যাওয়ার জন্য কড়া রাজনৈতিক চাপের প্রয়োজন হবে। এগিয়ে যাওয়ার পথে দুটি সহজ রাজধানী হবে ওয়াশিংটন ডিসি ও নয়াদিল্লি। এদের উভয়েই বৈশ্বিক উৎপাদন এবং সেই সূত্রে সরবরাহ শৃঙ্খলগুলিতে বেজিংয়ের দখল ভাঙার প্রয়োজনে একে অপরকে সমর্থন করে। উপসাগরের অন্যরা, যেমন রিয়াদ ও আবুধাবি, ভিন্ন চিন্তাধারা থেকে এসেছে। উভয়ই চিনের বিআরআই উদ্যোগের সদস্য এবং সক্রিয়ভাবে চিনা বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করছে। আইএমইইসি–কে অর্থায়নের ক্ষেত্রে অন্য কারণটি হল প্রাথমিক অর্থ প্রদানকারী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকানোর বিষয়ে মতৈক্য। যাই হোক, সত্যিকারের সম্পদ আজ উপসাগরের সার্বভৌম তহবিলের মধ্যে নিহিত, যার উৎস শক্তির চাহিদা বৃদ্ধি এবং ওপেক+(যার মধ্যে রাশিয়াও আছে) দিয়ে তেলের উচ্চ দাম রক্ষণাবেক্ষণের কারণে নগদ সমৃদ্ধ কোষাগার। এই নগদ–সমৃদ্ধ তহবিলগুলি ভাল বিনিয়োগের সন্ধান করে, এবং আইএমইইসি–র মতো প্রকল্পগুলি, যা পশ্চিমের পরিকাঠামোগত দক্ষতা ও প্রযুক্তিগুলিকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাতে পারে, নিজেকে একটি ভাল বিকল্প হিসাবে উপলব্ধ করতে পারে।
অবশেষে, এই উদ্যোগটি শুরু করার জন্য অনেক পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই রয়েছে। এর ভবিষ্যৎ এখন নীতিনির্ধারক ও রাজনৈতিক শক্তির উপর নির্ভর করে, যারা মুক্ত বাজারে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ের জন্য আকর্ষণীয় একটি সর্বসম্মত–নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের প্রস্তাব নিয়ে এগোতে পারে।
নয়াদিল্লিতে এমবিএস
এমবিএস–এর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর ছিল কূটনীতির আরেকটি মুহূর্ত, যা গত এক দশকে পশ্চিম এশিয়ায় ভারতের প্রসারের গুরুত্ব তুলে ধরে। সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর কাছে স্পষ্টতই ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। খাশোগি সংকট যখন শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছিল, সেই সময় এমবিএস গ্রহণযোগ্যতার জন্য ভারত, রাশিয়া ও চিনের দিকে তাকিয়েছিলেন। কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়েও সৌদি রাজতন্ত্রের উত্তরাধিকারের ভবিষ্যৎ বুঝে নিয়ে ভারত ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি ঝটিকা সফরের জন্য এমবিএস–কে আতিথ্য দিয়েছিল, এবং তা এমন এক সময়ে যখন প্রায় সমস্ত পশ্চিমী রাজধানী তাঁর জন্য বন্ধ ছিল। রাজনৈতিক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, এটি এমন একটি পথ তৈরি করে দিয়েছে যা আগামী কয়েক দশক ধরে ওই দেশটিতে নয়াদিল্লির স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।
আইএমইইসি–কে অর্থায়নের ক্ষেত্রে অন্য কারণটি হল প্রাথমিক অর্থ প্রদানকারী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকানোর বিষয়ে মতৈক্য।
উভয় দেশ ইতিমধ্যে ভারত–সৌদি আরব কৌশলগত অংশীদারি পরিষদের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন স্তরের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছে, এবং শক্তি, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। সৌদি ২০৩০ ভিশন, এমবিএস–এর একটি নিজস্ব প্রকল্প যেটি নানা সুযোগ উন্মুক্ত করেছে এবং ব্যাপকভাবে যার কভারেজ হয়েছে, তা কুখ্যাত রক্ষণশীলতা থেকে সরে গিয়ে সৌদি সমাজের ধীর কিন্তু স্থির উন্মুক্তকরণের প্রদর্শনী। এই সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মতাদর্শগত পরিবর্তনগুলি সম্ভবত বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে প্রত্যাশিত এমন একটি সুযোগ, যা আগে কখনও নিজেকে উপস্থাপন করেনি। দীর্ঘকাল ধরে ওয়াহাবিবাদের মতো উগ্র ইসলামি মতাদর্শের আবাস হিসাবে পরিচিত সৌদি আরব এখন কিছু উদারনৈতিক আদর্শ গ্রহণের দিকে সাবধানে পদক্ষেপ করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই পরিবর্তনটি বৈশ্বিক নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা ছাড়া ভবিষ্যতে বিশ্বায়নের উপর নির্ভরশীল দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক অগ্রগতি কঠিন হবে।
এটি এমন কিছু যার প্রশংসা ভারতও করে। মধ্যপ্রাচ্যে চরমপন্থী মতাদর্শের রাশ টেনে ধরা হলে তার প্রভাব পড়বে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশে যেখানে অনুরূপ বিষয়গুলি এখনও গুরুত্ব পাচ্ছে এবং বিকশিত হচ্ছে। যেমন, একটি শক্তিশালী ভারত–সৌদি অংশীদারিত্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে উগ্র ভারতবিরোধী উপাদানগুলিকে প্রভাবিত করতে বা এমনকি চাপ দিতে পারে তাদের সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্নির্মাণ করতে। যদিও এই সম্ভাবনা দূরবর্তী বলে মনে হতে পারে, দুটি পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে সৌদি রাজতন্ত্রের অবস্থান একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান।
সৌদি ২০৩০ ভিশন, এমবিএস–এর একটি ব্যক্তিগত প্রকল্প যেটি নানা সুযোগ উন্মুক্ত করেছে এবং ব্যাপকভাবে যার কভারেজ হয়েছে, তা কুখ্যাত রক্ষণশীলতা থেকে সরে গিয়ে সৌদি সমাজের ধীর কিন্তু স্থির উন্মুক্তকরণের প্রদর্শনী।
উপসংহার
পশ্চিম এশিয়ার ভূ–রাজনীতি বিশাল ও ব্যাপক পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছে, এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলি ইতিমধ্যেই একটি বহুমুখী শৃঙ্খলার দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য নিজেদেরকে ক্ষমতার একটি ‘মেরু’ হিসাবে দেখছে। ব্রিকস+ থেকে এসসিও হয়ে জি২০ পর্যন্ত উপসাগরীয় প্রতিনিধিত্ব আরও শক্তিশালী হচ্ছে তার অর্থনৈতিক পদচিহ্ন বৃদ্ধির সঙ্গে। তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যদিও ভূ–রাজনৈতিকভাবে ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে, অনেক মৌলিক সংকটের বিন্দু অমীমাংসিত রয়ে গেছে — প্যালেস্তাইন ইস্যু থেকে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা, সিরিয়া ও ইরাকের অস্থিতিশীলতা থেকে লেবাননের অর্থনৈতিক পতন এবং আরও অনেক কিছু। শীর্ষে স্থিতিশীলতার ট্রিকল–ডাউন এফেক্ট (উপর থেকে যা ধীরেধীরে নীচে নামে) দীর্ঘমেয়াদে এই নতুন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রকল্পগুলির সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হয়ে উঠবে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.