Published on Aug 10, 2023 Updated 0 Hours ago

অন্তর্নিহিত পক্ষপাতগুলি ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে এবং এর পাল্লা গ্লোবাল নর্থের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে।

সুখ - দুঃখের দোলাচলে: ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে পক্ষপাত

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অস্কার ওয়াইল্ডের সেই শাশ্বত ছোটগল্প ‘দ্য হ্যাপি প্রিন্স’-  এর কথাই মনে করিয়ে দেয়, যেখানে প্রাসাদের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি থাকার  কারণে যুবরাজ সারাজীবন সত্যিকারের দুঃখ প্রত্যক্ষই করেননি। এই উপমা মোটেও দূরকল্পনা নয় এবং এই প্রতিবেদনটি গ্লোবাল সাউথের বাস্তবতা থেকে বহু যোজন দূরে রয়েছে, যা স্পষ্টতই ‘সুখ’-এর পাশ্চাত্য সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে রচিত। ইউএন সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দ্বারা পরিকল্পিত এবং গ্যালপ ওয়ার্ল্ড পোল ডেটার ভিত্তিতে রচিত – যেখানে দেশগুলিকে তাদের ‘সুখ’-এর মাত্রার ভিত্তিতে ক্রমানুসারে সাজানো হয় – এই বার্ষিক প্রতিবেদনটি বহু দিক থেকেই সমালোচিত হয়েছে এবং তা যথেষ্ট সঙ্গত কারণেই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্স বা বিশ্ব সুখ সূচক (ডব্লিউএইচআই) নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলি নিয়ে ‘দি আনহ্যাপি কোয়েস্ট ফর আ হ্যাপিনেস ইনডেক্স’ শীর্ষক একটি ইউসিএলএ রিপোর্টে কিছু প্রধান পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই ত্রুটিগুলির ফলে পরিমাপে এবং তার  ফলে অর্থনীতিগুলির ক্রমে পক্ষপাতিত্ব দেখা গিয়েছে। এই প্রবন্ধটিতে অন্তর্নিহিত পক্ষপাতের ফলে রিপোর্টের মূল প্রতিপাদ্য থেকে উপলব্ধ অন্তত সাতটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা এই সমগ্র ক্রম নির্ধারণের অনুশীলনকে গ্লোবাল নর্থের দিকে পক্ষপাতদুষ্ট করেছে।

মূল প্রতিপাদ্য থেকে উপলব্ধ সাতটি বিষয়      

প্রথম বিষয়টি ‘সুখ’-এর একটি পাশ্চাত্য ব্যাখ্যার কারণে সাংস্কৃতিক ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট, যা প্রায়শই উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত বিশ্বের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সমীক্ষার প্রশ্নগুলি বাড়াবাড়ি রকমে ‘সুখ’-এর পশ্চিমী ধারণার অনুসারী, যা অন্যান্য সংস্কৃতিতে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, সমীক্ষায় জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ‘আপনি কি গতকাল খুব হেসেছিলেন না কি হাসেননি?’ কিন্তু নির্দিষ্ট সংস্কৃতির মানুষদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী যখন খুশি হন, তখন তাঁরা যে ‘মৃদু হাসবেন বা অট্টহাস্য করবেন’ এমন না-ও হতে পারে। ফলে এ হেন প্রশ্ন পদ্ধতিটিকে সাংস্কৃতিক ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট করে তোলে। এর পাশাপাশি ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় দেশে, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি বিদ্যমান, সেখানে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীগুলির যথাযথ প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক, যেমনটা এ ক্ষেত্রে হয়নি। সুতরাং, সুখের আচরণগত সংজ্ঞার জন্য ‘সংস্কৃতি’ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রারম্ভিক বিন্দু। এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য সমীক্ষার প্রশ্নগুলিকে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে আরও ভাল ভাবে অভিযোজিত করা দরকার ছিল। অনিরুদ্ধ কৃষ্ণ আগে তাঁর উন্নয়ন সংক্রান্ত সংজ্ঞায় এ কথা উল্লেখ করে ‘প্রগতির পর্যায়’ বা ‘স্টেজেস অব প্রোগ্রেস’-এর (এসওপি) পদ্ধতির কথা বলেছিলেন। উন্নয়ন এবং দারিদ্র্যের পশ্চিমী সংজ্ঞাগুলি তাদের নিজস্ব মেট্রিক্সের উপর ভিত্তি করে এক স্থূল সংজ্ঞা প্রদান করলেও অনিরুদ্ধ কৃষ্ণের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টতই দর্শিয়েছে যে, উন্নয়নকে একটি সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে হবে। ‘সুখ’-এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অতএব, ‘সুখ’-এর সংজ্ঞার নিছক প্রমিতকরণ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাবের বিরুদ্ধে যায়।

ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় দেশে, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি বিদ্যমান, সেখানে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীগুলির যথাযথ প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক, যেমনটা এ ক্ষেত্রে হয়নি।

দ্বিতীয় বিষয়টি প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় নিহিত, যেখানে পক্ষপাত থাকেই, এবং তা  ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। রিপোর্টটি স্ব-প্রতিবেদিত তথ্যের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং নানাবিধ ভ্রান্তির কারণ হতে পারে। বিভিন্ন ধারণাভিত্তিক সমীক্ষায় প্রায়শই র‍্যানডম ডিসটার্বেন্স টার্ম-এর অন্তর্ভুক্তি এই পক্ষপাতের কারণ হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রশ্নটিকে কোনও বিশেষ দিকে চালিত না-করে মুক্ত পরিসর দেওয়া হলে প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, ফলে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতাও বাড়ে। এই প্রতিবেদনে ঠিক তেমনটাই ঘটেছে। উদাহরণ স্বরূপ সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়– ‘গতকাল কি আপনি দিনের অধিকাংশ সময় নিম্নলিখিত অনুভূতিগুলি অনুভব করেছেন? উপভোগ করা সম্পর্কে আপনার মতই বা কী?’ এখন প্রশ্ন হল, কী ভাবে কোনও মানুষ এর একটি ব্যক্তিনিরপেক্ষ প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন, যা এই জাতীয় প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে কার্ডিনাল বা সংখ্যাতাত্ত্বিক এবং অর্ডিনাল বা ক্রমতাত্ত্বিক পরিমাপের সূচকের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হবে? ধারণার উপর ভিত্তি করে সূচকের নির্মাণ, যা কিনা আবার উন্মুক্ত পরিসরযুক্ত প্রশ্নের উপর নির্ভরশীল, তা স্পষ্টতই ত্রুটিপূর্ণ। এর থেকেও বড় ভুল হল, এ হেন ত্রুটিপূর্ণ পরিমাপ থেকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনো। যেখানে সূচকটি সুখের আরও ব্যক্তিনিরপেক্ষ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করতে পারত, যেমন সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণমূলক ব্যবস্থা, এ ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি।

তৃতীয়ত, পছন্দসই স্যাম্পল ফ্রেম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট পক্ষপাত লক্ষ করা গিয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রতিটি দেশের ব্যক্তিদের উপর সমীক্ষার ভিত্তি করে তৈরি করা হলেও স্যাম্পল সাইজ ছিল অপেক্ষাকৃত ছোট। বিশেষ করে বৃহৎ জনসংখ্যাবিশিষ্ট দেশগুলির জন্য এটি পক্ষপাতদুষ্ট ফলাফলের দিকে চালিত করতে পারে। প্রতিবেদনটিতে বৃহত্তম উপলব্ধ নমুনা বা স্যাম্পল ব্যবহার করার কথা বলা হলেও সংগৃহীত নমুনা সুখের সূচকের যথাযথ ও নিরপেক্ষ পরিমাপের জন্য পর্যাপ্ত কি না, তা স্পষ্ট করতে হবে। সুতরাং, এটিকে অবশ্যই নমুনার আকার বাড়ানো বা আরও উন্নত পরিসংখ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে হবে। একটি উল্লেখযোগ্য আকারের অসমসত্ত্ব দেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তর থেকে র‍্যান্ডম স্যামপ্লিং প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ অত্যন্ত জরুরি, কারণ সেভাবেই বৃহত্তর পর্যায়ে (ম্যাক্রো লেভেল) কী ধারণা বিদ্যমান সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। ভারতের মতো একটি জটিল এবং বৈচিত্র্যময় ব্যবস্থাকে সেশেলসের মতো একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করা যায় না, যদি না নমুনা কাঠামোটি সঠিক, প্রতিনিধিত্বমূলক এবং পর্যাপ্ত হয়।

চতুর্থ বিষয়টি পদ্ধতিগত ভাবে ইয়ার টু ইয়ার বা বছর প্রতি পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা বিভিন্ন বছরের ফলাফলের মধ্যে তুলনা করা অসম্ভব করে তোলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ২০২৩ সালের রিপোর্টে ইনস্টিটিউশনাল ট্রাস্ট বা প্রাতিষ্ঠানিক আস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি নতুন পরিবর্তনশীল সূচকের ব্যবহার করা হয়েছে, যেটি রিপোর্টের ২০২০ সালের সংস্করণে অনুপস্থিত। এর ফলে বিভিন্ন বছরের ফলাফল তুলনা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। একটি নির্দিষ্ট স্তরের সমতা বজায় রাখার জন্য এটিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে হবে অথবা কমপক্ষে বিভিন্ন বছরের ফলাফল তুলনা করার সুবিধার্থে একটি নির্দেশিকা প্রদান করতে হবে।

প্রতিবেদনটিতে বৃহত্তম উপলব্ধ নমুনা বা স্যাম্পল ব্যবহার করার কথা বলা হলেও সংগৃহীত নমুনা সুখের সূচকের যথাযথ ও নিরপেক্ষ পরিমাপের জন্য পর্যাপ্ত কি না, তা স্পষ্ট করতে হবে।

পঞ্চমত, সমগ্র বিশ্লেষণ সেই সব ভূ-রাজনৈতিক কারণ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা তুলনামূলক স্ট্যাটিক ফ্রেমওয়ার্কের বা অপরিবর্তনীয় কাঠামোর মধ্যে প্রবেশ করেছে এবং যার ফলে বিশ্লেষণে পক্ষপাতের আর একটি স্তর যুক্ত হয়েছে। উচ্চতর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলি সূচকের নিরিখে উচ্চ ফল প্রদর্শন করেছে, যা তাদের নাগরিকদের সুখের মাত্রা সঠিক ভাবে প্রতিফলিত না-ও করতে পারে। দেশ জুড়ে সুখের বৈষম্য বোঝার জন্য এবং সমস্ত নাগরিকের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে সুখের আরও সূক্ষ্মতর ব্যবস্থা প্রয়োগ করার জন্য সূচকগুলিকে অবশ্যই কোনও দেশের সম্পদ বণ্টনের দিকটিকে খতিয়ে দেখতে হবে। সূচকটি সুখ পরিমাপের জন্য সীমিত বিষয়গুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি চাকরির নিরাপত্তা, সামাজিক গতিশীলতা, আয়ের বৈষম্য, শিক্ষার লব্ধতা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে উপেক্ষা করে।  এটি ‘সুখ’কে সংজ্ঞায়িত করার কারণগুলির একটি অসম্পূর্ণ এবং প্রায়শই ভুল বিবরণের দিকে পরিচালিত করে এবং বিভিন্ন দেশের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে বৈষম্যমূলক ফলাফলের দিকে চালিত করে।

ষষ্ঠত, সবচেয়ে বড় ত্রুটি যেটি এই প্রতিবেদন থেকে উঠে এসেছে তা হল, উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ‘অসুখ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করার মানসিকতা। উন্নয়নশীল বিশ্ব অবশ্যই আরও বেশি করে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে চলেছে এবং তাদের পক্ষে এমনটা করাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাহিদা বা মনোভাব তাদের ‘অসুখী’ করে তোলে না। ইউরোপের কিছু অংশে অবনতিকে (ডিগ্রোথ) এমন এক দর্শন হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে যেটিকে তাদের সভ্যতার অব্যবহিত পরবর্তী পর্যায় হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এতে বিদ্যমান উন্নয়নের গতিপথে্র সঙ্কোচন ঘটে। এটিকে কি ‘অসন্তোষ’-এর আওতাভুক্ত করা যেতে পারে, না কি এটিকে ‘অতিরিক্ত তুষ্টি’ হিসাবে দর্শানো হবে?

ইউরোপের কিছু অংশে অবনতিকে (ডিগ্রোথ) এমন এক দর্শন হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে যেটিকে তাদের সভ্যতার অব্যবহিত পরবর্তী পর্যায় হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

সপ্তমত, দু’টি কারণে রিপোর্টে হারিয়ে যাওয়া তথ্যের নিরীক্ষা সম্পর্কে সবসময়েই প্রশ্ন তোলা যায়। ক) রিগ্রেশন মডেল থেকে আনুমানিক মান ব্যবহার করে অনুপস্থিত মানগুলি নির্ধারণ করা হয়, যা সকল দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য গুণকগুলির মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে ধরে নেয় এবং তা সর্বদা নির্ভুল না-ও হতে পারে; খ) অনুপস্থিত মানগুলি আরোপ করার জন্য আগে থেকে জানা টাইম সিরিজ তথ্য ব্যবহার অনুমান করে যে, প্রবণতাগুলি অতীতের মতোই চলতে থাকবে। কিন্তু তা ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে সত্যি না-ও হতে পারে। যেহেতু রিপোর্টের প্রতিবেদকরা দেশের র‌্যাঙ্কিং বা ক্রম নির্ধারণে আরোপিত মান ব্যবহার করেছেন, তাই সর্বদা একটি ঝুঁকি রয়ে যায় যে, ইমপিউটেশন মেথড বা আরোপিত পদ্ধতিগুলি বিশ্লেষণে পক্ষপাতিত্ব বা ভ্রান্তির সূচনা করতে পারে। এই কারণগুলির জন্য আরোপণ পদ্ধতির আরও যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন এবং ক্রম নির্ণয়ের বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা জরুরি।

সুতরাং এই প্রতিবেদনটির আসল কার্যকারিতা কী? আমাদের জন্য প্রায় কিছুই না। প্রকৃত পক্ষে, বিশ্বের একমাত্র দেশ, যে সমস্ত উন্নয়নমূলক বা রাজনৈতিক পদক্ষেপকে গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেসের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে, সেই ভুটান সম্পূর্ণ তালিকা থেকে অনুপস্থিত। নিঃসন্দেহে, ভুটানের সুখ বিবেচনা করার মানদণ্ড এবং এই রিপোর্টে ব্যবহৃত মানদণ্ড আলাদা। তাই এটি আবার আমাদের আগের প্রশ্নেই ফিরিয়ে আনে: এই অনুশীলনটি কি আদৌ মূল্যবান? এটি কি বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে? না কি এটি আবার স্বনির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে গ্লোবাল সাউথের উপর গ্লোবাল নর্থের শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর উদাহরণ? যদি তা-ই হয়, তা হলে এক বারের জন্য অন্তত গ্লোবাল সাউথের দৃষ্টিকোণে সুখকে চিত্রিত করা যাক এবং দেখা যাক কোন দেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Nilanjan Ghosh

Nilanjan Ghosh

Dr. Nilanjan Ghosh is a Director at the Observer Research Foundation (ORF), India. In that capacity, he heads two centres at the Foundation, namely, the ...

Read More +
Soumya Bhowmick

Soumya Bhowmick

Soumya Bhowmick is an Associate Fellow at the Centre for New Economic Diplomacy at the Observer Research Foundation. His research focuses on sustainable development and ...

Read More +