-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
শাসন পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে উগ্রবাদী ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলি পুরনো জমি খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তের দুর্বলতা ও ভারত-বিরোধী আখ্যান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আলোচনা চলাকালীন বিজিবি সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিএসএফ কর্তৃক সিঙ্গল রো ফেন্স বা একক-সারি বেড়া (এসআরএফ) নির্মাণের বিরোধিতা করে এবং যৌথ পরিদর্শন ও শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করে। তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৯০টি জায়গায় এসআরএফ স্থাপনকারী বিএসএফ, দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পূর্বে চূড়ান্ত হওয়া আলোচনার যৌথ রেকর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা করতে অস্বীকার করেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ঢাকার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পরই বিজিবির তরফ থেকে আপত্তি উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি সীমান্তে ও আলোচনার সময় বিজিবির সাম্প্রতিক অবস্থান আসলে ভারতের পূর্ব সীমান্তে উদীয়মান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলিকেই তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি সীমান্তে ও আলোচনার সময় বিজিবির সাম্প্রতিক অবস্থান আসলে ভারতের পূর্ব সীমান্তে উদীয়মান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলিকেই তুলে ধরেছে। এর মধ্যে রয়েছে উগ্র ইসলামপন্থী অংশের উত্থান, যা শেখ হাসিনা সরকার এর আগে কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল। আরও উদ্বেগজনক হল বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধী আখ্যান।
সীমান্তের দুর্বলতা
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত উগ্রপন্থী ইসলামি সংগঠন এবং অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের জন্য আন্তঃদেশীয় অপরাধী শৃঙ্খল দ্বারা শোষণের ঝুঁকির সামনে অরক্ষিত। সালাফিবাদীদের কার্যকলাপের কারণে সীমান্তের বিস্তৃত অংশ সংবেদনশীল। বাংলাদেশি ইসলামি প্রচারকরা নিয়মিত ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনার মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলির অভ্যন্তরে যান এবং ধর্মীয় বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেন। সীমান্তে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সীমান্ত এলাকায় ধর্মীয় অনুশীলনের প্রবণতা বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টাও চিহ্নিত করা হয়েছে।
সীমান্ত জনসংখ্যার জাতিগত গঠন এবং ধর্মীয় ও ভাষাগত মিল বাংলাদেশ-ভিত্তিক উগ্রপন্থীদের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়া এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টার কাজটিকে সহজ করে তুলেছে। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী জেলাগুলির জনভিত্তির পরিসরকেও প্রভাবিত করেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ থেকে আগত মৌলবাদী প্রচারকদের পরিদর্শন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলায় উগ্রপন্থী আখ্যানের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী জনসংখ্যার উপর প্রভাব ফেলেছে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।
বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী জেলাগুলির জনভিত্তির পরিসরকেও প্রভাবিত করেছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-এর (এবিটি) সন্ত্রাসবাদী মডিউলগুলিকে নিরপেক্ষ করা এবং পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশে উগ্রপন্থী/মৌলবাদী সত্তাগুলির সঙ্গে তাদের যোগসূত্র আসলে বাংলাদেশ-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির হুমকিকেই দর্শায়। এই গোষ্ঠীগুলি সীমান্তে অভিন্ন সাধারণ ধর্মীয় ও ভাষাগত পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরায় ঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা করে এবং তাদের শৃঙ্খলকে প্রান্তিক অঞ্চলে প্রসারিত করে।
ইসলামি মৌলবাদীদের সশক্তকরণ
২০২৪ সালের অগস্ট মাসে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী এবং উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনের সময় এবিটি প্রধান মুফতি জসিমুদ্দিন রাহমানি, এবিটি জামাত-উল-আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার ভারতীয় অপারেশন প্রধান ইকরামুল হক, প্রধান শামীম মাহফুজ এবং শেখ আসলাম-সহ বেশ কয়েকজন মৌলবাদী ও সন্ত্রাসবাদী হয় পালিয়ে গিয়েছে অথবা মুক্তি পেয়েছে। ফলস্বরূপ, ইসলামি মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসবাদী সত্তা বর্তমানে বাংলাদেশে অবাধে কার্যক্রম চালাচ্ছে। নিষিদ্ধ জেএমবির সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড গোলাম সারোয়ার রাহাতকে সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ঢাকার কথিত গোপন আটক কেন্দ্র আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় দেখা গিয়েছে।
২০২৪ সালের অগস্ট মাস থেকে জেএমবি তার সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম মৌলবাদী ইসলামী সংগঠন হেফাজত-এ-ইসলামি (এইচইআই) সঙ্গে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এইচইআই-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, জামাত-ই-ইসলামি (জেইআই) বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে ইসলামি দলগুলির জন্য একটি সাধারণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করছেন। পাকিস্তানি নাগরিকরাও এই দলের সাম্প্রতিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পর জেইআই পুনরুজ্জীবিত হয়েছে ও তার উপস্থিতিকেও সশক্ত করেছে। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মূল্যায়ন অনুসারে, জেইআই সাম্প্রতিক বৈঠকগুলিতে তার প্রধান শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সমর্থকদের উৎসাহ জুগিয়েছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মূল্যায়ন অনুসারে, জেইআই সাম্প্রতিক বৈঠকগুলিতে তার প্রধান শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সমর্থকদের উৎসাহ জুগিয়েছে।
খিলাফতপন্থী আন্তর্জাতিক উগ্র ইসলামি সংগঠন হিজবুত-উত-তাহরির (এইচইউটি) শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং তারাও এ বার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে দেশব্যাপী বিক্ষোভ আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৫ সালের ৭ মার্চ ঢাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ শীর্ষক পদযাত্রা। এইচইউটি ক্যাডাররা অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা অর্থাৎ আসিফ নজরুল, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মেহফুজ আলমের সমর্থন পেয়েছে। এইচইউটি-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম নাসিমুল গণিকে স্বরাষ্ট্র সচিব নিযুক্ত করা হয়েছিল। দলটি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এইচইউটি প্রকাশ্যে তার খিলাফতের আদর্শ প্রচার করার অনুমতি পেয়েছে। দলটি শিক্ষিত তরুণদের লক্ষ্য করে নিয়োগ করে, যারা ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থার প্রতি বর্তমান অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে একটি উগ্র ইসলামপন্থী খিলাফতের বিকল্পের প্রস্তাব করছে। দলটির কার্যকলাপ ভারতেও লক্ষ করা গিয়েছে, যেখানে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দলটিকে নিষিদ্ধ করেছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা জাতীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু শহরাঞ্চলে এইচইউটি-র উপস্থিতি রয়েছে, যেখানে তারা অরক্ষিত তরুণদের মৌলবাদে সম্পৃক্ত করার কাজে রত।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি-বাংলাদেশ-এর (এইচইউজেআই-বি) পুনরুজ্জীবন, যে সন্ত্রাসবাদী দলটি প্রায় এক দশক ধরে সুপ্ত ছিল। এইচইউজেআই-বি এ বার এইচইআই-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি কওমি মাদ্রাসা এখন এইচইউজেআই-পন্থী হয়ে উঠেছে। তাছাড়া, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পর এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে।
অন্যান্য উদ্বেগ
আরও উদ্বেগের কারণ হল বাংলাদেশে ১৩ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর উপস্থিতি। কারণ তারা মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা নিয়োগের ঝুঁকির সামনে অরক্ষিত। পাকিস্তান-সমর্থিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি কিছু শরণার্থী শিবিরের উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের চেষ্টা করছে এবং মাদক চোরাচালানকারী অপরাধমূলক সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি মৌলবাদী রোহিঙ্গাদের নিবেদিতপ্রাণ ক্যাডারে রূপান্তরিত করতে আগ্রহী হচ্ছে, যাতে উপযুক্ত সময়ে ভারতের উপর হামলা চালানোর জন্য এই রোহিঙ্গাদের কাজে লাগানো যায়। সর্বোপরি, উন্নত জীবনযাত্রার সন্ধানে জনাকীর্ণ শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রায়শই কক্সবাজার ও ভাষান চর দ্বীপ থেকে সমুদ্র ও স্থলপথে পালানোর চেষ্টা করে, যার মধ্যে ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশও অন্তর্ভুক্ত।
পাকিস্তান-সমর্থিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি কিছু শরণার্থী শিবিরের উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের চেষ্টা করছে এবং মাদক চোরাচালানকারী অপরাধমূলক সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি মৌলবাদী রোহিঙ্গাদের নিবেদিতপ্রাণ ক্যাডারে রূপান্তরিত করতে আগ্রহী হচ্ছে, যাতে উপযুক্ত সময়ে ভারতের উপর হামলা চালানোর জন্য এই রোহিঙ্গাদের কাজে লাগানো যায়।
বাংলাদেশে, জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আন্তঃসম্পর্কীয় সংঘাতের কারণে চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্ট বা পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) এখনও অস্থিতিশীল। বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বাঙালি মুসলিম বসতি স্থাপনকারীদের পদ্ধতিগত ভাবে বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যা বদলে দিয়েছে। ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ভারতের উপর নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রভাব ফেলে। মায়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে মায়ানমারের নাগা পাহাড়ে চাপের মুখে থাকা ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের ঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা করতে পারে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণের খবরেও উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির পুনরুত্থান প্রকাশ পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সরকার সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতার বিষয়টিকে এখনও অস্বীকার করে চলেছে। আশ্চর্যজনকভাবে, বিজিবি-র ডিরেক্টর-জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সাম্প্রতিক অতীতে সংখ্যালঘুদের উপর কোনও আক্রমণের কথা স্পষ্ট ভাবে অস্বীকার করে অভিযোগ করেন যে, এই ধরনের খবর কেবলমাত্র গণমাধ্যম দ্বারা অতিরঞ্জিত।
পাকিস্তানের উপস্থিতি বৃদ্ধি
এই সমীকরণ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের পরিবর্তনশীল রূপরেখার সঙ্গে নিবিড় ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি এসেছে। দুই দেশের সামরিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উত্থান ঘটেছে। ১৯৭১ সালের পর প্রথম বারের মতো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে এবং প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ বন্দর কাসিম থেকে যাত্রা করেছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল ২০২৫ সালের ১৩-১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান ভ্রমণ করে এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির-সহ শীর্ষ সামরিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে। সর্বোপরি, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসারের নেতৃত্বে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স-এর (আইএসআই) একটি প্রতিনিধিদলকে ভারতীয় সীমান্তের কাছে সংবেদনশীল এলাকা পরিদর্শনের অনুমতি দেয়।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং এইচইউজিআই-এর মতো পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ-ভিত্তিক উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সাথে তাদের সংযোগ পুনরুজ্জীবিত করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করছে।
বাংলাদেশের কৌশলগত পরিসরে আইএসআই-এর অবস্থান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ভারতের জন্য অবশ্যই বিপজ্জনক। পাকিস্তানের কৌশলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামি পরিচয়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামিতি হিসেবে উৎসাহ জোগানো। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং এইচইউজিআই-এর মতো পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ-ভিত্তিক উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সাথে তাদের সংযোগ পুনরুজ্জীবিত করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করছে।
পূর্বাভাস
সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে ইসলামি শক্তিগুলি সশক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের আরও ইসলামিকরণের লক্ষ্যে ইসলামি সংগঠনগুলি ক্ষমতা দখল ও ভারতকে অসম্মান করার জন্য একটি সাধারণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান ভারত-বিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলে ভারত ও ভারতীয় স্বার্থকে উগ্রপন্থী ইসলামি শক্তি ও পাকিস্তানের মতো শত্রু শক্তি লক্ষ্যবস্তু করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীলতা সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও বৃহত্তর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
কাঞ্চন লক্ষ্মণ দিল্লিভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক। তাঁর কাজের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ, বামপন্থী চরমপন্থা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Kanchan Lakshman is a Delhi-based security analyst. His area of specialisation includes terrorism, radicalisation, Left Wing Extremism & internal security. ...
Read More +