Published on Jan 06, 2024 Updated 0 Hours ago

স্বয়ংসক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে, স্থিতিশীলতার অনুসারী অনুশীলনগুলি আঁকড়ে ধরে, এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করে ভারত কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে পারে

জলবায়ু পরিবর্তন, ভারতীয় জনতত্ত্ব, এবং মূল্যস্ফীতির ত্রিমূর্তি

জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা মূল্যস্ফীতির (‌ইনফ্লেশন)‌ হারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। ভারত, অন্যান্য দেশের মতো, জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ছেদবিন্দুটি নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জলবায়ু কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এ কথা স্বীকার করা অপরিহার্য যে আগামী দশকে মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। জলবায়ু–প্ররোচিত সরবরাহ সীমাবদ্ধতা, জনসংখ্যার ক্রমবিকাশের ধরন, এবং জলবায়ু ক্রিয়াকলাপের ফলাফল পেতে কতটা সময় লাগবে — এই তিনটির পারস্পরিক ক্রিয়া অনুধাবন করা ভারতে কার্যকরভাবে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বৈচিত্র্যময় ভূগোল ও কৃষির উপর প্রচুর নির্ভরতাসম্পন্ন ভারতের
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা অনস্বীকার্য। অনিয়মিত বর্ষা, চরম আবহাওয়ার ঘটনা, এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা কৃষি উৎপাদনশীলতাকে ব্যাহত করে, যার ফলে সরবরাহ–পার্শ্বে ধাক্কা লাগে, এবং পরবর্তীকালে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি হয়। পাইকারি মূল্যসূচক (ডব্লিউপিআই) ও ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) দুটোতেই সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জলবায়ু–প্ররোচিত সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে, বিশেষ করে খাদ্যের দামে।


মূল্যস্ফীতির উপর এই ব্যাঘাতের প্রভাব সমগ্র অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়, যা পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং খরচ করার যোগ্য আয়কে প্রভাবিত করে।



কৃষি উৎপাদন, যা ভারতের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে  নিয়োগ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে সংবেদনশীল।
খরা, বন্যা ও কীটপতঙ্গের উপদ্রব ফসলের ফলনকে ব্যাহত করেছে, যার ফলে সরবরাহ কমে গিয়েছে এবং দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির উপর এই ব্যাঘাতের প্রভাব সমগ্র অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়, যা পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং খরচ করার যোগ্য আয়কে প্রভাবিত করে।

যদিও জলবায়ু সক্রিয়তাগুলি একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এ কথা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে সেগুলি মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে অবিলম্বে স্বস্তি নাও পেতে পারে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসে অতিক্রমণ, নির্গমন হ্রাস ব্যবস্থা  বাস্তবায়ন, এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর জন্য
যথেষ্ট বিনিয়োগ ও সময় প্রয়োজন। এই উদ্যোগগুলি দীর্ঘমেয়াদে উপকারী হলেও এগুলির স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে, যা মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়িয়ে তোলে।


ভারতীয় জনতত্ত্ব এবং উপভোগ


ভারত, তার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির সঙ্গে উপভোগের ধরনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী হচ্ছে। ভারতের তরুণ জনসংখ্যা, যা ৩৫ বছরের কমবয়সীদের একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাতের প্রতিনিধিত্ব করে, তা সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দুটোই নিয়ে আসে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বর্ধিত খরচযোগ্য আয়ের ফলে
উচ্চতর খরচের ধরন তৈরি হতে পারে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও ইন্ধন জোগাতে পারে। অল্পবয়সী জনসংখ্যার মধ্যে শহুরে জীবনধারা গ্রহণ করার প্রবণতা উপভোগের ধরন ও মূল্যস্ফীতিকে আরও প্রভাবিত করে। নগরায়ণ ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই তৈরি খাবারের দোকান ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেগুলির দাম প্রায়শই ঐতিহ্যগত বিকল্পগুলির চেয়ে বেশি। ব্র্যান্ডেড পণ্য ও প্রিমিয়াম পরিষেবাগুলির জন্য ক্রমবর্ধমান পছন্দগুলিও উপভোক্তাদের ব্যয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। এই কারণগুলি সম্মিলিতভাবে মূল্যের উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ ফেলে এবং সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতির প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে।


তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বর্ধিত খরচযোগ্য আয়ের ফলে উচ্চতর খরচের ধরন তৈরি হতে পারে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও ইন্ধন জোগাতে পারে।



জলবায়ু–প্ররোচিত
সরবরাহ সীমাবদ্ধতার মতো অন্যান্য কারণের সঙ্গে মিলিত হলে খরচের এই বৃদ্ধি ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির প্রবণতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। পণ্য এবং পরিষেবাগুলির চাহিদা তাদের সরবরাহকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে দাম বাড়তে থাকে। খাদ্য এবং শক্তির মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে, যা পরিবারের বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গঠন করে, মূল্যস্ফীতির চাপ বিশেষভাবে স্পষ্ট হয়ে দেখা দিতে পারে।

ক্রমবর্ধমান উপভোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন–প্ররোচিত সরবরাহের সীমাবদ্ধতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক একটি জটিল গতিশীলতা উপস্থাপন করে। জলবায়ু–সম্পর্কিত ব্যাঘাত, যেমন অনিয়মিত বর্ষা, চরম আবহাওয়ার ঘটনা এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, সরাসরি কৃষি উৎপাদনশীলতা ও খাদ্যের দামকে প্রভাবিত করতে পারে। যেহেতু খাদ্য ও কৃষিপণ্যের চাহিদা বেশি থাকে, জলবায়ু–সম্পর্কিত কারণে সরবরাহের ঘাটতি মূল্যস্ফীতির চাপকে আরও তীব্র করতে পারে।

ক্রমবর্ধমান উপভোগ এবং মুদ্রাস্ফীতির উপর এর প্রভাবের উদ্বেগগুলি সমাধান করার জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। প্রথমে এবং সর্বাগ্রে, স্থিতিশীলতার অনুসারী খরচের ধরন তৈরি করা প্রয়োজন, যা সম্পদের দক্ষতা ও পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয়। দায়িত্বশীল উপভোগের অভ্যাসকে উৎসাহিত করা এবং অত্যধিক উপভোগের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করা চাহিদা ও মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।


নীতিনির্ধারক ও নিয়ামকেরা ক্রমবর্ধমান উপভোগের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির প্রবণতার ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।



উপরন্তু, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে এবং সরবরাহের সীমাবদ্ধতা কমাতে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু–স্থিতিস্থাপক কৃষি অনুশীলন বাস্তবায়ন,
সেচ ব্যবস্থার উন্নতি এবং কৃষকদের জন্য ঋণ ও প্রযুক্তিতে আরও ভাল সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে ভারত কৃষি উৎপাদনকে শক্তিশালী করতে পারে, এবং সরবরাহের ঘাটতি থেকে উদ্ভূত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে পারে।

এ ছাড়া, নীতিনির্ধারক ও নিয়ামকেরা ক্রমবর্ধমান উপভোগের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির প্রবণতার ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কার্যকর আর্থিক নীতি প্রণয়ন, মূল্য স্থিতিশীলতা প্রচার এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করা মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তা ছাড়া, সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহিত করা, এবং আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে গৃহীত ব্যবস্থাগুলি মূল্যস্ফীতি চাপ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও মূল্যস্ফীতি দ্বারা সৃষ্ট
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য ভারতীয় আর্থিক ক্ষেত্রের একটি সক্রিয় ও দায়িত্বশীল পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। ঝুঁকি মূল্যায়ন ও প্রশমন, স্থিতিশীল উদ্যোগে বিনিয়োগ, এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করা একটি স্থিতিস্থাপক ও কম–কার্বন ভবিষ্যতের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অবশ্যই স্থিতিশীলতার অনুসারী অনুশীলনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, জলবায়ু লক্ষ্যগুলির সঙ্গে বিনিয়োগকে সারিবদ্ধ করতে হবে, এবং সবুজ অর্থনীতিতে উত্তরণে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে হবে। এটি করার মাধ্যমে তারা মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে রক্ষা করতে পারে এবং ভারতকে আরও স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং মূল্যস্ফীতির সংযোগস্থলটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা প্রয়োজন:

রূপান্তরকালীন খরচ: কম–কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, পরিকাঠামোগত আধুনিকীকরণ এবং টেকসই প্রযুক্তিতে যথেষ্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন। যদিও এই বিনিয়োগগুলি জলবায়ু কর্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, একইসঙ্গে এগুলি দামের উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা সম্ভাব্য স্বল্পমেয়াদি মূল্যস্ফীতি চাপের দিকে চালিত করে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর নিশ্চিত করতে এই ক্রান্তিকালীন খরচগুলির সঠিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।

নিয়ামক অনিশ্চয়তা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রয়াস অনিবার্যভাবে নতুন পরিবেশগত বিধি ও নীতি প্রবর্তন করবে। এই পরিবর্তনগুলি বাজারে অনিশ্চয়তা নিয়ে আসতে পারে, বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতি চাপে অবদান রাখতে পারে। নীতিনির্ধারকদের তরফে কার্যকর যোগাযোগ–সহ স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রবিধান এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

শক্তি এবং পণ্যের দাম: জলবায়ু সক্রিয়তা প্রায়শই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে যায়, যা শক্তি ও পণ্যের বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং স্থিতিশীল প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের দামের ওঠানামা মূল্যস্ফীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। একটি স্থিতিশীল ও বৈচিত্র্যময় শক্তির মিশ্রণ নিশ্চিত করা, এবং সম্পদের দক্ষতার দিকে নজর দেওয়া হলে তা সম্ভাব্য দামের ধাক্কা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।


আর্থিক ক্ষেত্রের দায়িত্ব


জলবায়ু পরিবর্তন ও মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জগুলি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য আর্থিক ক্ষেত্রকে অবশ্যই কিছু দায়িত্ব নিতে হবে:

ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করা: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের অনুশীলনে জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়নকে একীভূত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে জলবায়ু–সম্পর্কিত ঝুঁকি চিহ্নিত করা, পরিমাপ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সামনে সেই সম্পর্কিত স্বচ্ছ তথ্য প্রকাশ করা। সম্পদ ও দায়গুলির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাবগুলি অনুধাবন করা মূল্যস্ফীতিজনিত ঝুঁকিগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার প্রশ্নে আর্থিক ক্ষেত্রের ক্ষমতা বাড়ায়।

স্থিতিশীল বিনিয়োগ কৌশল: জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এমন স্থিতিশীল বিনিয়োগ কৌশল গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ প্রকল্প, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগ, ও টেকসই ব্যবসার জন্য মূলধন বরাদ্দ করা শুধুমাত্র পরিবেশগত স্থিতিস্থাপকতাকেই উৎসাহিত করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও নিয়ে আসে। এই ধরনের বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অবদান রাখে, এবং একটি স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে সমর্থন করে।

‌সহযোগিতা এবং জ্ঞান ভাগাভাগি: আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ামক সংস্থা ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সহযোগিতা ও জ্ঞান ভাগাভাগিকে উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোত্তম অনুশীলন, গবেষণা ও অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নেওয়া উদ্ভাবনী আর্থিক  উপকরণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সরঞ্জামগুলির বিকাশকে সহজতর করে। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষেত্র জলবায়ু সক্রিয়তা ও মূল্যস্ফীতির জটিলতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা বাড়াতে পারে।



উপসংহার


এক স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে ভারতের যাত্রার জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন, যা অভীষ্ট অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে জলবায়ু সক্রিয়তাকে একীভূত করে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও মূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অর্থনীতি এবং নাগরিকদের মঙ্গলের জন্য অপরিহার্য। সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে, স্থিতিশীলতার অনুসারী অনুশীলন গ্রহণ করে, এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করে ভারত কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো আর্থিক নিয়ামকদের জন্য মূল্যস্ফীতি পরিচালনা করা হবে একটি পূর্ণকালীন ভূমিকা। শুধুমাত্র সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ এমন একটি স্থিতিশীল ও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারে যা পরিবেশ ও জনগণ উভয়েরই উপকার করবে।



শ্রীনাথ শ্রীধরন অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.