Published on Jun 13, 2023 Updated 0 Hours ago

ক্যারিবিয়ান দেশগুলির মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ভুক্তভোগীদের সমস্যা মেটাতে যৌথ কর্মসূচি নিয়ে নজির স্থাপনের সুযোগ রয়েছে জি২০-র সামনে

ক্যারিবিয়ান দেশগুলির ‘স্থিতিস্থাপকতার পথ’ (Resilience Way)

প্রাক্রিতিক বিপর্যয় এক মুহূর্তে যেমন কোনও একটি সম্প্রদায়কে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে তেমনি স্থিতিশীল বৃদ্ধির জন্য কোনও দেশের সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করতে পারে। ২০১৯ সালে হারিকেন ডোরিয়াঢ় বাহামার আবাকো এবং গ্র্যান্দ বাহামা দ্বীপগুলিকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এর ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়, শত শত মানুষ এখনও নিখোঁজ এবং হাজার হাজার বাহামিয়ান তাঁদের বাড়িঘর এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই হারিকেনের ফলে আনুমানিক বস্তুগত ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের জিডিপির এক চতুর্থাংশ। প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিস সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন: ‘আমি আপনাদের কথা সারা বিশ্বের নেতাদের জানিয়েছি। এ কথা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে, তাঁরা যেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে অবগত হন। জীবাশ্ম জ্বালানি দহন থেকে কার্বন নিঃসরণ অনেক বড় দেশকে বিপুলাংশে ধনী করে তুললেও এর ফলে হারিকেন আরও ঘন ঘন এবং আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেই একই দেশগুলিকে আমাদের মতো দেশগুলির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে – আমরা যারা এই সঙ্কটে কোনও ভাবেই দায়বদ্ধ নই- যাতে আমরা খাপ খাইয়ে নিতে পারি এবং আরও স্থিতিস্থাপক হয়ে উঠতে পারি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তা বিশ্ব অর্থনীতি ও এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কার্যকর দুর্যোগ স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার গুরুত্বকেই দর্শায়। কপ২৬ কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি জি২০-র দুর্যোগ স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক পথনির্দেশিকা বাস্তবায়নেরও একটি সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে। বৈশ্বিক মঞ্চে দুর্যোগের স্থিতিস্থাপকতার বিষয়ে যে কোনও আলাপ-আলোচনার জন্য ক্যারিবিয়ান দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব, অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোভিড-১৯ এবং সুস্থ জীবনযাত্রার প্রতিটি দিকের উপর তার প্রভাব পড়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘স্থিতিস্থাপকতা’ বিষয়টি বহু-আলোচিত হলেও ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায় (ক্যারিকম) এবং অন্য ক্যারিবিয়ান দেশগুলির জন্য এটি কোনও নতুন ধারণা বা নীতিমূলক দৃষ্টান্ত নয়।(১) এই অঞ্চলে স্থিতিস্থাপকতা নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন এবং সরকার ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের কাজের কেন্দ্রে অবস্থিত।

কয়েক দশক ধরেই এই দেশগুলি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে স্থিতিস্থাপকতাকেই সম্বোধন করেছে: শক্তি স্থিতিস্থাপকতা, অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা, নাগরিক স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু ও দুর্যোগ স্থিতিস্থাপকতা। ক্যারিবিয়ান দেশগুলি এবং লাতিন আমেরিকা বন্যা, হারিকেন, ভূমিকম্প, ভূমিধস এবং খরার সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। তবুও এই অঞ্চলটি মোট বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের ১০ শতাংশেরও কম উৎপাদনের জন্য দায়ী। ১১টি পূর্ব এবং দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান দেশের উপর করা ২০১৮ সালের ইউএসএআইডি সমীক্ষা ইঙ্গিত করে যে, এই দেশগুলি গড়ে বিশ্বব্যাপী মোট কার্বন নিঃসরণের মাত্র ২.৪২ শতাংশের জন্য দায়ী। পশ্চিম গোলার্ধের মধ্যে ক্যারিবিয়ান দেশগুলি এবং মধ্য আমেরিকা হল ‘জলবায়ু  পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শিকার’। ক্যারিবিয়ান দেশগুলি জলবায়ু পরিবর্তনে শীর্ষ অবদানকারী না হওয়া সত্ত্বেও তাদেরই উচ্চ মূল্য চোকাতে হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যয় বাড়তে থাকবে, কারণ বিপদ আরও তীব্র হবে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ৪২টি বড় হারিকেন নথিভুক্ত করা হয়েছিল, ২০০০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮-এ। বেশিরভাগ ক্যারিবিয়ান অর্থনীতির কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য কার্যকর প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার করার জন্য আর্থিক সংস্থান সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও একটি অসুবিধা সৃষ্টি করে৷ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি পর্যটনের মতো বাহ্যিক আয়ের উৎসের উপরও অত্যন্ত নির্ভরশীল। একটি বিপর্যয় আঘাত হানলে পর্যটকদের আগমন বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিও ভেঙে পড়ে। ইতিমধ্যেই আর্থিক চাপের মধ্যে থাকা সরকারগুলি জরুরি পুনরুদ্ধার এবং পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টার জন্য উচ্চ ব্যয়ের ঋণ বহন করে। ক্যারিবিয়ান দেশগুলির দুই-তৃতীয়াংশের ঋণ ও জিডিপি-র অনুপাত ৬০% শতাংশেরও বেশি, যা উন্নয়নশীল অর্থনীতির গড়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর পাশাপাশি অনুকূল আন্তর্জাতিক অর্থায়ন শর্তাবলি মাথাপিছু জিডিপি আয় শ্রেণিবিভাগ সূত্র দ্বারা স্থির হয়, যা বাস্তবতা এবং প্রয়োজনগুলিকে গণ্য করে না। উদাহরণস্বরূপ বলা  যায়, বার্বাডোজকে একটি উচ্চ আয়ের অর্থনীতি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে এবং দেশটির মোট জনঋণ ও জিডিপি-র অনুপাত ১৩১.৯ শতাংশ।

যেখানে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সামর্থ্য দুর্যোগ মোকাবিলার প্রচেষ্টায় যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে, সেখানে সেগুলির ক্ষমতায়ন জরুরি। ক্যারিবিয়ান ডিজাস্টার ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে (সিডিইএমএ) – যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ক্যারিকম আন্তঃ-সরকারি সংস্থা(২)  সর্বাত্মক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া, পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসনের মতো বিষয়। সম্প্রতি সংস্থাটি পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা উন্নত করতে এবং দেশ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তির মধ্যে বৃহত্তর সমন্বয় বৃদ্ধি করতে ক্যারিবিয়ান রেজিলিয়েন্ট রিকভারি ফেসিলিটি চালু করেছে। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতায় প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা সশক্ত করার দিকেও মনোনিবেশ করে। সমন্বয় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণকে উন্নত করার জন্য সিডিইএমএ ডিজিটাল রূপান্তর সরঞ্জাম গ্রহণ করছে। এখনও এ বিষয়ে কাজ করা বাকি এবং জি২০ দেশ, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাঙ্ক ও বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশীদারদের কাছ থেকে আরও সংস্থান গ্রহণ করা যেতে পারে, বিশেষত যখন বিপদ বারংবার আসছে এবং তীব্রতর হচ্ছে।

বেসরকারি খাত, বিশেষ করে বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থা যেমন অ্যামাজন, অ্যাপল, মেটা এবং মাইক্রোসফটের অংশগ্রহণ ছাড়া বিপর্যয় স্থিতিস্থাপকতা কষ্টকল্পনা। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে দুর্যোগ স্থিতিস্থাপকতার জন্য প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ সম্ভব করতে সরকার ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সহযোগিতা এবং সমন্বয় জোরদার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস-এর একটি নির্দিষ্ট দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া দল রয়েছে, যা সংযোগ, দুর্যোগ ম্যাপিং এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তথ্যকে সমৃদ্ধকারী সফটওয়্যার ডিজাইন করার মাধ্যমে এ হেন ব্যবস্থাগুলিকে সমর্থন জোগায়৷ এই দলের মধ্যে প্রজেক্ট রেজিলিয়েন্স বিপদের প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে ক্লাউড পরিষেবাগুলি ব্যবহার করার জন্য সরকারি, অলাভজনক এবং বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলির জন্য ‘স্থিতিস্থাপকতা ঋণ’ প্রদান করে ব্যবসার ধারাবাহিকতার উপর মনোনিবেশ করে। যখন বিপর্যয় ঘটে, তখন ক্লাউড পরিষেবা এবং পৃথিবী পর্যবেক্ষণ তথ্য প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা এবং রিয়েল-টাইম তথ্যের লব্ধতা ও বিশ্লেষণ করার জন্য অপরিহার্য।

একটি অভিন্ন জি২০ লক্ষ্যমাত্রার প্রধান কাজ হবে সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্যারিবিয়ান দেশগুলির মতো প্রভাব বহনকারী দেশগুলির মধ্যে সাম্যাবস্থা গড়ে তোলা। যেমনটা বিশিষ্ট ক্যারিবিয়ান কূটনীতিক স্যার রোনাল্ড স্যান্ডার্স বলেছেন, ধনী দেশগুলির তরফে ‘ছোট দেশগুলি যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছে’, তা থেকে তাদের বের করে আনতে এবং ডুবে যাওয়া এড়াতে সহযোগিতা ও সহায়তার প্রয়োজন। সদিচ্ছা অথবা মোকদ্দমা… এই দুইয়ের যে কোনও একটি পথেই সাম্য অর্জন করা যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত অ্যান্টিগা, বারবুডা এবং টুভালু এমন একটি প্রক্রিয়ার সূচনা করেছে, যা প্যারিস চুক্তির সংযোজন ৫১তম অনুচ্ছেদকে পরীক্ষার মুখে ফেলে এবং যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ক্ষয় এবং ক্ষতির দায়বদ্ধতার সম্ভাবনাকে প্রকাশ্যে আনে।

ক্যারিবিয়ান অভিজ্ঞতা বিপর্যয় স্থিতিস্থাপকতার জন্য সমন্বিত এবং একত্র বিনিয়োগ, নীতি এবং পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে অবশিষ্ট বিশ্বের জন্য একটি নীলনকশা প্রদান করে। জি২০ ক্যারিবিয়ান দেশগুলির ‘স্থিতিস্থাপক উপায়’ থেকে পাঠ নিতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান মঞ্চ হিসাবে জি২০ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের সমর্থন জোগানোর জন্য ও তাদের হয়ে আওয়াজ তোলার জন্য ভাল অবস্থানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আনুষ্ঠানিক জি২০-এসআইডিএস স্থিতিস্থাপক আলাপ-আলোচনা চালু করা; বিদ্যমান আঞ্চলিক ব্যবস্থা ও ছোট, দুর্বল রাজ্যগুলির জন্য অর্থায়ন সংহত করা; আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি ট্রাস্টের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করা; অনুকূল অর্থায়ন লব্ধ করার জন্য বিকল্প শ্রেণিবিন্যাস সূত্রের পক্ষে সমর্থন জোগানো এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে জোরদার করা। সর্বোপরি, একটি ক্রমবর্ধমানভাবে বিভক্ত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের শিকারদের কল্যাণ সাধন এবং জীবন বাঁচানোর মাধ্যমে জি২০-এর কাছে সমষ্টিগত পদক্ষেপের নজির স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে।


১) ক্যারিকম ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র এবং পাঁচটি সহযোগী সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত। সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল অ্যান্টিগা ও বারবুডা, বাহামা, বার্বাডোজ, বেলিজ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, গায়ানা, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাট (ইউকে), সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনস, সুরিনাম এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো। সহযোগী সদস্যরা হল অ্যাঙ্গুইলা (ইউকে), বারমুডা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস (ইউকে), কেম্যান আইল্যান্ডস (ইউকে), এবং টার্কস অ্যান্ড কাইকোস আইল্যান্ড। অ-ক্যারিকম সদস্যরা হল: নেদারল্যা ন্ডস (আরুবা, বোনায়ার, কুরাকাও, সাবা, সিন্ট ইউস্টাটিয়াস, সিন্ট মার্টেন), কিউবা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স (গুয়াডেলুপ, মার্টিনিক, সেন্ট বার্থেলমে, সেন্ট মার্টিন), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (পুয়ের্তো রিকো, ইউনাইটেড স্টেটস ভার্জিন আইল্যান্ডস)।

২) ১৯টি সিডিইএমএ অংশগ্রহণকারী দেশ হল: অ্যাঙ্গুইলা, অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা, কেম্যান আইল্যান্ডস, বাহামাস কমনওয়েলথ, বার্বাডোজ, বেলিজ, কমনওয়েলথ অফ ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, গায়ানা রিপাবলিক, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইনস, সুরিনাম, রিপাবলিক অব ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, টার্কস অ্যান্ড কাইকোস আইল্যান্ড্স এবং ভার্জিন আইল্যান্ডস।


এই নিবন্ধটি ‘জি২০-থিঙ্ক২০ টাস্ক ফোর্স থ্রি: লাইফ, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ভ্যালুজ ফর ওয়েলবিয়িং’ সিরিজের অন্তর্গত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.