Published on Aug 16, 2024 Updated 0 Hours ago

এই সফরটি বাকি বিশ্বের প্রতি ভারতের অন্তর্নিহিত বহুমেরু দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে

প্রধানমন্ত্রী মোদীর মস্কো সফরের প্রেক্ষিতে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

প্রায় অর্ধ দশক পর রাশিয়া সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে তিনি শেষবার রাশিয়া সফর করার পর থেকে অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে। সে সময় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের  মতো ছিল, এবং নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য সর্বকালের উচ্চতায় ছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের সঙ্গে এই সবের পরিবর্তন হল। সেই সময়ে সম্পর্কটি সুপ্ত হয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল, এবং নিছক প্রতীকবাদে পরিণত হতে পারত। পরিবর্তে, তা হঠাৎ করে একটি অর্থনৈতিক প্রেরণা অর্জন করে। ২০২৩ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল, যা মূলত রাশিয়া থেকে শক্তি আমদানির দ্বারা চালিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক রাশিয়া সফরটি ছিল একটি নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক সফর, যার লক্ষ্য শুধুই বছরের পর বছর ধরে উত্থাপিত সমস্যাগুলি সমাধান করাই নয়, আগামী বছরগুলিতে ভারত-রাশিয়া সহযোগিতার পথকেও নির্ধারিত করা।


এই সফরের ফলাফল

সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্ল-‌‌এ
ভূষিত করা হয়েছিল, যা রাশিয়ার গণনায় ভারতের গুরুত্বকে প্রকাশ করে। দু'দিনের সফরে ইউক্রেনের যুদ্ধ, রুশ সশস্ত্র বাহিনীতে প্রতারণা করে ফ্রন্টলাইনে লড়াইয়ে নিয়ে যাওয়া ভারতীয়দের প্রত্যাবাসন, এবং গাজার সংকটের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এই আলোচনার পাশাপাশি, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ১৫টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে ছিল ট্রেড প্রমোশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ও অল রাশিয়া পাবলিক অর্গানাইজেশন "বিজনেস রাশিয়া"-‌র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে উন্নত করার জন্য এমওইউ, এবং ইনভেস্ট ইন্ডিয়া ও জেএসসি ‘‌ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ রাশিয়ান ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’‌-‌এর মধ্যে একটি চুক্তি। দুই দেশই ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক ও রাশিয়ান ফেডারেশনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে এবং স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তির উন্নয়নে একত্রে কাজ করার জন্য একটি সমঝোতাপত্র  স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরও এমওইউ সম্পন্ন হয়েছে সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও ফেডারেল সার্ভিস ফর স্টেট রেজিস্ট্রেশন, ক্যাডাস্টার অ্যান্ড কার্টোগ্রাফি, রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে; এবং ইন্ডিয়ান ফার্মাকোপিয়া কমিশন ও রাশিয়ার ফেডারেল স্টেট বাজেটারি ইনস্টিটিউশন ‘‌সায়ান্টিফিক সেন্টার ফর এক্সপার্ট ইভ্যালুয়েশন অফ মেডিসিনাল প্রোডাক্ট’‌-‌এর মধ্যে।
 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে এবং স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তির উন্নয়নে একত্রে কাজ করার জন্য একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। 



আরও গুরুত্বপূর্ণ, ২০১৯ সাল থেকে রুশ দূরপ্রাচ্যে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের আগ্রহ বেড়েছে, এবং উভয় দেশ ২০২৪ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত রুশ দূরপ্রাচ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে কৃষি, শক্তি, খনি, জনশক্তি, হিরা, ফার্মাসিউটিক্যালস, ও সামুদ্রিক পরিবহণে। আর্কটিক অন্বেষণে, ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার রিসার্চ ও অ্যান্টার্কটিক রিসার্চ ইনস্টিটিউশন অন কোঅপারেশন ইন রিসার্চ অ্যান্ড লজিস্টিকস ইন পোলার রিজিয়ন-‌এর মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। জুন মাসে রাশিয়া
খসড়া লজিস্টিক চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা সামরিক পর্যায়ে বিনিময়, প্রশিক্ষণ, বন্দর যাতায়াত এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রম (এইচএডিআর) সহজতর করে। এই চুক্তি ভারতকে রাশিয়ার আর্কটিক সুবিধাগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম করবে।


সফরের সময় সন্ত্রাস দমন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপর উল্লেখযোগ্য জোর দেওয়া হয়। উভয় নেতা
আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং মৌলবাদ, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, এবং মস্কো ফরম্যাট মিটিংয়ের ভূমিকার গুরুত্বের উপর জোর দেন।

 
ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের জন্য এই সফরের অর্থ কী?


বেশ কিছু কৌশলগত ভাষ্যকার এই সফরের ফলাফলকে নিছক
প্রতীকবাদের দ্বারা চালিত বলে খারিজ করে দিয়েছেন। যাই হোক, সফরের ফলাফল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ; এটি আগামী বছরগুলিতে দুই দেশের মধ্যে একটি বর্ধিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ইঙ্গিত দেয়। কাগজে কলমে, যদি আইএনএসটিসি-তে ট্র্যাফিক বাড়তে থাকে — ইএইইউ-এর সঙ্গে একটি মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে, আর সোভিয়েত যুগের চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্টক সামুদ্রিক করিডোরের পুনরুজ্জীবনের পরিপূরক উত্তর সাগর রুট তো আছেই — এ থেকে ট্রানজিট সময় ৪০ দিন থেকে কমে ২০ দিন হবে, যার ফলে ভারত ইউরেশীয় বাণিজ্যে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে।


একাটেরিনবার্গ ও কাজানে
দুটি নতুন কনস্যুলেট স্থাপন রাশিয়ার প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। এটি রাশিয়া জুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিও প্রতিফলিত করে। যদিও রাশিয়ায় ভারতীয় ব্যবসায়িক উপস্থিতি ন্যূনতম, তবুও বছরের পর বছর ধরে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। বাণিজ্য ঝুড়িতে জ্বালানি বাণিজ্য আধিপত্য বিস্তার করেছে, এবং রাশিয়ায় ভারতীয় ওষুধ  ক্ষেত্র জার্মানির পরিবর্তে রাশিয়ার শীর্ষ ওষুধ সরবরাহকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ডক্টর রেড্ডি'স ল্যাবরেটরি, সান ফার্মা এবং সিপলা-র মতো বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফার্মা জায়ান্ট স্থানীয় রাশিয়ান ফার্মগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি করেছে এবং জেনেরিক ওষুধ তৈরি করা শুরু করেছে।



একাটেরিনবার্গ ও কাজানে দুটি নতুন কনস্যুলেট স্থাপন রাশিয়ার প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। এটি রাশিয়া জুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিও প্রতিফলিত করে।



২০২২ সাল থেকে অর্থপ্রদান নিষ্পত্তি একটি সমস্যা রয়ে গিয়েছে, এবং ২০২৩ সালে রুপি-রুবল পতনের সঙ্গে তা আরও বেড়েছে। যাই হোক, একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা হয়েছে, যা দিয়ে অর্থ প্রদানের বিরোধ
নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ভিটিবি ব্যাঙ্কের সিইও আন্দ্রে কোস্টিনের মতে, রাশিয়ার কোষাগারে জমাকৃত রুপির সমস্যা সমাধান করা হয়েছে, এবং ‘‌ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে রুবলে রূপান্তরিত করা হয়েছে’‌। তদুপরি, রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলি ভারতীয় শেয়ার, সরকারি সিকিউরিটিজ এবং পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে রুপি বিনিয়োগ করেছে, এবং রুপিকে রুবলে রূপান্তরিত লেনদেনের খরচ কমে এসেছে, যা বাণিজ্যকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করে তুলেছে।


অবশেষে, পুতিন রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত আনুমানিক ৩৫-৫০ জন ভারতীয়কে ছেড়ে দেওয়া এবং প্রত্যাবাসনের অনুরোধ গ্রহণ করেছেন। এটি নয়াদিল্লির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক জয়, কারণ নেপাল ও শ্রীলঙ্কা একাধিকবার আবেদন করেও রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পারেনি।


চ্যালেঞ্জ

ঐতিহাসিকভাবে, সামরিক-প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ভিত্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এস-৪০০ অ্যান্টি-মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনও বড় সামরিক চুক্তি হয়নি। ইউক্রেনের যুদ্ধ নতুন দিল্লিতে অস্ত্র রপ্তানির সময়মতো সরবরাহ নিয়ে
উদ্বেগ তৈরি করেছে। চিনের সঙ্গে মস্কোর বন্ধুত্ব আরেকটি কারণ যা এই ধরনের উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে, কারণ রাশিয়ার অস্ত্র পাওয়ার জন্য চিন ভারতের উপর অগ্রাধিকার পেতে পারে। দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে নয়াদিল্লির উপস্থিতি এবং চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্টক মেরিটাইম করিডোর পুনরুজ্জীবিত হওয়া সত্ত্বেও, বাণিজ্য থেকে লাভ অত্যধিক মূল্যায়ন করা হয়েছে, কারণ শ্রম ও বিদেশি বাজারের ক্ষেত্রে দূরপ্রাচ্যের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। এর কারণ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। সুতরাং, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের সম্ভাব্য ভারতীয় শিল্পগুলি বাস্তবিকভাবে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণভাবে (রাশিয়া) বা আসিয়ান ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে। অনুরূপ চ্যালেঞ্জগুলি আইএনএসটিসি-র ক্ষেত্রেও রয়ে গিয়েছে, কারণ এটি ভারতীয় সংস্থাগুলিকে একটি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইরানের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত করবে, এবং ঘন ঘন মাল লোড ও আনলোড করা একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। অবশেষে, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি আরেকটি উদ্বেগের বিষয়, কারণ ২০২৩ সালে রাশিয়ায় ভারতীয় রপ্তানি ছিল মাত্র ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিপরীতে, আমদানি ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, অর্থপ্রদানের ভারসা্ম্য (‌ব্যালান্স অফ পেমেন্টস)‌ রাশিয়ার পক্ষে। ভবিষ্যতে, বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ হবে।



রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের সম্ভাব্য ভারতীয় শিল্পগুলি বাস্তবিকভাবে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণভাবে (রাশিয়া) বা আসিয়ান ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে। অনুরূপ চ্যালেঞ্জগুলি আইএনএসটিসি-র ক্ষেত্রেও রয়ে গিয়েছে, কারণ এটি ভারতীয় সংস্থাগুলিকে একটি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইরানের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত করবে, এবং ঘন ঘন মাল লোড ও আনলোড করা একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।


উপসংহার

প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাশিয়া সফর বেশ কয়েকটি পশ্চিমী রাজধানীতে ভ্রুকুঞ্চন সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই সফরকে "একটি বিশাল হতাশা এবং শান্তি প্রচেষ্টার জন্য একটি ধ্বংসাত্মক আঘাত" বলে
অভিহিত করেছেন। যেদিন মো্দী রাশিয়ায় ছিলেন, এক ঝাঁক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভ শিশু হাসপাতালে আঘাত করেছিল এবং ৪২ জন নিহত হয়েছিলেন। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তখন বাইডেন প্রশাসন ওয়াশিংটনের কৌশলগত গণনায় ভারতের গুরুত্বকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে। আরও, এই সফরটি বাকি বিশ্বের প্রতি ভারতের অন্তর্নিহিত বহুমেরু দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে, কারণ প্রধানমন্ত্রী পুনরায় নির্বাচনের পর প্রথমেই রাশিয়া সফর করেছেন। এই সফরটি ২০২২ বা ২০২৩ সালে মোদীর রাশিয়া সফর না-‌করার আলোকে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের অবনতির ভুল ধারণাকে আরও স্পষ্ট করে মুছে দেয়, এবং দেখায় যে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এতটাই স্থিতিশীল যে বিশ্ব ব্যবস্থার ভূ-রাজনৈতিক আকার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। 



রাজোলি সিদ্ধার্থ জয়প্রকাশ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহকারী।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.