আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্ব সেই নারী নেতৃবৃন্দকে উদযাপন করেছে যাঁরা প্রযুক্তিকে পরিবর্তনশীল উন্নয়নের হাতিয়ার হিসাবে তুলে ধরার জন্য সোচ্চার এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (৪আইআর) কারণে পিছিয়ে পড়া মানুষের কণ্ঠস্বর। অনলাইন লিঙ্গভিত্তিক হিংসা বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে এই বিষয়টি আমাদের ডিজিটাল জীবনের আরেকটি কুৎসিত প্রান্তের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ইউএন উইমেন’স জেন্ডার স্ন্যাপশট ২০২২ রিপোর্ট অনুসারে ডিজিটাল বিশ্ব থেকে মহিলারা বাদ পড়ার ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলি গত দশকে মোট আভ্যন্তর উৎপাদন যা হতে পারত তার থেকে আনুমানিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে। এর অতিরিক্ত আরও ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে নারীর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অনলাইন হিংসা মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা না–চালালে এই ক্ষতিকর প্রবণতা সংশোধন করা যাবে না। ২২টি দেশে সম্পাদিত আরেকটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্ট করেছে যে কমবয়সী মেয়েরা এবং যুবতী মহিলারা অনলাইন আক্রমণের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। অতিমারি–প্ররোচিত লকডাউনগুলি সারা বিশ্বে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনলাইন অপব্যবহার বাড়িয়ে তুলেছে, এবং এমন অনেকের ক্ষতি করেছে যাঁরা তাঁদের পেশা পুনরুদ্ধার করতে বা বিশ্বব্যাপী নেটিজেন হিসাবে কথা বলার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেতে আগ্রহী।
যদিও প্রযুক্তি–বিশ্ব আমাদের জন্য সংযোগ স্থাপন, শেখা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও সুসংহত করা, সম্পর্ক তৈরি করা, তথ্য ও জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া, এবং আমাদের অধিকার তুলে ধরার জন্য দরজা খুলে দিয়েছে, আমরা কিন্তু এই সত্যকে উপেক্ষা করতে পারি না যে এটি তার নিজস্ব ফাঁদ সঙ্গে নিয়ে এসেছে। যেহেতু আমরা ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে আরও বেশি করে জড়িত হচ্ছি, এর শক্তি ক্রমশ দুর্বৃত্তসুলভ হয়ে উঠছে এবং পুরনো লিঙ্গবৈষম্যকে তা আরও গভীর করছে। ইমেল ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন যৌন হয়রানি, ভয় দেখানো, ধর্ষণ ও মৃত্যুর হুমকি, অ–সম্মতিমূলক ছবি বা ভিডিও শেয়ারিং, সাইবারস্টকিং (ট্র্যাকিং অ্যাপস ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে) ইত্যাদির মতো অনেক রূপে এটি নিজেকে প্রকাশ করে।
অতিমারি–প্ররোচিত লকডাউনগুলি সারা বিশ্বে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনলাইন অপব্যবহার বাড়িয়ে তুলেছে, এবং এমন অনেকের ক্ষতি করেছে যাঁরা তাঁদের পেশা পুনরুদ্ধার করতে বা বিশ্বব্যাপী নেটিজেন হিসাবে কথা বলার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেতে আগ্রহী।
সমাজে অনলাইন লিঙ্গপ্ররোচিত হিংসার উপর নিষেধাজ্ঞা ব্যতিরেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) ব্যবহার যে অপরিহার্যভাবে প্রতিবন্ধী হবে, এমন ধারণা সংক্রান্ত প্রাথমিক বিস্তৃত প্রতিবেদনগুলির মধ্যে একটি ছিল ২০১৮ সালে মানবাধিকার পরিষদে জমা দেওয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের নারীদের বিরুদ্ধে হিংস্রতা বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদকের একটি প্রতিবেদন। অনলাইন হিংসা নারীদের ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য বাধা হতে পারে বলে স্বীকার করে নিয়ে ২০১৭–র হ্যামবুর্গের জি২০ ডিজিটাল ইকনমি মিনিস্টারিয়াল ডিক্লেয়ারেশন সাইবার বিশ্বে নারী ও মেয়েদের প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও সংস্থান এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ফ্রান্সের মতো কিছু জি২০ সদস্য নিশ্চিত করেছে যে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং একটি নতুন ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ইতালি একটি নতুন ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে স্পষ্টভাবে যৌন ছবি বা ভিডিওর বেআইনি প্রচার অন্তর্ভুক্ত করেছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রিসার্চ ব্যুরো’র (এনসিআরবি) রিপোর্ট অনুসারে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে, এবং যৌনতাপূর্ণ বিষয়বস্তু প্রকাশের জন্য দায়ের করা মামলা ১১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও মহিলাদের সুরক্ষার জন্য মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে অর্থায়িত প্রকল্পগুলিতে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, তবে অনেক কিছু অর্জন করা এখনও বাকি আছে।
অতিমারি চলাকালীন অনলাইন লিঙ্গভিত্তিক হিংসা বিশ্বব্যাপী বেড়েছে, এবং বেশিরভাগ দেশ একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামোর অভাবে মহিলাদের অনলাইন জীবন লঙ্ঘনের বিষয়টির সঙ্গে লড়াই করতে হিমসিম খেয়েছে। সব লিঙ্গের মানুষ অনলাইনের অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন, কিন্তু সামগ্রিকভাবে তাঁদের বেশিরভাগই নারী ও মেয়ে। এটি বিশেষভাবে ক্ষতি করে জাতি, শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম ও অক্ষমতার মতো সামাজিক প্রতিকূলতার সংযোগস্থলে থাকা নারী ও মেয়েদের। মহিলাদের মধ্যে অ–শ্বেতাঙ্গ মহিলারা অনলাইন হিংসার ক্ষেত্রে বেশি অরক্ষিত, আর জাতিগত বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধী মহিলারা, এবং লেসবিয়ান, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার বা ইন্টারসেক্স মহিলারা (এলবিটিআই) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন৷ সমগোত্রীয়দের (পিয়ার) প্ররোচিত অনলাইন অপব্যবহার শুধু অল্পবয়সীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ক্ষমতার অধিকারী নারীদের ক্ষেত্রেও তা ঘটছে। এটি একটি পাওয়ার প্লে ও আধিপত্যের রূপ হিসাবেও প্রকাশিত হচ্ছে, যা প্রায়শই তাঁদের লক্ষ্যে পরিণত করে যাঁরা পুরুষতান্ত্রিক স্টিরিওটাইপগুলি লঙ্ঘন করার সাহস করেন এবং লিঙ্গ ক্ষমতায়নের কথা প্রচার করেন। বারবার ডিজিটাল স্পেস নারী নেতৃত্বের উপর নজর কেন্দ্রীভূত করেছে, তা তিনি রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটি, পাবলিক ফিগার, সাংবাদিক, পরিবেশবাদী, প্রভাব–বিস্তারক বা অ্যাক্টিভিস্ট, যেই হোন না কেন। অনেকেই নিরলস ট্রোলিং ও অপবাদের শিকার হয়েছেন, যা তাঁদের অর্জনকে দুর্বল করেছে এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রের বৈধতা কেড়ে নিয়েছে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রিসার্চ ব্যুরো’র (এনসিআরবি) রিপোর্ট অনুসারে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে, এবং যৌনতাপূর্ণ বিষয়বস্তু প্রকাশের জন্য দায়ের করা মামলা ১১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নারীর বিরুদ্ধে অনলাইন হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করা
ডিজিটাল ক্ষেত্রে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসার গুরুত্ব বোঝার বিষয়টি অনেকাংশে অবমূল্যায়িত ও অবহেলিত রয়ে গেছে। যদিও কিছু দেশ নারীর নিরাপত্তা, শিশু অধিকার ও ইন্টারনেট নিরাপত্তার বৃহত্তর পরিধির মধ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, অন্য কিছু দেশ বিশেষ ধরনের ডিজিটাল অপরাধের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এই বন্ধনী পদ্ধতিটি প্রায়শই এই সত্যটি থেকে নজর ঘুরিয়ে নেয় যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনলাইন হিংসার হানিকারক প্রভাব রয়েছে, যা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতি করতে সক্ষম। এটি রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় নারীর অধিকারকে অবদমিত করতে পারে, এবং তা গণতান্ত্রিক কথোপকথনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অবশ্যই অন্য কুশীলবদের পাশাপাশি আছে বিশেষ করে ‘সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টস’, যারা ইস্তানবুল কনভেনশন বা সিইডিএডব্লিউ (নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন)–র মতো কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তির অংশীদার নয়। তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে লিঙ্গভিত্তিক হিংসার উপর সামান্য নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিও প্রায়শই মহিলাদের বিরুদ্ধে অনলাইন অপরাধের ঝুঁকি হ্রাস করার প্রবণতাকে অস্বীকার করে এবং এটি যে অফলাইন হিংসার মতো আপত্তিকর ও বিপদস্বরূপ হতে পারে তা মানে না।
ভারতের জন্য একটি ভাল সূচনা হতে পারে ভার্চুয়াল স্পেসগুলি অন্তর্ভুক্ত করে ‘নারীর অশালীন উপস্থাপনা (নিষেধ) আইন’ ১৯৮৬ (আইআরডব্লিউএ)–র সংশোধনী পাস করা, যা সংসদে নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে মুলতুবি রয়েছে। এটি অপরিহার্য, কারণ আইআরডব্লিউএ তার বর্তমান আকারে প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞাপন বা প্রকাশনা, লেখা, পেন্টিং বা চিত্রের মাধ্যমে মহিলাদের অশালীন উপস্থাপনা নিষিদ্ধ করে। দুর্ভাগ্যবশত আইনটিকে এখন পুরাকালের বলে মনে হচ্ছে, কারণ ভার্চুয়াল স্পেসটি বিদ্যুৎগতিতে প্রসারিত হচ্ছে এবং সাইবারস্টকিং, গুন্ডামি, মানহানি, সাইবার পর্নোগ্রাফি, মর্ফিং, ব্যক্তিগত ছবির বিদ্বেষপূর্ণ বিতরণ, জুম বোমাবাজি, অনলাইন ট্রোলিং, ব্ল্যাকমেলিং, হুমকি ও ভয় দেখানোর মাধ্যমে নারীদের শিকার করে চলেছে। তালিকাটি এমন একটি গভীর কূপের ছবি তুলে ধরে যার তল পাওয়া যায় না। এর মোকাবিলা করার জন্য একটি গতিশীল ও নমনীয় আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজন, যা নারীর অধিকার রক্ষার জন্য নিজেকে অভিযোজিত করতে সক্ষম হবে। জেনেরিক আইনগুলি প্রায়ই সেন্সরশিপে আটকে যায়, এবং লিঙ্গ ও প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর সুস্থ আলোচনার মতো মহিলাদের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকি নিয়ে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির আপত্তিকর পোস্টগুলিকে ব্লক করে বা সরিয়ে দিয়ে শক্তিশালী লিঙ্গ–সংবেদনশীল নীতি ও প্রতিকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করা উচিত, যাতে নারীরা নির্ভয়ে ভার্চুয়াল স্পেসগুলিতে ঘোরাফেরা করতে পারেন৷
মহিলাদের বিরুদ্ধে অনলাইন অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এরপরে যা হিংসাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে সেই দৈন্য, ক্ষতিকর সামাজিক নিয়ম ও মানসিকতার মতো গভীর মূলগত বৈষম্যের চ্যালেঞ্জগুলির গভীর অনুধাবন প্রয়োজন। একটি বহুমুখী ও সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি সম্ভবত এই অপরাধগুলিকে সরাসরি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে দিতে পারে। তাদের পক্ষ থেকে সরকারগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে অনলাইনে হিংসার শিকার ব্যক্তিরা যেন পুনরায় শিকার হওয়ার ভয় ছাড়াই অপরাধের রিপোর্ট করতে সক্ষম হন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির আপত্তিকর পোস্টগুলিকে ব্লক করে বা সরিয়ে দিয়ে শক্তিশালী লিঙ্গ–সংবেদনশীল নীতি ও প্রতিকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করা উচিত, যাতে নারীরা নির্ভয়ে ভার্চুয়াল স্পেসগুলিতে ঘোরাফেরা করতে পারেন৷ বিকেন্দ্রীকৃত সাইবার জালিকা বিশ্বব্যাপী নিরবচ্ছিন্নভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে শাসন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, যার জন্য নারীর অধিকারকে উন্নীত করতে নতুন আইনি সুরক্ষার প্রয়োজন। অনলাইন অপরাধীদের তদন্ত ও বিচার করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির মধ্যে পেশাদারদের অভাব হল একটি বিশাল ঘাটতি যা মনোযোগ দাবি করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জনচেতনা বাড়ানোর এবং স্কুলগুলিকে এমন জ্ঞান–ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত করার প্রয়োজন রয়েছে যা ডিজিটাল পরিসরের বিপদ সম্পর্কে তথ্য প্রচার করতে পারে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি প্রতিবেদন সাইবার স্পেসের ফাঁকগুলিকে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসাবে চিহ্নিত করে এই সত্যকে শক্তিশালী করেছে যে অনলাইন হিংসা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নারী ও মেয়েদের প্রভাবিত করেছে, এবং তাদের জন–সংলাপ থেকে দূরে করে দিয়েছে। নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল হিংসার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখলে তা নারীর স্ব–সেন্সরশিপ আরও মজবুত করবে, এবং তাঁদের আত্মসম্মান নষ্ট করবে। নারীদের আর্থ–সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কৃতিত্বের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য নারী দিবসকে উৎসর্গ করার পাশাপাশি আমরা নারীর বিরুদ্ধে হিংসার পরিবর্তিত প্রকৃতির ভূদৃশ্যকে উন্মোচন করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানাই, কারণ এই সময়ে আমরা লিঙ্গ উন্নয়ন ও নারীর ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ অঙ্গীকার রূপায়ণের জন্য নারীর ডিজিটাল অধিকার অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করার সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.