Published on May 02, 2023 Updated 11 Days ago

কিয়েভের পশ্চিমী মিত্ররা ইউক্রেনকে ‘‌যতদিন প্রয়োজন’‌ সমর্থন করার জন্য তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, কিন্তু তা যে মূল প্রশ্নের উত্তর দেয় না তা হল:‌ কতটা সমর্থন প্রয়োজন হবে?

ইউক্রেন: গোলাগুলির মধ্যে একটি বছর

ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন সংঘাতের প্রথম বার্ষিকী পূর্ণ হয়েছে। এখনও শত্রুতার একটি স্পষ্ট শেষ দেখা যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত বিভিন্ন: ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ এই বছর যুদ্ধের সমাপ্তির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিলেও পশ্চিমী কর্মকর্তারা মনে করছেন যে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে

সামরিক ফ্রন্ট
ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ এমন একটি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে তার পশ্চিমী অংশীদারেরা (যারা নিশ্চিত ছিল যে এটি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পড়ে যাবে) বা ভ্লাদিমির পুতিন (যিনি দুই বা তিন দিনের মধ্যে কিয়েভ এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরো ইউক্রেন দখল করার পরিকল্পনা করেছিলেন) কেউই পূর্বানুমান করতে পারেননি।

দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চালু করা, এবং সামরিক সহায়তার ব্যবস্থা ছিল দুটি ফ্রন্টে ইউক্রেনের প্রচেষ্টার ফলাফল:‌ সামরিক ও কূটনৈতিক।

প্রথম থেকেই ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী সেই রুশ সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যে সব কৌশলগত বিজয় যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করেছিল তার সংখ্যার মধ্যেই ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর সাফল্য প্রতিফলিত হয়েছে: ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ব্ল্যাক সি ফ্লিট–এর ফ্ল্যাগশিপ ক্রুজার ‘‌মোস্কভা’‌ ধ্বংস করা; জিমিনি  দ্বীপকে মুক্ত করা; ক্রিমিয়ান সেতু উড়িয়ে দেওয়া; সুমি, কিয়েভ, চেরনিহিভ ওব্লাস্ট ও পরে খারকিভ ওব্লাস্ট ও খেরসন শহরকে মুক্ত করা; ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার কৌশলগত বিমানঘাঁটি ’‌এঙ্গেলস’‌–এর সামরিক স্থাপনায় হামলা; এবং ইউক্রেনের পূর্বে রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে সফল প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

এই কৌশলগত বিজয়গুলি ইউক্রেনের নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান অনেক পশ্চিমী কর্মকর্তার ধারণাকে আমূল বদলে দিয়েছে। দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চালু করা, এবং সামরিক সহায়তার ব্যবস্থা ছিল দুটি ফ্রন্টে ইউক্রেনের প্রচেষ্টার ফলাফল:‌ সামরিক ও কূটনৈতিক।

জার্মানিতে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ২১ এপ্রিল ২০২২–এ মার্কিন উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকটি ছিল ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে একটি সন্ধিক্ষণ। রামস্টেইন ফরম্যাটের প্রধান কাজ হল শত্রুতার বর্তমান পর্যায়ে ও দীর্ঘমেয়াদে সামরিক–প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন করা। পুরো বছরে রামস্টেইন বিন্যাসে আটটি বৈঠক হয়েছে, যা বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশকে একত্র করেছিল।

পশ্চিমী অংশীদাররা অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে যে সতর্কতা ও ভারসাম্যের বিন্যাস অবলম্বন করেছিল, তা দেখে বোঝা যায় ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য পশ্চিমের পক্ষ থেকে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। প্রকৃতপক্ষে এই এক বছরে তারা গেরিলা যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনীয়দের প্রস্তুত করা (‌এমন একটি বিকল্প যা এই বিশ্বাসের কারণে বিবেচনা করা হয়েছিল যে রাশিয়ানরা দ্রুত ইউক্রেনীয় অঞ্চল দখল করবে)‌ থেকে শুরু করে ন্যাটো ঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর পূর্ণ প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং উচ্চপ্রযুক্তির পশ্চিমী অস্ত্র সরবরাহ করেছে।

রামস্টেইন ফরম্যাটের প্রধান কাজ হল শত্রুতার বর্তমান পর্যায়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে সামরিক–প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন করা।

দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমী অংশীদাররা নিজেদের ভয়ের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। তারা যুদ্ধকে আরও ছড়িয়ে দিতে বা রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে অনাগ্রহী ছিল। তাদের বিলম্বিত সিদ্ধান্তের কারণে ইউক্রেনীয়দের জীবন, আবাসিক ভবন ও পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছিল। যেমন এই এক বছরের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ৫,০০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩,৫০০টি বিমান হামলা চালিয়েছে, এবং সেইসঙ্গে ১,০০০টি ইউএভি ছুঁড়েছে। ইউক্রেনের ‘‌আকাশ বন্ধ’‌ (‌আকাশ–যুদ্ধের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলা) করার অনুরোধটি বসন্তকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তবে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মতো অগ্রণী বিমান প্রতিরক্ষা–ব্যবস্থা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাশিয়ান ফেডারেশন ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের বিদ্যুৎশক্তি ব্যবস্থার ৫০ শতাংশ ধ্বংস করার পরে।

বর্তমানে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী লেপার্ড, আব্রামস, ব্র্যাডলি ও মার্ডার–সহ শত শত ইউনিট ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যানের জন্য অপেক্ষা করছে, যা পশ্চিমী অংশীদারেরা শেষ পর্যন্ত বহু মাসের দ্বিধা ও আলোচনার পরে দিতে সম্মত হয়েছিল। পশ্চিমী যুদ্ধ বিমান ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রশ্নে পশ্চিমী শক্তিগুলিকে এবার ব্যবস্থা নিতে হবে।

‘‌সামরিক’‌ শৈলীতে কূটনীতি

ইউক্রেনীয় কূটনীতি বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক স্তরে ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে। সংঘাত ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের সামরিক আইনের বিন্যাসকে অনুসরণ করতে বাধ্য করেছিল: শুধু পোশাকের ধরনকে ‘‌সামরিক’‌ করে তুলতে নয়, নিরাপত্তা জোরদার করার মুখ্য বৈদেশিক নীতির লক্ষ্যের দিকে নজর কেন্দ্রীভূত করতেও।

ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের জন্য কার্যকলাপের তিনটি প্রধান ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছেন: মিত্রদের সঙ্গে অংশীদারী জোরদার করা; রুশ ফেডারেশনের উপর চাপ, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা, নিশ্চিত করা; এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের চুক্তি বাস্তবায়ন। শরৎকালে এই অগ্রাধিকারগুলিতে বিদ্যুৎশক্তি যোগ করা হয়েছিল। ইউক্রেনীয় কূটনীতিকরা একটি নতুন কাজের মুখোমুখি হয়েছেন:‌ ধ্বংস হওয়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য সাজসরঞ্জাম সন্ধান করা। মন্ত্রী কুলেবা বলেছিলেন, ‘‌‘‌এখন ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ও আমি উভয়েই দ্রুত ৬.৩ থেকে ৯৮ কিলোওয়াট এবং সেইসঙ্গে ৫০ থেকে ৫০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত ক্ষমতার জেনারেটর সম্পর্কে সব কিছু আয়ত্ত করছি৷ আমি স্বয়ংক্রিয় সুইচের সারাংশও জেনেছি, এবং আমি ট্রান্সফরমার ও সেগুলির পরিবহণের সূক্ষ্মতা সম্পর্কে অনেক কিছু এখন জানি যা জানার কথা কোনওদিন ভাবিনি। জ্বালানি মন্ত্রক, ইউক্রেনারগো এবং ইউক্রেনের সমগ্র জ্বালানি শিল্পের সঙ্গে একত্রে আমরা ইতিমধ্যেই শক্তি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্ব থেকে প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে আসছি — সমস্ত দেশ থেকে এবং স্বল্পতম সময়ে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে কূটনীতিকেরা তাঁদের সাধ্যের মধ্যে সব কিছু করবেন যাতে ফ্রন্টলাইনে অস্ত্র এবং ইউক্রেনীয়দের বাড়িতে আলো, তাপ ও জল সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।”

এর মূল কথা হল ক্রিমিয়া, ডনবাসের কিছু এলাকা, এবং অধিকৃত খেরসন ও জাপোরিজঝিয়া অঞ্চল রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য দর–কষাকষির বোড়ে হতে পারে না।

এর পাশাপাশি ইউক্রেনীয় কূটনীতি রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মে ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সঙ্কটের বার্ষিকীর প্রাক্কালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে ১৪১ ভোটে ‘ইউক্রেনে একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি’‌ প্রতিষ্ঠা নিয়ে এমন একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে যা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির শান্তি সূত্রের মূল সূত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা বজায় রাখার ভিত্তিতে ইউক্রেনে শান্তির ভিত্তিস্থাপনের দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, যেমনটি ১৯৯১ সালে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। এর মূল কথা হল ক্রিমিয়া, ডনবাসের কিছু এলাকা, এবং অধিকৃত খেরসন ও জাপোরিজঝিয়া অঞ্চল রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য দর–কষাকষির বোড়ে হতে পারে না।

এছাড়াও, ইউরোপীয় ও ইউরো–অ্যাটলান্টিক ক্ষেত্রেও ইউক্রেন অগ্রগতি অর্জন করেছে: ২০২২ সালে এটি একটি সরলীকৃত পদ্ধতির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্যতার জন্য প্রার্থীর মর্যাদা পেয়েছে, নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন (ন্যাটো)–এ যোগদানের জন্য আবেদন করেছে, এবং যুদ্ধোত্তর সময়ের জন্য বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলি থেকে যুদ্ধ–পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়ার জন্য কাজ করছে।

অদম্য সমাজ

সংঘাত শুধু ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের জন্যই নয়, বরং ইউক্রেনীয় সমাজের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে, যা ইউক্রেনীয়দের সামাজিক রূপান্তরের দিকে চালিত করেছে। গ্র্যাডাস রিসার্চ বিশ্লেষকেরা আটটি মূল সামাজিক প্রবণতা চিহ্নিত করেছেন যা বর্তমানে ইউক্রেনীয়দের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়: একে অপরের এবং রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা; পরিচয়ের দৃঢ়ীকরণ (প্রাথমিকভাবে রুশ ভাষা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরেও যেটুকু রাশিয়ান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে গিয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করা); নৈতিক এবং মানসিক স্থিতিশীলতা; একটি অভিবাসন স্থানান্তর (প্রায় ৫–৬ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়ে গেলেও তাঁদের ৭০ শতাংশ ফিরে আসার ইচ্ছা রাখেন); জয়ে বিশ্বাস (৮৭ শতাংশ নিশ্চিত যে ইউক্রেন তার অঞ্চলগুলিকে মুক্ত করতে পারবে); সেনাবাহিনীর জন্য কর্মসংস্থান ও আর্থিক সহায়তা পুনরুদ্ধার (ইউক্রেনীয়দের ৬৪ শতাংশ নিয়মিত সামরিক ও মানবিক সহায়তার জন্য অর্থ দান করেন); উপভোগ যৌক্তিক করে তোলা; এবং মিডিয়া নির্ভরতা বৃদ্ধি।

মিউনিখ নিরাপত্তা সূচক ২০২৩–এর ফলাফল বলছে, যুদ্ধের কারণে স্থিতিশীলতার অভাব এবং বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ইউক্রেনীয় সামরিক প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার পক্ষে, এবং ৮৯ শতাংশ মস্কো কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলেও তার বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত।

ইউক্রেনীয় সমাজ একটি স্থিতিশীল ও ন্যায্য শান্তি কী হওয়া উচিত সে সম্পর্কে উচ্চাকাঙ্ক্ষী দাবি রেখেছে। রাশিয়ার প্রতি আস্থার অভাবের কারণে তাঁরা কোনও আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে ততদিন অবধি সন্দিহান, যতদিন না রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি চলে যাচ্ছে এবং ইউক্রেনকে তার নিজস্ব প্রতিরক্ষা ও ভবিষ্যতে রুশ ফেডারেশনের বারবার আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত বাহিনী ও উপায় সরবরাহ করা হয় ।

যে সব প্রশ্নের উত্তর নেই

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ছিল রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাতের প্রথম বছরের প্রভাবের সংক্ষিপ্তসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সম্মেলনের প্রভাবশালী সূত্রটি ছিল এই তত্ত্ব: ‘‌ইউক্রেন অবশ্যই জিতবে; রাশিয়াকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে’‌। কিয়েভের পশ্চিমী মিত্ররা ইউক্রেনকে ‘যতদিন প্রয়োজন’‌ সমর্থন করার জন্য তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কিন্তু তা যে মূল প্রশ্নের উত্তর দেয় না তা হল:‌ কতটা সমর্থন প্রয়োজন হবে?

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.