ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন উন্নয়ন সহায়তা, বহুপাক্ষিকতা ও বিদেশ নীতিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। নতুন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ প্রকাশের পর ইউএসএড-এর জন্য সমস্ত বৈদেশিক সহায়তা উদ্যোগের পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছেন, যার লক্ষ্য সেগুলিকে মার্কিন বিদেশনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা। 'স্টপ ওয়ার্ক' আদেশ সমস্ত বিদেশি উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কিছু নির্দিষ্ট ব্যতিক্রম বাদে, যেমন জরুরি খাদ্য সহায়তা। যদিও ঘোষণাটি আশ্চর্যজনক ছিল না, এর গতি, মাত্রা ও আয়তন অপ্রত্যাশিত ছিল। আদেশটি বিশ্বজুড়ে ইউএসএড প্রকল্পগুলিকে স্থগিত করেছে।
নতুন সরকার একটি স্বার্থভিত্তিক ও বাস্তববাদী পদ্ধতি বেছে নিচ্ছে, যা সম্ভবত তার নৈতিক বা এমনকি আইনি দায়িত্বগুলিকে হ্রাস করতে পারে।
জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির স্বার্থের সঙ্গে মানবিক সহায়তার সারিবদ্ধতা একটি নতুন ঘটনা নয় এবং বাইডেন প্রশাসনের সময়ও তা ঘটেছিল, যেমন বিশেষ করে ইজরায়েলকে কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়া। তবে বাইডেনের সময় তা ছিল সাধারণভাবে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও মানবাধিকার সুরক্ষার উপর জোর দিয়ে সহায়তার জন্য একটি নীতিগত পদ্ধতি। নিরপেক্ষতা ও মানবতার আদর্শ কাঠামো আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য নতুন সরকারের পদ্ধতিতে অগ্রাধিকার পাবে না। নতুন সরকার একটি স্বার্থভিত্তিক ও বাস্তববাদী পদ্ধতি বেছে নিচ্ছে, যা সম্ভবত তার নৈতিক বা এমনকি আইনি দায়িত্বগুলিকে হ্রাস করতে পারে। এটি সম্ভবত ওয়াশিংটনকে তার কয়েক দশক ধরে গড়ে তোলা মানবিক সহায়তার প্রবর্তক ও তহবিল প্রদানকারী হিসাবে প্রাপ্ত বৈধতা থেকে মুক্ত করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্বব্যাপী মানবিক কর্মকাণ্ডের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছে। যদিও এটি ঐতিহাসিকভাবে মানবিক খাতে একটি মূল দাতা ছিল, বিদেশী সহায়তা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র ফেডারেল বাজেটের এক শতাংশেরও কম।
একটি স্বার্থভিত্তিক পদ্ধতির দিকে বৃহত্তর স্থানান্তর
ট্রাম্পের যুগে রাজনীতি ও মানবিক সহায়তার মধ্যে সম্পর্কে কি বিদেশনীতির উদ্দেশ্যগুলির দ্বারা ক্রমবর্ধমানভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে? সহায়তার ক্রমবর্ধমান রাজনীতিকরণ ও নিরাপত্তাকরণের মধ্যে কীভাবে সর্বজনীনতা বা নিরপেক্ষতার মৌলিক মূল্যবোধ বজায় রাখা যেতে পারে?
যদিও মানবতাবাদীরা সহায়তার ক্ষেত্রে সাধারণ পরিষদের ৪৬/১৮২ প্রস্তাবে বর্ণিত একটি আদর্শগত পদ্ধতি ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে সুবিধাভোগীদের দেওয়া সহায়তার ধরন ও পরিমাণ দাতাদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়েছে। মানবিক সহায়তা খুব কম সময়েই নিরপেক্ষ, পরোপকারী বা অরাজনৈতিক ছিল, কারণ এটি দাতা রাষ্ট্রগুলির জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে ক্রমবর্ধমানভাবে আবদ্ধ থেকেছে এবং আয়োজক দেশগুলির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাকে প্রভাবিত করেছে। এটি তার ভূমিকা ও আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক ব্যবস্থায় অবস্থান দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে।
মানবিক সহায়তা খুব কম সময়েই নিরপেক্ষ, পরোপকারী বা অরাজনৈতিক ছিল, কারণ এটি দাতা রাষ্ট্রগুলির জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে ক্রমবর্ধমানভাবে আবদ্ধ থেকেছে এবং আয়োজক দেশগুলির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাকে প্রভাবিত করেছে।
ঠান্ডাযুদ্ধের যুগে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার জন্য রাষ্ট্রগুলির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মানবিক সহায়তা-সহ সীমিত আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছিল। এটি বিদেশি প্রভাব থেকে মুক্ত স্বায়ত্তশাসনের অধিকারকে সমুন্নত রাখতে, এবং রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সংঘর্ষের প্রবণতা হ্রাস করার জন্য, উপনিবেশকরণ প্রক্রিয়া ভাঙার সঙ্গেও যুক্ত ছিল। যাই হোক, ঠান্ডাযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নির্দেশক কাঠামো পরিবর্তিত হয়, এবং আরও একটি হস্তক্ষেপবাদী প্রক্রিয়া আবির্ভূত হয়। এটি সহায়তার উপর একটি ট্রিকল-ডাউন (চুঁইয়ে পড়া) প্রভাব ফেলেছিল, এবং রাজনীতি থেকে বিদেশি সহায়তাকে বিচ্ছিন্ন করা বাঞ্ছনীয় বা সম্ভব নয় বলে দাবিকে কেন্দ্র করে একটি নতুন মানবিক মডেলের পথ তৈরি করেছিল, যা ছিল এর মৌলিক নিয়ম থেকে বিচ্যুতি। ৯/১১-র সেপ্টেম্বরের হামলার পর এই দৃষ্টিভঙ্গি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন মানবিক কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবে জাতীয় নিরাপত্তা মডেলে একীভূত হয়ে যায়। বিশেষ করে ওয়াশিংটনের স্থানীয় খেলোয়াড়দের থেকে সমর্থন জোগাড় করতে, সামরিক গোয়েন্দা তথ্য পেতে, এবং এর নরম শক্তি বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে সহায়তা দেওয়ার উত্তরাধিকার রয়েছে।
সহায়তা গ্রহীতা দেশগুলির বিদেশি, অভ্যন্তরীণ ও ভূ-রাজনৈতিক নীতিগুলিকে প্রভাবিত করার জন্য নিয়মিতভাবে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। উন্নয়ন সহায়তার অজুহাতে কিছু সহায়তাদানকারী রাষ্ট্রগুলির সার্বভৌমত্ব হরণ করেছে। এটি দাতা রাষ্ট্রগুলিকে নিজেদের উচ্চতর অবস্থান পোক্ত করতে এবং বৈশ্বিক শৃঙ্খলায় আবদ্ধ কাঠামো বজায় রাখতে সক্ষম করেছে। তহবিলদাতারা কম সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলির জন্য তাদের সহায়তার বিনিময়ে সমর্থনের দাবি জানিয়ে এসেছে। এর ফলে সুবিধাভোগীরা তাদের রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ ও স্বায়ত্তশাসন হারিয়েছে।
বিদেশী কর্মসূচিতে সহায়তা স্থগিতের প্রভাব
ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তার উপর সর্বশেষ বিরতিটি দীর্ঘায়িত মানবিক সংকট বা ভঙ্গুর রাষ্ট্রীয়তা থেকে উত্তরণের সম্মুখীন দেশগুলির জন্য আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সহায়তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এটি মানবিক সংস্থাগুলির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে, যারা শুধুমাত্র আর্থিক নয়, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামাজিক সমর্থনের জন্য তাদের ম্যান্ডেট অর্জনের প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে। ইউএসএড দ্বারা নিযুক্ত অংশীদার ও ঠিকাদারদের ক্ষেত্রে হয় তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বা স্থগিত রাখা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর মায়ানমারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধার কারণে এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বার্মিজ শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বৃত্তি কর্মসূচি (ডিআইএসপি) তৈরি করা হয়েছিল।
সহায়তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের ঘাটতি এবং তাই-মায়ানমার সীমান্তে পরিচালিত কিছু স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক বন্ধ করার বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে । এরা মায়ানমারের আনুমানিক ১০০,০০০ দীর্ঘদিনের উদ্বাস্তুদের দেখভাল করে। যদিও দুর্বল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, চলতি সংঘাত, এবং স্টপ-ওয়ার্ক অর্ডার জারির আগেও অপ্রতুল আন্তর্জাতিক সমর্থনের কারণে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জিং ছিল, মানবিক কর্মকর্তারা মৌলিক পরিষেবা প্রদানের জন্য অন্তত কিছু স্থায়ী সুবিধা-কেন্দ্র চালাতে সক্ষম হয়েছিল। সীমান্তের ওপারে, মায়ানমারের অনেক অংশে, বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বা সদ্য মুক্ত হওয়া অঞ্চলে এনজিও-গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা সেবা ও আশ্রয়ের মতো প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। তাদের ক্রিয়াকলাপও ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জনসম্প্রদায়গুলির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। স্থগিতাদেশ শরণার্থীদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিও ব্যাহত করেছে। অভ্যুত্থানের পর মায়ানমারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধার কারণে এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বার্মিজ শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বৃত্তি কর্মসূচি (ডিআইএসপি) তৈরি করা হয়েছিল।
যদিও শরণার্থী শিবির ও বসতিতে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, অনেক মিডিয়া আউটলেটগুলি এ কথা উপেক্ষা করেছে যে এই অব্যাহতি অন্য সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলিতে প্রসারিত হবে না, যেমন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যা জনসম্প্রদায়কে নিরাপত্তা প্রদান করছে। এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনেও এই বিরতি প্রভাব ফেলতে পারে। ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিধি সাধারণত নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অনন্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে । স্টপ-ওয়ার্ক অর্ডার ওয়াশিংটনকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য পর্যবেক্ষণ সহায়তা প্রদান থেকে বিরত রাখতে পারে। ভোটে কারচুপি, রাজনৈতিক হিংসা ও নির্বাচনী পক্ষপাতদুষ্টতা দ্বারা চিহ্নিত ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনগুলি পরপর অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং এখন শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা শুধুমাত্র দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করার জন্য নয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্যও প্রয়োজনীয় হবে।
নতুন সরকারেরও 'জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা' সম্পর্কে বোধের গভীর অভাব রয়েছে, কারণ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও সুবিধাবঞ্চিত জনসম্প্রদায়গুলিকে বাঁচানোর অনেকগুলি কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে।
সহায়তা-নির্ভর দেশ হিসাবে আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি কয়েক দশক ধরে অনিশ্চিত ছিল, কিন্তু আগস্ট ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে উন্নয়ন তহবিল স্থগিত করার কারণে এটি আরও খারাপ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাজনৈতিক জমানাটির সঙ্গে কাজ করা, বিচ্ছিন্ন করা, বা বিরোধিতা করার প্রশ্নে দ্বিধায় রয়ে গিয়েছে। অনেক মানবিক সংস্থা তাদের কর্মসূচি আরও কমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্য ধরনের সাহায্য প্রদানকারী অ-লাভভিত্তিক গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ বা স্থগিত করেছে। আফগান স্পেশাল ইমিগ্র্যান্ট ভিসা (এসআইভি) কর্মসূচি স্থগিত করার ফলে প্রাক্তন আফগান অংশীদারদের জন্য এবং তৃতীয় দেশে আটকে থাকা আফগানদের জন্যও এই প্রশ্নে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে যে তাঁরা এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারবেন কি না। কতটা তহবিল স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবে বা কোন কর্মসূচিগুলি আবার শুরু হবে, তা এই পর্যায়ে এখনও অনিশ্চিত। বিদেশী সাহায্যের ইস্যুটি হল নতুন সরকারের কৌশলের সূচনা, যেখানে মানবিক সহায়তা কীভাবে দেশের জন্য উপকারী হবে তা মূল্যায়ন করা হবে। একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী উদ্বাস্তুদের দেওয়ার মতো কিছু নেই; এটা অসম্ভাব্য যে নতুন সরকার এই দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছুক হবে। নতুন সরকারের 'জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা' সম্পর্কে বোধের গভীর অভাব রয়েছে, কারণ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও সুবিধাবঞ্চিত জনসম্প্রদায়গুলিকে বাঁচানোর অনেকগুলি কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে। অনেক মানবিক গোষ্ঠী আতঙ্ক ও কীভাবে নির্বিচারে জারি করা আদেশ থেকে রেহাইয়ের জন্য আবেদন করতে হবে তা নিয়ে স্বচ্ছতার অভাবের কথা জানিয়েছে। তাদের আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি, কারণ এই ভাষ্য লেখার সময় সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপসংহার
ক্রমবর্ধমানভাবে গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে এমন সঙ্কট ও বিপর্যয়ের মাত্রা মানবিক ক্ষেত্রকে প্রসারিত করেছে। সংস্থাগুলি সীমিত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ তহবিলের পাশাপাশি নতুন সংকটের ফলে আরও বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দাতা দেশগুলির স্বেচ্ছাসেবী তহবিলের উপর নির্ভর করে এমন এজেন্সি বা সংস্থাগুলি ট্রাম্প সরকারের জারি করা সর্বশেষ আদেশ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। মানবতাবাদী কর্মীরা কীভাবে সহায়তার বিকল্প উৎসগুলি সন্ধান করবে, অথবা অন্য দাতা দেশগুলি শূণ্যতা পূরণে সহায়তা গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করতে এগিয়ে আসবে কি না, তা দেখা বাকি রয়েছে। যাই হোক, এটি দীর্ঘমেয়াদে পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যেতে পারে, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ফ্রন্টে নয়, বহুপাক্ষিকতার ক্ষেত্রেও।
দাতা দেশগুলির স্বেচ্ছাসেবী তহবিলের উপর নির্ভর করে এমন এজেন্সি বা সংস্থাগুলি ট্রাম্প সরকারের জারি করা সর্বশেষ আদেশ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে।
ইতিমধ্যে, মানবতাবাদী কর্মীরা সহায়তা বরাদ্দের ক্ষেত্রে আরও বেশি ঝাড়াই-বাছাই শুরু করতে পারেন। এই অনুশীলন, যাই হোক, শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকর নয়, বরং বিভিন্ন সংকটে দাতাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন তাত্ত্বিক প্রত্যাশাও প্রকাশ করে । এই ধরনের বিচক্ষণতা বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে একটি আদর্শিক ব্যবস্থায় বিকশিত হতে বাধা দিতে পারে। এই নিবন্ধটি দেখিয়েছে যে রাজনীতি ও সহায়তার সংমিশ্রণ বিপরীতমুখী এবং তা মানবিক নিয়মগুলিকে দুর্বল করে। যদিও বৈদেশিক সাহায্য কার্যগতভাবে অর্থনৈতিক, তবে স্থানীয় সংস্থা ও জনসম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সংবেদনশীলতা থেকে এটিকে বিযুক্ত না-করাই উচিত। সহায়তা-ভোগীদের স্বার্থ, সংস্থা ও কণ্ঠস্বর যাতে পূরিত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এই সহায়তা মডেলগুলিতে মানব উন্নয়নকে আরও ভালভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
রোশনি কাপুর গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডক্টরাল ছাত্রী।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.