Published on Jun 30, 2023 Updated 0 Hours ago

বিগ ডেটা, রেগটেক, ও সুপারটেক ব্যবস্থাগত আর্থিক স্থিতিস্থাপকতা ‌বৃদ্ধি এবং আর্থিক তত্ত্বাবধান উন্নত করার জন্য উল্লেখযোগ্য সুযোগ নিয়ে আসে

বিগ ডেটা, রেগটেক, সুপারটেক ত্রয়ী: আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের জন্য সর্বরোগহর দাওয়াই না সমস্যা?

বিশ্বজুড়ে আর্থিক ব্যবস্থা গত এক দশকে বড় আকারের পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি হল আর্থিক কাজে বিশাল ডেটা ব্যবহার ও ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবার বৃদ্ধি, বিশেষ করে ফিনটেকের ক্ষেত্রে। আর্থিক বাজারগুলিও অতীতের থেকে ভিন্ন হয়ে গিয়ে আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতির হয়ে উঠেছে।

ডেটা ওভারলোড তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়ামক ও তদারকি কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার হুমকি দেয়। আর্থিক নিয়ামকদের বৃহত্তর দায়িত্ব হল আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বাজার শাসন ও ভোক্তা সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এটি তাদের জন্য ডেটা–নেতৃত্বাধীন ঝুঁকিভিত্তিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে। বিগ ডেটা, রেগটেক (রেগুলেটরি বা নিয়ামক প্রযুক্তি), ও সুপটেক (সুপারভাইসরি বা তত্ত্বাবধায়ক প্রযুক্তি)–এর বিস্তার আর্থিক তত্ত্বাবধান, প্রবিধান ও নীতিনির্ধারণে বিপ্লব ঘটানো এবং আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে যে কোনও উদীয়মান প্রযুক্তির মতোই এই অগ্রগতিগুলি একটি সর্বরোগহর দাওয়াই না পদ্ধতিগত আর্থিক স্থিতিস্থাপকতার জন্য একটি সমস্যা, সে বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

আর্থিক নিয়ামকদের বৃহত্তর দায়িত্ব হল আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বাজার শাসন ও ভোক্তা সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

বিগ ডেটা, প্রতিদিন উৎপন্ন ডেটার বিশাল ও বৈচিত্র্যময় পরিমাণ, আর্থিক নিয়ামক ও তদারকি কর্তৃপক্ষের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার উপর নজরদারি ও বিশ্লেষণ করার পদ্ধতিতে বিপ্লব নিয়ে আসতে সক্ষম। রিয়েল টাইমে বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতাসহ বিগ ডেটা নিয়ামক ও তদারকি কর্তৃপক্ষকে বাজারের প্রবণতা, ঝুঁকি ও সম্ভাব্য দুর্বলতার বিষয়গুলিতে অভূতপূর্ব অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। এটি তাদের উদীয়মান ঝুঁকিগুলিকে আরও দ্রুত সনাক্ত করতে ও প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম করে, এবং আর্থিক ব্যবস্থাকে আরও স্থিতিস্থাপক করে তোলে।

অন্যদিকে রেগটেক ও সুপটেক বলতে নিয়ামক নির্দেশের অনুবর্তিতা ও তত্ত্বাবধান প্রক্রিয়াগুলিকে মসৃণ ও স্বয়ংক্রিয় করতে প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়। রেগটেক সমাধানগুলি রিপোর্টিং, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও অনুবর্তিতা পর্যবেক্ষণের মতো কাজগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করতে বিগ ডেটার সুযোগ নেয়;‌ আর সুপটেক সমাধানগুলি ডেটা বিশ্লেষণ, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও নিয়ামক রিপোর্টিংয়ের মতো তদারকি প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করতে উন্নত বিশ্লেষণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে৷ এই প্রযুক্তিগুলি অনুবর্তিতা প্রক্রিয়াগুলিকে মসৃণ করতে পারে, স্বয়ংক্রিয় রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে, এবং নিয়ামক তদারকিকে সহজতর করতে পারে। এর ফলে ব্যয়হ্রাস, দক্ষতা লাভ ও উন্নত অনুবর্তিতার মতো ফলাফল পাওয়া যায়৷ রেগটেক সমাধানগুলি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ডেটা বিশ্লেষণ, প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জটিল প্রবিধানগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে সাহায্য করতে পারে, যেমন অ্যান্টি–মানি লন্ডারিং (এএমএল), আপনার গ্রাহককে জানুন (কেওয়াইসি), এবং সাধারণ ডেটা সুরক্ষা নিয়ন্ত্রণ (জিডিপিআর)।

উদীয়মান প্রযুক্তিগুলিও বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করে। বিগডেটা, রেগটেক ও সুপটেক বাজারের নজরদারি, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও বাজারের সততা বাড়াতে পারে, এবং তা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। এই প্রযুক্তিগুলি আন্তঃসীমান্ত ডেটা আদানপ্রদান ও আন্তঃকার্যযোগ্যতাকে সহজতর করতে পারে, এবং তা নিয়ামকদের ও নীতিনির্ধারকদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত উদ্যোগের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম করে।

রেগটেক সমাধানগুলি রিপোর্টিং, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও অনুবর্তিতা পর্যবেক্ষণের মতো কাজগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করতে বিগ ডেটার সুযোগ নেয়;‌ আর সুপটেক সমাধানগুলি ডেটা বিশ্লেষণ, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও নিয়ামক রিপোর্টিংয়ের মতো তদারকি প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করতে উন্নত বিশ্লেষণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে৷

তা ছাড়া আর্থিক নীতিনির্ধারকেরাও নিয়ামক নীতি ও কাঠামো গঠনে বিগ ডেটা, রেগটেক ও সুপটেকের সম্ভাবনা উপলব্ধি করেন। এই প্রযুক্তিগুলি নীতিনির্ধারকদের নিয়ামক কৌশলগুলি জানাতে এবং কার্যকর নীতি তৈরি করতে রিয়েল–টাইম অন্তর্দৃষ্টি, প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণের ক্ষমতা প্রদান করতে পারে। নীতিনির্ধারকেরা প্রবিধানের প্রভাব মূল্যায়ন করতে, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করতে, এবং পদ্ধতিগত সমস্যাগুলিকে সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করতে এই প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তাঁরা এই প্রযুক্তিগুলিকে জটিল ও আন্তঃসংযুক্ত আর্থিক ব্যবস্থা থেকে উদ্ভূত পদ্ধতিগত ঝুঁকিগুলির সনাক্তকরণ, পর্যবেক্ষণ ও প্রশমনের জন্য মূল্যবান হাতিয়ার হিসাবে দেখেন।

উল্টো দিকে বিগ ডেটা, রেগটেক ও সুপটেকের সম্ভাব্য মন্দ দিকগুলি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে৷ একটি উদ্বেগ হল ডেটা গুণমান ও ডেটা গোপনীয়তা কতটা নির্ভরযোগ্য। যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ও নিয়ামকেরা ক্রমবর্ধমানভাবে প্রচুর পরিমাণে ডেটার উপর নির্ভর করে, তাই ডেটার যথার্থতা, নির্ভরযোগ্যতা ও গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷ ডেটা লঙ্ঘন, সাইবার হুমকি, ও সংবেদনশীল ডেটাতে অননুমোদিত প্রবেশ আর্থিক ব্যবস্থার জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং জনসাধারণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

আরেকটি বিষয় হল নিয়ামক সালিসি ও প্রযুক্তিগত বিঘ্নের সম্ভাবনা। যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি রেগটেক ও সুপটেক সমাধানগুলি ব্যবহার করে, তাই এই ঝুঁকি রয়েছে যে নিয়ামক প্রয়োজনীয়তাগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাত ও প্রযুক্ত হতে পারে, যার ফলে নিয়ামক সংস্থার একতরফা ব্যবহার ও অসঙ্গতি দেখা দিতে পারে। তার উপর প্রযুক্তিগত অগ্রগমনের দ্রুত গতি ঐতিহ্যগত আর্থিক পরিষেবার ব্যবসায়িক মডেলগুলিকে ব্যাহত করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে কাজ  হারানো, বাজারের আধিপত্য ও পদ্ধতিগত ঝুঁকির দিকে চালিত করতে পারে।

উদীয়মান অর্থনীতিগুলি এই প্রযুক্তিগুলি গ্রহণ এবং তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, এবং তা সম্ভাব্য ডিজিটাল বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে এবং বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় বৈষম্যকে প্রসারিত করতে পারে।

তাছাড়া ডিজিটাল বিভাজন এবং ছোট আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উদীয়মান অর্থনীতির সম্ভাব্য বহিষ্করণ নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিগ ডেটা, রেগটেক, ও সুপটেক সমাধানগুলি গ্রহণ ও প্রয়োগ করার উপযোগী সম্পদ বা দক্ষতা থাকে না, যা একটি অসম প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করে এবং বাজার ক্ষমতা সম্ভাব্যভাবে বৃহত্তর খেলোয়াড়দের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হওয়ার দিকে চালিত করে। উদীয়মান অর্থনীতিগুলি এই প্রযুক্তিগুলি গ্রহণ এবং তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, এবং তা সম্ভাব্য ডিজিটাল বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে এবং বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় বৈষম্যকে প্রসারিত করতে পারে।

তার উপর অর্থের অস্ত্রায়ণ আরেকটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয়। যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও নিয়ামকেরা ঝুঁকি সনাক্তকরণ ও হ্রাসের জন্য বিগ ডেটা, রেগটেক ও  সুপটেকের উপর নির্ভর করে, তাই এই প্রযুক্তিগুলি খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ার বিপদ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সাইবার অপরাধীরা আর্থিক ডেটা অসদুদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে, আর্থিক ব্যবস্থাগুলিকে ব্যাহত করতে, বা আর্থিক জালিয়াতির জন্য ডেটা বিশ্লেষণ ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমের দুর্বলতাগুলিকে কাজে লাগাতে পারে। তার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা আর্থিক যুদ্ধের মতো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অর্থের অস্ত্রায়ণ বিশ্বব্যাপী আর্থিক স্থিতিশীলতা ও বাজারের সততার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অস্থির, অনিশ্চিত, দ্ব্যর্থবোধক বিশ্বের জটিলতাগুলির সঙ্গে বিগ ডেটা, রেগটেক ও সুপটেকের সম্মিলন ও অর্থের সম্ভাব্য অস্ত্রায়ণের মোকাবিলার জন্য একটি সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এটি ডেটা লঙ্ঘন, সাইবার হুমকি ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী ডেটা শাসন, ডেটা গোপনীয়তা সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানায়। ক্রমবর্ধমান আর্থিক ভূদৃশ্য ও উদীয়মান ঝুঁকির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নিয়ামক ও নীতি কাঠামোর ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও অভিযোজন প্রয়োজন। তাছাড়া, এই প্রযুক্তিগুলি যাতে কয়েকজন খেলোয়াড় বা দেশের একচেটিয়া হয়ে না–দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির প্রয়োজন।

যেহেতু বিগ ডেটাতে প্রায়শই একাধিক ক্ষেত্র থেকে ডেটা ব্যবহার জড়িত থাকে, তাই নিয়ামকদের এমন ডেটা–শেয়ারিং কাঠামোগুলিতে সহযোগিতা করতে হবে যেগুলি প্রাসঙ্গিক ডেটা সুরক্ষা ও গোপনীয়তা বিধি মেনে চলে।

আর্থিক বাজারের বিশ্বজোড়া প্রকৃতির অর্থই হল ঝুঁকিগুলি দ্রুত বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এবং তার ফলে সম্ভাব্যভাবে তাদের প্রভাব প্রসারিত হবে। বিশ্বের আর্থিক নিয়ামকেরা সামঞ্জস্যপূর্ণ নিয়ামক মান বৃদ্ধি ও আন্তঃসীমান্ত ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য ক্ষেত্রগুলির মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রবিধানের সমন্বয় সাধনের প্রয়াস, তথ্য আদান–প্রদান, নিয়ামক সালিসি রোধ করার জন্য তদারকি কার্যক্রম সমন্বয়, এবং সীমান্ত পেরিয়ে পরিচালিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একটি সমান প্রতিযোগিতা-ক্ষেত্রের প্রসার। আর্থিক নিয়ামকদের মধ্যে বিশ্বজোড়া সহযোগিতার আরেকটি ক্ষেত্র হল পদ্ধতিগত আর্থিক স্থিতিস্থাপকতা প্রচেষ্টায় বিগ ডেটা, রেগটেক ও সুপটেক ব্যবহারের জন্য সাধারণ মান ও নির্দেশিকাগুলির বিকাশ। সুনির্দিষ্ট মান এই প্রযুক্তির প্রয়োগে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে, আন্তঃকার্যযোগ্যতা সহজতর করতে, এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। ফাইনান্সিয়াল স্টেবিলিটি বোর্ড (এফএসবি) ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও)–এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই প্রযুক্তিগুলির দায়িত্বশীল ব্যবহারের উপযোগী সাধারণ নীতি ও নির্দেশিকা বিকাশের জন্য বিশ্বব্যাপী নিয়ামকদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছে৷ যেহেতু বিগ ডেটাতে প্রায়শই একাধিক ক্ষেত্র থেকে ডেটা ব্যবহার জড়িত থাকে, তাই নিয়ামকদের এমন ডেটা–শেয়ারিং কাঠামোগুলিতে সহযোগিতা করতে হবে যেগুলি প্রাসঙ্গিক ডেটা সুরক্ষা ও গোপনীয়তা বিধি মেনে চলে। এর জন্য ডেটা গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার সময় কার্যকর আন্তঃসীমান্ত ডেটা প্রবাহ সক্ষম করার জন্য নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে ডেটা শাসন নীতি ও অনুশীলনগুলির সমন্বয় এবং সারিবদ্ধকরণ প্রয়োজন।

বিগ ডেটা, রেগটেক ও সুপটেক পদ্ধতিগত আর্থিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো, এবং সেইসঙ্গেই আর্থিক তত্ত্বাবধান, প্রবিধান, নীতি প্রণয়ন ও বিশ্বব্যাপী বাজারের স্থিতিশীলতা উন্নত করার জন্য উল্লেখযোগ্য সুযোগ প্রদান করে। উপরিভাগে, এই প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনগুলি নিয়ামকদের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাগত আর্থিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ডেটার গুণমান, গোপনীয়তা, নিয়ন্ত্রক সালিসি, প্রযুক্তিগত বিঘ্ন ও অন্তর্ভুক্তির উদ্বেগের মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।


শ্রীনাথ শ্রীধরন ওআরএফ–এর ভিজিটিং ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.