বাইডেনের রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র এবং অংশীদারদের কাছে এই স্বস্তির বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছিল যে: ‘আমেরিকা ফিরে এসেছে’। বার্তাটির প্রধান লক্ষ্য ছিল এশিয়া-প্যাসিফিক, এখানে জোটের নিরিখে আমেরিকার হাব-অ্যান্ড-স্পোক ব্যবস্থা তার নাগাল এবং প্রভাবকে জোরদার করেছে যা ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে চাপের মুখে পড়েছিল। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ই ট্রাম্প প্রশাসনের রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হয়েছে। ট্রাম্পের ব্যাপক দর কষাকষিতে তার মিত্রদের কাছ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল, যদি তারা তাদের দেশে মার্কিন সেনা মোতায়েনের জন্য আরও অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। বাইডেন প্রশাসনের চাপের অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার জোটের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে যে কোনও সন্দেহের অবসান ঘটানো এবং তার সহযোগীদের সমর্থন সম্পর্কে আশ্বাস দেওয়া। মূল প্রচেষ্টা ছিল মার্কিন কূটনৈতিক ব্যবস্থাকে বিশ্ব মানচিত্রে ফিরিয়ে আনা বা প্রাসঙ্গিক করে তোলা এবং মার্কিন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যয় সঙ্কোচনের আশঙ্কা দূর করা। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে, ইন্দো-প্যাসিফিককে কেন্দ্রে করে আত্মকেন্দ্রিক আমেরিকার ভাবমূর্তিজনিত ভয় মিত্রদের মন থেকে দূর করার জন্য ওয়াশিংটন সচেতন প্রচেষ্টা চালিয়েছে। জাপানের মতো অন্য গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াও সেই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। গত বছরের অগস্ট মাসে যখন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের ক্যাম্প ডেভিডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তখন তা অবাক হওয়ার মতো কিছু ছিল না। উদ্দেশ্যও ছিল দ্বিমুখী: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই মিত্রকে চিনের বিরুদ্ধে একটি অভিন্ন প্রতিরোধ কৌশলের আশ্বাস দেওয়া এবং টোকিয়ো ও সিওলের মধ্যে একটি কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করা।
মূল প্রচেষ্টা ছিল মার্কিন কূটনৈতিক ব্যবস্থাকে বিশ্ব মানচিত্রে ফিরিয়ে আনা বা প্রাসঙ্গিক করে তোলা এবং মার্কিন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যয় সঙ্কোচনের আশঙ্কা দূর করা।
উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় তার চুক্তি মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক ট্রাম্পের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কারণ দুই দেশের মতামতের ভিন্নতা এই সম্পর্ককে চালিত করেছিল। বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রশান্ত মহাসাগরীয় মঞ্চে তার উপস্থিতি এবং শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে সিওলের উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করার চেষ্টা করেছিল। যেহেতু পরবর্তী মার্কিন নির্বাচনগুলিতে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয়ের জন্যই জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্কের কারণে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার ভয় সিওলের জন্য আশঙ্কার ঘণ্টা বাজাতে শুরু করেছে। এই ধরনের আশঙ্কা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে: পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনে মার্কিন-আরওকে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী হবে?
সিওলের ভীতি প্রশমন করা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বর বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সিওল তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতিমধ্যে, সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার - যেখানে তিনি ন্যাটো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেক্ষাপটে মার্কিন মিত্রদের সামরিক ব্যয়ের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন - ফের সিওলে আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। ‘আপনি কি (ট্রাম্প) দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করবেন?’ এই প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করুক।’ এবং তিনি আরও বলেন যে, ‘আমরা (আমেরিকা) মূলত তাদের সামরিক বাহিনীর জন্য বিনামূল্যে অর্থ প্রদান করেছি। এবং বিনিময়ে তারা বিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু আমি চলে যাওয়ার পর তারা খুব সামান্য অর্থই প্রদান করছে। আমি জানি না আপনি জানেন কি না তারা আমার সঙ্গে করা চুক্তিটির পুনর্বিবেচনা করেছে।’ এই মন্তব্যগুলি সিওলে অনেকের জন্য আস্থার ঘাটতিকে স্পষ্ট করেছে এবং ট্রাম্প ২০১৯ সালে যে আবেগের জন্ম দিয়েছিলেন, তার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
২০২৫ সালের শেষের দিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর আগে নতুন এসএমএ-র আলোচনাটি উভয় দেশের রাজধানীতে এই বোঝাপড়ার দিকেই নির্দেশ করে যে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণ করলে এটি এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আশঙ্কাজনক হয়ে উঠতে পারে।
বাইডেন প্রশাসন মার্কিন-আরওকে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কিছু শক্তিশালী কাঠামোগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যাতে উভয় দেশে নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও ব্যবস্থাগুলি স্থায়ী হয়। এই বিষয়টি যে আবার সিওল এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বিবাদের বিন্দুতে পরিণত হতে পারে… এই ভয়ে উভয় দেশ এই বছরের জানুয়ারি মাসে সিকিউরিটি মেজারস এগ্রিমেন্ট বা সুরক্ষা ব্যবস্থা চুক্তিকে (এসএমএ) দ্রুততর করার চেষ্টা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য হল দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন করা ২৮৫০০ জনের ইউএস ফোর্সেস কোরিয়া (ইউএসএফকে) সৈন্যদের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা। এসএমএ-র অধীনে, ইউএস ফোর্সেস কোরিয়ায় (ইউএসএফকে) কোরীয় কর্মী সম্পর্কিত খরচ, নির্মাণ ব্যয় এবং লজিস্টিক সহায়তা সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০২৫ সালের শেষের দিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর আগে নতুন করে এসএমএ-র আলোচনাটি উভয় দেশের রাজধানীতে এই বোঝাপড়ার দিকেই নির্দেশ করে যে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণ করলে এটি এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আশঙ্কাজনক হয়ে উঠতে পারে। পূর্ববর্তী এসএমএ-টি ২০২১ সালের মার্চ মাসে ছয় বছরের জন্য স্বাক্ষরিত হয়েছিল, উভয় পক্ষই কিছু অতিরিক্ত গ্যারান্টি-সহ ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে প্রস্তাবিত ৪০০ শতাংশের বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে ১.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিমাণ-সহ ১৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছিল। ২০২৪ সালের ১৬ মে প্রতিরক্ষা খরচ ভাগাভাগি সংক্রান্ত দ্বিতীয় দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ এবং আমেরিকা ফার্স্ট
ট্রাম্পের আমলে ওয়াশিংটন ও সিওলের মধ্যে বিরোধের আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হতে পারে কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি। নির্বাচিত হলে ট্রাম্প সম্ভবত ডিপিআরকে-র প্রতি একটি উল্লেখযোগ্য ভাবে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করবেন, যার ফলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বৃহত্তর কর্মসূচি প্রভাবিত হবে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা দিয়ে এবং কিম জং উনের সঙ্গে তিন বার বৈঠক করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। এই পদক্ষেপগুলি ট্রাম্পের অনির্দেশ্যতা এবং অপ্রচলিত কূটনৈতিক শৈলীকে প্রদর্শন করলেও তা একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে এবং এই অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্যকে অস্থিতিশীল করেছে। পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধ সঙ্কেত এবং রাষ্ট্রীয় আচরণের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে… সেই প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত প্রতিরোধের উপর নির্ভরশীল, যা তাকে এক বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ট্রাম্পের নেতৃত্ব থেকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ক্ষেত্রে আরও উদার মনোভাব উভয় পক্ষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প জয়ী হলে তিনি কিম জং উনের সঙ্গে আবার সম্পর্ক স্থাপন করবেন এবং এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র বজায় রাখার ডিপিআরকে-র শর্ত মেনে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই অবস্থান সম্ভবত জোটে ফাটল সৃষ্টি করবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিকীকরণকে সমর্থনকারী রক্ষণশীলদের একটি অংশকে উৎসাহিত করবে।
দ্বিপাক্ষিক নেতৃত্বে ইউন-বাইডেন সময়কাল কাঠামোগত অসঙ্গতিগুলি অপসারণ এবং সম্পর্কের মধ্যে সম্ভাব্যতা নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
বাইডেন তাঁর ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক নীতি যেমন ক্যাম্প ডেভিডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক জোট এবং অউকাস চুক্তির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরে কৌশলগত ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছেন। দ্বিপাক্ষিক নেতৃত্বে ইউন-বাইডেন সময়কাল কাঠামোগত অসঙ্গতিগুলি অপসারণ এবং সম্পর্কের মধ্যে সম্ভাব্যতা নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
তাইওয়ানের আকস্মিকতা
ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষের অবস্থান কঠোর হয়েছে। মার্কিন সেনেট ২০২২ সালে তাইওয়ান নীতি আইনের প্রস্তাব করেছে যা তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সংশোধন করতে চায়। তবে চিনের পদক্ষেপগুলি দর্শায় যে, চিন তাইওয়ান আক্রমণ করার জন্য একটি সময়সীমা স্থির করেই এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিগুলি প্রশান্ত মহাসাগরের প্রচলিত এবং কৌশলগত… উভয় নিরাপত্তা ভারসাম্যকেই অচলাবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। এই অঞ্চলে উদীয়মান প্রতিযোগিতামূলক মিশ্রণটি সিওলে এক কৌশলগত দ্বিধার জন্ম দিয়েছে। দ্বিধাটি হল জোটের প্রতিশ্রুতি এবং চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন জোটের সঙ্গে থেকে ফাঁদে পড়ার ভয়ের মধ্যে কোনও একটি পথ বেছে নেওয়া। প্রেসিডেন্ট ইউনের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়া তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে একটি স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে এগোলেও জাপানের বিপরীতে এটি এখনও তাইওয়ানে কোনও আকস্মিক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও সম্মিলিত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এটি সম্ভবত বিতর্কের একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনকে নিরস্ত করার লক্ষ্যে তার সম্পদগুলি কৌশলগত ভাবে ব্যবহারের পুনরায় পরিকল্পনা করছে। ট্রাম্প জয়ী হলে তাইওয়ানের প্রেক্ষিতে ইউএসএফকে-র ভূমিকা উত্তর কোরিয়া থেকে চিনে জোটের মনোযোগ স্থানান্তরিত করার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে এলব্রিজ কোলবি - যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের একটি উল্লেখযোগ্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন - এই মতামতটি তুলে ধরেছিলেন, এমনকি তিনি উত্তর কোরিয়ার পরিবর্তে ‘ইউএসএফকে-কে চিন সম্পর্কিত প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য আমূল সংস্কার করা’র প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ ব্যক্ত করেছিলেন। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার কৌশলগত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আত্মরক্ষার গুরুত্ব এবং মার্কিন-আরওকে জোটকে পুনরায় দেখার বিষয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। জাপানের সঙ্গে এর ঐতিহাসিক ভাবে জটিল সম্পর্ক সিওলকে কৌশলগত স্পষ্টতা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হয়নি।
এই পরিস্থিতিগুলি প্রশান্ত মহাসাগরের প্রচলিত এবং কৌশলগত… উভয় নিরাপত্তা ভারসাম্যকেই অচলাবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। এই অঞ্চলে উদীয়মান প্রতিযোগিতামূলক মিশ্রণটি সিওলে এক কৌশলগত দ্বিধার জন্ম দিয়েছে। দ্বিধাটি হল জোটের প্রতিশ্রুতি এবং চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন জোটের সঙ্গে থেকে ফাঁদে পড়ার ভয়ের মধ্যে কোনও একটি পথ বেছে নেওয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কিছু সিদ্ধান্ত যেমন কোরিয়া-ইউএস মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (কোরাস) সংস্কারের সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে এবং এমনটা হচ্ছে যখন ট্রাম্প নির্বাচনী সমীক্ষা এবং তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। এর বিপরীতে বাইডেন পরবর্তী প্রশাসন ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্সির অধীনে মার্কিন-আরওকে সম্পর্কের স্থিতিশীলতার উপর বাজি রাখতে চলেছে। এই অভিমুখে গত চার বছরে হওয়া অগ্রগতি এবং বিশেষ করে প্রযুক্তি-সহযোগিতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাজির পথ প্রশস্ত করেছে।
বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো।
অভিষেক শর্মা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.