ভূমিকা
একটি গগনচুম্বী আবাসন বলতে সাধারণত অস্বাভাবিক রকমের উঁচু, বসবাসযোগ্য বহুতল ভবনকেই বোঝায়।(১) এ হেন কাঠামোর উচ্চতাই হল প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য। উনিশ শতকের মার্কিন স্থপতি লুই সুলিভানের – যাঁকে প্রায়শই ‘গগনচুম্বী আবাসনের জনক’ বলে উল্লেখ করা হয় – মতে এই ধরনের আবাসনগুলির অবশ্যই ‘উচ্চতাজনিত শক্তি ও ক্ষমতা থাকা জরুরি ...[এবং] এর প্রতিটি বিন্দু গর্ব ও উত্থানের পরিচায়ক, যা নীচ থেকে উপর পর্যন্ত কোনও বিচ্যুতি রেখা ছাড়াই উল্লাসকে দর্শায়।’(২)
গগনচুম্বী আবাসনের কোনও স্পষ্ট সংজ্ঞা নেই বা এই ধরনের কাঠামো কী গঠন করে তার কোনও সর্বজনস্বীকৃত মানদণ্ডও নেই।(৩) প্রকৃতপক্ষে, একটি গগনচুম্বী আবাসনের নিরিখে যোগ্যতার উচ্চতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে।(৪) উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ১৮৮০-র দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় হোম ইন্স্যুরেন্স বিল্ডিংকে বর্ণনা করার জন্য এই ‘স্কাইস্ক্র্যাপার’ বা ‘গগনচুম্বী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল(৫), যে ভবনটি ছিল দশতলাবিশিষ্ট (বা উচ্চতায় প্রায় ৩০ মিটার)।(৬)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আর্বান হ্যাবিট্যাট (সিটিবিইউএইচ) উঁচু আবাসনগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত ও স্থিতিশীল উল্লম্ব নগরায়ণের উপর মনোযোগ দিয়ে(৭) এই ধরনের কাঠামোকে চিহ্নিত করার জন্য তিনটি বৈশিষ্ট্য সুনিশ্চিত করেছে।(৮)
প্রথম গুণমানটি হল প্রসঙ্গ সাপেক্ষে উচ্চতা। একটি আবাসন তখনই উঁচু বলে বিবেচিত হতে পারে, যদি সেটি ‘শহুরে আদর্শের চেয়ে স্পষ্টতই উচ্চ’ হয় (শহরের অন্যান্য কাঠামোর চেয়ে বেশি উঁচু)। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটি চোদ্দ তলার আবাসন ছোট কাঠামো-সহ শহরগুলিতে উঁচু বলেই বিবেচিত হবে, তবে হংকং বা নিউ ইয়র্কের মতো ‘হাইরাইজ সিটি’র ক্ষেত্রে নয়। দ্বিতীয় পরিমাপটি হল অনুপাত, যেখানে কোনও আবাসন খুব বেশি উঁচু না হলেও সরু হওয়ার দরুন বেশ উঁচু দেখাতে পারে। পাশাপাশি উঁচু ‘বিগ ফুটপ্রিন্ট বিল্ডিং’গুলির ফ্লোর এরিয়া বেশি হলে সেগুলিকে উঁচু হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ না-ও করা হতে পারে। তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হল প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি বা ব্যবহার, যাকে ‘উচ্চতা’র এক ফল হিসাবে দর্শানো যেতে পারে। এর অর্থ বর্তমানে স্টিল-ফ্রেমযুক্ত নির্মাণ এবং বৈদ্যুতিক সুরক্ষাসম্পন্ন লিফটের অন্তর্ভুক্তি, যা যে কোনও মানুষকে সহজে উচ্চতর তলগুলিতে যাতায়াত করতে সক্ষম করে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, সিটিবিইউএইচ-এর মতে, একটি কাঠামোর তলের সংখ্যা কোনও উঁচু ভবনের নিরিখে একমাত্র উপযুক্ত সূচক নয়। কারণ তল থেকে তলের উচ্চতা ভবন এবং কার্যকারিতার সাপেক্ষে পৃথক হতে পারে (উদাহরণ স্বরূপ, যেমনটা আবাসন এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলির মধ্যে দেখা যায়)।(৯)
উঁচু ভবনগুলিকে গগনচুম্বী আবাসন অট্টালিকা হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য যে দু’টি বৈশিষ্ট্য জরুরি তা হল (কোনও ভবনকে উল্লম্ব ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য টেনশন কেবল-এর সহায়তার দরকার পড়ে না)- এটি কমপক্ষে ১৫০ মিটার (৪৯২ ফুট) উচ্চ হবে এবং অবশ্যই বাসযোগ্য তলের পরিসরকে কাঠামোর সম্পূর্ণ মোট উচ্চতার কমপক্ষে ৫০ শতাংশ হতে হবে।(১০) বছরের পর বছর ধরে ভবনের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন শ্রেণিবিন্যাসের আবির্ভাব ঘটেছে। উদাহরণ স্বরূপ, সুপারটল স্কাইস্ক্র্যাপার (৩০০ মিটারের বেশি উচ্চতার কাঠামো) এবং মেগা-টল স্কাইস্ক্র্যাপার (৬০০ মিটার এবং আরও বেশি)।(১১)
তা সত্ত্বেও একটি আদর্শ মানদণ্ডের অভাবের কারণে সুউচ্চ ভবনের জন্য দেশভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস আলাদা। যেমন ভারতে কোনও আবাসনে বসবাসকারীর সংখ্যা যতই হোক না কেন, ১৫ মিটার বা তার বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট ভবনগুলিকে হাইরাইজ বা সুউচ্চ অট্টালিকা হিসাবে বিবেচনা করা হয় (২০১৬ সালের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসারে)(১২)। অন্য দিকে চিন ন্যূনতম ১০০ মিটার উচ্চ কাঠামোকে সুপারটল বিল্ডিং হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে (১৯৯৫ সালের কোড অব ফায়ার প্রোটেকশন ডিজাইন অব টল সিভিল বিল্ডিংস অনুযায়ী)।(১৩) ‘স্কাইস্ক্র্যাপার’ শব্দটি স্পষ্টতই এশিয়ার অনেক দেশে এখনও সাধারণত ব্যবহার করা হয় না।
গগনচুম্বী আবাসন ভবনগুলি বাণিজ্যিক, আবাসিক, শিল্প বা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পরিকল্পিত ভবনের এক বা একাধিক শহুরে প্রয়োজন
পূরণ করতে পারে।(১৪) একটি সিঙ্গল-ফাংশন স্কাইস্ক্র্যাপার বা একমুখী কার্যকারিতাবিশিষ্ট গগনচুম্বী আবাসন হল সেটি, যেখানে মোট উচ্চতার ৮৫ শতাংশ বা তার বেশি পরিসর একটি সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য চিহ্নিত থাকে।(১৫) অন্য দিকে মিশ্র কার্যকারিতাবিশিষ্ট কাঠামোয় দুই বা ততোধিক কার্যকারিতা থাকে, যেমন অফিসের পরিসর এবং বাসস্থান।
এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটিতে গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলির নির্মাণকে চালিত করতে পারে এমন কারণ এবং এই ধরনের কাঠামো নির্মাণের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে।
গগনচুম্বী আবাসনের উত্থান
পাশ্চাত্যে গগনচুম্বী আবাসন ভবন নির্মাণের নেপথ্যে রয়েছে দু’টি প্রধান অনুপ্রেরণা- অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও নগরায়ণ এবং নির্মাণ প্রযুক্তির উন্নয়ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র(১৬), ব্রিটেন(১৭) এবং অন্য পশ্চিমী দেশগুলিতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ফলে দ্রুত নগরায়্ণ ঘটেছে। শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান মানব ঘনত্ব শহুরে ব্যবসায়িক এবং আবাসিক এলাকার চাহিদাকে বৃদ্ধি করেছে, যা একটি সমাধান হিসাবে কাঠামোর মধ্যে উল্লম্ব পরিসরকে বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার জন্ম দিয়েছে। উল্লম্ব নির্মাণের প্রক্রিয়া জমির সীমাবদ্ধতার মতো সমস্যাগুলিরও সমাধান করেছে।
একই সঙ্গে নির্মাণ প্রযুক্তির উদ্ভাবন উচ্চতর তলগুলির ওজনকে সহায়তা জোগানোর জন্য স্থপতিদের ঢালাই-লোহা ও পেটা-লোহার কাঠামোর পক্ষে রাজমিস্ত্রির কৌশল পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।(১৮) এবং এর পরিবর্তে ইস্পাত, কোনও হালকা অথচ শক্তিশালী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।(১৯) সুরক্ষামূলক লিফটের ব্যবহার আবাসনগুলিকে আরও উল্লম্ব বৃদ্ধিতে উত্সাহ জুগিয়েছে। কারণ এই লিফট মানুষদের উচ্চতর তলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক এবং নিরাপদও বটে।(২০) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত উত্তপ্ত হওয়া, প্রবল বেগের বাতাস, অত্যধিক আলোর মতো অন্যান্য সমস্যাকে নতুন শীতলীকরণ প্রক্রিয়া গড়ে তোলা, আলোর জন্য কাচের ব্যবহার এবং প্রবল বেগের বাতাসের মোকাবিলায় উদ্ভাবনীমূলক কাঠামোগত নকশার বিকাশের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল গগনচুম্বী আবাসন ভবন নির্মাণে অগ্রগামী এবং সেই মহাদেশে বেশ কয়েকটি শহরে উঁচু কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। বিশ শতকের শুরুতে নিউ ইয়র্ক সিটির অনুভূমিক বৃদ্ধির সুযোগ ছিল নিতান্তই কম এবং নির্মাণ পদ্ধতিতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি গগনচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণ বৃদ্ধির দিকে চালিত করে।(২১) যাই হোক, বিশ শতকের শেষ ভাগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের গতি হ্রাস পায় এবং একুশ শতকের প্রথম দুই দশকে ৩০০ মিটারের বেশি মাত্র ছ’টি 'বাণিজ্যিক টাওয়ার নির্মাণ করা হয়।(২২)
তার পর এশিয়ায় ২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গগনচুম্বী আবাসন নির্মাণের হার ৪০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।(২৩) ২০২১ সালে বিশ্বের গগনচুম্বী আবাসনের ৮০ শতাংশই ছিল এশিয়ায়। এবং এশিয়ার ৭৫০০টি গগনচুম্বী ভবনের মধ্যে ৩৫০০টিই ছিল চিনে অবস্থিত।(২৪)
যাই হোক, অনেক গগনচুম্বী আবাসন বর্তমানে একটি দেশের শক্তি এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের সাক্ষ্য হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, উন্মত্ত নগরায়ণ ও উঁচু অট্টালিকা নির্মাণে তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদর্শনের আকাঙ্ক্ষা চিনকে একাধিক গগনচুম্বী আবাসন নির্মাণে প্ররোচিত করেছে। গত তিন দশকে, চিন সমগ্র বিশ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা নির্মিত গগনচুম্বী আবাসনের তুলনায় অধিক সংখ্যক আবাসন নির্মাণ করেছে।(২৫)
আর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই), যেটি পৃথিবীর উচ্চতম ভবন (৮২৮ মিটার) বুর্জ খলিফার নির্মাণস্থল।(২৬) বুর্জটি প্রাথমিক ভাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আর্থিক শক্তির পরিচায়ক হিসাবে নির্মিত হয়েছিল।(২৭) প্রকৃত পক্ষে ভবনের মাথার দিকের ২৪৪ মিটার (কাঠামোর মোট উচ্চতার ২৯ শতাংশ) ব্যবহারযোগ্য নয় এবং শুধু মাত্র বুর্জকে বিশ্বব্যাপী উচ্চতম কাঠামো হিসেবে তুলে ধরার জন্যই এই অংশ নির্মাণ করা হয়েছিল।(২৮)
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা
এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশ গত কয়েক দশক ধরে সুউচ্চ আবাসন ও বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশেষ করে চিনে এই ধরনের নির্মাণে কিছুটা ইতস্তত ভাব লক্ষ করা গিয়েছে। ৬৩২ মিটার সাংহাই টাওয়ার(২৯) নির্মাণে দেশের অভিজ্ঞতাকে এই অনিচ্ছার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যেতে পারে।(৩০) ২০০৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে নির্মিত এই টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ করার জন্য একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।(৩১) প্রথমত, অকুপেন্সি পারমিট ও ফায়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা অনাপত্তি শংসাপত্র পেতে বিলম্ব হয়েছিল (কারণ প্রধানত সেই সময়ে চিনে ৬০০ মিটারের বেশি উচ্চতার ভবনগুলির জন্য কোনও অগ্নি নিরাপত্তামূলক বিধি ছিল না(৩২))। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে অফিসের পরিসরের মাত্র ৬০ শতাংশ ইজারা দেওয়া হয়েছিল, যার নেপথ্যে প্রাথমিক কারণ ছিল উচ্চ হারের ভাড়া এবং ভবনের নকশা (বাঁকা কাচের সম্মুখভাগটি বাতাসের ভারকে কাটানোর জন্য আদর্শ হলেও আক্ষরিক ভাবে এর অর্থ হল এক বিশাল পরিমাণ পরিসরের অব্যবহারযোগ্যতা)। এর ফলে অনেক শিল্প সংস্থাই নিজেদের ব্যবসার জন্য সস্তার বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়।(৩৩) ২০২০ সালে টাওয়ারের ন’তলা এবং ষাট তলার মধ্যে লিকেজ তৈরি হওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে অফিস সরঞ্জাম এবং ইলেকট্রনিক পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।(৩৪)
একই সময়ে, সাংহাই অঞ্চলের(খ) অবনমনও স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং অনেক বিশেষজ্ঞরা এর জন্য অসংখ্য উচ্চ ভবন নির্মাণ ও ভূগর্ভস্থ জলের ব্যাপক উত্তোলনকে দায়ী করেছেন।(৩৫)
চিনের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের একটি ডিক্রিতে ‘শহুরে এবং স্থাপত্য কাঠামোগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য’ ‘সুপার হাই-রাইজ স্কাইস্ক্র্যাপারগুলির অযৌক্তিক পরিকল্পনা এবং নির্মাণ’-এর উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।(৩৬) ৫০০ মিটারের বেশি কাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয় এবং একান্ত প্রয়োজনীয় না হলে বাকি সব ভবনকে ২৫০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।(৩৭) নিষেধাজ্ঞায় আংশিক ভাবে নির্মিত গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলির সংখ্যাধিক্যের কারণে চিনা শহরগুলিতে অফিস পরিসর সংক্রান্ত অত্যধিক নির্মাণ ছাড়া গুণমান ও সুরক্ষাজনিত উদ্বেগের জন্য নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয়েছিল।(৩৮)
বিশ্বের দেশগুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে গগনচুম্বী আবাসন নির্মাণের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে এবং ইউরোপ এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অতিরিক্ত নির্মাণের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে। এই অঞ্চলের ৬০ শতাংশেরও বেশি গগনচুম্বী আবাসন মাত্র পাঁচটি শহরেই অবস্থিত— লন্ডন (ইউকে), প্যারিস (ফ্রান্স), ফ্রাঙ্কফুর্ট (জার্মানি), মস্কো (রাশিয়া) এবং ইস্তানবুল (তুর্কিয়ে)।(৩৯) উচ্চ নির্মাণের এই অনীহার নেপথ্যে থাকা প্রধান কারণ হল- ইউরোপীয় শহর গড়ে ওঠার অনেক পরে গগনচুম্বী আবাসন নির্মাণের প্রবণতা দেখা গিয়েছে(৪০) এবং একাধিক ইউরোপীয় দেশ উল্লম্ব কাঠামো নির্মাণ করতে ও তাদের জীবনযাত্রার ক্ষয় করতে আগ্রহী নয়।(৪১) উপরন্তু, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস-এর অভিজ্ঞতা - যেখানে বহু ঐতিহাসিক ভবন ধ্বংস করে সেই জায়গায় বিশৃঙ্খল ভাবে আধুনিক সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ঘটনা ঘটে এবং যাকে ‘ব্রাসেলাইজেশন’(৪২) নামে অভিহিত করা হয় – থেকে শিক্ষা নিয়ে একাধিক ইউরোপীয় শহর আরও সতর্ক হয়ে উঠেছে।
অনেক গবেষক মনে করেন যে, ইউরোপ গগনচুম্বী আবাসন নির্মাণের অন্তিম পর্যায়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে(৪৩)। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ দেশে বার্ধক্যমুখী জনসংখ্যা, নিম্ন বা নেতিবাচক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এবং অর্থনৈতিক মন্দার অর্থ হল এই ধরনের উঁচু আবাসনের কোনও বাস্তব চাহিদা না থাকা (পরিসরের ঘাটতি পূরণ অথবা অর্থনৈতিক শক্তি প্রদর্শন… যে কারণেই হোক না কেন)।
সুবিধা এবং অসুবিধা: ভারতের জন্য পাঠ
অনেক ভারতীয় শহরে মানুষের ঘনত্ব খুব বেশি হওয়ার কারণ দেশে মাত্র কয়েকটি গগনচুম্বী আবাসন রয়েছে।(৪৪) ভারতের বেশির ভাগ উঁচু ভবন মুম্বইতে রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে ভারতীয় শহরগুলিতে নিম্ন ফ্লোর স্পেস ইনডেক্স-এর (এফএসআই) কারণে সব ভবনের উচ্চতাই ৩০০ মিটারের নীচে।(৪৫) জমির পরিসরে কতটা নির্মাণ করা যেতে পারে, তা নির্ধারণ করে এফএসআই। এটি কোনও জমির পরিসরে একটি ভবনের মোট ফ্লোর এরিয়ার সঙ্গে প্লটের বা পরিসরের আকারের অনুপাত। একটি কম এফএসআই জমির পরিসরে কম পরিমাণে নির্মাণের ফলে যে কোনও প্রকল্প থেকে লাভের পরিমাণও হয় স্বল্প। ভারতে এফএসআই বিশ্বে সর্বনিম্ন। হংকংয়ের এফএসআই ১২, ম্যানহাটনের ১৫ এবং সিঙ্গাপুরের ২৫ পর্যন্ত হলেও(৪৭) মুম্বইয়ের এফএসআই সম্প্রতি ২.৫ থেকে ৫-এ উন্নীত হয়েছে।(৪৮)
ভারতে উঁচু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা হল, সেগুলি বেশির ভাগ জনসংখ্যার জন্য অর্থনৈতিক ভাবে কার্যকর নয় এবং অবকাঠামোগত বোঝার কারণে সেগুলি রাজ্যের উপরেও চাপ প্রদান করে (যেমন, বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য)।(৪৯) উপরন্তু, দিল্লি ও আমদাবাদ-সহ অনেক ভারতীয় শহর ভূমিকম্পের নিরিখে সক্রিয় অঞ্চলে অবস্থিত।(৫০) ভূমিকম্প-প্রতিরোধী গগনচুম্বী অট্টালিকা এমনকি উচ্চ আয়ক্ষম গোষ্ঠীর জন্যও নির্মাণ খরচ বৃদ্ধি করবে এবং সেগুলিকে আরও কম সাশ্রয়ী করে তুলবে।
তা সত্ত্বেও ভারতে গগনচুম্বী আবাসন নির্মাণের অনেক সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
গগনচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণের পক্ষে প্রধান যুক্তি হল যে, সেগুলি সীমিত ভূমি এলাকা ব্যবহার করে এবং বসবাস, কাজ, ব্যবসা ও বিনোদনের জন্য অনেক বেশি পরিসর প্রদান করে। যেহেতু শহুরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে ও জমিও ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে, তাই প্রযুক্তিগত ও স্থাপত্যগত অগ্রগতির সুবিধা গ্রহণ করে আবাসন ঘাটতি ও ব্যবসায়িক স্থানের সীমাবদ্ধতা মেটানোর উদ্দেশ্যে উল্লম্ব নির্মাণ করে জমির ব্যবহার করাই সব দিক থেকে শ্রেয়। এটি অনুভূমিক ভাবে বিস্তৃত শহরগুলির তুলনায় একটি ভাল বিকল্প। কারণ অনুভূমিক ভাবে প্রসারিত ক্ষেত্রে শহরব্যাপী পরিকাঠামো প্রদানের জন্য কৃষিক্ষেত্রের হ্রাস ঘটে।(৫১) এটি বিশেষ করে সেই সব দেশের জন্য সত্য, যেখানে আবাদযোগ্য জমির অভাব রয়েছে এবং সেই কারণেই সেগুলিকে অন্য কাজে ব্যবহার করার থেকে সুরক্ষা জোগানো আবশ্যক। যেহেতু ভারত দ্রুত নগরায়ণের পথে হাঁটছে, তাই দেশটির শহরগুলি আগত জনসংখ্যার জন্য পরিসর জোগান দেওয়ার ব্যাপারে তীব্র চাপের মুখে পড়বে। গ্রামীণ কৃষিজ জমি গ্রাস করে খাদ্যের স্থিতিশীলতার সঙ্গে আপস করার পরিবর্তে উল্লম্ব ভবন গড়ে তোলার পরামর্শ এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য। একই সময়ে ভারত আবাদযোগ্য জমির ক্ষতিপূরণের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান - যেমন ছাদে চাষের কৌশল - প্রচারের কথাও বিবেচনা করতে পারে।(৫২)
গগনচুম্বী ভবনগুলি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বুর্জ খলিফায় পর্যটকের সংখ্যা ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেস এবং ডিজনিল্যান্ডের পর্যটক সংখ্যাকে অতিক্রম করে গিয়েছে।(৫৩) বিশ্বব্যাপী ১৫টি সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংস এবং ফ্রিডম টাওয়ার, টরন্টোর (কানাডা) সিএন টাওয়ার এবং প্যারিসের (ফ্রান্স) আইফেল টাওয়ারের মতো বেশ কয়েকটি সুউচ্চ কাঠামো।(৫৪)
যে গগনচুম্বী ভবনগুলি ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক কার্যকলাপের জন্য নিবেদিত, সেগুলি একে অপরের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় একটি বৃহত্তর লেনদেনের সুযোগ করে দেয়, যা শহরের উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি, শহর পরিবহণকে আরও সুদক্ষ করে তোলা এবং কার্বন পদচিহ্ন হ্রাসের মতো বিষয়গুলিকে সমর্থন করে।(৫৫) সুউচ্চ ভবনগুলির ক্লাস্টারিং বা জোটবদ্ধতা ট্রানজিট-ভিত্তিক উন্নয়নকেও উত্সাহ জোগাবে। ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে শহরগুলি এই ভবনগুলিকে কেন্দ্র করে তাদের পরিবহণ শৃঙ্খল তৈরি করতে পারে। একই সময়ে গণপরিবহন বিকল্পগুলির বর্ধিত ব্যবহার পরিবহণ শৃঙ্খলের সরকারি ভাড়া সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। গগনচুম্বী আবাসনগুলির আরও একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। একটি পরিসরে তাদের সীমিত উপস্থিতির অর্থ হল দূষণহীন এবং সর্বজনীন স্থানগুলির জন্য সুবিশাল পরিমাণ জমি উপলব্ধ থাকা, যার ফলে শহরের উন্মুক্ততা বৃদ্ধি পাবে।
একই সময়ে গগনচুম্বী আবাসনগুলিরও বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেগুলি পথ থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে এবং তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সীমিত করে শহরে বসবাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করে তোলে, যা একটি শহরের প্রাণশক্তি ও সামাজিক পুঁজি তৈরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।(৫৬) এটির জনপরিসরের বিপরীত প্রভাবও আছে। একই সঙ্গে অনেক সুউচ্চ ভবনের মধ্যে রয়েছে পার্ক, সুইমিং পুল, ব্যায়ামাগার এবং সম্মেলনক্ষেত্রের মতো আধুনিক সুবিধা, যেখানে বাসিন্দারা সংযোগ স্থাপন ও মিথস্ক্রিয়া চালাতে পারেন।(৫৭)
কোনও ভবন যত উঁচু, তার নির্মাণও তত ব্যয়বহুল। যেমন, উচ্চতম ভবনগুলি প্রায়শই অভিজাতদের জন্য বিলাসবহুল বলে প্রমাণিত।(৫৮) গগনচুম্বী আবাসনগুলি সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান বা সাশ্রয়ী মূল্যের ব্যবসায়িক পরিসর প্রদান করে না, যার পরিমাণ ভারতীয় শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই নিতান্ত কম। উঁচু আবাসন সংলগ্ন জমির দাম বৃদ্ধি করে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন অর্জনযোগ্যতা হ্রাস করে(৫৯) এবং অসাম্য বৃদ্ধি করে। যেহেতু ভারতের অনেক শহর উচ্চ সিসমিক জোন বা ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত, তাই গগনচুম্বী আবাসনগুলির যে কোনও নতুন নির্মাণ ভূমিকম্পের নিরিখে স্থিতিস্থাপক হওয়া জরুরি। ২০০৫ সালের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড একটি ভূমিকম্প-স্থিতিস্থাপক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করলেও অনুমান করা হয়েছে যে, এর ফলে নির্মাণ এবং সামগ্রিক খরচ প্রায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।(৬০) (৬১) এর ফলে গগনচুম্বী আবাসন আরও বেশি অভিজাত হয়ে উঠবে।
কয়েকটি গগনচুম্বী অট্টালিকা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠার দরুন একাধিক সুবিধা পেয়ে থাকে। কারণ খুব কম সংখ্যক সুউচ্চ নির্মাণই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম। কয়েকজন পর্যটন বিশেষজ্ঞ গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলিকে শহুরে পর্যটনের জন্য অপ্রীতিকর প্রেক্ষাপট বলে বর্ণনা করেছেন(৬৩), যা নিম্ন মানের অবসরযাপনকেই দর্শায়। এটি এমন এক প্রেক্ষিত, যা বিনোদনমূলক এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার কেন্দ্রে রয়েছে।
উচ্চ ভবনগুলি ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী ভবন এবং সংরক্ষিত অঞ্চলের আবেদনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।(৬৪) উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোনও হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী এলাকায় একটি গগনচুম্বী ভবনের নির্মাণ (এর অনন্য উচ্চতা এবং নকশামূলক বৈশিষ্ট্য-সহ) - যেখানে অসংখ্য কাঠামোর মধ্যে উচ্চতা এবং স্থাপত্য নকশার অভিন্নতা একটি নির্দিষ্ট চাক্ষুষ নান্দনিকতা তৈরি করে – অঞ্চলটির নান্দনিকতার আবেদনকেও নষ্ট করবে।
উপরন্তু, অন্যান্য ভবনের মতোই গগনচুম্বী আবাসনের উল্লেখযোগ্য রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, যার মধ্যে অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ (যাতে লিফট কাজ করতে পারে), বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিয়মিত জল সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত।(৬৫) উল্লেখযোগ্য ভাবে, গগনচুম্বী আবাসনগুলি সম্পূর্ণ রূপে পরিবেশবান্ধব নয়। কাচ ও ইস্পাত দ্বারা নির্মিত এই সুবিশাল ভবন উষ্ণ রাখা বা শীতল করা কষ্টসাধ্য।(৬৬) উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ফ্লোর এরিয়ায় প্রতি বর্গ মিটারে বিদ্যুতের ব্যবহার নিচু ভবনের তুলনায় উঁচু অফিস ভবনে প্রায় আড়াই গুণ বেশি, যেখানে সুউচ্চ ভবন উষ্ণ রাখার জন্য প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি গ্যাস ব্যবহার করা হয় এবং এর ফলে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়।(৬৭) ভারতে উষ্ণ করার প্রয়োজনীয়তা কম হলেও দেশের বেশির ভাগ শহরে গরমের ফলে শীতল রাখার প্রয়োজনীয়তা হয় অনেক বেশি। যাই হোক, নির্মাণকারীরা নিম্ন এনার্জি ফুটপ্রিন্টের জন্য নানাবিধ উদ্ভাবনী পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।(৬৮) উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, সিঙ্গাপুরে বেশ কয়েকটি গগনচুম্বী আবাসন গাছপালা দ্বারা আবৃত।(৬৯) একই ভাবে, ২৫০ তলাবিশিষ্ট বাহরাইন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তার ২৫০তম তলের জন্য দূষণহীন শক্তি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে তিনটি এয়ার টারবাইন স্থাপন করেছে।(৭০) আর একটি বিষয় হল কাঠের গগনচুম্বী অট্টালিকার উত্থান(৭১)। এটি এমন একটি ধারণা যা এখনও সম্পূর্ণ রূপে খতিয়ে দেখা হয়নি। ভারত তার সুউচ্চ ভবনের জন্য অনুরূপ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে।
কেউ কেউ দাবি করেন যে, একটি সুউচ্চ ভবন নির্মিত পরিবেশ আরও স্থিতিশীল নগরায়ণকে উন্নত করে। তবে নির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত নিঃসরণের পরিমাণ পরিমাপ করে দেখা হলে বোঝা যাবে যে, এ কথা সম্পূর্ণ রূপে ঠিক নয়।(৭২)
উল্লেখযোগ্য ভাবে, গগনচুম্বী ভবনগুলি ডিজিটাল যুদ্ধ বা সন্ত্রাসবাদের জন্যও লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে, যেমনটা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সন্ত্রাসবাদী হামলার সময় দেখা গিয়েছিল এবং সেই হামলায় নিউ ইয়র্ক সিটির টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। গগনচুম্বী আবাসন ভবনকে লক্ষ্য করে এই ধরনের হামলা মানুষ ও বস্তুগত ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের উদ্দেশ্য পূরণ করে।
উপসংহার
নগরায়ণের জাতীয় কমিশন (এনসিইউ, ১৯৮৬ সালে নগরায়ণের প্রক্রিয়া মূল্যায়ন এবং সেই সম্পর্কিত নীতি প্রণয়নের সুবিধার্থে গৃহীত) ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ফলাফলকে সুষম ভাবে বণ্টনের জন্য বিকেন্দ্রীভূত নগরায়ণের পক্ষে ছিল।(৭৩) এটি ৩২৯টি শহরকে ‘অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নির্মাণে সক্ষম’(৭৪) সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে, যাতে কিছু শহরকে নিয়ন্ত্রণহীন ঘনত্বের বোঝা থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। যাই হোক, কয়েকটি শহরে দ্রুত নগরায়ণের অর্থ হল ভারতকে তার জনগণ ও ব্যবসার জন্য পরিসর প্রদানের উদ্দেশ্যে গগনচুম্বী ভবন নির্মাণের কথা বিবেচনা করতে হয়েছিল।
তা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন ও শহরের স্থায়িত্বের প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে শহরগুলিতে মানব ঘনত্বকে একটি পরিচালনাযোগ্য স্তরে সীমাবদ্ধ করার জন্য একটি শক্তিশালী যুক্তি রয়েছে, যেমনটা এনসিইউ সুপারিশ করেছিল। তদুপরি, গগনচুম্বী আবাসনগুলির অনেক অসুবিধাও রয়েছে, যার অন্যতম হল আধুনিক সময়ের সংঘাতের ক্ষেত্রে তাদের দুর্বলতা, যেমনটা ভারতের জন্য যুক্তিযুক্ত নয়। ভারতকে অবশ্যই নগর পরিকল্পনা, নগর শাসন, শহুরে পরিবেশ এবং নগর সমতার মতো অন্যান্য বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যার জন্য সময় এবং সংস্থান উভয়েরই প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও গগনচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণের উচ্চ খরচের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
পাদটীকা
ক) সহায়ক ক্ষেত্র, যেমন যানবাহন রাখার স্থান এবং মেকানিক্যাল প্লান্ট পরিসর মিশ্র-ব্যবহারের কার্যকারিতা নিয়ে গঠিত হয় না।
খ) ভূগর্ভস্থ পদার্থের গতিবিধির কারণে ভূপৃষ্ঠের তলের ধীরে ধীরে বা আকস্মিক ভাবে নেমে যাওয়াকে ভূমির অবনমন বলে।
১) নিউ ওয়ার্ল্ড এনসাইক্লোপিডিয়া, ‘স্কাইস্ক্র্যাপার’, https://www.newworldencyclopedia.org/entry/Skyscraper
২) লুই সুলিভান, দ্য টল অফিস বিল্ডিং আর্টিস্টিক্যালি কনসিডারড, ১৮৯৬, https://www2.gwu.edu/~art/Temporary_SL/177/pdfs/Sullivan_Tall.pdf
৩) ড্যান করতেসে, ‘হোয়াট ইজ আ স্কাইস্ক্র্যাপার?’ দ্য বি১এম, ১৮ জুলাই, ২০১৮, https://www.theb1m.com/video/what-is-a-skyscraper
৪) ‘হোয়াট ইজ আ স্কাইস্ক্র্যাপার?’ স্কাইডেক, https://theskydeck.com/what-is-a-skyscraper/
৫) মেলি বেলিস, ‘দ্য ফার্স্ট স্কাইস্ক্র্যাপার ‘, থটকোং, ১০ জানুয়ারি ২০২০, https://www.thoughtco.com/how-গগনচুম্বী আবাসন-became-possible-1991649
৬) ‘হোয়াট ইজ আ স্কাইস্ক্র্যাপার?’
৭) কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আর্বান হ্যাবিট্যাট, ‘অ্যাবাউট সিটিবিইউএইচ’, https://www.ctbuh.org/about
৮) কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আর্বান হ্যাবিট্যাট, ‘সিটিবিইউএইচ হাইট ক্রাইটেরিয়া ফর মেজারিং অ্যান্ড ডিফাইনিং টল বিল্ডিংস’, https://cloud.ctbuh.org/CTBUH_HeightCriteria.pdf
৯) ‘সিটিবিইউএইচ হাইট ক্রাইটেরিয়া ফর মেজারিং অ্যান্ড ডিফাইনিং টল বিল্ডিংস’
১০) ফ্রেড মিলস, ‘হোয়াট মেকস আ বিল্ডিং আ স্কাইস্ক্র্যাপার? দি আনসার ইজ মোর কমপ্লিকেটেড দ্যান ইউ মাইট ইম্যাজিন’, দ্য বি১এম, ২০ জুলাই ২০২০, https://www.theb1m.com/article/what-makes-a-building-a-skyscraper-2020
১১) কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আর্বান হ্যাবিট্যাট, ‘টল বিল্ডিং ক্রাইটেরিয়া’, https://www.ctbuh.org/resource/height#:~:text=Tall%20buildings%20that%20achieve%20significant,only%203%20megatalls%20completed%20globally.
১২) ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস, ডিপার্টমেন্ট অব কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স, মিনিস্ট্রি অব কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ‘ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অফ ইন্ডিয়া- পার্ট ৪ ফায়ার অ্যান্ড লাইফ সেফটি;, ২০১৬, https://mptownplan.nic.in/act%20&%20Rules/NationalBuilding%20Code%20Part-IV%20(Fire%20Safety).pdf
১৩) জুনজিয়ে ঝাং, ‘কনটেক্সট টু চায়না’জ লেগ্যাসি অব টল বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট’, কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আর্বান হ্যাবিট্যাট, ২০১২, https://global.ctbuh.org/resources/papers/download/274-context-to-chinas-legacy-of-tall-building-development.pdf
১৪) এম এম আলি, ‘সাস্টেনেবল আর্বান লাইফ ইন স্কাইস্ক্র্যাপার সিটিজ অব দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’, ইন দ্য সাস্টেনেবল সিটি সিক্স আর্বান রিজেনেরেশন অ্যান্ড সাস্টেনেবিলিটি, সম্পাদনা সি এ ব্রেব্বিয়া (অ্যাশহার্স্ট- ডব্লিউআইটি প্রেস, ২০১০), ২০৩-২১৪,
https://www.witpress.com/Secure/elibrary/papers/SC10/SC10018FU1.pdf
১৫) ‘সিটিবিইউএইচ হাইট ক্রাইটেরিয়া ফর মেজারিং অ্যান্ড ডিফাইনিং টল বিল্ডিংস’
১৬) জোনাথন রিজ, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন অ্যান্ড আর্বানাইজেশন ইন দি ইউনাইটেড স্টেটস, ১৮৮০-১৯২৯’, ইন দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ আমেরিকান আর্বান হিস্টরি, সম্পাদনা টিমোথি জে গিলফলি (ইউকে- অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১৯), https://oxfordre.com/americanhistory/display/10.1093/acrefore/9780199329175.001.0001/acrefore-9780199329175-e-327
১৭) পল বায়রশ এবং গ্যারি গোয়ের্ৎজ, ‘ফ্যাক্টরস অফ আর্বানাইজেশন ইন দ্য নাইন্টিন্থ সেঞ্চুরি ডেভেলপড কান্ট্রিজ- আ ডেসক্রিপ্টিভ অ্যান্ড ইকোনমিক অ্যানালিসিস’, আর্বান স্টাডিজ (১৯৮৬), ২৩, ২৮৫-৩০৫, https://deepblue.lib.umich.edu/bitstream/handle/2027.42/68656/10.1080_00420988620080351.pdf
১৮) ‘দ্য স্টোরি অব দ্য স্কাইস্ক্র্যাপার’, লিঙ্গুয়াপ্রেস, https://linguapress.com/advanced/skyscrapper\.htm
১৯) ‘হিস্টরি অব স্টিল স্কাইস্ক্র্যাপার’, মেটইনভেস্ট, মে ৫, ২০২১, https://metinvestholding.com/en/media/news/staljnie-neboskrebi-istoriya-i-sovremennie-rekordi
২০) পিনাক রায়, শুভম রায়, ‘স্কাইস্ক্র্যাপার- অরিজিন, হিস্টরি, ইভোলিউশন অ্যান্ড ফিউচার, জার্নাল অন টুডে’জ আইডিয়াজ- টুমরো’জ টেকনোলজিস, ৬(১), ৯-১০, ২০০৮
২১) ‘দ্য স্টোরি অব দ্য স্কাইস্ক্র্যাপার’
২২) নিক রাউটলে, ‘দেয়ার ইজ আ গ্লোবাল রেস টু বিল্ড ইভেন টলার স্কাইস্ক্র্যাপার’, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, জানুয়ারি ৩, ২০১৮, https://www.weforum.org/agenda/2018/01/theres-a-global-rush-to-build-ever-higher-skyscrapper
২৩) ‘দেয়ার ইজ আ গ্লোবাল রেস টু বিল্ড ইভেন টলার স্কাইস্ক্র্যাপার’
২৪) ‘স্কাইস্ক্র্যাপার অফ এশিয়া’, ল্যান্ডজেইস্ট, https://landgeist.com/2021/04/15/skyscrapper-of-asia/
২৫) ফ্রেড মিলস, ‘হোয়াই চায়না ব্যানড স্কাইস্ক্র্যাপার’, দ্য বি১এম, জুলাই ৮, ২০২০, https://www.youtube.com/watch?v=6yi4mqGkmqk
২৬) ওএ আব্রাহাম, ‘কেস স্টাডি অব বুর্জ খলিফা টাওয়ার’, আইআরই জার্নালস, ভলিউম ৩ ইস্যু ২, অগস্ট ২০১৯, https://www.irejournals.com/formatedpaper/1701509.pdf
২৭) প্যাট ফিন, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড’স টলেস্ট বিল্ডিং শ্যুড নেভার হ্যাভ বিন বিল্ট। চেঞ্জ মাই মাইন্ড’, আর্কিটাইজার, https://architizer.com/blog/inspiration/stories/change-my-mind-worlds-tallest-building/
২৮) ‘দ্য ওয়ার্ল্ড’স টলেস্ট বিল্ডিং শ্যুড নেভার হ্যাভ বিন বিল্ট। চেঞ্জ মাই মাইন্ড’
২৯) গ্যাভিং, ‘সাংহাই টাওয়ার- চায়না’স টলেস্ট স্কাইস্ক্র্যাপার’, চায়না হাইলাইটস, নভেম্বর ২৬, ২০২১, https://www.chinahighlights.com/shanghai/attraction/shanghai-tower.htm
৩০) জুন ঝিয়া, ‘কেস স্টাডি- সাংহাই টাওয়ার’, কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আর্বান হ্যাবিট্যাট’, ২০১০, https://global.ctbuh.org/resources/papers/download/12-case-study-shanghai-tower.pdf
৩১) টিম গিবসন, ‘হোয়াই সাংহাই টাওয়ার ফেইলড’, দ্য বি১এম, এপ্রিল ১, ২০২০, https://www.theb1m.com/video/why-shanghai-tower-failed
৩২) ফ্রাঙ্ক চেন, ‘রিস্কস রিমেন মান্থস আফটার চায়না’স টলেস্ট স্কাইস্ক্র্যাপার পাসড ফায়ার সেফটি ইন্সপেকশন; এশিয়া টাইমস, অক্টোবর ২৬, ২০১৮, https://asiatimes.com/2018/10/risks-remain-months-after-chinas-tallest-skyscraper-passed-fire-safety-inspection/
৩৩) ‘হ্যাজ ওয়ার্ল্ড’স সেকেন্ড বিল্ডিং ফেইলড? দ্য প্রোজ অ্যান্ড কনস অব সাংহাই টাওয়ার’স ইউনিক ডিজাইন’, সিজিটিএন, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০, https://news.cgtn.com/news/79416a4e32514464776c6d636a4e6e62684a4856/index.html
৩৪) টিম গিবসন, ‘হোয়াই সাংহাই টাওয়ার ফেইলড’, দ্য বি১এম, এপ্রিল ১, ২০২০, https://www.theb1m.com/video/why-shanghai-tower-failed
৩৫) ইয়ে-শুয়াং ঝু, শুই-লং শেন, দং-জিয়ে রেন এবং হুয়াই-না ইয়ু, ‘অ্যানালিসিস অব ফ্যাক্টরস ইন ল্যান্ড সাবসিডেন্স ইন সাংহাই- আ ভিউ বেসড অন আ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেসমেন্ট’, এমডিপিআই, সাস্টেনেবিলিটি ২০১৬, https://www.mdpi.com/2071-1050/8/6/573
৩৬) ড্যান করতেসে, ‘হোয়াই চায়না ব্যানড স্কাইস্ক্র্যাপার’, দ্য বি১এম, জুলাই ৮, ২০২০, https://www.theb1m.com/video/why-china-banned-skyscapper
৩৭) ‘হোয়াই চায়না ব্যানড স্কাইস্ক্র্যাপার’
৩৮) নিয়াল প্যাট্রিক ওয়ালশ, ‘চায়না ব্যানস কনস্ট্রাকশন অব স্কাইস্ক্র্যাপার ওভার ৫০০ মিটারস টল, সাইটিং সেফটি কনসার্নস’, আর্কিনেক্ট, জুলাই ৮, ২০২১, https://archinect.com/news/article/150273123/china-bans-construction-of-skyscrapper-over-500-meters-tall-citing-safety-concerns
৩৯) দ্য বি১এম, ‘হোয়াই ইউরোপ ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’, ইউ টিউব ভিডিয়ো, ৭-১০ মিনিট, অগস্ট ২০১৯, https://www.youtube.com/watch?v=EVJ_rgEUSJE
৪০) কলিন মার্শাল, ‘হোয়াই ইউরোপ হ্যাজ সো ফিউ স্কাইস্ক্র্যাপারস’, ওপেন কালচার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, https://www.openculture.com/2021/12/why-europe-has-so-few-skyscrapper.html
৪১) ‘হোয়াই ইউরোপ ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’
৪২) কাতারজায়না এম রোমানজিক, ‘ট্রান্সফর্মিং ব্রাসেলস ইনটু অ্যান ইন্টারন্যাশনাল সিটি- রিফ্লেকশনস অন ব্রাসেলাইজেশন’ ইন সিটিজ, ভলিউম ২৯, ইস্যু ২ (এপ্রিল ২০১২) পৃষ্ঠা ১২৬-১৩২, https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0264275111001065#:~:text=’Brusselization’%2C%20defined%20as%20a,Planning%20Act%20approved%20in%201962.
৪৩) ‘হোয়াই ইউরোপ ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’
৪৪) ক্রিস্টিন বেলডন, ‘হোয়াই ইন্ডিয়া ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’, দ্য বি১এম, নভেম্বর ৯, ২০২২, https://www.theb1m.com/video/why-india-doesnt-build-skyscrapper#:~:text=Well%2C%20it%20all%20has%20to,money%20are%20stunting%20India’s%20skyline.
৪৫) ‘হোয়াই ইন্ডিয়া ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’
৪৬) ‘হোয়াই ইন্ডিয়া ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’
৪৭) ‘হোয়াই ইন্ডিয়া ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’
৪৮) অক্ষিত শাহ এবং রোহন শর্মা, ‘ডিসিপিআর ২০৩৪, আনলিশিং মুম্বই’স ইকোনমিক পোটেনশিয়াল’, কুশমান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ড, https://www.cushmanwakefield.com/en/india/insights/dcpr-2034-unleashing-mumbai-economic-potential
৪৯) ‘হোয়াই ইন্ডিয়া ডাজ নট বিল্ড স্কাইস্ক্র্যাপার’, রিথিঙ্কিং দ্য ফিউচার, ২০২২, https://www.re-thinkingthefuture.com/architectural-community/a9487-why-india-doesnt-build-skyscrapper/
৫০) মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1740656
৫১) ‘সাস্টেনেবল আর্বান লাইফ ইন স্কাইস্ক্র্যাপার সিটিজ অব দ্য টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি’
৫২) রমানাথ ঝা, ‘অপ্টিমাইজিং আর্বান এগ্রিকালচার- আ পাথওয়ে টু ফুড সিকিউরিটি ইন ইন্ডিয়া’, ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নং ৫৯০, নভেম্বর ২০২২, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, https://www.orfonline.org/research/optimising-urban-agriculture/
৫৩) কারমিলা থমাস, ‘দুবাই’স বুর্জ খলিফা র্যাঙ্কড অ্যামং ওয়ার্ল্ড’স টপ টেন মোস্ট পপুলার ডেস্টিনেশনস’, গালফ বিজনেস, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, https://gulfbusiness.com/dubais-burj-khalifa-ranked-among-worlds-top-10-popular-destinations/
৫৪) ‘দুবাই’স বুর্জ খলিফা র্যাঙ্কড অ্যামং ওয়ার্ল্ড’স টপ টেন মোস্ট পপুলার ডেস্টিনেশনস’
৫৫) ‘সাস্টেনেবল আর্বান লাইফ ইন স্কাইস্ক্র্যাপার সিটিজ অব দ্য টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি’
৫৬) ব্লুমিংরক, ‘সেভেন রিজনস হোয়াই হাই-রাইজেস কিল লিভেবিলিটি’, স্মার্টসিটিজডাইভ, https://www.smartcitiesdive.com/ex/sustainablecitiescollective/7-reasons-why-high-rises-kill-livability/561536/
৫৭) টেন ডিজাইন, ‘ইন্টিগ্রেশন অব সোশ্যাল স্পেসেস উইদিন দ্য ভার্টিকাল সিটি’, ইউটিউব ভিডিয়ো, ২-৪৮ মিনিট, https://www.youtube.com/watch?v=JHTHNqTQrh4
৫৮) ‘সেভেন রিজনস হোয়াই হাই-রাইজেস কিল লিভেবিলিটি’
৫৯) ‘সেভেন রিজনস হোয়াই হাই-রাইজেস কিল লিভেবিলিটি’
৬০) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স, ‘কস্ট অ্যানালিসিস অ্যান্ড বেনেফিট স্টাডিজ ফর আর্থকোয়েক-রেজিস্ট্যান্ট কনস্ট্রাকশন ইন মেমফিস, টেনেসি’, ডিসেম্বর ২০১৩, https://www.nehrp.gov/pdf/NIST%20GCR%2014-917-26_CostAnalysesandBenefitStudiesforEarthquake-ResistantConstructioninMemphisTennessee.pdf
৬১) অঞ্জয় কুমার মিশ্র, ‘কস্ট ইমপ্লিকেশনস ফর দ্য কনস্ট্রাকশন অফ আর্থকোয়েক রেজিস্ট্যান্ট লোড বেয়ারিং রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং’, জার্নাল অফ অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন জিও সায়েন্সেস অ্যান্ড রিমোট সেন্সিং, ভলিউম ৬, ইস্যু ৩-৪, ২০১৯, https://www.researchgate.net/publication/338595217_Cost_Implications_for_the_Construction_of_Earthquake_Resistant_Load_Bearing_Residential_Building
৬২) নীল লিপার, ‘স্কাইস্ক্র্যাপার ইনফ্লুয়েন্স অন সিটিজ’ রোল অ্যাপ টুরিস্ট ডেস্টিনেশনস’, কারেন্ট ইস্যুজ ইন ট্যুরিজম, ভলিউম ১৩, ইস্যু ৪, https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/13683501003748047?journalCode=rcit20
৬৩) ‘স্কাইস্ক্র্যাপার ইনফ্লুয়েন্স অন সিটিজ’ রোল অ্যাপ টুরিস্ট ডেস্টিনেশনস’
৬৪) ‘স্কাইস্ক্র্যাপার ইনফ্লুয়েন্স অন সিটিজ’ রোল অ্যাপ টুরিস্ট ডেস্টিনেশনস’,
৬৫) ডেন ল্যাথাম, ‘জায়ান্টস ইন দ্য স্কাই- হোয়াই আর স্কাইস্ক্র্যাপারস ইমপর্ট্যান্ট’, ল্যাথাম অস্ট্রেলিয়া, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, https://www.latham-australia.com/blog/why-are-skyscrapper-important
৬৬) জেরেমি প্লাস্টার, ‘ওয়েদারওয়াচ- গ্লাস স্কাইস্ক্র্যাপারস আর ওয়র্স্ট এনার্জি অফেন্ডার’স', দ্য গার্ডিয়ান, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, https://www.theguardian.com/environment/2019/sep/30/weatherwatch-glass-skyscrapper-are-worst-energy-offenders#:~:text=Glass%20skyscrapper%20are%20the%20worst,a%20well%2Dinsulated%20brick%20wall
৬৭) ‘ওয়েদারওয়াচ- গ্লাস স্কাইস্ক্র্যাপারস আর ওয়র্স্ট এনার্জি অফেন্ডার’স'
৬৮) ‘ক্যান স্কাইস্ক্র্যাপারস বি সাস্টেনেবল’, বিল্ডনার,
https://architecturecompetitions.com/can-skyscrapper-be-sustainable
৬৯) ‘সিঙ্গাপুর’স ফ্রেন্ডলি গ্রিন টাওয়ার নেমড বেস্ট টল বিল্ডিং অব ২০১৭’, গ্লোবাল কনস্ট্রাকশন রিভিউ, জুন ৬, ২০১৮, https://www.globalconstructionreview.com/singapores-friendly-green-tower-named-best-tall-bu/
৭০) কৌশিক পটোয়ারি, ‘দ্য বাহরাইন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হ্যাজ বিল্ট-ইন উইন্ড টারবাইনস’, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, নভেম্বর ২৬, ২০১৫, https://www.amusingplanet.com/2015/11/the-bahrain-world-trade-center-has.html
৭১) ‘কনস্ট্রাক্টিং উডেন স্কাইস্ক্র্যাপারস- দ্য ফিউচার অফ আর্কিটেকচার?’ ওম দয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস, https://omdayal.com/blog/constructing-wooden-skyscrapper-the-future-of-architecture/
৭২) ফ্রানচেস্কো পম্পোনি প্রমুখ, ‘ডিকাপলিং ডেস্টিনি ফ্রম টলনেস ইন অ্যানালাইজিং দ্য লাইফ সাইকল গ্রিনহাউস গ্যাস এমিশনস অব সিটিজ’, আর্বান সাস্টেন ১, ৩৩ (২০২১)
৭৩) গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ‘রিপোর্ট অব দ্য ন্যাশনাল কমিশন অন আর্বানাইজেশন, ১৯৮৮’
৭৪) এম এন বাখ, ‘দ্য ন্যাশনাল কমিশন অন আর্বানাইজেশন অ্যান্ড ইটস প্রেজেন্ট ডে রেলিভ্যান্স’, National Centre for Human Settlements & Environment, https://nchse.org/article-pdf/2015/The%20National%20Commission%20On%20Urbanisation%20and%20Its%20Preasent%20Day%20Relevance.pdf
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.