-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
অর্থনৈতিক লাভের সম্ভাবনা সীমিত হওয়া সত্ত্বেও সিপিটিপিপি-তে যুক্তরাজ্যের যোগদান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে তার গভীর কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রতিফলন।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে, যুক্তরাজ্য (ইউকে) আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের জন্য ব্যাপ্ত ও প্রগতিশীল চুক্তিতে (সিপিটিপিপি) যোগদান করে। ঘটনাটি দেশটির ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য কৌশলের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত সিপিটিপিপি বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির ১১টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে, এবং বাণিজ্য শুল্ক কমানোর পাশাপাশি সদস্যদের আরও বেশি বাজারের সুযোগ প্রদান করে। সিপিটিপিপি-র মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি (জাপানের পরে) এবং প্রথম ইউরোপীয় সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্তি বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)-র শরিক হিসাবে যুক্তরাজ্যের অবস্থান দৃঢ় করে, যেখানে সদস্য দেশগুলি মোট ১২ ট্রিলিয়ন পাউন্ড জিডিপি এবং বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ১৫ শতাংশের অধিকারী।
যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক প্রবণতা এবং সিপিটিপিপি
সিপিটিপিপি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনুমিত শৃঙ্খলের বাইরে তার বাণিজ্য নীতি গঠনে যুক্তরাজ্যের স্বাধীন অবস্থানের উদাহরণ দেয়। ব্রেক্সিটের এক বছর পর, যুক্তরাজ্য ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিটিপিপি-তে যোগদানের জন্য আবেদন করেছিল।
এই অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সুরক্ষিত করা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল ও অর্থনৈতিক সংযোগকে বৈচিত্র্যময় করা।
ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈদেশিক নীতি পত্র, ইন্টিগ্রেটেড রিভিউ ২০২১, গ্লোবাল ব্রিটেনের যুক্তরাজ্যকে একটি উন্মুক্ত ও বহির্মুখী ভূ-রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসাবে প্রদর্শনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর জোর দেয়। ইন্দো-প্যাসিফিক ঝোঁক এই দৃষ্টিভঙ্গির একটি মূল স্তম্ভ গঠন করে, যা পূর্বের দিকে বিশ্বব্যাপী শক্তির গতিশীলতার পরিবর্তনকেও প্রতিফলিত করে। এই অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সুরক্ষিত করা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল ও অর্থনৈতিক সংযোগকে বৈচিত্র্যময় করা। এই প্রেক্ষাপটে ব্রিটেন এই অঞ্চলে তার কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করেছে, ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলির সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করেছে, এবং সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (আসিয়ান)-এর সংলাপ অংশীদার হয়ে উঠেছে।
তার আধুনিকীকৃত করা ইন্টিগ্রেটেড রিভিউ রিফ্রেশ ২০২৩-এ, সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে ইউরো-অ্যাটলান্টিক এবং ইন্দো-প্যাসিফিক মঞ্চগুলির সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাইরের প্রথম সদস্য হিসাবে যুক্তরাজ্যের যোগদান সিপিটিপিপি-কে একটি বিশ্বব্যাপী চুক্তিতে পরিণত করতে সক্ষম করে, যা দুটি মঞ্চের সেতুবন্ধন করে।
২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বৈশ্বিক বৃদ্ধির ৫৪ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক গ্রাহকের আবাসস্থল হয়ে উঠবে। যুক্তরাজ্য সরকারের মতে, সিপিটিপিপি দেশটির ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করবে, যাকে তারা অতুলনীয় অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন অঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করে। সুতরাং, সিপিটিপিপি-তে যুক্তরাজ্যের যোগদান শুধু একটি অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নয়, বরং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার প্রভাব এবং উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
সিপিটিপিপি-তে যোগদানের সুবিধা
যুক্তরাজ্যের ট্রেড পলিসি অবজারভেটরি এবং ব্রিটিশ চেম্বার অফ কমার্সের মতে, সিপিটিপিপি-তে যোগদানের ফলে বাণিজ্য শুধু স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে না, সেইসঙ্গে টেকসই বৃদ্ধির জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে। যুক্তরাজ্য সরকারের নিজস্ব প্রভাব মূল্যায়নে ১০ বছরে দেশের জিডিপি-তে মাত্র ০.০৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যেখানে সিপিটিপিপি দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের £৪.৯ বিলিয়নের সামান্য সম্প্রসারণ হবে। হাউস অফ লর্ডস আন্তর্জাতিক চুক্তি কমিটি সীমিত অর্থনৈতিক সুবিধার কথা জানিয়েছে, কারণ যুক্তরাজ্যের ইতিমধ্যেই সিপিটিপিপি সদস্য দেশের মধ্যে নয়টির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এফটিএ রয়েছে (বেশিরভাগই পূর্ববর্তী ইইউ চুক্তি থেকে সরে এসেছে)। যদিও মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই এর আওতায় নেই, এই দুটি দেশ যুক্তরাজ্যের মোট বাণিজ্যের মাত্র ০.৩৩ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়া, উরুগুয়ে ও ইকুয়েডরের মতো নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চুক্তির সম্ভাব্য সম্প্রসারণ যুক্তরাজ্যের জন্যও উপকারী হবে, যেখানে দেশটি সিপিটিপিপি-তে যোগদানকারী প্রথম অ-প্রতিষ্ঠাতা দেশ হিসাবে নতুন সদস্যদের জন্য মঞ্চ তৈরি করবে।
তবে, কিছু সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২২ সালে, সিপিটিপিপি সদস্যদের কাছে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি ছিল, যার মধ্যে হুইস্কি, গাড়ি, দুগ্ধজাত পণ্য ও পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত, ৬৪.৭ বিলিয়ন পাউন্ড (যুক্তরাজ্যের মোট রপ্তানির ৭.৮ শতাংশ)। যুক্তরাজ্যের রপ্তানির ৯৯.৯ শতাংশের উপর শুল্ক হ্রাস করার মাধ্যমে, বাণিজ্য ৩.৩ বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১.৭ বিলিয়ন পাউন্ড হবে রপ্তানির পরিমাণ। চুক্তির মাধ্যমে স্কচ হুইস্কির উপর মালয়েশিয়ার শুল্ক ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০ শতাংশ করা হবে। তবে, সিপিটিপিপি সদস্যদের কাছে যন্ত্রপাতি, মূল্যবান ধাতু ও অটোমোবাইল-সহ অন্যান্য প্রাথমিক রপ্তানির উপর বিদ্যমান শুল্ক ইতিমধ্যেই ন্যূনতম। যেহেতু চিলি, পেরু ও মেক্সিকোও চুক্তির অংশ, তাই যুক্তরাজ্য লাতিন আমেরিকার বাজারে আরও ভাল প্রবেশাধিকার পেতে পারে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের বিস্তৃত মজুত রয়েছে যেগুলি তার শক্তি ও জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করবে। দক্ষিণ কোরিয়া, উরুগুয়ে ও ইকুয়েডরের মতো নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চুক্তির সম্ভাব্য সম্প্রসারণ যুক্তরাজ্যের জন্যও উপকারী হবে, যেখানে পরবর্তীতে সিটিপিটিপিপি-তে যোগদানকারী প্রথম অ-প্রতিষ্ঠাতা দেশ হিসেবে নতুন প্রবেশকারীদের জন্য মঞ্চ তৈরি হবে।
ব্রিটেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরিষেবা রপ্তানিকারক। ২০২২ সালে দেশটি সিপিটিপিপি দেশগুলিতে ৩২.২ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের পরিষেবা রপ্তানি করেছে, এবং ২০২১ সালে শুধুমাত্র ডিজিটাল পরিষেবা দিয়েছে ২৩ বিলিয়ন পাউন্ডের, যার ফলে সিপিটিপিপি-র সঙ্গে তার ৫ বিলিয়ন পাউন্ডের পরিষেবা বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল। সিপিটিপিপি-তে সদস্যপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের সম্পৃক্ততার মূল স্তম্ভ হিসাবে ডিজিটাল বাণিজ্য এবং পরিষেবাগুলিকে উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চুক্তি ডিজিটাল বাণিজ্যে বিপ্লব আনে, নিরবচ্ছিন্ন ডেটা প্রবাহকে উৎসাহিত করে, ডেটা স্থানীয়করণের ব্যবস্থা সীমিত করে, এবং সোর্স কোডের বাধ্যতামূলক প্রকাশ নিষিদ্ধ করে। এটি যুক্তরাজ্যের জাতীয় ডেটা কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আন্তর্জাতিক ডেটা প্রবাহকে সমর্থন করে।
তার উপর, যেহেতু যুক্তরাজ্যের ব্যবসার ৯৯.৯ শতাংশ হল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) যারা ১৬.৬৪ মিলিয়ন লোককে নিয়োগ করে। তাই সিপিটিপিপি-তে এসএমই-র জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ সংযুক্তি রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রক স্বচ্ছতা দেয় এবং প্রক্রিয়াগুলিকে সুবিন্যস্ত করে। তাছাড়া সেখানে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু বিধান রয়েছে। রুলস অফ অরিজিন (আরওও) বৈশিষ্ট্যটি ইনপুট সরবরাহ সম্প্রসারণ করবে, এবং সরবরাহ শৃঙ্খল সংযুক্তিকে শক্তিশালী করবে। উদাহরণস্বরূপ, একটি যুক্তরাজ্যের সংস্থা অস্ট্রেলিয়া থেকে ইনপুট ব্যবহার করে জাপানে যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম রপ্তানি করতে পারে। আরওও যুক্তরাজ্যের মোটরগাড়ি শিল্প এবং পরিচ্ছন্ন-শক্তি ক্ষেত্রকে উপকৃত করতে পারে, কারণ যুক্তরাজ্য বর্তমানে সিপিটিপিপি দেশগুলি থেকে অনেক বৈদ্যুতিক গাড়ির উপাদান আমদানি করলেও খুব কম সমাপ্ত পণ্য রপ্তানি করে।
যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য নীতি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য স্বার্থের পাশাপাশি সার্বভৌমত্বের ধারণা দ্বারা চালিত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, সব কিছু সঙ্গতিপূর্ণ করার পাশাপাশি, সিপিটিপিপি কাঠামো সদস্যদের মধ্যে নিজস্ব নিয়মের বিনিময়ের অনুমতি দেয়, যার ফলে নিয়মের নির্দিষ্ট ব্যতিক্রমগুলিও অনুমোদিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রীয় বিরোধ নিষ্পত্তি (আইএসডিএস) বাতিল করার জন্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ব্রিটেন সাইড লেটারে স্বাক্ষর করেছে।
আরওও যুক্তরাজ্যের মোটরগাড়ি শিল্প এবং পরিচ্ছন্ন-শক্তি ক্ষেত্রকে উপকৃত করতে পারে, কারণ যুক্তরাজ্য বর্তমানে সিপিটিপিপি দেশগুলি থেকে অনেক বৈদ্যুতিক গাড়ির উপাদান আমদানি করলেও খুব কম সমাপ্ত পণ্য রপ্তানি করে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সিপিটিপিপি আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি)-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। সিপিটিপিপি উচ্চতর মান নির্ধারণ করে এবং আরও বিস্তৃত নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করে, যেখানে আরসিইপি কম কঠোর ব্যবস্থা-সহ আরও নমনীয় পদ্ধতি গ্রহণ করে। সিপিটিপিপি ডিজিটাল বাণিজ্য এবং শ্রমিক কল্যাণ ব্যবস্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাগুলিকে অনুমোদন করে, যা আরসিইপি-তে পাওয়া যায় না। তবুও চুক্তিটি নিশ্চিত করে যে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ যাচাই সিদ্ধান্তগুলি সিপিটিপিপি বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার অধীন হবে না।
সিপিটিপিপি-তে যুক্তরাজ্যের যোগদান বেশ কয়েকটি দেশীয় মহল থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। জাতীয় কৃষক ইউনিয়ন নিম্ন-নিয়ন্ত্রক মানের বিদেশী পণ্যগুলির থেকে বর্ধিত প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার যুক্তি দিয়েছে যে, এই চুক্তি পরিবেশগত ধ্বংসকে পুরস্কৃত করে এবং যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের বাণিজ্যকে উৎসাহিত করে। ট্রেড ইউনিয়নগুলি দুর্বল সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কম খরচের বিদেশি শ্রমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নাগরিক সমাজের গোষ্ঠীগুলি আশঙ্কা করছে যে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধি জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে, এবং মালয়েশিয়ার পাম তেলের উপর শুল্ক কমানো বন উজাড় করাকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে, বাণিজ্য ও কৃষি কমিশন দেখেছে যে সিপিটিপিপি যুক্তরাজ্যের বিদ্যমান বিধিবদ্ধ পরিবেশ সুরক্ষার স্তরগুলিকে শক্তিশালী করবে, সেগুলির পরিবর্তন করবে না।
অভ্যন্তরীণ বিরোধিতা সত্ত্বেও, এই যোগদানকে ব্রেক্সিট-পরবর্তী জয় হিসাবে দেখা যেতে পারে। তবুও ব্রেক্সিটের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তার পূরণের মতো অর্থনৈতিক লাভের সম্ভাবনা কম, কারণ ইইউ এখনও যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। অন্যদিকে, বৃহত্তর ভৌত দূরত্ব সংক্রান্ত সতর্কতার কারণে সিপিটিপিপি ব্লকের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য অনেক কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও, চুক্তিতে সদস্যপদ যুক্তরাজ্যকে ক্রমবর্ধমান বিশ্ব বাণিজ্য স্থাপত্য গঠনের সুযোগ করে দেয়, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে। পরিশেষে, সিপিটিপিপি-তে যুক্তরাজ্যের যোগদান ইন্দো-প্যাসিফিকের সঙ্গে তার গভীর কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রতিফলিত করে।
শায়রী মলহোত্র অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর
জয়া অপলিশ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ ইন্টার্ন
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Shairee Malhotra is Deputy Director - Strategic Studies Programme at the Observer Research Foundation. Her areas of work include Indian foreign policy with a focus on ...
Read More +Jayaa Auplish is a Research Intern at the Observer Research Foundation ...
Read More +