Published on Aug 23, 2023 Updated 0 Hours ago

স্বাধীনতার ৭৬তম বর্ষ উদ্‌যাপন করার সঙ্গে সঙ্গে ভারত সুদৃঢ় lও সচেতন ভাবে তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে, অঞ্চলটিতে নতুন প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করছে এবং নতুন অংশীদারিত্বের প্রচার চালাচ্ছে

প্রতিবেশী দেশগুলির খোঁজে: ৭৬তম বর্ষে ভারত

স্বাধীনতার ৭৬তম বর্ষ উদ্‌যাপন করার সঙ্গে সঙ্গে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ভারত ‘বর্তমান বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি’ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বব্যবস্থায় ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বও গত সাত দশক ধরে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা ও মিথস্ক্রিয়ার ফলাফলও বটে। এই বছরগুলি জুড়ে ভারতীয় উপমহাদেশ ভারতকে তার শক্তিশালী উপাদান ও সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য যথাযোগ্য সম্মান ও একটি পরীক্ষামূলক ভিত্তি প্রদান করেছে। এর পাশাপাশি যখন অমৃত কালের জন্য সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে, তখন প্রতিবেশের গুরুত্ব কেবল বৃদ্ধিই পেয়েছে। যেখানে ভারত পাকিস্তান সংক্রান্ত কৌশলগত দুশ্চিন্তার বোঝা থেকে নিজেকে মুক্ত করেছে; নেতৃস্থানীয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে; এবং এই অঞ্চলে সুদৃঢ় সম্পৃক্ততা, অর্থনৈতিক সমন্বয়, অংশীদারিত্ব ও সংযোগ ব্যবস্থার প্রচার চালানোর মাধ্যমে নতুন প্রতিবন্ধকতাগুলির মোকাবিলা করেছে।

পাকিস্তানের ফাঁদে পা না দেওয়া

ভারতের যুব সম্প্রদায়ের উপর ২০২২ সালের সর্বশেষ বিদেশ নীতি সমীক্ষায় প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ পাকিস্তানের প্রতি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি এবং ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অনীহাকে কার্যকর বলে মনে করেছে। ইতিহাসের বোঝা এবং উভয় দেশই একে অপরকে কোন চোখে দেখে, সেই সংক্রান্ত বদ্ধমূল ধারণার দরুন প্রতিবেশ অঞ্চলে নয়াদিল্লির নিজের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে চাওয়ার যে কোনও প্রচেষ্টাই পাকিস্তানের উপস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে সাম্প্রতিক ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত ভারত তার প্রতিবেশী নীতির সাফল্য/ব্যর্থতাকে পাকিস্তান নামক আতসকাচের মাধ্যমেই দেখেছে।

বিশ্বব্যবস্থায় ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বও গত সাত দশক ধরে তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা ও মিথস্ক্রিয়ার ফলাফলও বটে।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান-সহ সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশনের (সার্ক) সকল সদস্যই অংশগ্রহণ করে। এই ঘটনায় ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকার দ্বারা ভারতের প্রতিবেশ অঞ্চলকে দেওয়া গুরুত্বে এক প্রতীকী পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। আরও এক ধাপ এগিয়ে ভারত একই বছর কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে এবং মঞ্চটিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। কাঠমান্ডু ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের সময় কিছু মতবিরোধ থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে আরও ভাল ভাবে সংহত করার জন্য সার্ককে একটি আঞ্চলিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রদর্শিত হয়েছিল। যাই হোক, কাশ্মীরে ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদী হামলা ও অশান্তির জন্য ভারতের অভ্যন্তরে এবং প্রতিবেশ অঞ্চলে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে এই সামান্য বিশ্বাস বা আশা দুরাশায় পরিণত হয়।

২০২৩-এ ফিরে আসা যাক, যখন ভারতীয় জনসাধারণ বা ভারতীয় রাষ্ট্রের কারওই আর পাকিস্তান সংক্রান্ত অশান্তিকে সহ্য করার মতো মানসিকতা আর অবশিষ্ট নেই। একই ভাবে পাকিস্তান- যাকে কিনা এক সময় দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ ভারতের বিরুদ্ধে ভারসাম্য বজায় রাখার কাজে ও ভারতকে টক্কর দেওয়ার জন্য ব্যবহার করত- এখন সেই দেশটিই ব্যর্থ অর্থনীতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তার দরুন কৌশলগত প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। ভারতের ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’ বা ‘প্রতিবেশ প্রথম নীতি’ বর্তমানে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল এনগেজমেন্ট (বিমস্টেক) এবং প্রতিবেশ অঞ্চলে ছোট দেশগুলির সঙ্গে সুদৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দরুন সার্ক জনমানস থেকে প্রায় মুছে গিয়েছে। বিকল্প আঞ্চলিক মঞ্চের লক্ষ্যে এই পরিবর্তন দেশটির জন্য প্রতিবেশ সংক্রান্ত পরিকল্পনা থেকে পাকিস্তানকে দূরে সরিয়ে রাখারই এক প্রচেষ্টা।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে সাম্প্রতিক ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত ভারত তার প্রতিবেশী নীতির সাফল্য/ব্যর্থতাকে পাকিস্তান নামক আতসকাচের মাধ্যমেই দেখেছে।

সুদৃঢ় ব্যবস্থাপনার জন্য আহ্বান

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত দুশ্চিন্তা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লি প্রতিবেশ অঞ্চলে চিনা উপস্থিতি এবং প্রভাবকে খর্ব করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ‘প্রতিবেশ প্রথম’ নীতি এই ভাবে ভারতের প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততাকে উন্নীত করার চেষ্টা চালায়।

এই অঞ্চলের এ হেন অগ্রাধিকারকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় রেকর্ড সংখ্যক সফর দ্বারা চিত্রিত করা যেতে পারে। নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদী ভুটানে তাঁর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর করেন, তার পরে নেপালে যান, যা কিনা ১৭ বছরের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। এই সফরগুলি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে সক্রিয় কূটনীতি দ্বারা অনুসৃত হয়। এই সফর ও মিথস্ক্রিয়া চলাকালীন ভারত সংযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক সমন্বয় এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। নয়াদিল্লি ২০১৬ সালে মালদ্বীপের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি কম্প্রিহেনসিভ অ্যাকশন প্ল্যান স্বাক্ষর করেছে৷ ভারত এই অঞ্চলে সংযোগ বাড়ানোর জন্য উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগগুলির উপরও জোর দিয়েছে। নয়াদিল্লি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে বিবিআইএন-মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) স্বাক্ষর করেছে, যাতে চারটি দেশের মধ্যে মানুষ এবং পণ্যসম্ভার বহনকারী যানবাহনের আন্তঃসীমান্ত চলাচল সহজতর হয়৷ বিনিয়োগকারী ও চিনের হাত থেকে ঝুঁকিমুক্ত দেশগুলি ভারতের দিকে আগ্রহী হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের সহযোগিতা এবং সংযোগের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত দুশ্চিন্তা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লি প্রতিবেশ অঞ্চলে চিনা উপস্থিতি এবং প্রভাবকে খর্ব করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

অনুদান, ঋণ, ক্রেডিট লাইন, প্রযুক্তিগত পরামর্শ, দুর্যোগ ত্রাণ, বৃত্তি, দক্ষতা-নির্মাণ কর্মসূচি ইত্যাদির মাধ্যমে ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু মাত্র গত বছরই ভারত প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য ৫৮৫০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে, যার সিংহভাগই প্রতিবেশ অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, মালদ্বীপে ভারত শুধু মাত্র গত পাঁচ বছরে ৫৪টির বেশি হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টস বা উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন সম্প্রদায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চালু করেছে। ভুটানের সঙ্গে ভারত তার ১৩তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার জন্য সহায়তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এ কথাই দর্শায় যে, দেশটি বিগত দু’টি পরিকল্পনা সংক্রান্ত সম্মিলিত সহায়তা অর্থাৎ ৪৫০০ কোটি টাকার পরিমাণকে ছাপিয়ে যাবে। ভারতও এই অঞ্চলে প্রথম সংবেদনশীল শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। সামুদ্রিক বিপর্যয়ের সময় তার সহায়তা এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় তার প্রদত্ত ত্রাণ সহায়তা একটি ‘উন্নয়নমূলক অংশীদার’ এবং ‘প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী’ হিসাবে দেশটির ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকেই দর্শিয়েছে।

নতুন বাধ্যবাধকতা এবং নয়া অংশীদারিত্ব

অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সমন্বয় এবং সংযোগের একটি নতুন যুগের সূচনা করার পাশাপাশি ৭৬তম বর্ষে ভারত তার সেকেলে রক্ষণশীল মনোভাব থেকে বেরিয়ে  আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত উপমহাদেশের অন্যান্য শক্তির সঙ্গে ক্রমশ সহযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে তার কোয়াড অংশীদার – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস), জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যেমনটা দেখা গিয়েছে। দেশটিরই অভিপ্রায়ও ত্রিমুখী: প্রকৃত বিকল্প প্রস্তাবের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় চিনা বিনিয়োগ ও প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে  তোলা; এই অঞ্চলে এবং তার বাইরেও নিজেকে একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উপমহাদেশে নেতৃত্ব প্রদান, যা আখেরে ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে জায়গা করে নিতে সাহায্য করবে; তৃতীয়ত, প্রতিবেশ অঞ্চলে দৃঢ় ভাবে সম্পৃক্ত থাকার মাধ্যমে দেশটির অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যকে উন্নীত করা।

ভারতের এই কৌশলটি একটি নতুন আঞ্চলিক ব্যবস্থার জন্ম দিয়েছে, যা তার নিজের জন্য তো বটেই, এমনকি কোয়াড ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্যও লাভজনক। কূটনৈতিক ভাবে কোয়াড অংশীদাররা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মূল্যবোধভিত্তিক ব্যবস্থা প্রচারের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে সূক্ষ্ম ভাবে প্রভাবিত করার কাজে ভারতের সঙ্গে যোগদান করেছে। ওয়াশিংটন ও টোকিও থেকে ঢাকা ও কলম্বোয় সফরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্যানবেরা ও ডিসি উভয়ই বর্তমানে মালদ্বীপে তাদের কূটনৈতিক মিশনের সূচনা করেছে। পরিকাঠামোগত ভাবে জাপান সঙ্কট-বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা এবং অর্থনৈতিক  ভাবে উদীয়মান বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। ভারত নেপালে মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশনের (এমসিসি) সমর্থনকে সফল করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করেছে বলে জানা গিয়েছে, যা নেপালকে দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র এমসিসি বিনিয়োগকারীতে পরিণত করেছে।

এমনকি সঙ্কটের সময়েও – যেমনটা শ্রীলঙ্কার সঙ্কটে দেখা গিয়েছে – পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে এই অংশীদারিত্ব আন্তঃসহযোগিতা ও আন্তঃসমন্বয়ের কাজটি করেছে। অবশেষে ভারত এই অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তামূলক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই দেশগুলির প্রচেষ্টায় আপত্তি জানায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে মালদ্বীপের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত করে এবং নেপালকে রাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্ব কর্মসূচিতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানায়। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে তার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।

ভারতের এই কৌশলটি একটি নতুন আঞ্চলিক ব্যবস্থার জন্ম দিয়েছে, যা তার নিজের জন্য তো বটেই, এমনকি কোয়াড ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্যও লাভজনক।

এই অঞ্চলে ভারতের এ হেন সহযোগিতার ব্যাপ্তি এবং প্রকৃতি কয়েক বছর আগেও অকল্পনীয় ছিল। এই পরিবর্তন ক্রমবিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় ভারতের ক্রমবর্ধমান অভিযোজনযোগ্যতাকেই প্রতিফলিত করে। কারও সঙ্গে আনুষ্ঠানিক জোট না থাকা সত্ত্বেও কোয়াড অংশীদারদের সঙ্গে বিশ্বাস এবং নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে এই অঞ্চলে সহযোগিতা ও নেতৃত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করার জন্য ভারতের তরফে আরও বেশি সক্রিয়তা পরিলক্ষিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৬তম বর্ষ উদ্‌যাপন করার সঙ্গে সঙ্গে ভারত সুদৃঢ় ভাবে ও সচেতন ভাবে তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে, অঞ্চলটিতে নতুন প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করছে এবং নতুন অংশীদারিত্বের প্রচার চালাচ্ছে।


আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।

শিবম শেখাওয়াত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy is an Associate Fellow with ORFs Strategic Studies Programme. He focuses on broader strategic and security related-developments throughout the South Asian region ...

Read More +
Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat is a Junior Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. Her research focuses primarily on India’s neighbourhood- particularly tracking the security, political and economic ...

Read More +