Published on Jan 18, 2024 Updated 0 Hours ago

মেটাভার্স গ্রহণ করলে ডেটাচালিত স্মার্ট শহরগুলি নতুন পরিকল্পনা মডেল তৈরির জন্য শহুরে জীবনমানের রূপান্তরকারী সম্ভাবনাগুলি উন্মুক্ত করতে পারে

আয়নায় দেখা: নাগরিক–কেন্দ্রিক শহুরে মেটাভার্সের দিকে

কোভিড–১৯ অতিমারি পেশাদার ও ব্যক্তিগত উভয় ধরনের পারস্পরিক যোগাযোগের জন্য ভার্চুয়াল স্পেসগুলির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, এবং কার্যকরভাবে শারীরিক যোগাযোগের বাধার ফলে সৃষ্ট অসুবিধা অতিক্রম করেছে। যাই হোক, প্রথাগত অনলাইন যোগাযোগ ছাড়িয়ে তার ইমার্সিভ অ্যাপ্লিকেশনের পরিসর–সহ মেটাভার্স মানবতার জন্য অসাধারণ সুযোগ উপস্থাপন করেছে। মনোমুগ্ধকর ভার্চুয়াল পরিবেশ আমাদের কল্পনাকে উজ্জীবিত করেছে, এবং আমাদের অনলাইনে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করার অভিনব উপায়গুলি বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে৷ মেটাভার্সে আমরা জটিলভাবে তৈরি ডিজিটাল জগতে কার্যকরী ভার্চুয়াল সম্প্রদায় তৈরি করতে পারি।

ক্রমবর্ধমান মেটাভার্স মার্কেটের আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিক, কাজ ও শিক্ষা থেকে শুরু করে অবসর, ভ্রমণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং যোগাযোগ পর্যন্ত সব কিছু, রূপান্তরিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি শাসন ও পরিকল্পনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে সংস্কার করতে পারে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলির জন্য। উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি মেটাভার্স যেভাবে শহরগুলি পরিকল্পিত ও পরিচালিত হয় তাতে বিপ্লব আনতে পারে। এর হস্তক্ষেপ শহরগুলির জনকেন্দ্রিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রাখে। মেটাভার্স কীভাবে শহুরে স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়িত করতে ও সহায়তা করতে পারে? মেটাভার্স কীভাবে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহরের উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করতে পারে? জনগণের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য মেটাভার্স নগর পরিকল্পনাকে কোন উপায়ে পুনর্নির্মাণ করতে পারে?

ডিজিটাল টুইন অনুধাবন

শহুরে জীবনের সামগ্রিক গুণমান উন্নত করতে শহরগুলি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। যাই হোক, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) ও মিক্সড রিয়্যালিটি (এমআর)–র সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের নির্বিঘ্ন একীকরণের মাধ্যমে মেটাভার্স বাস্তব জগতের সঙ্গে ভার্চুয়াল জগতের সেতুবন্ধন করে। শক্তিশালী গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) এবং স্প্যাশিয়াল কম্পিউটিং প্রযুক্তির ব্যবহার ইমার্সিভ ব্যবহারকারীদের যোগাযোগের জন্য প্রাণবন্ত থ্রিডি গ্রাফিক্স তৈরি করতে সক্ষম করে। এই বিকশিত ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারলে তা ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে।


মেটাভার্সের মাধ্যমে শহুরে শাসন জারি করার জন্য এখন অ্যালগরিদমিক মডেল হিসাবে এমন একটি ডিজিটাল টুইন বা মিরর তৈরি করা প্রয়োজন যা ডেটা পয়েন্টের সংগ্রাহক হিসাবে ভার্চুয়াল সিমুলেশনের মাধ্যমে বাস্তব–ভৌত জগতের নকল করবে। 

মেটাভার্সের মাধ্যমে শহুরে শাসন জারি করার জন্য এখন অ্যালগরিদমিক মডেল হিসাবে এমন একটি ডিজিটাল টুইন বা মিরর তৈরি করা প্রয়োজন যা ডেটা পয়েন্টের সংগ্রাহক হিসাবে ভার্চুয়াল সিমুলেশনের মাধ্যমে বাস্তব–ভৌত জগতের নকল করবে। ভার্চুয়াল প্রতিলিপি হিসাবে ডিজিটাল টুইনগুলিকে শহরের গভীরতর অনুধাবনের জন্য পরীক্ষা, সিমুলেশন এবং রিয়েল–টাইম পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিবরণ, যেমন তাপমাত্রা ও কম্পন, এবং ম্যাক্রো–স্তরের পর্যবেক্ষণ, যেমন একটি ব্যস্ত ক্রসিং দিয়ে যানবাহনের প্রবাহ, ট্র্যাক করতে পারে। ডিজিটাল টুইন নতুন ও পুরনো উভয় ধরনের বিল্ডিং থেকে নির্গমন ন্যূনতম করতে সাহায্য করতে পারে, এবং প্রকল্প ও নির্মাণ খরচে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করে


ডিজিটাল টুইন নগর পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো ব্যবস্থাপনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের কার্যকারিতা আদর্শ স্তরে নিয়ে যেতে, খরচ কমাতে, দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া পরিচালনা ও জননিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ডিজিটাল টুইন–এর কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ডিজিটাল প্রোজেক্ট ডেলিভারি (
ডিপিডি), যা অংশীদারদের মধ্যে নির্বিঘ্ন ডেটা শেয়ারিং সহজতর করে। ডিপিডি শহরগুলিকে প্রকল্পের বিলম্ব ও ব্যয় অতিক্রম করে যাওয়া কমাতে, গুণমান ও নিরাপত্তা উন্নত করতে, এবং সম্পদের জীবনচক্র জুড়ে ব্যবহার করা সম্পদ ডেটার একটি ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন কোরিয়ান উপদ্বীপে মশার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরীক্ষা করতে আর্কজিআইএস ব্যবহার করেছিল ডেঙ্গির ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য।


ফ্রেমওয়ার্ক যা নেতৃত্ব দিতে পারে

সাম্প্রতিক সময়ে শহরগুলি কার্যকরভাবে মেটাভার্সের ব্যবহার শুরু করেছে এটিকে একটি দূরদর্শী প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করে চ্যালেঞ্জগুলি চিহ্নিত করতে এবং তাদের পরিষেবাগুলিকে উন্নত করতে ৷ যেমন, ২০২১ সালে সিওল মেট্রোপলিটন সরকার একটি ভার্চুয়াল–রিয়্যালিটি হেডসেটের মাধ্যমে সিটি হলের একটি থ্রিডি চিত্রায়ণ সক্ষম করার জন্য পাঁচ বছরের পরিকল্পনায় ৩.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি শহরের মেয়রের একটি ভার্চুয়াল অফিস–সহ সিওল প্রশাসনের ভার্চুয়াল প্রতিনিধিত্বের সঙ্গে নাগরিকদের যোগাযোগকে সহজতর করেছে। এই পাবলিক এনকাউন্টার শুধু আমলাতন্ত্রের সীমাবদ্ধতাই অতিক্রম করে না, বরং ভৌগোলিক সীমা ছাড়িয়ে গণ–পরিষেবার সুযোগ সম্প্রসারিত করে একটি নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত অভিজ্ঞতা প্রদান করে।


ইমারসিভ নাগরিকের সম্পৃক্ততার আরেকটি উদাহরণ হল নিউ রোচেলের ইনপুট টুল, যা পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনায় ব্যবহৃত হয়। একটি ডেডিকেটেড প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে ‘ডিজিটাল
হিউম্যান টুইনস’ হিসাবে বাসিন্দারা নির্মিত পরিবেশে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি আরও বাস্তবসম্মতভাবে অনুভব করতে পারেন। তা ছাড়া, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের ডিজিটাল টুইন সেখানকার নাগরিকদের তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এড়িয়ে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য শহরের ভবিষ্যতের বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরে। এছাড়াও, দুবাই মেটাভার্স নতুন সরকারি কাজের মডেল তৈরির জন্য ওয়েব ৩.০ প্রযুক্তিকে সমর্থন করে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যে কাজ করছে।


সিওল আরও এক ধাপ এগিয়ে ছোট কোম্পানি ও স্থানীয় ব্যবসাগুলিকে মেটাভার্সে উৎসাহিত করার জন্য শহরের ডিজিটাল কমার্স ও ভার্চুয়াল অফিসগুলিকে নিয়ে গিয়েছে ভার্চুয়াল শপিং মলে। অন্যদিকে সাংহাই  ভূমিকম্প, পুলিশের তাড়া বা আগুনের পূর্বাভাসের ডিজিটাল টুইন সিমুলেশনের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা ও ঝুঁকির প্রতিক্রিয়া সন্নিবেশিত করেছে। একইভাবে, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনসিঙ্গাপুর টেকসই ও স্থিতিস্থাপক নগর পরিকল্পনার জন্য মেটাভার্সে কাজ করছে।


ভারতও শহুরে মেটাভার্সে তার অগ্রযাত্রায়
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এসরি ইন্ডিয়া ও জেনেসিস ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে সহযোগিতা ভারতীয় শহরগুলিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং (এমএল)–এর মাধ্যমে ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। অমরাবতী ও মুম্বইয়ের মতো শহরগুলি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে, এবং আরও কুড়িটি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ প্রস্তুত হবে৷ ম্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং থ্রিডি চিত্র তৈরি করে ডিজিটাল টুইনগুলিকে বিভিন্ন নগর পরিষেবায় ব্যবহার করা হবে, যেমন টেলিকম পরিকাঠামো থেকে নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সক্ষম করা, কম খরচে ইভি চার্জিং স্টেশনের সুযোগ প্রদান করা, এবং ই–কমার্সে ডেলিভারির গতি বাড়ানো।

মেটাভার্স গ্রহণ করলে ডেটাচালিত স্মার্ট শহরগুলি নতুন পরিকল্পনা মডেল তৈরির জন্য শহুরে জীবনমানের রূপান্তরকারী সম্ভাবনাগুলি উন্মুক্ত করতে পারে

তবুও, মেটাভার্স তার অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্ত নয়। রাজ্য ও জাতীয় স্তরে প্রচুর পরিমাণে ভার্চুয়াল ডেটা প্রক্রিয়াকরণ সকলের জন্য উপলব্ধ অ্যাপ্লিকেশনগুলির বৃদ্ধিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ধীরগতিসম্পন্ন ও জটিল করে তুলতে পারে, বিশেষত যে শহরগুলিতে ভিড় এবং ঘিঞ্জি এলাকা রয়েছে। মেটাভার্স পরিকাঠামোর কার্যকরী রক্ষণাবেক্ষণ,, নেটওয়ার্কিং ক্ষমতা ও ডিজিটাল গোপনীয়তা পৌরসভা সংস্থাগুলির জন্য ব্যয়বহুল ও কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। তদুপরি, উন্নয়নশীল শহুরে সমষ্টির উপর মেটাভার্স দৈনন্দিন অভিজ্ঞতাগুলিকে একীভূত করার জন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরির অতিরিক্ত বোঝা চাপাবে, বিশেষত যেখানে শহরগুলি ডিজিটাল বিভাজন সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়াই করে।


মানুষমুখী শহুরে ভবিষ্যৎ

উদ্বেগ সত্ত্বেও মেটাভার্স শহুরে জীবনযাত্রার মানকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে প্রযুক্তি প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই গভীর ভাঙাগড়ার অর্থপূর্ণ প্রয়োগ প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নগর শাসনের পুনর্বিবেচনা এবং জনগণকে এর মূলে রাখা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।

জনসাধারণের বর্ধিত অংশগ্রহণ: স্থানীয় সরকারগুলি মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিনিয়োগ করে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে, যা নগর পরিকল্পনায় নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করে এবং নীচের দিকের মতামত উপরে তুলে আনতে উৎসাহিত করে৷ এটির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট পরিষেবা এবং গ্যাজেটগুলিতে সাশ্রয়ী মূল্যের সুযোগের প্রয়োজন হবে৷ রিয়েল–টাইম প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এমন উদ্ভাবনী মেটাভার্স অভিজ্ঞতা তৈরির জন্য ব্যবসাকে উদ্দীপিত করা পৌরসংস্থাগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। অধিকন্তু, মেটাভার্স–ভিত্তিক অংশগ্রহণের জন্য স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্দেশিকা ও পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠা করা শহুরে ভূচিত্র গঠনে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করতে পারে।


কার্যকর নগর শাসন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি: শহুরে সংস্থাগুলিকে উদ্ভাবনী আর্থিক মডেল গড়ে তুলতে হবে এবং মেটাভার্স ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশনগুলির বিকাশ ও প্রশাসনের জন্য অংশীদারিত্বের সন্ধান করতে হবে। ক্রমাগত বিকশিত মেটাভার্স প্রযুক্তির দক্ষতার সঙ্গে মানানসই হয়ে উঠতে পৌরসভার কর্মীদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে সক্ষমতা–নির্মাণ প্রোগ্রামগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হবে। ডেটা ব্যবস্থাপনা এবং স্বচ্ছতার জন্য সরকারগুলিকে অবশ্যই ওয়েব ৩.০ প্রযুক্তি গ্রহণ প্রচার করতে হবে। তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, প্রাপ্যতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিস্তারিত নিয়ম ও মান নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি বিষয়বস্তু পরিচালনা, আসক্তি ব্যবস্থাপনা ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ডিজিটাল সাক্ষরতার প্রসার এবং শিক্ষামূলক প্রোগ্রামগুলিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগগুলি অবশ্যই থাকতে হবে।


সিমুলেশন এবং প্রয়োজনভিত্তিক নগর পরিকল্পনা: পৌরসংস্থাগুলির নগর পরিকল্পনার জন্য মেটাভার্স–ভিত্তিক সিমুলেশন সরঞ্জামগুলি বাস্তবায়নের কথা বিবেচনা করা উচিত, এবং বাস্তব–বিশ্ব পরিবর্তন করার আগে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা ও জনসম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া নেওয়া প্রয়োজন। তারা স্থিতিশীলতার উপযোগী অনুশীলনকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শহরের প্রস্তুতি বাড়াতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পরিকল্পনার জন্য একটি মেটাভার্স ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যেও কাজ করতে পারে।


নৈতিক বিবেচনা এবং দায়িত্বশীল ব্যবহার: স্থানীয় সরকারগুলিকে জাল খবর, হয়রানি, এবং অনুপযুক্ত বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নৈতিক নিরীক্ষণের জন্য এআই সরঞ্জামগুলির বিকাশকেও তাদের সমর্থন করা উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উপর মেটাভার্সের প্রভাব অধ্যয়ন করতে এবং প্রাসঙ্গিক নীতি সংস্কারগুলি জানাতে প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা অপরিহার্য হয়ে উঠবে।


‌ অর্থনৈতিক সুযোগ এবং উদ্ভাবন: নগর পরিকল্পনাবিদদের অবশ্যই মেটাভার্স–ভিত্তিক এমন উদ্যোগের বিকাশকে উৎসাহিত করতে হবে যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উন্নীত করে, যেমন ভার্চুয়াল ডাউনটাউন এলাকা বা ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস, যা বাণিজ্যের জন্য নতুন সুযোগ প্রদান করে। নাগরিকদের ইমারসিভ অংশগ্রহণের জন্য এবং ভবিষ্যতের চাকরির বাজারের চাহিদার জন্য প্রস্তুত করে এমন মেটাভার্স–ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি করার জন্য স্থানীয় সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ হবে ।


মেটাভার্স গ্রহণ করলে ডেটাচালিত স্মার্ট শহরগুলি নতুন পরিকল্পনা মডেল তৈরির জন্য শহুরে জীবনমানের রূপান্তরকারী সম্ভাবনাগুলি উন্মুক্ত করতে পারে। জনসম্পৃক্ততা, সুশাসন, দায়িত্বশীল ব্যবহার এবং উদ্ভাবনী সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মেটাভার্সে আমাদের সম্পর্কগুলি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীলতার উপযোগী এবং সমৃদ্ধ শহুরে ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করতে পারে।



আনুশা কেসরকর গাভাঙ্কর অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর ইকনমি অ্যান্ড গ্রোথের সিনিয়র ফেলো।

সমৃদ্ধি দিওয়ান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ইন্টার্ন ছিলেন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.