-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ইউক্রেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খনিজ চুক্তির দরুন কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশাধিকার, নিয়ন্ত্রণ এবং এই চুক্তি থেকে প্রকৃত লাভবান হবে কে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে জেলেনস্কি-ট্রাম্প বৈঠকের আড়ম্বরহীন সমাপ্তির আগে ইউক্রেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের উপর একটি চুক্তিকে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সফরের একটি বড় ফলাফল বলে মনে করা হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে, যা যুদ্ধের পরে দেশ পুনর্গঠনের জন্য অপরিহার্য। এই ধরনের চুক্তি ইউক্রেনের জন্য আদর্শ না হলেও তারা যুদ্ধের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিযুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে নিজের দেশের খনিজ সম্পদ ব্যবহার করছে। এ দিকে ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিকে আসলে ঋণ পরিশোধের একটি রূপ হিসেবে এবং তার সরবরাহ শৃঙ্খল রক্ষা করার জন্য এই সম্পদগুলিতে প্রবেশাধিকার পেতে আগ্রহী। ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত আগ্রহ তার খনিজ নিরাপত্তা উদ্বেগ ও চিনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা সংক্রান্ত একটি বিস্তৃত ঐকমত্য থেকে উদ্ভূত। বিদ্যমান শুল্ক যুদ্ধের সময় চিন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কৌশলগত উপকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা ও রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার জন্য খনিজ প্রক্রিয়াকরণে তার সুবিশাল সম্পদ ব্যবহার করেছে। এই চুক্তিটি সাধন করতে পারলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দুর্বলতা মোকাবিলা করতে এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন লক্ষ্যের জন্য সম্পদ সুরক্ষিত করতে সক্ষম হবে।
ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত আগ্রহ তার খনিজ নিরাপত্তা উদ্বেগ ও চিনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা সংক্রান্ত একটি বিস্তৃত ঐকমত্য থেকে উদ্ভূত।
তীব্র বিতর্কিত ডিসি বৈঠক সত্ত্বেও উত্তেজনা হ্রাস পেয়েছে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আলোচনা আবার গতি পেয়েছে। উভয় পক্ষই একটি স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছে এবং দ্রুতই একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার আশা করা হচ্ছে। এই চুক্তির সর্বশেষ খসড়াটি মূল চুক্তির চেয়ে আরও বিস্তৃত এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে বিশেষাধিকার প্রদান করবে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ছাড়ের জন্য চাপ দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে যে, মার্কিন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কোঅপারেশন (আইফিএফসি) ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড জুড়ে বিদ্যমান রুশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাজপ্রম প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে এবং ইউক্রেন একটি যৌথ বিনিয়োগ তহবিল তৈরি করবে, যা রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে খনিজ সম্পদ আয় পরিচালনা করবে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, প্রস্তাবিত চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কোনও সুরক্ষা গ্যারান্টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা যুদ্ধের চতুর্থ বছরে ইউক্রেনের জন্য একটি বাধা অবশ্যই। এই চুক্তি উভয় পক্ষের উপকার করলেও চুক্তির সামগ্রিক প্রভাব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে এবং সফল সম্পদ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে নানাবিধ বাধা রয়েছে।
ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের বিবরণ
ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ দু’টি অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। বৃহত্তমটি হল ইউক্রেনীয় শিল্ড, যা দেশের কেন্দ্রস্থল থেকে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত একটি প্রশস্ত অঞ্চল এবং এটি রূপান্তরিত ও গ্রানাইটিক শিলা দ্বারা গঠিত। দ্বিতীয়টি হল ডিনিপ্রো-ডোনেটস ডিপ্রেশন নামে একটি চ্যুতি অববাহিকা, যা রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত। এই দু’টি অঞ্চলের মধ্যে ইউক্রেনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পুনরুদ্ধারযোগ্য কয়লা, গ্যাস, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, আকরিক, টাইটানিয়াম ও ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে (দ্রষ্টব্য চিত্র ১)। সোভিয়েত যুগে দক্ষিণ-পূর্বে ইস্পাত তৈরিকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে একটি বিশাল শিল্প এলাকা গড়ে ওঠে। স্বাধীনতার এক দশকের মধ্যে ইউক্রেন অনেক খনিজ পদার্থের একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদক এবং রফতানিকারক হয়ে ওঠে।
চিত্র ১: ইউক্রেনের খনি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ ও ভাণ্ডার

সূত্র: এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল
ইউক্রেনে ২০,০০০ সমীক্ষাকৃত ভাণ্ডার এবং আকরিকসমৃদ্ধ অঞ্চল রয়েছে, যার মধ্যে ৯৭ ধরনের খনিজ রয়েছে। ৮,০০০ প্রমাণিত ভাণ্ডারের মধ্যে প্রায় অর্ধেক ২০২২ সালের আগে খনন করা হচ্ছিল। বর্তমানে ইউক্রেনের মোট সম্ভাব্য মজুতের প্রায় ২০ শতাংশ রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে থাকা অঞ্চলে রয়েছে। এই সম্পদগুলির অধিকার হারানোর ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটেছে, বিশেষ করে উচ্চ-প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে। উদাহরণস্বরূপ, যুদ্ধের আগে বিশ্বের ৪৫ থেকে ৫৪ শতাংশ অর্ধপরিবাহীর জন্য জরুরি নিয়ন - যা ইস্পাত উৎপাদনের একটি উপজাত পদার্থ – দু’টি ইউক্রেনীয় সংস্থা থেকেই আসত। তবে আক্রমণের পরে সেই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ববর্তী সোভিয়েত ও ইউক্রেনীয় ভূ-বিজ্ঞানীরা লিথিয়াম ও বিরল খনিজ পদার্থের ভাণ্ডারও শনাক্ত করেছিলেন, যেখানে এখনও কোনও কাজ হয়নি।
খনিজ উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ
শান্তি চুক্তির পর্যায়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উৎপাদন বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং প্রযুক্তির সংস্কার তাদের নিয়ন্ত্রণকারী পক্ষকে আরও বেশি মূল্য প্রদান করতে পারে। তবে উপাদানগুলির অভিহিত মূল্য খনিজ পণ্য উত্তোলন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিক্রি করার জন্য প্রয়োজনীয় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও সময়ভিত্তিক নয়। উদাহরণস্বরূপ, অনুসন্ধান থেকে উত্তোলন পর্যন্ত একটি কাজে গড়ে ১৬ বছর সময় লাগে। সুতরাং, স্বল্প থেকে মাঝারি মেয়াদে ইউক্রেনের খনিজগুলি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে কোনও পরিবর্তন যে আনবেই, এমন সম্ভাবনা কম। সর্বোপরি, এই খনিজগুলির কিছু মূল্যায়ন বহু প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক তথ্য ও শ্রেণিবিন্যাসমূলক ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তথ্য প্রচারের উপর আইনি বিধিনিষেধের কারণে বিরল খনিজ পদার্থ-সহ কিছু খনিজ সম্পর্কিত তথ্যও অনুপলব্ধ। অদক্ষতা ও জটিল নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়াগুলিকে ঘিরেও উদ্বেগ বিদ্যমান। সর্বোপরি, রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ক্ষয়ক্ষতি, নিষ্ক্রিয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মেরামত ও ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থা ধ্বংসের কারণে বিদ্যুৎ অস্থিতিশীলতার বিষয়টি সংঘাত শেষ হওয়ার পরেও শিল্পের মুনাফা অর্জনের ক্ষমতার উপর সন্দেহ তৈরি করে। সুতরাং, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ কাজে লাগানোর উল্লেখযোগ্য সুযোগ ভবিষ্যতে থাকলেও, সম্পদ উন্নয়নের পথ সহজ হবে না। যদি ইউক্রেন তার গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ সফল ভাবে উত্তোলন করতে সক্ষমও হয়, তা হলেও অভ্যন্তরীণ পরিশোধন ক্ষমতার অভাবের অর্থ হল এই যে, প্রকৃত খনিজ স্বাধীনতা অর্জনে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে এই পরিস্থিতি এখনও ইউক্রেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চিনের উপরই নির্ভরশীল করে তুলতে পারে। এই পরিস্থিতি বিশেষ করে স্বল্পমেয়াদে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের অর্থনৈতিক যুক্তিকে দুর্বল করে তোলে। ফলস্বরূপ, চুক্তিটিকে সামরিক সাহায্যের জন্য পরিশোধের একটি রূপ হিসাবে বাজারজাত করা হয়েছে এবং আক্ষরিক প্রতিদান বাস্তবায়িত হতে বছরের পর বছর সময় লাগবে।
গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তথ্য প্রচারের উপর আইনি বিধিনিষেধের কারণে বিরল খনিজ পদার্থ-সহ কিছু খনিজ সম্পর্কিত তথ্যও অনুপলব্ধ। অদক্ষতা ও জটিল নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়াগুলিকে ঘিরেও উদ্বেগ বিদ্যমান।
যুদ্ধের প্রভাব
নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) সদস্যপদ ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আলোচনার বাইরে থাকলেও এই চুক্তিটি কিছু ইউক্রেনীয় দাবি পূরণ করতে পারে। যেমন ইউক্রেন জাপারোঝিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করবে (যা ইউক্রেনের ২৩ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা শিল্প থাকার অধিকার রক্ষা করবে। তবে রাশিয়ার পরবর্তী দাবি মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা কঠিন। কারণ তেমনটা হলে তা ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বানের বর্তমান অবস্থান থেকে সরে আসবে।
যে কোনও ধরনের চুক্তিতে পৌঁছনোই কঠিন হবে। কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার অবস্থানে মৌলিক অসঙ্গতি রয়েছে। রাশিয়ার আক্রমণের দিকনির্দেশনা ও অক্ষ ইঙ্গিত দেয় যে, প্রাকৃতিক সম্পদ দখল করা একটি স্পষ্ট লক্ষ্য। রাশিয়াও এই চুক্তির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। কারণ রাশিয়া এই আলোচনাকে এমন আলোকেই দেখছে, যা ইউক্রেন আর নিয়ন্ত্রণ করছে না। কারণ যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনগুলি স্থানান্তরিত হয়েছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে পুতিন মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে বিরল খনিজ পদার্থের যৌথ অনুসন্ধানের প্রস্তাব করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের চাইতেও উল্লেখযোগ্য রকমের বেশি সম্পদ রয়েছে। তিনি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলিতে সম্ভাব্য বিরল খনিজ পদার্থ সংক্রান্ত অনুসন্ধান চুক্তি সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
মার্কিন-ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি একটি অপ্রত্যাশিত সংঘাতের মধ্যে অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের ভারসাম্য বজায় রাখার জটিলতাকেই দর্শায়।
মার্কিন শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের রাশিয়ার ভূখণ্ডগত লাভের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানকারী কোনও চুক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা কম। সুতরাং, ইউক্রেনে আরও মার্কিন সম্পৃক্ততার ন্যায্যতা প্রদান ছাড়াও চুক্তিটি বর্তমান গতিপথকে আমূল পরিবর্তন করে না।
উপসংহার
আমেরিকা-ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি একটি অপ্রত্যাশিত সংঘাতের মধ্যে অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের ভারসাম্য বজায় রাখার জটিলতাকেই দর্শায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের অধিকার নিশ্চিত করার একটি সুযোগ। তবে এটি রাশিয়াকে আরও বিচ্ছিন্ন করে তোলা এবং স্পষ্ট ও তাৎক্ষণিক প্রতিদান ছাড়াই ইউক্রেনে তার সম্পৃক্ততাকে আরও গভীর করার ঝুঁকিও বহন করে। ইউক্রেনের জন্য চুক্তিটি অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাব্য পথ তৈরিতে মার্কিন স্বার্থের প্রতিশ্রুতি বহন করে। বিপরীতে, এটি সম্পদের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ উদ্বেগ উত্থাপন করে, বিশেষ করে স্পষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়াই। ইউক্রেনের সীমিত দর কষাকষির ক্ষমতার কারণে তার শিল্পে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সম্পৃক্ততার ফলে নিজের প্রাকৃতিক সম্পদ কী ভাবে বিকশিত হয়, কারা সেগুলি থেকে লাভবান হয় এবং কী ভাবে সেগুলি ব্যবহার করা হয়… এই সব বিষয়ের উপরেই ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। এটি ইউক্রেনকে অস্থির বিদেশি স্বার্থের উপর নির্ভরশীল করে তুলতে পারে এবং দেশটির নিজস্ব অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পরিশেষে, চুক্তিটি স্বল্পমেয়াদে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনরেখা হিসেবে কাজ করলেও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলিকে বিচক্ষণতার সঙ্গেই বিবেচনা করা দরকার।
আমোহা বাসরুর অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির জুনিয়র ফেলো।
রাজোলি সিদ্ধার্থ জয়প্রকাশ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Amoha Basrur is a Junior Fellow at ORF’s Centre for Security Strategy and Technology. Her research focuses on the national security implications of technology, specifically on ...
Read More +
Rajoli Siddharth Jayaprakash is a Junior Fellow with the ORF Strategic Studies programme, focusing on Russia’s foreign policy and economy, and India-Russia relations. Siddharth is a ...
Read More +