Author : Manoj Joshi

Published on Apr 05, 2025 Updated 0 Hours ago

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন, যার লক্ষ্য আমেরিকাকে উন্নত আকাশবাহিত হুমকি থেকে রক্ষা করা এবং রেগ্যান-যুগের ‘‌স্টার ওয়ার্স’‌ উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুনরুজ্জীবিত করা

মার্কিন ‘আয়রন ডোম’: হাইপারসনিক হুমকির বিরুদ্ধে একটি উন্নত ঢালের দিকে নজর

২৭ জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘‌ব্যালিস্টিক, হাইপারসনিক, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য উন্নত আকাশ আক্রমণের হুমকি’‌ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য একটি আয়রন ডোম-স্টাইল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির জন্য নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তিনি পেন্টাগনকে ৩০ দিনের মধ্যে এই কর্মসূচির একটি বিস্তৃত বিন্যাস জমা দেওয়ার আহ্বান জানান।

'আয়রন ডোম' উপমাটি কিছুটা বিভ্রান্তিকর, কারণ ইজরায়েলি-মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ঢালটি স্বল্প-পাল্লার এবং নিচু দিয়ে উড়ে আসা মিসাইল ও প্রজেক্টাইল থেকে তুলনামূলকভাবে ছোট এলাকাকে রক্ষা করার জন্য তৈরি। এর আসল পূর্বসূরি হল 'স্টার ওয়ার্স' ঢাল, যা প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যান ১৯৮০-র দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও  তার মিত্রদের লক্ষ্য করে তৈরি কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে বাধাদান এবং ধ্বংস করার জন্য তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন, এবং যেটি সাত গুণ দ্রুত গতিতে ভ্রমণ করে। দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাজারের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ  এবং এই কর্মসূচির প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি মূল্যায়ন করার জন্য
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সংস্থা (এমডিএ) ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি ‘‌শিল্প দিবস’‌ আয়োজন করে। এমডিএ আশা করে যে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি তাদের নিজ নিজ ক্ষমতা, প্রযুক্তিগত পরিপক্বতা ও কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রদর্শনকারী প্রাসঙ্গিক নথি জমা দেবে। এমডিএ এমন ধারণাগুলির বিশদ জানতে চায় যা দুই পর্যায়ে — ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০৩০ পর্যন্ত দুটি দুই বছরের মেয়াদের মধ্যে, এবং তার পরবর্তীকালে — প্রদর্শিত ও সরবরাহযোগ্য হতে পারে।

যেহেতু স্টার ওয়ার্স তার আপাত-‌প্রচারণার সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারেনি, তাই ট্রাম্প ‘‌স্বদেশের উপর বিদেশি আকাশবাহিত আক্রমণ’‌ রোধ করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দ্বিতীয় আঘাতের ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য একটি 'পরবর্তী প্রজন্মের' ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন। এই আদেশ অনুসারে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবকে মার্চের শেষের মধ্যে প্রকল্পের কাঠামো পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবায়ন কৌশল জমা দিতে হবে।


এমডিএ এমন ধারণাগুলির বিশদ জানতে চায় যা দুই পর্যায়ে — ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৬ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর ২০৩০ পর্যন্ত দুটি দুই বছরের মেয়াদের মধ্যে, এবং তার পরবর্তীকালে — প্রদর্শিত ও সরবরাহযোগ্য হতে পারে।



যদিও এই ধরনের ক্ষমতার একটি সিস্টেমের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, এটিকে বিশাল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হবে। এর বুস্ট পর্যায়ে সিস্টেমটিকে মিসাইলগুলিকে প্রথমে উৎক্ষেপণের আগে, তারপর মহাকাশে, এবং অবশেষে যখন তারা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে নেমে আসে তখনকার জন্য তৈরি থাকতে হবে। এর জন্য মহাকাশ-ভিত্তিক সেন্সর ও লেজার দিয়ে সজ্জিত ইন্টারসেপ্টরগুলির একটি নিবেদিত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি নিম্ন-উচ্চতার ইন্টারসেপ্টরের প্রয়োজন হবে। তবে, শত শত কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্য ধরে স্থাপন করার মতো দক্ষ লেজার প্রযুক্তির অস্তিত্বই নেই।

নতুন পরিকল্পনার একটি মূল উপাদান হল গত কয়েক বছর ধরে চলমান সক্ষমতার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। এর মধ্যে রয়েছে হাইপারসনিক অ্যান্ড ব্যালিস্টিক ট্র্যাকিং স্পেস সেন্সর (এইটবিটিএসএস) স্তর, যা প্রোলিফারেটেড ওয়ারফাইটার স্পেস স্থাপত্যের সঙ্গে একীভূত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, এবং যা সামরিক উপগ্রহের একটি নেটওয়ার্ক গঠন করে, যার মধ্যে থাকে ‘‌উৎক্ষেপণের আগে স্যালভোকে পরাজিত করার ক্ষমতা, নন-কাইনেটিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতা, এবং স্তরনিম্নবর্তী ও অন্তিম পর্যায়ের ইন্টারসেপশন ক্ষমতা’‌।

স্টার ওয়ার্স প্রকল্পে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করা সত্ত্বেও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের কল্পনার কাছাকাছি পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে আমেরিকা। তবে, ২০০২ সালে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে, এটি উত্তর কোরিয়ার হুমকি  এবং দুর্ঘটনাজনিত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট সশস্ত্র সীমিত ক্ষমতার বিকাশ নিশ্চিত করেছে।

বর্তমান মার্কিন স্থলভিত্তিক মধ্যবর্তী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে আলাস্কা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থাপিত ইন্টারসেপ্টর রয়েছে, যেগুলির লক্ষ্য উত্তর কোরিয়া থেকে উৎক্ষেপিত সীমিত সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র। নিম্নস্তরের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) সিস্টেম দ্বারা এগুলিকে শক্তিশালী করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন এমডিএ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে, তেমনই মার্কিন মহাকাশ কমান্ড মহাকাশ বাহিনীর কর্মক্ষম নিয়োগ এবং সামরিক মহাকাশ শক্তির সংযুক্তিকরণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। আয়রন ডোম প্রকল্পে অগ্রগতির জন্য এই দুটি সংস্থার পুনর্গঠন বা সমন্বিতকরণের যে প্রয়োজন হবে, এতে কোনও সংশয় নেই।


স্টার ওয়ার্স প্রকল্পে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করা সত্ত্বেও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের কল্পনার কাছাকাছি পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে আমেরিকা।



ইউক্রেনে কিছু অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়েছে, যেখানে মার্কিন প্যাট্রিয়ট সিস্টেম ও জার্মানির আইরিস-টি রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে, এগুলি প্রচলিতভাবে সশস্ত্র, এবং এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র বাধা অতিক্রম করেছে, যার ফলে প্রচুর সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে তৈরি করা একটি সিস্টেমের ক্ষেত্রে এই ধরনের দুর্বলতা গ্রহণযোগ্য হবে না।

অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রযুক্তির একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ থিওডোর এ. পোস্টোল যুক্তি দেন যে বর্তমান মার্কিন অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমকে বাস্তব-সময়ের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রচুর লড়াই করতে হবে। রুশদের ক্ষেত্রে, তাদের একটি সীমিত মহাকাশ-ভিত্তিক নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে, যা মূলত মস্কোকে রক্ষা করার জন্য দশটি স্থানে অবস্থিত একটি স্থলভিত্তিক রাডার সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল। রাশিয়া আরও বলেছে যে, এর বিরুদ্ধে যে কোনও বৃহৎ আকারের পারমাণবিক আক্রমণ স্বয়ংক্রিয় প্রতিশোধ ব্যবস্থাগুলিকে ট্রিগার করবে, যার মধ্যে রয়েছে পোসেইডন, যা সর্বকালের বৃহত্তম পারমাণবিক ওয়ারহেড সহ একটি রোবট। গত জুনে পোস্টোল তাঁর বক্তব্যে বর্তমান, সীমিত ক্ষেপণাস্ত্র ঢালের কথা উল্লেখ করেছিলেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনার একজন সমর্থক
অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল জেমস স্ট্যাভ্রিডিস বিশ্বাস করেন যে ‘‌আয়রন ডোম’‌ প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই কারণটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আনুমানিক খরচ বেশি বলে মনে হতে পারে, তিনি বিশ্বাস করেন যে এই খরচের সঙ্গে তুলনা করা উচিত ‘‌মার্কিন জীবন ও সম্পদের সম্ভাব্য ক্ষতির’‌, যা এই ধরনের কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র ঢাল প্রতিরোধ করতে পারে। তাঁর মতে, এই ব্যবস্থার জন্য তিনটি উপাদানের প্রয়োজন হবে—মহাকাশ-ভিত্তিক সেন্সর ও ইন্টারসেপ্টর, মহাকাশ ও স্থল সেন্সরগুলিকে মহাকাশে বা স্থলে অবস্থিত ইন্টারসেপ্টরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং পরিশেষে ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, ক্ষেপণাস্ত্র ও  বাহিত বোমাগুলিকে বাধা দেওয়ার জন্য লেজারের বিকাশ।


রাশিয়া আরও বলেছে যে, এর বিরুদ্ধে যে কোনও বৃহৎ আকারের পারমাণবিক আক্রমণ স্বয়ংক্রিয় প্রতিশোধ ব্যবস্থাগুলিকে ট্রিগার করবে, যার মধ্যে রয়েছে পোসেইডন, যা সর্বকালের বৃহত্তম পারমাণবিক ওয়ারহেড সহ একটি রোবট।



পারমাণবিক অস্ত্রসম্পন্ন শক্তিগুলির মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে পারস্পরিকভাবে নিশ্চিত ধ্বংস (এমএডি)-‌এর কারণে।  যে দেশ শত্রুর ক্ষমতাকে অতিক্রম করে যায় সে প্রতিরোধ সমীকরণকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এটি, আমেরিকানদের মতো, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পারে, কিন্তু মূলত তারা তাদের প্রতিপক্ষকে নিরস্ত্র করবে, যা প্রতিপক্ষেরা অবশ্যই ভালভাবে নেবে না।

আমেরিকার প্রধান প্রতিপক্ষ, চিন ও রাশিয়া, চুপ করে বসে নেই।
এখনও পর্যন্ত তাদের প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থাগুলি সহজ — বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্রগুলিতে বোমা ও ধোঁকার (‌ডিকয়)‌ সংখ্যা বৃদ্ধি করা, এবং তার পাশাপাশি হাইপারসনিক গ্লাইড যানবাহন ও ক্রুজ-ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা। ভবিষ্যতে তারা লেজার রশ্মি বানচাল করার জন্য আয়নাযুক্ত পৃষ্ঠ ব্যবহার করতে পারে, অথবা ইনফ্রা-রেড ডিটেক্টরের বিরুদ্ধে আগত ওয়ারহেডের তাপমাত্রা ঢাকতে তরল নাইট্রোজেন দিয়ে ওয়ারহেডের আবরণ তৈরি করতে পারে।

মস্কো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াও রাশিয়া এস-৪০০ (যা ভারত অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াধীন) তৈরি করেছে, যা ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে সীমিত প্রতিরক্ষা প্রদান করে। তাদের এস-৫০০ সিস্টেম সকল ধরনের হাইপারসনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা দেবে বলে দাবি করা হয়েছে।
 
 
চিন বর্তমানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতায় সজ্জিত,  এবং সেদেশে এইচকিউ-৯, এইচকিউ-১৯, এইচকিউ-২৬ এবং এইচকিউ-২৯-‌এর মতো অপারেশনাল সিস্টেম ইতিমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। তবে, রাশিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এগুলির ক্ষমতা সীমিত। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের একটি ২-পর্যায়ের কর্মসূচি রয়েছে, যা ২,০০০-৫,০০০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলি নিয়ে কাজ করে। সিস্টেমের প্রথম পর্যায় ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিকে রক্ষা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে, আর দ্বিতীয় পর্যায় এখনও উন্নয়নাধীন।

আরেকটি কার্যকর এবিএম সিস্টেমের অধিকারী দেশ হল ইজরায়েল, যেখানে মূল আয়রন ডোম সিস্টেমের পাশাপাশি 'অ্যারো অ্যান্ড ডেভিড'স স্লিং' রয়েছে, যা মাঝারি থেকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করতে পারে। হিজবুল্লা ও ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় এই সিস্টেমগুলি যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে, যদিও এটি লক্ষণীয় যে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া বা চিনের দাবির তুলনায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রটি তুলনামূলকভাবে ছোট।


যদিও সমস্ত দেশের জন্য মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন নিষিদ্ধ, এই আউটার স্পেস ট্রিটি-‌র বিধানগুলি মহাকাশে প্রচলিত সিস্টেমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে না।



সমসাময়িক পরিস্থিতিতে, যদিও সমস্ত দেশের জন্য মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন নিষিদ্ধ, এই
আউটার স্পেস ট্রিটি-‌র বিধানগুলি মহাকাশে প্রচলিত সিস্টেমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে না। উপরন্তু মহাকাশ-ভিত্তিক লেজার অস্ত্রকে শক্তি জোগানোর জন্য পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহারের ন্যায্যতা প্রমাণ করার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা থাকতে পারে;‌ আর, ট্রাম্পের প্রেক্ষাপটে, যে কোনও রাষ্ট্র চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহারও করে নিতে পারে।

বর্তমানে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র ঢালই ১০০ শতাংশ কার্যকারিতার কাছাকাছি পৌঁছতে পারে না। ইজরায়েলের আয়রন ডোম, যদিও একটি ছোট এলাকা রক্ষা করে, এর বাধাদানের হার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, যা এটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা করে তুলেছে।

তা সত্ত্বেও, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিগত শক্তি এখন একটি অভেদ্য ঢাল তৈরির জন্য তার দ্বিতীয় যাত্রা শুরু করতে প্রস্তুত। যদিও তার শেষ প্রচেষ্টার পর থেকে প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে এগিয়েছে, তবুও এটি এখনও একটি কার্যকর সমাধানের নিশ্চয়তা দেয় না। তবে, এই প্রচেষ্টা নিজেই সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার জন্য যথেষ্ট।



মনোজ জোশি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-‌এর ডিস্টিংগুইশড ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Manoj Joshi

Manoj Joshi

Manoj Joshi is a Distinguished Fellow at the ORF. He has been a journalist specialising on national and international politics and is a commentator and ...

Read More +