-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
মলদ্বীপের নতুন প্রশাসন নভেম্বর মাসে ক্ষমতায় আসার পরে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলি নতুন জোট, নিজেদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব গ্রহণে ব্রতী হয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মলদ্বীপ (পিপিএম) এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের (পিএনসি) জোট
প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের নেতা ডক্টর মোহাম্মদ মুইজ্জু মলডিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিকে পরাজিত করে ইতিহাস রচনা করেন। ৫৪ শতাংশ মতদাতাদের সমর্থন পেয়ে মুইজ্জু মলদ্বীপের চতুর্থ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এবং তা এই প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে যে, দেশের জনগণ প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গেই একজন নতুন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব অর্পণে বিশ্বাসী। নভেম্বর মাসে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি নতুন জোট, ভূমিকা এবং দায়িত্ব গ্রহণে ব্রতী হয়েছে। কিন্তু দ্বীপদেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং একটি গণভোটের সময় ঘনিয়ে আসার দরুন আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশটির রাজনীতি অনিশ্চয়তা এবং ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে।
প্রথমে বলে নেওয়া জরুরি, ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জোটটি ভিন্ন দল নিয়ে গঠিত। প্রথমত, প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের পিএনসি এবং পিপিএম— এই দুই দলেরই নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। পিপিএম এখনও ইয়ামিনের সভাপতিত্বেই কাজ চালাচ্ছে যখন অন্য দিকে মুইজ্জু পিএনসি-র হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় লাভ করেছেন এবং দলটির প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হয়েছেন। পিপিএম-পিএনসি দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে… এ কথা বুঝতে পেরে অন্য দুই অংশীদার অর্থাৎ মলডিভস ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি) এবং মলডিভস ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স (এমডিএ) কোনও উল্লেখযোগ্য শর্ত ছাড়াই জোটে যোগদান করে। এর ফলস্বরূপ, কার্যনির্বাহী প্রশাসনের ভার চারটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ন্যস্ত করা হবে, যেখানে পিপিএম- পিএনসি সিংহভাগ দায়িত্ব নেবে। প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি সংক্রান্ত বিষয়েও ইয়ামিনের সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যিনি বর্তমানে কারাগার থেকে গৃহবন্দি অবস্থায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। জোটটিতে ইয়ামিনপন্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইয়ামিন এই সমীকরণ বজায় রাখতে এবং উভয় দলের উপর নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চাইবেন। যাই হোক, এটি একটি ক্ষমতার লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে যদি মুইজ্জু রাজনৈতিক নিয়োগকারী এবং ব্যক্তিগত অনুগতদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ প্রদানের বিষয়ে চিরাচরিত মলদ্বীপের রাজনৈতিক ধারা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কট্টরপন্থী জামিয়াতুল সালাফ-এর (জেএস) সঙ্গেও মুইজ্জুর একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা মুইজ্জুকে সমর্থন করার বিষয়টি অব্যাহত রেখেছে। মুইজ্জুর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা জোটে মতভেদ ও অস্থিতিশীলতার মতো ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে ভাইস প্রেসিডেন্টদের কোণঠাসা করা বা তাঁদের গ্রেফতারের জন্য ষড়যন্ত্র করার ইয়ামিনের জটিল ইতিহাস এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে জোটের অভ্যন্তরে দু’টি ক্ষমতার মেরু গড়ে উঠতে এবং কিছু মতবিরোধ ও অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে এমডিপি-র নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এখন বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।
নিজের পরাজয় স্বীকার করে প্রেসিডেন্ট সোলি ক্ষমতার স্থানান্তরকে সহজতর করে তুলতে, নিজের দলকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে এবং একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে এখন বদ্ধপরিকর হয়েছেন। দলটি পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দরুন বেশ প্রাসঙ্গিক এবং রাজনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। পিপিএম-পিএনসি জোট এমন একমাত্র দল হবে না, যারা এমডিপি-কে যাচাই করতে উন্মুখ। এমডিপি তাদের বিচ্ছিন্ন এবং বিচ্যুত উপদলের - যা পরে ‘ডেমোক্র্যাট’ হয়ে ওঠে - বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করে তুলছে। স্পিকার নাশিদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে ডেমোক্র্যাটদের সন্তুষ্ট করার পরে এবং ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য গণভোটের বিষয়টি আংশিক ভাবে সমর্থন করার পরে এমডিপি বর্তমানে সেই দলটির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। এমডিপি কেবল নাশিদকে এই সমগ্র ব্যবস্থায় পুনঃপ্রবেশ করতে বাধা দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেয়নি, বরং ডেমোক্র্যাটরা যে সংসদীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে আওয়াজ তুলছে, তারও বিরোধিতা করেছে। তৃতীয় সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক দল অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটস দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিসরে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতাকে বজায় রাখার জন্য স্থিতিস্থাপকতা দর্শিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ের নির্বাচনের পর দলটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে এবং সংসদীয় পদ্ধতিতে গণভোটের পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস করার ব্যাপারে সংসদে তার তৃতীয় অবস্থানকে কাজে লাগায়। নির্বাচনের ফলাফলের পরে দলটির বোঝা উচিত ছিল যে, একটি গণভোট কেবল তখনই সফল হতে পারে, যদি তা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক থাকে। তাই দলটি নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার উপায়গুলি অন্বেষণ করেছে — তাদের নেতা নাশিদ এমডিপি-তে পুনরায় যোগদানের প্রস্তাব দেন, এমনকি তিনি নতুন প্রশাসনে অংশ নেওয়ারও আশা প্রকাশ করেন। এমডিপি তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও নাশিদ আগত প্রশাসনে তাঁর দলের হয়ে একটি ভূমিকা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মুইজ্জুকে ‘তাঁর প্রশাসনিক দল গড়ে তুলতে দিয়ে’ এবং গণভোটকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রেখে গণভোটের ভিত্তিতে ক্ষমতার ভাগাভাগি ও প্রাসঙ্গিক থাকাই পছন্দ করবেন। কিন্তু নাশিদ এবং পিপিএম-পিএনসি-র অন্যদের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্যের কারণে সম্ভবত নতুন প্রতিষ্ঠিত দলটি তৃণমূল স্তরে নিজেদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে, আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে এবং কৌশলে গণভোটকে স্থগিত রাখতে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে সহমত পোষণ করছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ দেশের আগামী পাঁচ বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করবে – ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচন এবং দেশকে সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিবর্তন করার জন্য গণভোট।
অন্য ছোট রাজনৈতিক দলগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পুরনো ‘কিংমেকার’ (যে দল থেকেই সাধারণত নেতা নির্বাচিত হন) জুমহুরি পার্টি (জেপি) এই বছর তাদের নির্বাচনী ফলাফলে একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে। এখনও পর্যন্ত জেপি একটি নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের পন্থা অব্যাহত রেখেছে এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কাজ করতে দলটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কট্টরপন্থী আধালাথ পার্টি (এপি) বর্তমানে এমডিপি-র সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে এবং বিরোধী হয়ে ওঠার আশা রাখে। এমডিপি প্রশাসন এপি-কে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রদানের সুযোগ দিলেও সংসদে পার্টির একটিও আসন নেই। বিষয়গুলিকে আরও জটিল করে বিরোধী দলের অংশ হয়ে ওঠার মাধ্যমে এপি ২০০৮ সালে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পর প্রথমবারের মতো মিনিস্ট্রি অব ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে। এপি বর্তমানে দেশে তাদের রাজনৈতিক জমি হারানোর ঝুঁকির সম্মুখীন। তা সত্ত্বেও সুইং পার্টি বা পক্ষ পরিবর্তনকারী দল হিসেবে তাদের ইতিহাসের নিরিখে এপি এবং জেপি-র ভূমিকা যথেষ্ট অনিশ্চিত। অবশেষে পিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে বিচ্যুতির পরে প্রতিষ্ঠিত মলদ্বীপ থার্ড ওয়ে ডেমোক্র্যাটস প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করা সত্ত্বেও সম্ভবত বিরোধীর ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের সমর্থকদের ভিত্তিও প্রসারিত করবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ দেশের আগামী পাঁচ বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করবে – ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচন এবং দেশকে সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিবর্তন করার জন্য গণভোট। প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি হবে ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচন। মলদ্বীপের সংসদে বর্তমানে ৮৭ জন সাংসদ রয়েছেন। এর মধ্যে এমডিপি থেকে ৫৬ জন, ডেমোক্র্যাটস থেকে ১৩ জন, পিপিএম ও পিএনসি থেকে চারজন করে, এমএনপি ও স্বাধীন প্রার্থীদের মধ্যে তিনজন করে এবং জেপি ও এমডিএ থেকে দু’জন করে সাংসদ রয়েছেন। এর অর্থ হল, পিপিএম-পিএনসি জোটের তাদের দুই শরিক দলের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে মাত্র ১৩ জন সাংসদ রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব ২০২৪ সালের পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন পর্যন্ত মুইজ্জুর পক্ষে তাঁর সিদ্ধান্ত পাস করানো বা সমর্থন জোগাড় করার বিষয়ে সমস্যা হয়ে উঠবে। এ কথা আরও স্পষ্ট যে, কেন পিপিএম-পিএনসি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনগুলিতে পিপিএম-পিএনসি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রত্যাশা করবে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব দুর্বল প্রেসিডেন্ট ও শক্তিশালী বিরোধীদের দিকে চালিত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে অন্য দলগুলিও সংসদীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের স্বার্থকে চরিতার্থ করতে আগ্রহী। এমডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে চাইবে; জেপি এবং এপি রাজনৈতিক স্তরে উচ্চ বাজির নিরিখে একটি ভাল নির্বাচনী ফলাফলের মাধ্যমে নিজেদের প্রাসঙ্গিক রাখতে চাইবে; এবং ডেমোক্র্যাটরা এই সুযোগকে তাদের রাজনৈতিক উপস্থিতি প্রসারের কাজে ব্যবহার করবে। নির্বাচনী দৌড়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে, দলগুলি নতুন অক্ষ, ভূমিকা এবং জোট গঠনে অব্যাহত থাকবে।
দেশটির প্রাক-পরিবর্তন পর্ব থেকে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চললেও বর্তমানে গণভোটের পক্ষে একমাত্র ডেমোক্র্যাটস মত দান করেছে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি হল গণভোট, যা অক্টোবরের শেষে হওয়ার কথা থাকলেও এখন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রাক-পরিবর্তন পর্ব থেকে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চললেও বর্তমানে গণভোটের পক্ষে একমাত্র ডেমোক্র্যাটস মত দান করেছে। অন্যান্য প্রধান দল একটি প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করেছে এবং পিপিএম-পিএনসি জোট তাদের অবস্থান প্রকাশ করেনি। অন্তর্বর্তী সময়ে পিপিএম-পিএনসি এবং ডেমোক্র্যাটদের একে অপরকে প্রয়োজন হতে পারে… এ হেন সম্ভাবনার দরুন তারা গণভোটকে ইচ্ছাকৃত ভাবে স্থগিত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাই হোক, সংসদের গঠন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক দলগুলির ভাগ্য গণভোটের ভবিষ্যৎ এবং কোন দল গণভোটকে সমর্থন করে, তা নির্ধারণ করে দেবে। নভেম্বর মাসে নতুন প্রশাসন শপথ নেওয়ার পরে মুইজ্জুকে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই, সংসদীয় নির্বাচন এবং গণভোটের আহ্বান থেকে উদ্ভূত নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য কৌশলগত ভাবে জোট তৈরি করতে হবে।
আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Aditya Gowdara Shivamurthy is an Associate Fellow with the Strategic Studies Programme’s Neighbourhood Studies Initiative. He focuses on strategic and security-related developments in the South Asian ...
Read More +