বামপন্থী সেনেটর গুস্তাভো পেত্রোর জয় ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কলম্বিয়া অভূতপূর্ব পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত।
২০২২ সালের ২৯ মে কলম্বিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের পরিমাণ ছিল৫০ শতাংশের কিছু বেশি। কোনও প্রার্থীই দ্বিতীয় দফায় প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ যোগ এক-এর জনাদেশ অর্জনে সমর্থ না হওয়ার দরুন ২০২২ সালের ১৯ জুন অন্তিম পর্যায়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। যে দু’জন প্রার্থী সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পান এবং নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত হন, তাঁরা হলেন বামপন্থী সেনেটর ও প্রাক্তন গেরিলা যোদ্ধা গুস্তাভো পেত্রো এবং নির্দল প্রার্থী রিয়েল এস্টেট টাইকুন রোডোলফো হারনান্ডেজ। অন্তিম পর্বে পেত্রো৪০ শতাংশেরও বেশি ভোটপান, যখন অন্য দিকে হারনান্ডেজ পানমাত্র ২৮ শতাংশ ভোট।
রান অফ ইলেকশন বা অন্তিম পর্যায়ের নির্বাচন কলম্বিয়ার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে এবং গুস্তাভো পেত্রো সে দেশের প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট রূপে নির্বাচিত হন।৫০.৪৮ শতাংশভোট পেয়ে তিনি হারনান্ডেজের প্রাপ্ত৪৭.৩৬ শতাংশভোটের তুলনায় স্বল্প ব্যবধানে জয়লাভ করতে সমর্থ হন। এই বছরের কলম্বিয়ার নির্বাচনের প্রকৃত গুরুত্ব বুঝতে গেলে দেশটির রাজনৈতিক সমস্যা, ভঙ্গুর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের অন্য দেশগুলির সঙ্গে তার অনিশ্চিত বৈদেশিক সম্পর্কের কথা মাথায় রাখতে হবে, যেগুলির সব ক’টিই এই বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে।
নির্বাচনী দৌড়ে তাঁর প্রচারের কেন্দ্রে ছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী রেভোলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অফ কলম্বিয়া অথবা এফ এ আর সি এবং কলম্বিয়া সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির কঠোর বিরোধিতা করা।
কলম্বিয়ায় এক জন প্রেসিডেন্ট মাত্র ৪ বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকতে পারেন। ফলে পূর্বে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ইভান দুক মার্কেজ এ বারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। এক জন মধ্য-দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক ইভান দুক মার্কেজ ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসেন। সেই সময়ের নির্বাচনী দৌড়ে তাঁর প্রচারের কেন্দ্রে ছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী রেভোলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অফ কলম্বিয়া অথবা এফ এ আর সি এবং কলম্বিয়া সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির কঠোর বিরোধিতা করা। তাঁর বিরোধিতার নেপথ্যে এই ধারণা ছিল যে, চুক্তিটিতে অভ্যুত্থানকারীদের যথেষ্ট প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এ-ও জানান যে, নির্বাচিত হলে তিনি বিষয়টির সমাধানকে অগ্রাধিকার দেবেন। ফলে শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে, বিশেষ করে প্রাক্তন এফ এ আর সি বিপ্লবী, এমনকি রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক কর্মীদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে তাঁর সরকারের অক্ষমতার নিরিখে তাঁর নিরুদ্যম মনোভাবদেশবাসীর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। প্রস্তাবিত কর সংস্কার এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যর্থতা তাঁর সরকারকে কলম্বিয়ানদের কাছে অ-জনপ্রিয় করে তোলে। এ হেন ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মাঝেই কোভিড-১৯ অতিমারি ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের দুর্বলতা এবং খেটে খাওয়া মানুষ ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়কে শোষণকারী কর সংস্কারের হঠকারী সিদ্ধান্ত দেশ জুড়ে সরকার ও সরকারি নীতির বিরুদ্ধেব্যাপক প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
কলম্বিয়ায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রেসিডেন্ট পদের জন্য দৌড়কে উক্ত প্রেক্ষিতেই দেখা উচিত। প্রথাগত ভাবে কলম্বিয়া প্রধানত মধ্যপন্থী রাজনীতির সাক্ষী থেকেছে এবং চরম বামপন্থী রাজনীতি সে দেশে বরাবরই জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত অপ্রিয়। তাই এক জন বামপন্থী প্রাক্তন বিপ্লবীর প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পারার ঘটনা এ কথাই দর্শায় যে, বর্তমানে কলম্বিয়ানরা পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। গুস্তাভো পেত্রো ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দুকের কাছে অন্তিম পর্যায়ে পরাজিত হন। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রূপে তিনি সহজেই সেনেটে তাঁর আসন সুনিশ্চিত করতে সমর্থ হন। ইতিপূর্বে তিনি বোগোতার মেয়র রূপে কাজ করেছেন। তিনি কলম্বিয়ার প্রধান বামপন্থী দলগুলিকে নিয়েহিস্টোরিক প্যাক্টনামক জোট গঠন করেন। তাঁর নির্বাচনী সঙ্গিনী আফ্রো-কলম্বিয়ান আইনজীবী এবং পরিবেশকর্মী ফ্রান্সা মার্কেজ নির্বাচনে জয়ী হলে দেশের সর্বপ্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কলম্বিয়ান ভাইস প্রেসিডেন্ট হতেন। তাঁদের নির্বাচনী প্রচারের কেন্দ্রে ছিল মূলত অর্থনৈতিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি। এ ছাড়াও তাঁরা ধনীদের উপর থেকে কর আদায় করা, দেশের উপার্জন অসমতার মোকাবিলা করা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পেনশন ব্যবস্থার সংস্কার এবং দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি পেত্রো এফ এ আর সি-র সঙ্গে শান্তিচুক্তির প্রতিশ্রুতির পুনর্নবীকরণেরও অঙ্গীকার করেন।
রোডোলফো হারনান্ডেজ সুয়ারেজকে কলম্বিয়ার রাজনৈতিক পরিসরের প্রেক্ষিতে এক জন বহিরাগত বলে মনে করা হত। দুর্নীতি বিরোধী মঞ্চ থেকে তিনি এক জন নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সেই সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে বুকারামাঙ্গার মেয়র থাকাকালীনবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগেরবিচার চলছিল। তাঁর দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা কলম্বিয়ায় ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে এবং এর নেপথ্যে ছিল নির্বাচনী প্রচার বা রাজনৈতিক জোট গঠনের চিরাচরিত পদ্ধতিগুলি না মেনে চলার প্রবণতা। তিনি প্রধানত সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষত টিকটক ব্যবহার করে তাঁর নির্বাচনী প্রচার চালান এবং নিজেকে‘টিকটকের রাজা’বলে দাবি করেন। এ ভাবে তিনি বহু সংখ্যক যুব ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সমর্থ হন। তাঁর আবেগপ্রবণ, প্রথাবিরুদ্ধ এবং প্রায়শই সংবেদনহীন প্রচারপন্থা তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনা করতে বাধ্য করে। তাঁর নির্বাচনী স্লোগান ছিল ‘চুরি কোরো না, মিথ্যা বোলো না, অলস হয়ো না’। তাঁর প্রস্তাবগুলির মধ্যে একটি ছিল দেশে ‘কোকেনের ব্যবহারকে বৈধতা দেওয়া’। কলম্বিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক প্রশাসন দ্বারা সমর্থিত রক্ষণশীল প্রার্থী ফেদেরিকো গুতিয়েরেজকে পরাজিত করার ঘটনা তাঁর দ্বারা গৃহীত অনন্য পন্থাগুলির সাফল্যকেই তুলে ধরে।
প্রথাগত ভাবে কলম্বিয়া প্রধানত মধ্যপন্থী রাজনীতির সাক্ষী থেকেছে এবং চরম বামপন্থী রাজনীতি সে দেশে বরাবরই জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত অপ্রিয়।
এই বছরের ২৯ মে হারনান্ডেজের কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ফেদেরিকো গুতিয়েরেজকে পেত্রোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে দেখা হচ্ছিল। তিনি কলম্বিয়ার মধ্য-দক্ষিণপন্থী দলগুলির জোট দ্বারা সমর্থিত প্রধান রক্ষণশীল প্রার্থী ছিলেন। তাঁর নীতিগুলি প্রধানত ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা’ এবং আইনের শাসন বলবৎ করার মতো বিষয়কেন্দ্রিক ছিল। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার, আরও বেশি করে দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ, আরও কম সংখ্যক বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং দেশে আরও বেশি ক্ষমতা বিকেন্দ্রিকরণের উপরে জোর দেন। তবুও এক জন রক্ষণশীল প্রার্থী হওয়ার দরুন তাঁর অধিকাংশ নীতি মূলত ক্ষমতাসীন প্রশাসনের কর্মসূচিরই এক সম্প্রসারিত রূপ বলে মনে করা হচ্ছিল। যেমনটা পূর্বেও বলা হয়েছে যে, কলম্বিয়ান ভোটাররা পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে ছিলেন এবং গুতিয়েরেজের নীতিগুলিতে কোনও উল্লেখযোগ্য নতুনত্ব না থাকার ফলে তিনি প্রথম দফার নির্বাচনে পরাজিত হন। নির্বাচনের প্রথম দফার ফলাফল ঘোষণার পরে গুতিয়েরেজ অন্তিম দফার নির্বাচনের ক্ষেত্রে হারনান্ডেজের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন।
প্রথম পর্যায়ের দৌড়েমোট আট জন প্রার্থীপ্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করেন। পূর্বোল্লিখিত তিন জন প্রধান প্রতিযোগী ছাড়াও ছিলেন নির্দল প্রার্থী ইনগ্রিড বেটানকোর্ট, মধ্যপন্থী সের্জিও ফায়ারদো, দক্ষিণপন্থী প্রার্থী এনরিকে গোমেজ মার্টিনেজ, নির্দল প্রার্থী লুইস পেরেজ গুতিয়েরেজ এবং ধর্মীয় সংগঠন সমর্থিত জন মিল্টন রডরিগেজ। যদিও শেষতক মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাটি পেত্রো এবং হারনান্ডেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
কলম্বিয়ায় ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একাধিক কারণে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সে দেশের ইতিহাসে প্রথম বারের জন্য কোনও এক জন বামপন্থী প্রার্থী নির্বাচনী দৌড়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে গেলেন। নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় সে দেশের মতদাতাদের এমন দু’জন জনপ্রিয়, প্রতিষ্ঠানবিরোধী প্রার্থীর মধ্যে এক জনকে বেছে নিতে হল, যাঁরা উভয়েই আমূল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেমনটা মধ্যপন্থী দেশটির ইতিহাসে এর আগে কখনও হয়নি। নির্বাচনের বর্তমান পর্যায়টিতে দেশটির জন্য নতুন অগ্রাধিকারের কথাও বলা হয়েছে। অতিমারির প্রভাবে দারিদ্র, কর সংস্কার ও স্বাস্থ্যের মতো অর্থনৈতিক বিষয়গুলি এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। একই সঙ্গে এফ এ আর সি শান্তিচুক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকারের তালিকায় নিচে নেমে গেছে।
নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় সে দেশের মতদাতাদের এমন দু’জন জনপ্রিয়, প্রতিষ্ঠানবিরোধী প্রার্থীর মধ্যে এক জনকে বেছে নিতে হল, যাঁরা উভয়েই আমূল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেমনটা মধ্যপন্থী দেশটির ইতিহাসে এর আগে কখনও হয়নি।
প্রেসিডেন্ট রূপে গুস্তাভো পেত্রোর নির্বাচন সমগ্র লাতিন আমেরিকা জুড়ে বামপন্থী রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতায় আসার এক বৃহত্তর বিন্যাসেরই প্রতিফলন। চিলি, পেরু এবং হন্ডুরাসে২০২১ সালেবামপন্থী প্রেসিডেন্টদের ক্ষমতায় আসীন হতে দেখা গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে, পেত্রো এফ এ আর সি শান্তিচুক্তির প্রতি দেশের দায়বদ্ধতার পুনর্নবীকরণ করবেন, অগ্রাধিকার দিয়ে সেটির বাস্তবায়ন করবেন এবং এখনওসক্রিয় ই এল এন বিদ্রোহীদের সঙ্গে মীমাংসামূলক আলোচনা চালাবেন।এক জন প্রাক্তন গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে পেত্রোর নিজের অতীতের নিরিখে শেষোক্ত বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অন্তিম পর্যায়ের নির্বাচনের ফলপ্রকাশ ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেত্রোর নাম ঘোষণার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (ইউ এস) সঙ্গে কলম্বিয়ার সম্পর্কের উপরেও সকলের নজর থাকবে। পেত্রো বরাবরই মাদকের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চালিত যুদ্ধের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবংইউ এস-কলম্বিয়া বাণিজ্য চুক্তির পুনর্বিবেচনা করারপক্ষে সওয়াল তুলেছেন। কারণ তাঁর মতে এই চুক্তি কলম্বিয়ার কৃষক ও নির্মাতাদের সমূহ ক্ষতি করেছে। তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারে প্রতিবেশী দেশ ভেনেজুয়েলার সঙ্গেকূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রস্তাবনাওদেন, যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিগত কয়েক বছর যাবৎ অশান্ত থেকেছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-কলম্বিয়ার সম্পর্কের টানাপড়েনের একটি কারণ হতে পারে, যে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইভান দুক মার্কেজের সময়ে অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। কলম্বিয়ার নির্বাচনের ফলাফলের যথার্থ প্রভাব এখনও বিশ্বের সামনে উঠে আসেনি। যাই হোক, এ কথা নিশ্চিত যে, ২০২২ সালের নির্বাচন সে দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা করেছে যখন দেশ হিসেবে কলম্বিয়া তার শীর্ষ নেতা নির্বাচনের প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করে এক ব্যাপক পরিবর্তনের বিকল্প নিয়েছে।
এখানে একটি রেখাচিত্রের ছবি যাবে
যেমনটা উপরের রেখাচিত্র দর্শাচ্ছে যে, গত পাঁচ দশক যাবৎ কলম্বিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলেছে, সে দেশের উপার্জনের বৈষম্য তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং অপরাধের হারও ধারাবাহিক ভাবে বেশি থেকেছে। এই সব সমস্যাই কলম্বিয়ার সরকারের সামনে অমীমাংসিত উদ্বেগের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কলম্বিয়ার নতুন বামপন্থী সরকার কি দেশকে এক ফলপ্রসূ পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে?
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Akanksha Singh has done her BA. LLB(Hons.) from Ram Manohar Lohiya National Law University. She is currently pursuing her Masters in Diplomacy Law and Business ...
Vivek Mishra is Deputy Director – Strategic Studies Programme at the Observer Research Foundation.
His work focuses on US foreign policy, domestic politics in the US, ...